Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ঔপনিবেশিক আইন রচয়িতাদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ!
পি চিদম্বরম

ইন্ডিয়ান পেনাল কোড (আইপিসি) ১৮৬০, ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট ১৮৭২ এবং কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (সিআরপিসি) ১৯৭৩ হল—ফৌজদারি আইনের ‘ট্রিনিটি’ বা একটির ভিতরে তিনটির সমন্বয়। আইপিসি বা ভারতীয় দণ্ডবিধির রচয়িতা ছিলেন থমাস ব্যাবিংটন ম্যাকলি। প্রথম আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনিই। স্যার জেমস ফিটজেমস স্টিফেন ছিলেন এভিডেন্স অ্যাক্ট বা সাক্ষ্য আইনের রচনাকার। প্রথম ফৌজদারি আইনটি ১৮৯৮ সালের। ১৯৭৩-এ নতুন আইন পাস হওয়ার ফলে সেটি বাতিল হয়।
সারা দেশে প্রতিদিন আইন তিনটি প্রয়োগ করা হয় শত শত আদালতে। হাজার হাজার বিচারক এবং দেড় লক্ষাধিক আইনজীবী (এঁদের বেশিরভাগই ফৌজদারি মামলার উপর সওয়াল করেন) কার্যত প্রতিদিন এই তিনটি আইনের মাধ্যমে তাঁদের বিচার-বুদ্ধির প্রয়োগ ঘটিয় থাকেন। প্রত্যেক বিচারক বা আইনজীবী জানেন যে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা হল ‘খুনের শাস্তি’র জন্য নির্দিষ্ট। তাঁরা জানেন, সাক্ষ্য আইনের ২৫ ধারায় একজন পুলিস অফিসারের কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তি একজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যায় না। তাঁরা আরও জানেন যে, আগাম জামিন এবং জামিনের বিধানগুলি ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৩৭, ৪৩৮ ও ৪৩৯ ধারায় বর্ণিত হয়েছে। এই তিনটি আইনের অসংখ্য ধারা বিচারক ও আইনজীবীরা বস্তুত আত্মস্থ করে রেখেছেন। 
হাতছাড়া সংস্কারের সুযোগ 
আইনের সংস্কার একটি উত্তম ধারণা। কিন্তু আইনের সংস্কার মানে চালু বিধানগুলির পুনর্বিন্যাস করা কিংবা সেগুলির চেনা ‘নম্বর’ পাল্টে দেওয়া নয়। আজকের দিনে ও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ফৌজদারি আইন কেমন হওয়া উচিত, তার একটি সর্বাত্মক দর্শন থাকতে হবে। আইনকে অবশ্যই হতে হবে পরিবর্তনশীল মূল্যবোধ, নৈতিকতা, আচার এবং আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। দেখতে হবে আধুনিক অপরাধ-বিজ্ঞান, ফৌজদারি আইনশাস্ত্র এবং দণ্ড-বিজ্ঞানের ব্যবহার্য বিকাশ যেন নতুন আইনে উপযুক্তরূপে অবশ্যই প্রতিফলিত হয়। 
বিধানের পুনর্বিন্যাস
কিন্তু, তিনটি বিলে আমরা কী পাচ্ছি? বিল তিনটি অনেক আইনজ্ঞ খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেছেন। আমরা দেখতে পেয়েছি যে, আইপিসির ৯০-৯৫ শতাংশ বিধান নতুন খসড়ায় স্রেফ ‘কাট অ্যান্ড পেস্ট’ করে দেওয়া হয়েছে। আইপিসির ২৬টি অধ্যায়ের মধ্যে ১৮টি (তিনটি অধ্যায়ের প্রতিটিতে একটিমাত্র বিভাগ রয়েছে) নতুন বিলে ‘কপি’ বা প্রতিলিপি আকারে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। স্ট্যান্ডিং কমিটির রিপোর্টে স্বীকার করা হয়েছে যে, এই বিলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫১১টি ধারার মধ্যে ২৪টি ধারা মুছে ফেলা হয়েছে এবং যোগ করা হয়েছে ২২টি ধারা। বাকি ধারাগুলি রেখে দেওয়া হলেও, নম্বর পাল্টে সাজানো হয়েছে নতুন করে। এই সামান্য কিছু পরিবর্তন আইপিসি সংশোধনীর মাধ্যমে সহজেই করা যেত।
একই কাণ্ড ঘটেছে সাক্ষ্য আইন এবং সিআরপিসির ক্ষেত্রেও। এভিডেন্স অ্যাক্টের ১৭০টি ধারার প্রতিটিই কেটে পেস্ট করা হয়েছে। সিআরপিসির ক্ষেত্রে কাট অ্যান্ড পেস্ট করা হয়েছে মোটামুটি ৯৫ শতাংশ। এই প্রচেষ্টাকে সম্পূর্ণ বৃথা কসরতই বলব। বিলগুলি এরপরও পাস হয়ে গেলে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতি অপেক্ষা করে থাকবে। শুধু যে কয়েক হাজার বিচারক, আইনজীবী, পুলিস অফিসার, আইনের শিক্ষক ও ছাত্র ভয়ানক অসুবিধার মধ্যে পড়বেন এমনটা নয়, অগণিত সাধারণ মানুষেরও মারাত্মক ভোগান্তি হবে। আইনগুলি ‘পুনরায় শিখতে’ হবে তাঁদের।
বিলগুলির বিষয়বস্তুতে কিছু ‘ওয়েলকাল’ ফিচার রয়েছে—সরকার এগুলিকেই সংসদে হাইলাইট করবে নিশ্চয়। অন্যদিকে আমি তুলে ধরতে চাই বিলের ‘কোশ্চেনেবল’ ফিচারগুলি ৷ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি হল—
