যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ
গত কয়েকমাসে বিভিন্ন জেলা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করেছে এসটিএফ। তদন্তে জানা যায়, উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার ইত্যাদি এলাকা এখন মাদক পাচারকারীদের ‘সেফ রুট’। দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল থেকে হেরোইন, ব্রাউন সুগার সহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ মাদক বা তা তৈরির কাঁচামাল আসছে এই জায়গাগুলিতে। তারপর ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন রাজ্যে। দক্ষিণবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া, বর্ধমান সহ একাধিক জেলাকে ব্যবহার করছে মাদক কারবারিরা। লরি বা ছোট গাড়িতে করে এই জেলাগুলিতে আসছে হেরোইন, ব্রাউন সুগার। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গাঁজার কারবার। এই গাঁজার সিংহভাগই আসছে ওড়িশা থেকে।
সূত্রের খবর, চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত মাদক সহ অভিযুক্তদের পাকড়াও করে মোট ২৭টি মামলা রুজু করেছে বেঙ্গল এসটিএফ। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকার নিষিদ্ধ মাদক। সেই জায়গায় ২০২২ সালে ডজনখানেক মামলা হয়েছিল। উদ্ধার হয়েছিল আট-ন’কোটি টাকার মাদক। অল্পদিনের মধ্যে রাজ্যে মাদকের কারবার যে দ্রুত বাড়ছে, এই তথ্য থেকেও তা স্পষ্ট। তদন্তকারীরা আরও জেনেছেন, ‘ভালো মানের’ নিষিদ্ধ মাদক মায়ানমার থেকে প্রথমে ঢুকছে মণিপুরে। তারপর আসছে পশ্চিমবঙ্গে। এখানকার মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক কারবারিদের যোগ রয়েছে। এমনকী, জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির সঙ্গেও মাদক পাচারকারীদের সংস্রব উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। হেরোইন, ব্রাউন সুগার বিক্রি করে আসা টাকায় তারা আগ্নেয়াস্ত্র কিনছে কি না, তাও খোঁজখবর করা হচ্ছে। তাই পুলিসকর্তারা চাইছেন, এনসিবির (নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো) মতো রাজ্যেও অ্যান্টি নার্কোটিকস টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হোক। তাদের কাজই হবে মাদক কারবারে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো ও এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা। কারবারের মূল মাথাদের গ্রেপ্তারিকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে পুলিস। নবান্নকে পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়েছে, একজন এসপি, দু’জন অ্যাডিশনাল এসপি, দুই ডিএসপি, দু’জন ইনসপেক্টর, ১৬ জন সাব ইনসপেক্টর ও ১২০ জন কনস্টেবলকে নিয়ে তৈরি হবে অ্যান্টি নার্কোটিকস টাস্ক ফোর্স। তাঁদের বিভিন্ন জেলায় মাদক-বিরোধী অভিযানে পাঠানো হবে। নবান্ন থেকে অনুমোদন এলেই বাছাই করা পুলিসকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত করা হবে বলে জানা গিয়েছে।