যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ
জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ বলেন, বিষয়টি নজরে আসতেই নতুন কিছু করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। ওই গেস্ট হাউসটি জেলা পরিষদের নামে রয়েছে। এর নীচের তলার ঘরগুলি সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেখানে অতিথিদের থাকার জন্য অত্যাধুনিক ব্যবস্থা করা হবে। পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা করার পরিকল্পনা হয়েছে। পাশাপাশি জেলা পরিষদের এই গেস্ট হাউস থেকে আর্থিক আয়ও হবে। জেলা পরিষদ প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে উন্নয়নের ধারা বজায় রেখে চলেছে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকবছর আগে সাহাপুর পঞ্চায়েত অফিসের বেহাল দশা হয়েছিল। সেই কারণে পঞ্চায়েত কার্যালয়কে তারাপীঠ থানা লাগোয়া জেলা পরিষদের গেস্ট হাউসে স্থানান্তরিত করা হয়। এতে বাসিন্দাদের খুব ভোগান্তি হয়। তাঁদের তারাপীঠে এসে কাজ সারতে হতো। গত পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগেই পঞ্চায়েতের নতুন বিল্ডিংয়ের কাজ শেষ হয়। ফলে এখন সেখান থেকেই পঞ্চায়েতের কাজকর্ম পরিচালিত হয়। এই অবস্থায় খালি পড়ে থাকা জেলা পরিষদ গেস্ট হাউসটিকে পুনরায় ব্যবহারে উদ্যোগী হল জেলা পরিষদ। জানা যাচ্ছে, ৬টি ঘরকে সাজিয়ে তোলা হবে। লাগানো হবে পর্যাপ্ত এসি, আলো। আশপাশের জায়গাকে ফাঁকা করে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। ফলে প্রশাসনের আধিকারিক থেকে সাধারণ মানুষ চাইলেই এই গেস্ট হাউসে উঠতে পারবেন। এছাড়াও তারাপীঠে পুজো দিতে আসা ভক্তরা আগে থেকে সরকারি গেস্ট হাউসে বুকিং করে থাকতে পারবেন। ফলে জেলা পরিষদের কোষাগার ভরবে। জেলা প্রশাসনের এক অফিসার বলেন, তারাপীঠ মন্দির লাগোয়া এই গেস্ট হাউসটি সাজিয়ে তুললে থাকার উপযুক্ত হবে। প্রশাসনের আধিকারিকরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করতেও এটিকে কাজে লাগাতে পারবেন। সভাধিপতি উদ্যোগ নিয়েছেন পড়ে থাকা সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করে প্রশাসনের কাজে লাগাতে। আরও বেশ কয়েকটি জেলা পরিষদের বিল্ডিং নির্মাণ খুব শীঘ্রই শুরু হবে।