Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এলেন, দেখলেন, কিন্তু জয় হল কি?
তন্ময় মল্লিক

এলেন, দেখলেন এবং ফিরে গেলেন। উদ্দেশ্য ছিল জয় করার। কিন্তু পারলেন কি? বঙ্গ বিজেপিকে অক্সিজেন জোগাতে এসে অমিত শাহ বাড়িয়ে দিলেন অস্বস্তি। তুলে দিয়ে গেলেন একগুচ্ছ প্রশ্ন। কী সেই প্রশ্ন? এক, অমিত শাহ বাংলা থেকে তাঁর ৩৫ আসনের দাবির কথা কেন কর্মীদের ফের স্মরণ করিয়ে দিলেন না? দুই, দেড় ঘণ্টা সময় নিয়ে এসেও কেন ৪০মিনিটেই সভাস্থল ছাড়লেন? কেনই বা ভাষণ দিলেন মাত্র ২৩ মিনিট? তিন, একুশে জুলাইয়ের ভিড়ের সঙ্গে টক্কর নেওয়া সম্ভব নয় জেনেও কেন তিনি ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করায় সম্মতি দিলেন?
অমিত শাহ যেদিন বীরভূমে দাঁড়িয়ে ৩৫ আসনে জেতানোর ডাক দিয়েছিলেন, সেদিন বিজেপি নেতারাও চমকে গিয়েছিলেন। কিন্তু মুখে কিছু বলেননি। কারণ তিনি দলের নম্বর টু। তার উপর দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাই তাঁর কথাকেই বেদবাক্য মনে করে বঙ্গ বিজেপির নেতারা ৩৫ আসনের বুলিই আওড়ে গিয়েছেন। অমিতজি পুজো উদ্বোধনে এরাজ্যে এলেও রাজনীতির কথা বলেননি। সব তুলে রেখেছিলেন ধর্মতলার সভার জন্য। তাই শুধু বিজেপির কর্মী সমর্থকদেরই নয়, গোটা বাংলার নজর ছিল তাঁর ভাষণে।
ধর্মতলার মঞ্চে তিনি স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে মুষ্ঠিবদ্ধ দু’হাত উপরে তুলে অনেক হুঙ্কার দিলেন, কিন্তু একটিবারও ৩৫ আসনের কথা মুখে আনলেন না। তাহলে কি অমিতজিও বুঝেছেন, এসব বলে তিনি বাংলার মানুষের কাছে হাসির খোরাক হচ্ছেন! তবে, বিজেপির ‘অন্দর কী বাত’ শোনা গিয়েছে সর্বভারতীয় কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরার গলায়, পাঁচটা আসন পেতেই দম বেরিয়ে যাবে। হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিতে পারেন আশঙ্কা করেই বঙ্গ বিজেপি তাঁকে ধর্মতলার সভায় ডাকার সাহস পায়নি। কে আর অপ্রিয় সত্য শুনতে চায়?
আসন সংখ্যা না বললেও অমিত শাহ লোকসভা ভোটের বাজনাটা বাজিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘বাংলা থেকে বিজেপিকে এত আসনে জেতানো হোক, যে মোদি বলতে পারেন, এই রাজ্যের জন্যই তিনি তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।’ অমিতজির এই কথাতেই স্পষ্ট, শুধু বাংলায় নয়, গোটা দেশেই বিজেপির অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। তাই লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য তাদের ‘বঞ্চিত বাংলা’র দিকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে। তাহলে কি এবার নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা গলার শিরা ফুলিয়ে বলতে পারবেন না, ‘অব কি বার তিনশো পার’!
