Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

পাগলা নিতাই
 

বাণীব্রত চক্রবর্তী: বাজারের ভেতরে ঢুকলে যামিনীবাবু অদ্ভুত গন্ধ পান। শাক-সব্জি-মাছ-মাংস আর ফুল-বেলপাতার সংমিশ্রিত গন্ধ। বাজারের মেঝে সিমেন্টে বাঁধানো। মেঝে সবসময় ভিজে স্যাঁতসেঁতে। কিন্তু আজ বাজারে ঢুকে তেমন কোনও গন্ধ পেলেন না। মেঝে শুকনো খটখটে। একটা চেনা গান তাঁর কানে ভেসে এল— ‘একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি।’
আজ বাজার বন্ধ নাকি! তাহলে তো বাজারের গেট বন্ধ থাকত! গান শুনতে শুনতে চারদিকে তাকিয়ে দেখলেন। বাজার বসেনি। মাংসের দোকানের ঝাঁপ বন্ধ। কেবল তিনটে বেড়াল ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমন সময় দেখতে পেলেন ফুলওয়ালা ঝুনু পোস্টারের মতো একটা কিছু নিয়ে বাজারে ঢুকল। ঝুনুকে ডাকলেন। ঝুনু ফিরে তাকাল, ‘আজ বাজার বন্ধ মাস্টারমশাই।’ যামিনীবাবু অবাক, ‘বন্ধ! কেন!’ ঝুনু বলল, ‘কাল দুপুরে পচা মারা গেছে। তাই।’
  বাজারের কোনও দোকানি মারা গেলে একদিনের জন্য বাজার বন্ধ রাখা হয় । বাজারের গেটে তালা দেওয়া হয়। বাজারের পাশের রাস্তায় ইট দিয়ে একটা বেদী করা হয়। আর একটা পোস্টারে শোকসংবাদটি থাকে। তাতে সাঁটা থাকে মৃত ব্যক্তিটির ছবি। এখন ঝুনুর হাতে হয়তো ওইরকমই একটা পোস্টার। যামিনীবাবু অবাক, ‘পচা!’ ঝুনু বলল, ‘হ্যাঁ। গোপাল মাখাল।’
পচার ভালো নাম গোপাল মাখাল সেটা তাঁর জানা ছিল না। পচা মাছ বিক্রি করত। অ্যাডভোকেট রতন বক্সী বাজারে ঢুকে প্রথমে পচার সামনে এসে দাঁড়াতেন, ‘এই পচা মাছ দে।’ পচা হাসতে হাসতে বলত, ‘কী যে বলেন উকিলবাবু। সব মাছ টাটকা। এই তো পাতিপুকুরের মাছের আড়ত থেকে এক্ষুনি নিয়ে এলাম।’ রতন বক্সী রসিক মানুষ, ‘তোকে মাছ দিতে বলেছি। অন্য কিছু তো বলিনি।’
যামিনীবাবু ঝুনুর দিকে তাকালেন, ‘এবার কি শোক বেদী বাজারের ভেতরেই হবে?’ ঝুনু বলল, ‘হ্যাঁ, মাস্টারমশাই। পচা আমাদের বলে গেছে সে মারা গেলে যেন তাকে বাজারের ভেতরেই স্মরণ করি। ওই দেখুন দক্ষিণ চাতালে বেদী তৈরি হয়েছে। এবার গিয়ে এই পোস্টারটা ওখানে লাগাব।’ তখনও গান চলছে। হাসি হাসি পরব ফাঁসি...। যামিনীবাবু জিজ্ঞেস করলেন, ‘কে গান গাইছে?’ ঝুনু হাসতে হাসতে বলল, ‘কে আবার! পাগলা নিতাই। আসুন না আমার সঙ্গে।’ পাগলা নিতাই আবার কে! হয়তো এই বাজারের কোনও বিক্রেতা। সবার নাম তো তিনি জানেন না।
ওখানে পৌঁছতে পৌঁছতে গান শেষ হয়ে গেল। বেদিতে ফ্রেমে বাঁধানো পচার ফোটোগ্রাফ। ছবিতে একটা রজনীগন্ধার মোটা মালা। ঝুনু এবার পোস্টারটা লাগাল। তাতে লেখা পরলোকে চলে গেলেন গোপাল মাখাল।
