Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ইন্ডিয়া জোট কোথায়? কংগ্রেস একটু ভাবুক
সমৃদ্ধ দত্ত

কিছুকাল আগেও শাহরুখ খান ছিলেন বিজেপি সমর্থকদের কাছে চক্ষুশূল। তাঁর সিনেমা রিলিজ করলে বয়কটের ডাক দেওয়া হতো। এই সেদিনও ‘পাঠান’ রিলিজ করার আগে একটি নাচগানের দৃশ্য নিয়ে আপত্তি ওঠে। ঝড় তোলা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। গেরুয়া শিবিরের প্রশ্ন ছিল, ওই দৃশ্যে গেরুয়া রঙের যে পোশাকে দীপিকা পাড়ুকোনকে দেখা গিয়েছে, সেটি অশালীন ও গেরুয়াকে এভাবে অসম্মান করা অনৈতিক। মাল্টিপ্লেক্সে গিয়ে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়েছে। কিন্তু ঘটনাচক্রে নেগেটিভ প্রচার অথবা পজিটিভ বাণিজ্য, যে কোনও কারণেই হোক তুমুল ব্যবসা করে ‘পাঠান’। সুপারহিট হয়। 
এরপর দেখা যায়, শাহরুখ খানের মধ্যেই বিদ্রোহ বিদ্রোহ আচরণের পরিবর্তে স্ট্র্যাটেজি বদল। কয়েকটি ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা, ভারত সরকারকে সাধুবাদ জানান তিনি। আর তার ফলও পাওয়া যায়। ‘জওয়ান’ নামক সিনেমা অনায়াসে রিলিজ করল। কোনও বিষয়েই আপত্তি অথবা বিক্ষোভ হয়নি।  সে ছবিও নাকি কয়েকশ কোটি টাকার বাণিজ্য করল।
কিন্তু এই তথ্যগুলি নিছক প্রেক্ষাপট। প্রকৃত একটি মাস্টারস্ট্রোক দিতে দেখা গেল কুশলী শাহরুখ খানকে সদ্য। সেটি হল, হঠাৎ কলকাতা নাইট রাইডার্স নামক ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দলে তিনি গৌতম গম্ভীরকে নিয়ে এলেন টিম মেন্টর হিসেবে। গম্ভীরও খুশি হয়ে যোগ দিলেন শাহরুখ খানের মালিকানাধীন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে। গৌতম গম্ভীরের ক্রিকেটার ছাড়া 
অন্য একটি পরিচয় কী? তিনি বিজেপির এমপি। দিল্লির হাইপ্রোফাইল আসন থেকে নির্বাচিত। আসন্ন লোকসভা ভোটেও নিশ্চিত আবার প্রার্থী হবেন। আগামী দিনে বিজেপি জয়ী হলে মন্ত্রীও হতে 
পারেন কেন্দ্রে। 
শাহরুখ খানের বিরুদ্ধে আগামী দিনে আর কি বিজেপি ভক্ত কিংবা উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা সরব আক্রমণে নামতে পারবে? শাহরুখ খান দলের জয় নিশ্চিত করতেই হয়তো গম্ভীরকে এনেছেন। কিন্তু গম্ভীরের ওই রাজনৈতিক পরিচয়ের মাধ্যমে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে অন্তত সঙ্ঘ পরিবারের ক্ষোভ বিক্ষোভের রাস্তাও কি বন্ধ করে দিলেন না? কারণ বিজেপির এমপিই তাঁর কোম্পানির মেন্টর! 
২২ জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধন। রামলালার মূর্তি মাথায় করে নিয়ে গিয়ে অধিষ্ঠিত করবেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধন করবেন তিনিই। তার আগে ডিসেম্বর মাসে কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে লক্ষকণ্ঠে গীতাপাঠ অনুষ্ঠান হবে। সেখানেও আসছেন মোদি। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আবহে এই সপ্তাহেই হঠাৎ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গিয়েছেন মথুরায়। কৃষ্ণ জন্মভূমিতে প্রণাম ও পুজো করতে। বুধবার থেকেই প্রচার চলছে যে, এই প্রথম স্বাধীন ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী মথুরায় শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমিতে পা রাখবেন। মন্দিরে পূজার্চনায় অংশ নেবেন।
এতদিনে জানা হয়ে গিয়েছে, একদিকে যেমন অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই দীর্ঘকালের একটি রাজনৈতিক ইস্যুর পরিসমাপ্তি হতে চলেছে, ঠিক তেমনই সূক্ষ্মভাবে আরও দুটি ইস্যু নিয়ে ক্রমেই আইনি ও রাজনৈতিক উত্তাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাশী ও মথুরা। দুটি ক্ষেত্রই আদালতে বিচারাধীন। এবং রামমন্দিরের পর এই দুই মন্দিরও যে ক্রমেই অন্যতম একটি ইস্যুতে পরিণত হবে, সেটাও স্পষ্ট। আদালতের রায়ের দিকে উৎসুক হয়ে যেমন গোটা দেশ তাকিয়ে থাকবে, তেমনই আবার এই দুই মন্দিরকে ঘিরে রাজনৈতিক তৎপরতাও তুঙ্গে উঠবে। 
অর্থাৎ ২০৪৭ সালে ভারত হবে অর্থনৈতিকভাবে তৃতীয় শক্তিশালী দেশ। ২০২৫ সালে ভারত হবে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন হবে, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি হবে, প্রচুর জনমুখী প্রকল্প ঘোষণা ইত্যাদি নানাবিধ ইতিবাচক ও ফিল গুড ফ্যাক্টরের প্রচার চললেও এখনও বিজেপির কাছে ভোট জয়ের প্রধান ভরসা যে হিন্দুত্বই সেটা প্রমাণিত। তাই মোদি দু’দিকেই সমান ভারসাম্য বজায় রেখে এগলেও ভোটের আগে সর্বদাই একটু ঝুঁকে পড়েন হিন্দুত্বের দিকে। এখনও তাই হচ্ছে। 
বিজেপি আমলে দেশে ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক তথা জাতপাতের বিভাজন অনেক বেড়ে গিয়ে রাজনৈতিকভাবে বিজেপিকে কতটা সহায়তা করেছে সেটা দীর্ঘমেয়াদে বোঝা যাবে।
