যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ
কর্মতীর্থ ভবনটি তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কর্মতীর্থে যাওয়ার মুখে পাকা রাস্তা নেই। সামান্য বৃষ্টিতে জলকাদা হয়ে যায় ভবন চত্বর। একইসঙ্গে কর্মতীর্থ ভবনের আশেপাশে বর্জ্য জমে পাহাড় তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ আবরার বলেন, নোংরা আবর্জনা নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। নকশালবাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সহ সভাপতি দিলীপ বাড়ুই বলেন, ‘পানিঘাটা মোড়ের পাঁচতালা মার্কেট কমপ্লেক্সটির একতলা বাদ দিয়ে বাকিটা খালিই পড়ে আছে। পরিকল্পনা ঠিকভাবে না গড়ায় প্রকল্পটি ব্যর্থ হয়েছে। একইভাবে কর্মতীর্থ ভবনটিও পরিকল্পনা মাফিক না হওয়ায় এটিও কোনও কাজে আসছে না। সরকারি টাকা অপচয় হচ্ছে এভাবেই।’ যেখানে ভবনটি করা হয়েছে সেখানে লোকজনের যাতায়াত কম হওয়ায় কর্মতীর্থ কাজে আসছে না বলে স্বীকার করেছেন নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আনন্দ ঘোষ। তিনি বলেন, ব্যবসা করতে হলে আশেপাশে লোকজন দরকার। কর্মতীর্থ ভবনের একাংশে পঞ্চায়েত অফিস, কৃষি আধিকারিকের অফিস নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে। ব্লক মহিলা উন্নয়ন আধিকারিক রুনু সেন বলেন, গতবছর অক্টোবর মাসে মুখ্যসচিব নকশালবাড়ি সঙ্ঘ সমবায় ভবন পরিদর্শন করে যান। তাঁকে সমস্যার ব্যাপারে জানানো হয়েছিল। ব্লক থেকে অব্যবহৃত ভবনটিকে কাজে লাগাতে ১০টি ঘর পুনরায় সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই কাজ শেষ হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে আগস্ট মাসে আনন্দধারা প্রকল্পে ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নকশালবাড়ির মহিষাহাটিতে ১০ কাঠা জমির উপর ১৬টি স্টল বিশিষ্ট একতলা কর্মতীর্থ ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র