এবারের অমিত শাহের ভাষণে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা কতটা হতাশ হয়েছেন, জানা নেই। তবে, বঙ্গ কংগ্রেসের ও সিপিএমের নেতারা রীতিমতো মুষড়ে পড়েছেন। সিবিআই এবং ইডি রাজ্যের একের পর এক তৃণমূল নেতা, মন্ত্রী ও প্রভাবশালীকে গ্রেপ্তার করছে। চলছে লাগাতার তল্লাশি। কিন্তু কংগ্রেস ও সিপিএম নেতারা তাতে খুশি হতে পারছেন না। তাঁদের দাবি, ‘মাথা’ পর্যন্ত পৌঁছতে হবে। ভাবখানা এমন যে মাথাকে ধরলেই তাঁরা টুপ করে গিয়ে কুর্সির দখল নেবেন। সেই ছকেই তো চালানো হয়েছিল ক্যাম্পেন, ‘একুশে রাম, ছাব্বিশে বাম।’
সিপিএম নেতৃত্ব ভেবেছিল, উত্তরকাশীর র‌্যাট হোল মাইনারদের মতো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও কলকাতায় এসে ‘মাথা’র কাছে পৌঁছে যাওয়ার বার্তাই দেবেন। কিন্তু হয়েছে তার উল্টো। অমিত শাহ তৃণমূল সুপ্রিমোকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘আপনি দিনরাত দুর্গানাম জপ করছেন, যাতে এরা আপনার ভাইপোর নাম বলে না দেয়।’ এতে একটা বিষয় স্পষ্ট, কেন্দ্রীয় এজেন্সি এখনও পর্যন্ত যাদের গ্রেপ্তার করেছে তাদের দিয়ে ভাইপোর নাম বলাতে পারেনি। তাই সিপিএম ও বঙ্গ কংগ্রেসের নেতারা মাথা ঠুকলেও ‘মাথা’কে ধরার দাবি আপাতত মিটছে না।
অমিত শাহকে ঘিরে যত বিতর্কই থাক না কেন, তিনি যে পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ তাতে দ্বিমত নেই। হাঁড়ির একটা চাল টিপলেই বুঝে যান, ভাতের কী অবস্থা! বঙ্গ বিজেপির কী হাল, সেটা তিনি ভালোই জানেন। সেই কারণেই কি তিনি কলকাতায় বেশি সময় অপচয় করলেন না? তবে কর্মীদের চাঙ্গা করতে সিএএ ইস্যুটি ফের ভাসিয়ে দিয়ে গিয়েছেন। লক্ষ্য মতুয়া ভোট। 
২০১৯ সালে সংসদে সংশোধিত নাগরিক আইন পাশ হয়েছে। একুশের ভোটের আগে বলা হয়েছিল, করোনার প্রকোপ কমে গেলেই লাগু হবে আইন। কিন্তু দু’বছরে কেউ এনিয়ে টুঁ শব্দটি করেনি। ফের ভোট আসতে আবার ঝুলি থেকে বেরিয়েছে সিএএ। তাতে মতুয়ারা সন্তুষ্ট না হলেও কেন্দ্রীয় জাহাজ রাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বেজায় খুশি। ফের গাজর ঝোলানোর একটা সুযোগ পেয়ে গেলেন। উনিশের ভোটে এই নাগরিকত্ব ইস্যুই তাঁকে সাংসদ করেছিল। কিন্তু উনিশ আর চব্বিশ যে এক নয়, সেটা শান্তনুবাবুকে কে বোঝাবে?
প্রতিবার দিল্লির বিজেপি নেতারা বাংলায় এসে হুঙ্কার ছাড়েন, এরাজ্যে সিএএ চালু করবই। কেউ আটকাতে পারবে না। প্রতিপক্ষ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, মমতা যদি বাংলায় বাধা হন, বিজেপি শাসিত রাজ্যে আটকাচ্ছে কে? কেন সেখানে সিএএ লাগু হচ্ছে না? আসলে সবটাই ধাপ্পা। প্রথমদিকে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে মতুয়ারাও বুঝতে পারছেন, এটাও বিজেপির আরও একটা রাজনৈতিক গিমিক। ভোট হাতানোর ছক। 
অনেকে মনে করছেন, সিএএ-র পর বিজেপি কৌশলে বাংলা ভাগের বিষয়টাও উস্কে দেবে। কারণ বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে বিজেপি মোটামুটি ভালো জায়গায় ছিল। কিন্তু ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় বিজেপিও বুঝেছে, উত্তরবঙ্গের ভিতও নড়ে গিয়েছে। অনন্ত মহারাজকে রাজ্যসভায় পাঠানোটা হয়েছে ভস্মে ঘি ঢালা। তাতে দলের কোনও ফায়দা হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গে