বিপরীতমুখী বিধান
মৃত্যুদণ্ড বিলোপের দাবিতে বিশ্বজুড়ে হইচই হওয়া সত্ত্বেও সেটি বহাল রাখা হয়েছে। গত ছ’বছরে সুপ্রিম কোর্ট মাত্র সাতটি মামলায় মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করেছে। প্যারোল ছাড়াই একজনের স্বাভাবিক জীবনের বাকিটা কারাবাসে কাটাবার ব্যবস্থা দোষী ব্যক্তির জন্য সত্যিই আরও কঠোর শাস্তি। অথচ অপরাধীর দিকে তাকিয়ে এটির সংস্কারের সুযোগ নেওয়া হল না।  
ব্যভিচার আবার ফিরে এসেছে ‘অপরাধ’ হিসেবে। ব্যভিচার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার একটি বিষয়। তাঁদের মধ্যেকার ‘চুক্তিটি’ ভেঙে গেলে ক্ষুব্ধ দম্পতির কোনও একজন ডিভোর্স বা সিভিল ড্যামেজের মামলা করতে পারেন। তাঁদের জীবনে রাষ্ট্রের প্রবেশ করার কোনও প্রয়োজন নেই। আইপিসির ৪৯৭ ধারা সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করে দিয়েছিল। সবচেয়ে খারাপ বিষয় হল যে, সেটিকেই ফেরানো হয়েছে লিঙ্গ-নিরপেক্ষ হিসেবে।
কারণ নথিভুক্ত না-করে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা কমানোর ‘এগজিকিউটিভ পাওয়ার’ প্রয়োগ হল সংবিধানের ১৪ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। নির্জন কারাবাস একটি নিষ্ঠুর এবং অস্বাভাবিক শাস্তি। আদালতের কার্যক্রমের উপর মিডিয়া রিপোর্টিংয়ের কিছু ক্ষেত্রে আইনি বাধা আরোপ অসাংবিধানিক। বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন বা ইউএপিএ’র মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপগুলির মোকাবিলা যথেষ্টভাবেই করা যাচ্ছে। তাই এই আইনকে নতুন দণ্ডবিধির আওতায় আনার কোনও প্রয়োজন নেই।
সহকারী দায়রা জজের (অ্যাসিস্ট্যান্ট সেশন জাজ) পদটি তুলে দেওয়া একটি ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ এর ফলে দায়রা জজের উপর ভয়ানক বোঝা চাপবে। প্রথম আপিল গিয়ে হাজির হবে উচ্চ আদালতে। স্বভাবতই হাইকোর্টের উপর বোঝা আরও বেড়ে যাবে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিটি হিংস্র প্রকৃতির হলে কিংবা হেফাজত থেকে তার পক্ষে চম্পট দেওয়ার আশঙ্কা থাকলেই হাতকড়া পরানোর অনুমতি দেওয়া উচিত। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে যে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে জামিনের জন্য আনা হয়, গ্রেপ্তারের প্রয়োজনীয়তা এবং বৈধতা সম্পর্কে তাঁকে অবশ্যই নিশ্চিত বা সন্তুষ্ট হতে হবে। নতুন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৭(২) ধারা পুলিস অফিসার এবং বিচারকদের মধ্যে এই বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে যে, একজন গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে অবশ্যই পুলিস হেফাজতে অথবা বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠাতে হবে। বিচারপতি কৃষ্ণ আইয়ারের একটি হুঁশিয়ারি মনে করাতে পারি যে, ‘কোনও হেফাজত নয়’-এর মতো তৃতীয় বিকল্পটিকে বিচারকরা উপেক্ষা করেন। ২৫৪ ধারায় তদন্তকারী অফিসারকে অডিও-ভিজ্যুয়াল মোডে জবানবন্দি (ডিপোজিশান) দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর দ্বারা জনসমক্ষে উন্মুক্ত আদালতে নিরপেক্ষ বিচারের নীতি লঙ্ঘিত হয়। ‘জামিনই নিয়ম, জেল ব্যতিক্রম’—নতুন বিল এটি স্পষ্ট করতে ব্যর্থ হয়েছে। তার ফলে ধারা ৪৮২-র ভূমিকা পশ্চাৎমুখী। 
ম্যাকলি এবং জেমস স্টিফেনের ‘বজ্র’ চুরি করতে চেয়েছিল সরকার। তার বদলে যা করল সে তো চালু আইনের বেশিরভাগ বিধানের টুকলি—স্রেফ কাট অ্যান্ড পেস্ট! আসলে দুই ঔপনিবেশিক আইন রচয়িতার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদনের মাধ্যমেই শেষ হল মোদি সরকারের আইন সংস্কার!  
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
27th  November, 2023
প্রশ্নগুলো তোলা থাক লোকসভা ভোটের জন্য
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রশ্ন ১: এক্সিট পোলে প্রায় সব জাতীয় সংবাদমাধ্যমই জিতিয়ে দিয়েছিল কংগ্রেসকে। ঠিক তখনই সাংবাদিক সম্মেলন ডাকলেন রামন সিং। ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
বিশদ