যামিনীবাবু দেখলেন বছর পনেরোর একটি অচেনা ছেলে বেদীর পাশে বসে আছে। ছেলেটির দিকে ঝুনু বলল, ‘মাস্টারমশাই এই হল পাগলা নিতাই।’ ছেলেটি আবার শুরু করতে যাচ্ছিল সেই একই গান। একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি। যামিনীবাবু হাত তুলে ওকে নিরস্ত করলেন,  ‘থাক। থাক।’ পাগলা নিতাই থমকে গেল। তারপর চাতাল থেকে নেমে যামিনীবাবুকে ঢিপ করে একটা প্রণাম করে বলল, ‘আমার নাম নিতাই। কিন্তু সবাই আমাকে পাগলা নিতাই বলে। পচাকাকাও বলতেন। আমি কিন্তু পাগলা নই। পাতিপুকুরের মাছের আড়তে কাজ করি। আর আমি ওই গান ছাড়া আর কোনও গান জানি না।’ যামিনীবাবু দেখলেন ছেলেটার গায়ে ডোরাকাটা শার্ট। পরনে খাকি ফুলপ্যান্ট। দুটোই ময়লা। কিন্তু ছেলেটার চোখ দুটো বড় নিষ্পাপ এবং উজ্জ্বল।
ছেলেটা বলল, ‘পচাকাকার কাছে আপনার কথা খুব শুনেছি। আপনি তো মাস্টারমশাই! বাজার থেকে বেরিয়ে বড় রাস্তার ধারে যে হলদে ইশকুলবাড়িটা দেখা যায় সেখানেই আপনি পড়ান তো!’ যামিনীবাবু বললেন, ‘পড়াতাম। এখন বুড়ো হয়ে গেছি। ইস্কুল বলল, আর নয়। এবার অবসর নাও। নিলাম।’ নিতাই হাসতে হাসতে বলল, ‘কী যে বলেন! মাস্টারমশাইরা কি কখনও বুড়ো হন!’ কথাটা বেশ অন্যরকম। স্নেহময় দৃষ্টিতে নিতাইয়ের দিকে তাকালেন। ঝুনু তখন ধূপদানিতে গোছা গোছা ধূপ গুঁজে দিচ্ছে।
হঠাৎ নিচু স্বরে নিতাই বলল, ‘একটু তফাতে আসবেন! কয়েকটা কথা বলার ছিল। একটা প্রশ্নের উত্তর কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছি না।’ যামিনীবাবু বললেন, ‘যা বলার এখানেই বল।’ নিতাই বলল, ‘একটু তফাতে আসুন না মাস্টারমশাই।’ নিতাইয়ের সঙ্গে খানিকটা তফাতেই গেলেন 
যামিনীবাবু। বাজার বসেনি। তাই ফাঁকা। কেবল হাঘরে তিনটে বেড়াল 
ঘুরে বেড়াচ্ছে।
নিতাই জিজ্ঞেস করল, ‘যে গানটা গাইছিলাম সেটা কি সত্যিই ক্ষুদিরামের লেখা গান? যাকে জিজ্ঞেস করি সে-ই বলে ক্ষুদিরামের।’ যামিনীবাবু বললেন, ‘তোমার কী মনে হয়? ক্ষুদিরামের নয়?’ নিতাই মাথা নাড়ে, ‘ক্ষুদিরামের নয়। চকদ্বীপের ইশকুলে ক্লাস সিক্স পর্যন্ত পড়েছি। তখন আমরা মেদিনীপুরে থাকতাম। আমাদের মাস্টারমশাই শৈলবাবু বলেছিলেন এই গান কার লেখা। তাঁর নামটা ভুলে গেছি।’ যামিনীবাবু জিজ্ঞেস করলেন, ‘কলকাতায় এসে কোনও স্কুলে ভর্তি হওনি?’ ম্লান হাসে নিতাই, ‘না। পড়াশোনাটাই ছেড়ে দিতে হল। বাবা মেদিনীপুর ছেড়ে কলকাতায় চলে এলেন। ছুতোরের কাজ করেন। ছেলেকে পড়ানোর খরচ আর জোগাতে পারলেন না। সামন্তমশাইকে বলেকয়ে আমাকে পাতিপুকুরের মাছের আড়তে ঢুকিয়ে দিলেন।’
যামিনীবাবু বললেন, ‘ওই গান কার লেখা তা জেনে কী হবে!’ নিতাই বলল, ‘আমার অনেক কিছু জানতে ইচ্ছে করে মাস্টারমশাই। আবার একটু একটু করে পড়াশোনা করতেও ইচ্ছে করে।’ কথা শেষ হল না। খবর পেয়ে অ্যাডভোকেট রতন বক্সীও চলে এসেছেন। যামিনীবাবু নিতাইকে নিয়ে পচার স্মরণ-বেদীর সামনে এসে দাঁড়ালেন। আর বাজারের দোকানি-বিক্রেতা কয়েকজন। মিনিট পনেরোর মধ্যে স্মরণসভা শেষ হয়ে গেল। যামিনীবাবু বাজার থেকে বেরিয়ে এলেন। খানিকটা হেঁটে শিবমন্দিরের কাছাকাছি গেলে রাস্তার একপাশে কিছু  মানুষ আনাজপাতি নিয়ে বসে। ভাগ্যিস আজ শনিবার। বাড়িতে নিরামিষ রান্না হয়। সেটাই বাঁচোয়া।
