যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ
রঙিন ফানুস বিভিন্ন আকারেও পাওয়া যায়। সাধারণত এগুলি গোলাকার। কিন্তু এগুলিকে ত্রিকোণ, চতুর্ভুজ, ও অন্যান্য আকারে তৈরি করা যেতে পারে। লাল, নীল, হলুদ, সবুজ, সাদা বিভিন্ন রঙের ফানুস হয়। বিভিন্ন ধরনের ফানুস দেখা যায় যেমন— কাগজের ফানুস, প্লাস্টিকের ফানুস, ইলেক্ট্রনিক ফানুস।
আমরা জানি যে, ১৯০৩ সালে উইলবার রাইট ও অরভিল নামে দুই ভাই বিমান আবিষ্কারের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। তাঁরা যান্ত্রিক উপায়ে আকাশে উড়েছিলেন এবং বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে নিরাপদে মাটিতে অবতরণ করেছিলেন। তারও অনেক আগে থেকেই মানুষ পাখির মতো খোলা আকাশে ওড়ার চেষ্টা করেছে। কারণ মানুষের অসীম আকাশে ওড়ার বাসনা ছিল চিরন্তন।
১৭৮২ সালের নভেম্বরে প্রথম গরম বায়ু ভরে বেলুন আকাশে ওড়ানো হয়েছিল। ফ্রান্সে জোসেফ ও স্টিফেন মন্টগলফিয়ার নামে দুই ভাই ছিলেন। কাগজের কলে কাজ করার সময় ধোঁয়ার তীব্র গতি দেখে বিস্মিত হন তাঁরা। জোসেফ তাঁর ভাই স্টিফেনকে বললেন, ‘ধোঁয়ার তীব্র গতি নিশ্চয়ই কিছু একটা নিয়ে উড়ে যেতে পারে। চল, আমরা ওই চিমনির ধোঁয়া থলিতে ভরে আকাশে ওড়াই।’ দুই ভাই সিল্কের কাপড় দিয়ে একটা থলে তৈরি করে নীচের দিকে খোলা রেখে দিলেন। এরপর থলের মুখে কাগজ জ্বালিয়ে ধোঁয়া ভরে ছেড়ে দিলে তা উড়ে গেল ঘরের ছাদ পর্যন্ত। তারপর তাঁরা বড় বড় বেলুন তৈরি করে প্যারিসের বিজ্ঞানী এমনকী ফ্রান্সের সম্রাটকেও চমকে দেন। অবাক করা ব্যাপার হল, মানুষের বদলে ওই বেলুনের প্রথম যাত্রী ছিল খরগোশ, হাঁস ও ভেড়া। লণ্ঠন তৈরির ইতিহাসে সবচেয়ে স্মরণীয় ব্যক্তি হলেন লিলিয়ান থেল। তিনি ছিলেন জার্মানির স্বপ্ন বিলাসী ইঞ্জিনিয়ার। তিনি কুড়ি বছর ধরে উড়ন্ত পাখিদের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেছিলেন। যেহেতু চীনারা প্রথম কাগজ আবিষ্কার করেছিল, তারাও কাগজের লণ্ঠন তৈরি করে আসছে এবং ঘুড়ি উড়ানো উৎসবের মতো বিভিন্ন ফানুস ব্যবহার করে আসছে। প্রাচীনকালে বাংলার জমিদারদের আর্থিক সাহায্য ও উদ্যোগে কলকাতা, নদীয়া ও মুর্শিদাবাদে ফানুস ওড়ানোর উৎসব
অনুষ্ঠিত হতো। এবার দেখা যাক ফানুস কীভাবে আকাশে ওড়ে? গরম বাতাসের চাপে ফানুস উড়ে যায়। গরম বাতাস ফানুসের ভেতর ঢোকালে, গরম বাতাস উপরে উঠতে চায় এবং ঠান্ডা বাতাস নীচে নেমে আসতে থাকে। এর ফলে ফানুস উড়তে থাকে। ফানুস ততক্ষণ উড়বে, যতক্ষণ ফানুসের ভেতর জ্বালানি থাকবে। আকাশের যে স্থানে ফানুসের বাতাসের ঘনত্ব ও বাইরের বাতাসের ঘনত্ব সমান হবে, সেখানেই ভাসতে থাকে ফানুস।