পাঁচ রাজ্যের ভোটে আপনার সেরা বাজি কারা?
পি চিদম্বরম

এই নিবন্ধটি লিখেছি গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর)। সেদিনই ভোট নেওয়া হয়েছে তেলেঙ্গানায়। ওইসঙ্গেই শেষ হয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন।
বিশদ

03rd  December, 2023
ভোটের গন্ধেই ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু
হিমাংশু সিংহ

এই লেখা যখন আজ পাঠকের হাতে পৌঁছচ্ছে তখন সবাই উদগ্রীব তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসের উত্থান দেখতে। মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান মোদি না সোনিয়া গান্ধী, কার কপালে জনগণ জয়তিলক পরিয়ে দিল তা জানতে। 
বিশদ

03rd  December, 2023
এলেন, দেখলেন, কিন্তু জয় হল কি?
তন্ময় মল্লিক

এলেন, দেখলেন এবং ফিরে গেলেন। উদ্দেশ্য ছিল জয় করার। কিন্তু পারলেন কি? বঙ্গ বিজেপিকে অক্সিজেন জোগাতে এসে অমিত শাহ বাড়িয়ে দিলেন অস্বস্তি। তুলে দিয়ে গেলেন একগুচ্ছ প্রশ্ন। কী সেই প্রশ্ন? এক, অমিত শাহ বাংলা থেকে তাঁর ৩৫ আসনের দাবির কথা কেন কর্মীদের ফের স্মরণ করিয়ে দিলেন না? বিশদ

02nd  December, 2023
উত্তরকাশী সুড়ঙ্গ শেখালো ঐক্যের শক্তি
সমৃদ্ধ দত্ত

শাবা আহমেদের কাছে আমরা একটা শিক্ষা পেলাম। পুরনো শিক্ষা। নতুন করে। তিনি শিক্ষা দেবেন বলে বলেছেন এমন নয়। খুবই স্বাভাবিকভাবে বলছিলেন কথাগুলো। কিন্তু প্রতিটি বাক্যে আমরা বুঝলাম হ্যাঁ, এটাই হল সফল, সুখী আর মনের শক্তি অর্জনের চাবিকাঠি। বিশদ

01st  December, 2023
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি-রাজ!
মৃণালকান্তি দাস

ভিক্ট্রি ল্যাব: দ্য সিক্রেট সায়েন্স অব উইনিং ক্যাম্পেনস। বইটিতে মার্কিন সাংবাদিক সাশা আইজেনবার্গের লিখেছিলেন, নির্বাচনের সময় সোশ্যাল মিডিয়া নির্বাচকদের মতামতকে কতটা প্রভাবিত করতে পারে, তার প্রথম সফল পরীক্ষা–নিরীক্ষা হয়েছিল আমেরিকায়। বিশদ

30th  November, 2023
জো হুজুর রাজ্যপাল ও পদের কলঙ্ক আখ্যান
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি কথায় সুপ্রিম কোর্ট বুঝিয়ে দিয়েছে, এই মুহূর্তে বিরোধী রাজ্যগুলিতে অভিষিক্ত রাজ্যপালরা কেমন কাজ করছেন। অত্যন্ত ভর্ৎসনার সুরেই দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি রাজ্যপালদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না।’
বিশদ