খানিকটা এগিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে থমকে দাঁড়াতে হল। কে যেন নিচু হয়ে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করল। তারপর উঠে দাঁড়িয়ে বলল, ‘স্যর, ভালো আছেন? আমাকে চিনতে পারছেন?’ যামিনীবাবু হাসলেন, ‘চিনতে পারব না কেন! কেমন আছ প্রিয়াংশু? গভর্নমেন্ট কলেজে পড়াচ্ছ তো! হঠাৎ এ পাড়ায়! সে বলল, ‘কলকাতার কলেজে বদলি হয়ে এসেছি। কাছেই থাকি। লেকটাউনে।’ যামিনীবাবু বললেন, ‘বেশ। বেশ। তুমি তো ইতিহাসের অধ্যাপক!’ প্রিয়াংশু বলল, ‘হ্যাঁ। স্যর।’ উনি বললেন, ‘তোমার সঙ্গে দেখা হয়ে ভালোই হল। একবার বিদায় দে মা গানটি কি ক্ষুদিরামের লেখা?’ প্রিয়াংশু বলল, ‘না, না।’ উনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘তবে কার লেখা!’ প্রিয়াংশু বলল, ‘সেটা তো জানি না।’ যামিনীবাবু বললেন, ‘ঠিক আছে। অনেকদিন পরে তোমার সঙ্গে দেখা হয়ে ভালো লাগল।’
প্রিয়াংশু চলে গেল। ইতিহাসের অধ্যাপক জানে না। পাগলা নিতাইও জানে না। তবে দু’জনের মধ্যে পার্থক্য আছে। প্রিয়াংশু জানে না বলে লজ্জিত নয়। পাগলা নিতাই নামটা জানার জন্য হাঁকপাঁক করছে। বাঁকুড়ার লোককবি পীতাম্বর দাস এই গানের গীতিকার এবং সুরকার। ইতিহাসের অধ্যাপক জানে না। তিনি মনে বড় ব্যথা পেলেন।
সেদিন সন্ধেবেলায় ফ্ল্যাটবাড়ি থেকে রাস্তায় যামিনীবাবু দেখলেন নিতাই দাঁড়িয়ে আছে।
যামিনীবাবু জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী ব্যাপার নিতাই তুমি!’ নিতাই বলল, ‘ঝুনুকাকা আপনার ঠিকানাটা দিয়েছেন। আপনার ফ্ল্যাটেই যাচ্ছিলাম।’ উনি অবাক, ‘কেন!’ নিতাই বলল, ‘রবিবার বিকেলটুকু আমাকে একটু সময় দিতে পারবেন? আমাকে একটু যদি পড়ান মাস্টারমশাই। আপনাকে অবশ্য বেশি টাকা বেতন দিতে পারব না। সাধ্যমতো দেব। এখন এই বয়সে আমাকে ইশকুলে তো নেবে না। পড়াশোনা করার আমার খুব ইচ্ছে।’
রবিবার বিকেলে যামিনীবাবু স্বামী বিবেকানন্দ স্টাডি সেন্টারে যান। ওখানে সুন্দর সুন্দর বক্তৃতা হয়। তাই রবিবার বিকেলের জন্য উনি উন্মুখ হয়ে থাকেন। বললেন, ‘রবিবার ছাড়া অন্য কোনও দিন হলে হবে?’ নিতাই বলল, ‘না। রবিবার বিকেলেই যা একটু সময় পাই।’ খানিকক্ষণ ভেবে বললেন, ‘বেশ। তাই এসো। তোমাকে টাকা-পয়সা দিতে হবে না।’ পাগলা নিতাইয়ের চোখে আনন্দের অশ্রু। সে ঢিপ করে একটা প্রণাম করল। যামিনীবাবুর মনে হল এতদিন তিনি এই পাগলা নিতাইদেরই খুঁজছিলেন।
03rd  December, 2023
মাটির নীচে শহর