আসন ধরে রাখতে গেলে রাজ্য ভাগের দাবিকে সমর্থন করা ছাড়া বিজেপির আর কোনও উপায় নেই। উত্তরবঙ্গের বিজেপির নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বিভিন্ন সময় আলাদা রাজ্যের দাবি জানিয়েছেনও। লোকসভা ভোটের আগে ফের এই বিষয়টি বিজেপি উস্কে দিলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তবে, সেটা করলে দক্ষিণবঙ্গে বিজেপির কফিনে শেষ পেরেকটাও পোঁতা হয়ে যাবে। অমিত শাহের সভা ফ্লপ না সফল, তা নিয়ে চলছে জোর চর্চা। বিজেপির দাবি, সভা সফল হয়েছে, প্রচুর লোক এসেছিল। তৃণমূলের দাবি, অমিত শাহের সভা ফ্লপ। এই ইস্যুতে পরস্পর বিরোধী মতই প্রত্যাশিত। তবে, বিজেপির বিধানসভায় বিক্ষোভ কর্মসূচিই বুঝিয়ে দিয়েছে, অমিতজির সভা সফল না ফ্লপ!
বিজেপির ধর্মতলায় সভার দিনই তৃণমূল কংগ্রেস বিধানসভা চত্বরে কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল। সেই বিক্ষোভে তৃণমূলের বিধায়কদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন। সাধারণত দিল্লির কোনও বড় নেতার বাংলায় সভা থাকলে সেটাই হয় রাজ্য রাজনীতির চর্চার বিষয়। সেক্ষেত্রে অমিত শাহের ধর্মতলার সভা এবং তৃণমূলের বিধানসভার বিক্ষোভই আলোচনায় প্রাধান্য পেত। কিন্তু সেটা হল না। কারণ সভা শেষ হতেই বিজেপির বিধায়করা ছুটলেন বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখাতে। তাতে চর্চার বাইরে চলে গেল অমিত শাহের সভা। গুরুত্ব পেল উভয়দলের বিধায়কদের চোর, চোর স্লোগান। তাই উঠছে প্রশ্ন, অমিত শাহের সভায় ভিড় নিয়ে চর্চার অভিমুখ ঘোরাতেই কি বিজেপির এই বিক্ষোভ?
ধর্মতলার সভা সফল করতে বঙ্গ বিজেপির চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। আদালতে রীতিমতো লড়াই করে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভার অনুমতি আদায় করেছিল। সেই সভায় লোক আনার জন্য জেলায় জেলায় গিয়ে রাজ্য বিজেপির নেতারা মিটিং করেছিলেন। কর্মী-সমর্থকদের আনার জন্য পর্যাপ্ত বাস এবং ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মিটিংয়ে প্রচুর ভিড় হবে ধরে নিয়ে রান্নাবান্নাও হয়েছিল। আয়োজনের কোনও ত্রুটি ছিল না। একেবারে ২১ জুলাইয়ের ফরম্যাট। শীতের আমেজ গায়ে মেখে বাংলার বুকে আরও একটা ‘একুশে জুলাই’ করে দেখাতে চেয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু পারল না। কারণ বাংলায় একুশে জুলাই আর পাঁচটা দিনের মতো নয়। শহিদের রক্তের বিনিময়ে অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন। তাই একুশে জুলাই লক্ষ লক্ষ বাঙালির ‘আবেগ’। আর যাই হোক, আবেগের সঙ্গে প্রতিযোগিতা চলে না।
02nd  December, 2023
প্রশ্নগুলো তোলা থাক লোকসভা ভোটের জন্য
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রশ্ন ১: এক্সিট পোলে প্রায় সব জাতীয় সংবাদমাধ্যমই জিতিয়ে দিয়েছিল কংগ্রেসকে। ঠিক তখনই সাংবাদিক সম্মেলন ডাকলেন রামন সিং। ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
বিশদ