গোটা দেশকে সঙ্গে নিয়ে যদি একটি সম্মিলিত অর্থনীতির  দৌড় শুরু করা যায়, তাহলে তা বিপুল সুফল প্রদানকারী হবে। অর্থাৎ হিন্দু মুসলিম, দলিত, উচ্চবর্ণ ওসব কিছুই দেখা হবে না। যে সম্প্রদায় ও জাত যে কাজে পটু তাদের সেই কাজে সম্পূর্ণ সাহায্য করবে রাষ্ট্র। নির্ভয়ে প্রতিটি নাগরিক নিজেদের পেশায় সর্বশক্তি নিয়োগ করবে। যাতায়াতের পথে, ভোট এলে কিংবা কোনও ধর্মীয় পরবে ভয়ে ভয়ে থাকতে হবে না যে, এই বুঝি দাঙ্গা হল, উস্কানি হল। তাহলে এমন একটা ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হবে যে, ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্পের আশাতীত উৎপাদন হবে। রপ্তানি বাড়বে। দেশের রাজস্ব বাড়বে। আর এজন্য হিন্দু ও মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের নেতৃত্বকেই তৎপর হতে নির্দেশিকা দিতে হবে রাষ্ট্রকে। কোনও পক্ষের কোনও প্ররোচনা সহ্য করা হবে না। 
ভারতের সবথেকে বড় শক্তি হতে পারত ঐক্যবদ্ধ এক ওয়ার্ক ফোর্স। অথচ ভারতকে সবথেকে দুর্বল করল এই বিভাজনের রাজনীতি। হিন্দু ও মুসলিমকে পরস্পরের শত্রুতে পরিণত করা হচ্ছে। দলিত ও উচ্চবর্ণকে আরও বেশি প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। বিভাজন঩ হয়ে উঠছে শাসকের শক্তি, রাষ্ট্রের দুর্বলতা। 
নরেন্দ্র মোদি নিজের দলের স্বার্থসিদ্ধির জন্য অবশ্যই যেটা তাঁর কাছে সবথেকে ভালো মনে হবে তাই করবেন। তাঁর নিশ্চয়ই মনে হয়েছে যে, অন্য সব ইস্যু তো আছেই, কিন্তু সবথেকে বৃহৎ প্রভাব ফেলবে হিন্দুত্ব ইস্যু। আর সেই কারণেই তিনি অর্থনীতিকে আপাতত পিছনের সারিতে রেখে লোকসভা ভোট পর্যন্ত হিন্দুত্বকেই দিয়েছেন চালকের আসন। তিনি এটাই স্ট্র্যাটেজি হিসেবে নিয়েছেন। 
তিনি জানেন, কোনওদিন সত্যিই বিশ্বগুরু হতে পারবেন কি না সেটা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। তার থেকে অনেক সহজ হল তাঁর একান্ত পেটেন্ট নেওয়া ভাবমূর্তিকে আরও প্রতিষ্ঠিত করা। অর্থাৎ হিন্দু হৃদয়সম্রাট। সেটাই তিনি আরও বেশি করে করছেন। মোদিকে দেখা যাচ্ছে বসে নেই। কিছু না কিছু করছেনই। ঘুরে ঘুরে প্রচার করছেন। রাজনীতির কথা বলছেন। আবার পাশাপাশি নিয়ম করে মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কখনও পিথোরাগড়, কখনও রামেশ্বরম। কখনও মথুরা। সুতরাং নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য শাহরুখ খান থেকে নরেন্দ্র মোদি প্রত্যেকেই একটি অন্তত স্ট্র্যাটেজি নিচ্ছেন। 
সেখানে কংগ্রেস কী করছে? এখনও পর্যন্ত ইন্ডিয়া জোটের কোনও রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজি দেশবাসী জানতে পারছে না। সবথেকে বড় কথা কংগ্রেস মোদির বিরুদ্ধে কোনও সিরিয়াস ইস্যু নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি লড়াইয়ের ব্লুপ্রিন্ট কিংবা রোডম্যাপ দেখাতে পারছে না। বরং যতই দিন যাচ্ছে, দেখা যাচ্ছে, কংগ্রেসের মধ্যে নন সিরিয়াস আচরণ প্রকট হচ্ছে। রাহুল গান্ধী কখনও মোদিকে পকেটমার বলছেন। বিশ্বকাপে ভারত না জেতায় কখনও অপয়া বলছেন ভোটের প্রচারে। কেন মোদি ভারতীয় টিমের ড্রেসিং রুমে গিয়েছেন এসব নিয়ে আক্রমণ করছে তাঁর দল। 
এসব সোশ্যাল মিডিয়ায় তরল লঘু আলোচনায় মানানসই হয়। কিন্তু ভোটের ইস্যু হতে পারে? মোদিকে এসব বলে কি হারানো যায়? মানুষ দেড় বছর ধরে মূল্যবৃদ্ধিতে জেরবার। বেকারত্ব চরমে। দারিদ্র্য যে কতটা তীব্র তার প্রমাণ মোদি নিজেই দিয়েছেন। তিনি সম্প্রতি বিনামূল্যে রেশন গরিবদের জন্য আরও ৫ বছরের জন্য চলবে বলে জানিয়েছেন। দেশের অর্থনীতি তাঁর প্রচার মতো ভালো হলে তো এই ঘোষণা করতে হতো না! যুবকযুবতীর কাছে শিক্ষা ও স্কিল থাকা সত্ত্বেও জীবিকা নেই। এসব নিয়ে সরকারকে চরম ব্যাকফুটে ফেলে দেওয়া যায়। অথচ এসব নিয়ে কোনও লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি ইন্ডিয়া জোটের কোথায়? ভারতের সর্বত্র একমাত্র কংগ্রেসের উপস্থিতি আছে। বাকি আঞ্চলিক দলগুলি তো নিজেদের রাজ্যে শক্তিসঞ্চয় করবে। কিন্তু কংগ্রেসকেই সবথেকে বেশি ইন্ডিয়া জোটের জনপ্রিয়তার দায়িত্ব নিতে হবে। সেই ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না।
প্রচার কোথায়? জনসংযোগ কোথায়? ২৮ রাজ্য, ৭৬৬ জেলা, আড়াই লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ১৪০ কোটি জনসংখ্যা। ইন্ডিয়া জোটের নাম এই বিপুল ভারতে পৌঁছে দেওয়ার কোনও চেষ্টা হচ্ছে? কতজন জানে ইন্ডিয়া জোটের নাম? 
24th  November, 2023
প্রশ্নগুলো তোলা থাক লোকসভা ভোটের জন্য
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রশ্ন ১: এক্সিট পোলে প্রায় সব জাতীয় সংবাদমাধ্যমই জিতিয়ে দিয়েছিল কংগ্রেসকে। ঠিক তখনই সাংবাদিক সম্মেলন ডাকলেন রামন সিং। ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
বিশদ