পৃথিবীর জনসংখ্যা যে হারে বাড়ছে, একসময় এই গ্রহে বসবাসের জায়গা পাওয়া মুশকিল হবে! অবশ্য, অন্য দেশের মানুষদের জায়গা পাওয়া নিয়ে সমস্যা হলেও অস্ট্রেলিয়ার এক বিশেষ অঞ্চলের বাসিন্দাদের কোনও অসুবিধা হবে না। কারণ তারা মাটির নীচেই বসবাস করে।
বিশদ

03rd  December, 2023
আলোর গতি কীভাবে মাপা হল?

মহাবিশ্বে আলোর গতি সবচেয়ে বেশি। বৃহস্পতির একটি উপগ্রহ পর্যবেক্ষণ করার সময় আলোর গতি সম্পর্কে ধারণা হয় বিজ্ঞানী রোমারের। কীভাবে আলোর গতিবেগ নির্ণয় করা হল সেই গল্পই শোনালেন স্বরূপ কুলভি
বিশদ

03rd  December, 2023
ডাইনোসর থেকেই কি আজকের পাখি?

ডাইনোসর সরীসৃপ শ্রেণিভুক্ত প্রাণী। আজ থেকে ২৩ কোটি বছর আগে এরা পৃথিবীতে এসেছিল। এক শ্রেণির ডাইনোসরের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য আজকের পাখির মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেই গল্পই শোনালেন স্বয়ংদীপ্ত বাগ
বিশদ

26th  November, 2023
পৃথিবীর শেষ পথ

আদৌ পৃথিবীর শেষ পথ বলে কিছু আছে? নরওয়ের ই-৬৯ হাইওয়েটি পৃথিবীর শেষ পথ নামে পরিচিত। ১৯৩০ সালে রাস্তাটি তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। রাস্তাটির বিশেষত্ব কী? জানালেন সোমা চক্রবর্তী
বিশদ

26th  November, 2023
পায়রার খেলা

জাদুর দুনিয়ায় নানান ধাঁধা। প্রতিটাই পরখ করে দেখতে চায় মন। এবার সেই সুযোগই তোমাদের সামনে হাজির করলেন থিম ম্যাজিশিয়ান সোমনাথ দে। তিনি মাসে দুটো করে ম্যাজিক শেখাচ্ছেন তোমাদের। তাঁর থেকে সেই ম্যাজিক বৃত্তান্ত জেনে ছোট্ট বন্ধুদের সামনে হাজির করলেন কমলিনী চক্রবর্তী।
বিশদ

26th  November, 2023
ক্রিকেটে প্রযুক্তি

আজ বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি ভারত-অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকেট জ্বরে আক্রান্ত গোটা দেশ। প্রযুক্তির সৌজন্যে আরও আধুনিক হয়েছে ক্রিকেট। নিখুঁত হয়েছে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। মোতেরা স্টেডিয়ামের মহারণের আগে ক্রিকেট মাঠের প্রযুক্তির সেইসব খুঁটিনাটি তোমাদের জানালেন  সৌগত গঙ্গোপাধ্যায়।
বিশদ

19th  November, 2023
ম্যাজিক নম্বর ৬১৭৪
স্বরূপ কুলভি

অঙ্ক সংখ্যার খেলা। এর পরতে পরতে লুকিয়ে রয়েছে বিস্ময়।  এমন হাজারো রহস্য রয়েছে, যার তল খুঁজতে দিনরাত এক করে চেষ্টা চালাচ্ছেন গণিতজ্ঞরা। এমনই একটা ধাঁধার উদাহরণ চার অঙ্কের একটি সংখ্যা— ৬১৭৪। বিশদ

19th  November, 2023
বাংলা কল্পবিজ্ঞান কাহিনির জনক

‘পলাতক তুফান’ গল্পটিকে পরে কিছু পরিবর্তন করে ‘অব্যক্ত’ গ্রন্থের অর্ন্তভুক্ত করেছিলেন জগদীশচন্দ্র বসু। নাম পাল্টে রেখেছিলেন ‘নিরুদ্দেশের কাহিনী’। তিনিই বাংলার সায়েন্স ফিকশনের জনক। বিশদ