পাঁচ রাজ্যের ভোটে আপনার সেরা বাজি কারা?
পি চিদম্বরম

এই নিবন্ধটি লিখেছি গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর)। সেদিনই ভোট নেওয়া হয়েছে তেলেঙ্গানায়। ওইসঙ্গেই শেষ হয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন।
বিশদ

03rd  December, 2023
ভোটের গন্ধেই ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু
হিমাংশু সিংহ

এই লেখা যখন আজ পাঠকের হাতে পৌঁছচ্ছে তখন সবাই উদগ্রীব তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসের উত্থান দেখতে। মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান মোদি না সোনিয়া গান্ধী, কার কপালে জনগণ জয়তিলক পরিয়ে দিল তা জানতে। 
বিশদ

03rd  December, 2023
উত্তরকাশী সুড়ঙ্গ শেখালো ঐক্যের শক্তি
সমৃদ্ধ দত্ত

শাবা আহমেদের কাছে আমরা একটা শিক্ষা পেলাম। পুরনো শিক্ষা। নতুন করে। তিনি শিক্ষা দেবেন বলে বলেছেন এমন নয়। খুবই স্বাভাবিকভাবে বলছিলেন কথাগুলো। কিন্তু প্রতিটি বাক্যে আমরা বুঝলাম হ্যাঁ, এটাই হল সফল, সুখী আর মনের শক্তি অর্জনের চাবিকাঠি। বিশদ

01st  December, 2023
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি-রাজ!
মৃণালকান্তি দাস

ভিক্ট্রি ল্যাব: দ্য সিক্রেট সায়েন্স অব উইনিং ক্যাম্পেনস। বইটিতে মার্কিন সাংবাদিক সাশা আইজেনবার্গের লিখেছিলেন, নির্বাচনের সময় সোশ্যাল মিডিয়া নির্বাচকদের মতামতকে কতটা প্রভাবিত করতে পারে, তার প্রথম সফল পরীক্ষা–নিরীক্ষা হয়েছিল আমেরিকায়। বিশদ

30th  November, 2023
জো হুজুর রাজ্যপাল ও পদের কলঙ্ক আখ্যান
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি কথায় সুপ্রিম কোর্ট বুঝিয়ে দিয়েছে, এই মুহূর্তে বিরোধী রাজ্যগুলিতে অভিষিক্ত রাজ্যপালরা কেমন কাজ করছেন। অত্যন্ত ভর্ৎসনার সুরেই দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি রাজ্যপালদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না।’
বিশদ

29th  November, 2023
কেসিআরের পথ এবার কিন্তু সহজ নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

তেলুগু রাজনীতিতে পবন কল্যাণ এক অদ্ভুত চরিত্র। আম ভারতীয়রা তাঁকে চিরঞ্জীবির ভাই হিসেবে চেনে। দক্ষিণে তিনি নিজেও কিন্তু বেশ জনপ্রিয় অভিনেতা। 
বিশদ

28th  November, 2023
ঔপনিবেশিক আইন রচয়িতাদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ!
পি চিদম্বরম

ইন্ডিয়ান পেনাল কোড (আইপিসি) ১৮৬০, ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট ১৮৭২ এবং কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (সিআরপিসি) ১৯৭৩ হল—ফৌজদারি আইনের ‘ট্রিনিটি’ বা একটির ভিতরে তিনটির সমন্বয়। আইপিসি বা ভারতীয় দণ্ডবিধির রচয়িতা ছিলেন থমাস ব্যাবিংটন ম্যাকলি। বিশদ