29th  November, 2023
কেসিআরের পথ এবার কিন্তু সহজ নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

তেলুগু রাজনীতিতে পবন কল্যাণ এক অদ্ভুত চরিত্র। আম ভারতীয়রা তাঁকে চিরঞ্জীবির ভাই হিসেবে চেনে। দক্ষিণে তিনি নিজেও কিন্তু বেশ জনপ্রিয় অভিনেতা। 
বিশদ

28th  November, 2023
ভোট এলেই মমতার পথ অনুসরণ
হিমাংশু সিংহ

পাঁচ রাজ্যের ভোটে তিনি প্রচারে যাননি, তাঁর দলও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না। কিন্তু না থেকেও তিনি আছেন ষোলো আনা। বোঝা গেল, এখনও তিনিই ভারতীয় রাজনীতির এক নম্বর চালিকাশক্তি। সমালোচনা করতেও আবার অনুসরণ করতেও। বিশদ

26th  November, 2023
ব্রিগেডে গীতাপাঠ কি বিজেপির রেকি?
তন্ময় মল্লিক

এক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে বাংলা। ২৪ ডিসেম্বর কলকাতায় হবে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের অনুষ্ঠান। মাস তিনেক পরই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ‘টেস্টিং গ্রাউন্ড’ ব্রিগেডে গীতপাঠ। বিশদ

25th  November, 2023
ইন্ডিয়া জোট কোথায়? কংগ্রেস একটু ভাবুক
সমৃদ্ধ দত্ত

কিছুকাল আগেও শাহরুখ খান ছিলেন বিজেপি সমর্থকদের কাছে চক্ষুশূল। তাঁর সিনেমা রিলিজ করলে বয়কটের ডাক দেওয়া হতো। এই সেদিনও ‘পাঠান’ রিলিজ করার আগে একটি নাচগানের দৃশ্য নিয়ে আপত্তি ওঠে। ঝড় তোলা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিশদ

24th  November, 2023
আইজলের অভিমান, জোরামের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

সুখের সংজ্ঞা কী! দেশের অন্যতম সুখী রাজ্যের মানুষ তা জানেন কি? গত কয়েক বছরে সেই রাজ্যে অসন্তোষের কারণ কম নয়। নাগরিকত্ব আইন সংশোধনীর বিরুদ্ধে আন্দোলনে রাস্তায় নেমে প্রকাশ্যে ‘হ্যালো চায়না, বাই বাই ইন্ডিয়া’ স্লোগান-পোস্টার উঁচিয়ে মিছিল করেছেন মিজোরা।
বিশদ

23rd  November, 2023
একনজরে
২০০৪ সাল। ভারতীয় ফুটবলে সাড়া জাগানো নাম মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড। ম্যানেজমেন্টের আন্তরিকতা দেখে সই করতে দ্বিধা করিনি। মরশুমের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। কিন্তু বিনা মেঘে বজ্রপাত। একদিন অনুশীলনের আগে হঠাৎ ডাক পড়ল। ...

রাজ্যে বাড়ছে মাদক কারবারের রমরমা। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আসছে নিষিদ্ধ মাদক। এই রাজ্য হয়ে তা চলে যাচ্ছে দেশের অন্যান্য অংশ এবং বাংলাদেশে। ...

পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে গিয়ে উত্তরপ্রদেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল সালার থানার খাড়েরা গ্রামের এক যুবকের। মৃতের নাম বাদশা শেখ (২৪) । গ্রামের অঞ্চলপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। মাসতিনেক আগে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজে সেখানে গিয়েছিলেন। ...

আচমকা চিতাবাঘের দেখা! দক্ষিণ দিল্লির নেব সরাইয়ে এই ঘটনায় প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বন্য পশুটির খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৫ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯২ টাকা ১০৭.৩৯ টাকা
ইউরো ৮৯.১৩ টাকা ৯২.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৩,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬০,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৬,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৬,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী ৪৬/১৯ রাত্রি ১২/৩৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ৫৩/৪৯ রাত্রি ৩/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৬/১৪, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৫/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৭ মধ্যে। 
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী রাত্রি ১১/২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ২/৫৯। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বচসার জেরে গুলি চালানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার অভিনেতা ভূপিন্দর সিং, মৃত ১, জখম ৩

08:26:58 PM

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেবন্ত রেড্ডিই, জানাল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব

07:00:00 PM

ভাইফোঁটায় সলমন খানকে আমন্ত্রণ মমতার

06:56:35 PM

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে জুন মালিয়া, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়

06:45:00 PM

কেউ আমাদের ভাগ করতে পারবে না: মমতা

06:44:48 PM

বাংলা এখন ফিল্ম ডেস্টিনেশন হতে পারে: মমতা

06:43:53 PM