19th  November, 2023
ঠাকুরবাড়ির আলোর উৎসব

আজ দীপাবলি। সকলে মেতে উঠবেন আলো আর আতসবাজির আনন্দে। জোড়াসাঁকোয় রবি ঠাকুরের বাড়িতে কীভাবে পালিত হতো দিনটি, লিখলেন পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
বিশদ

12th  November, 2023
বাংলা ছবির শিশুরা

আগামী ১৪ নভেম্বর শিশু দিবস। তার আগে বাংলার কয়েকটি বিখ্যাত ছবির শিশুশিল্পীদের গল্প শোনালেন শঙ্কর ঘোষ।
বিশদ

12th  November, 2023
দেবীঘটের ম্যাজিক

আজ কালীপুজো। আর কালীপুজোর সঙ্গে তন্ত্র সাধনার একটা দারুণ যোগ রয়েছে। আজ সেই তন্ত্রসাধনা ও কালীপুজো সংক্রান্ত একটা ম্যাজিকের কথা বলি তোমাদের। হিন্দু শাস্ত্রে দেবী পুজোর সঙ্গে ঘট অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।
বিশদ

12th  November, 2023
জিজ্ঞাসাবাদ

কেন গিয়েছিলে তোমরা ছাদে?’ শার্মিন আর অনিকেতকে বড় কালো টেবিলটার সামনে দাঁড় করিয়ে গম্ভীর গলায় জিজ্ঞাসা করলেন মিস তলোয়ার।
বিশদ

05th  November, 2023
রঙিন ফানুস

ছোট্ট বন্ধুরা, তোমরা তো কালীপুজোর রাতে রঙিন ফানুস উড়তে দেখেছ। অনেকে হয়তো ফানুস উড়িয়েও থাকবে। রঙিন ফানুসের ইতিহাস বেশ প্রাচীন। বিশদ

05th  November, 2023
হারিয়ে যাচ্ছে শ্যামাপোকা

কয়েক বছর আগেও কালীপুজোর মুখে সন্ধেবেলায় ঘরে আলো জ্বালানোই যেত না, একধরনের পোকার অত্যাচারে। টিউবলাইট বা বাল্ব জ্বালালেই দলে দলে ছোট ছোট সবুজ পোকা আলোর চারপাশে জড়ো হতো।
বিশদ

05th  November, 2023
একনজরে
পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে গিয়ে উত্তরপ্রদেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল সালার থানার খাড়েরা গ্রামের এক যুবকের। মৃতের নাম বাদশা শেখ (২৪) । গ্রামের অঞ্চলপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। মাসতিনেক আগে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজে সেখানে গিয়েছিলেন। ...

আমেরিকায় ফের শ্যুটআউট। এবার ডালাসের একটি বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজনের মৃত্যু হল। ...

রাজ্যে বাড়ছে মাদক কারবারের রমরমা। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আসছে নিষিদ্ধ মাদক। এই রাজ্য হয়ে তা চলে যাচ্ছে দেশের অন্যান্য অংশ এবং বাংলাদেশে। ...

২০০৪ সাল। ভারতীয় ফুটবলে সাড়া জাগানো নাম মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড। ম্যানেজমেন্টের আন্তরিকতা দেখে সই করতে দ্বিধা করিনি। মরশুমের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। কিন্তু বিনা মেঘে বজ্রপাত। একদিন অনুশীলনের আগে হঠাৎ ডাক পড়ল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৫ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯২ টাকা ১০৭.৩৯ টাকা
ইউরো ৮৯.১৩ টাকা ৯২.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৩,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬০,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৬,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৬,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী ৪৬/১৯ রাত্রি ১২/৩৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ৫৩/৪৯ রাত্রি ৩/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৬/১৪, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৫/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৭ মধ্যে। 
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী রাত্রি ১১/২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ২/৫৯। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বচসার জেরে গুলি চালানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার অভিনেতা ভূপিন্দর সিং, মৃত ১, জখম ৩

08:26:58 PM

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেবন্ত রেড্ডিই, জানাল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব

07:00:00 PM

ভাইফোঁটায় সলমন খানকে আমন্ত্রণ মমতার

06:56:35 PM

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে জুন মালিয়া, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়

06:45:00 PM

কেউ আমাদের ভাগ করতে পারবে না: মমতা

06:44:48 PM

বাংলা এখন ফিল্ম ডেস্টিনেশন হতে পারে: মমতা

06:43:53 PM