27th  November, 2023
ভোট এলেই মমতার পথ অনুসরণ
হিমাংশু সিংহ

পাঁচ রাজ্যের ভোটে তিনি প্রচারে যাননি, তাঁর দলও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না। কিন্তু না থেকেও তিনি আছেন ষোলো আনা। বোঝা গেল, এখনও তিনিই ভারতীয় রাজনীতির এক নম্বর চালিকাশক্তি। সমালোচনা করতেও আবার অনুসরণ করতেও। বিশদ

26th  November, 2023
ব্রিগেডে গীতাপাঠ কি বিজেপির রেকি?
তন্ময় মল্লিক

এক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে বাংলা। ২৪ ডিসেম্বর কলকাতায় হবে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের অনুষ্ঠান। মাস তিনেক পরই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ‘টেস্টিং গ্রাউন্ড’ ব্রিগেডে গীতপাঠ। বিশদ

25th  November, 2023
ইন্ডিয়া জোট কোথায়? কংগ্রেস একটু ভাবুক
সমৃদ্ধ দত্ত

কিছুকাল আগেও শাহরুখ খান ছিলেন বিজেপি সমর্থকদের কাছে চক্ষুশূল। তাঁর সিনেমা রিলিজ করলে বয়কটের ডাক দেওয়া হতো। এই সেদিনও ‘পাঠান’ রিলিজ করার আগে একটি নাচগানের দৃশ্য নিয়ে আপত্তি ওঠে। ঝড় তোলা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিশদ

24th  November, 2023
আইজলের অভিমান, জোরামের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

সুখের সংজ্ঞা কী! দেশের অন্যতম সুখী রাজ্যের মানুষ তা জানেন কি? গত কয়েক বছরে সেই রাজ্যে অসন্তোষের কারণ কম নয়। নাগরিকত্ব আইন সংশোধনীর বিরুদ্ধে আন্দোলনে রাস্তায় নেমে প্রকাশ্যে ‘হ্যালো চায়না, বাই বাই ইন্ডিয়া’ স্লোগান-পোস্টার উঁচিয়ে মিছিল করেছেন মিজোরা।
বিশদ

23rd  November, 2023
একনজরে
জবজের চিত্রগঞ্জ কালীবাড়িতে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের আনাগোনা দিনে দিনে বাড়ছে। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসছেন। ...

রাজ্যে বাড়ছে মাদক কারবারের রমরমা। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আসছে নিষিদ্ধ মাদক। এই রাজ্য হয়ে তা চলে যাচ্ছে দেশের অন্যান্য অংশ এবং বাংলাদেশে। ...

পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে গিয়ে উত্তরপ্রদেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল সালার থানার খাড়েরা গ্রামের এক যুবকের। মৃতের নাম বাদশা শেখ (২৪) । গ্রামের অঞ্চলপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। মাসতিনেক আগে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজে সেখানে গিয়েছিলেন। ...

আজ, মঙ্গলবার বালুরঘাট এয়ারপোর্ট পরিদর্শনে আসছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি দল। আজ সকাল ১০টা নাগাদ ওই প্রতিনিধি দল বালুরঘাট এয়ারপোর্ট পরিদর্শন করবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৫ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯২ টাকা ১০৭.৩৯ টাকা
ইউরো ৮৯.১৩ টাকা ৯২.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৩,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬০,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৬,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৬,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী ৪৬/১৯ রাত্রি ১২/৩৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ৫৩/৪৯ রাত্রি ৩/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৬/১৪, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৫/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৭ মধ্যে। 
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী রাত্রি ১১/২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ২/৫৯। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বচসার জেরে গুলি চালানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার অভিনেতা ভূপিন্দর সিং, মৃত ১, জখম ৩

08:26:58 PM

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেবন্ত রেড্ডিই, জানাল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব

07:00:00 PM

ভাইফোঁটায় সলমন খানকে আমন্ত্রণ মমতার

06:56:35 PM

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে জুন মালিয়া, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়

06:45:00 PM

কেউ আমাদের ভাগ করতে পারবে না: মমতা

06:44:48 PM

বাংলা এখন ফিল্ম ডেস্টিনেশন হতে পারে: মমতা

06:43:53 PM