পাঁচ রাজ্যের ভোটে আপনার সেরা বাজি কারা?
পি চিদম্বরম

এই নিবন্ধটি লিখেছি গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর)। সেদিনই ভোট নেওয়া হয়েছে তেলেঙ্গানায়। ওইসঙ্গেই শেষ হয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন।
বিশদ

03rd  December, 2023
ভোটের গন্ধেই ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু
হিমাংশু সিংহ

এই লেখা যখন আজ পাঠকের হাতে পৌঁছচ্ছে তখন সবাই উদগ্রীব তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসের উত্থান দেখতে। মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান মোদি না সোনিয়া গান্ধী, কার কপালে জনগণ জয়তিলক পরিয়ে দিল তা জানতে। 
বিশদ

03rd  December, 2023
এলেন, দেখলেন, কিন্তু জয় হল কি?
তন্ময় মল্লিক

এলেন, দেখলেন এবং ফিরে গেলেন। উদ্দেশ্য ছিল জয় করার। কিন্তু পারলেন কি? বঙ্গ বিজেপিকে অক্সিজেন জোগাতে এসে অমিত শাহ বাড়িয়ে দিলেন অস্বস্তি। তুলে দিয়ে গেলেন একগুচ্ছ প্রশ্ন। কী সেই প্রশ্ন? এক, অমিত শাহ বাংলা থেকে তাঁর ৩৫ আসনের দাবির কথা কেন কর্মীদের ফের স্মরণ করিয়ে দিলেন না? বিশদ

02nd  December, 2023
উত্তরকাশী সুড়ঙ্গ শেখালো ঐক্যের শক্তি
সমৃদ্ধ দত্ত

শাবা আহমেদের কাছে আমরা একটা শিক্ষা পেলাম। পুরনো শিক্ষা। নতুন করে। তিনি শিক্ষা দেবেন বলে বলেছেন এমন নয়। খুবই স্বাভাবিকভাবে বলছিলেন কথাগুলো। কিন্তু প্রতিটি বাক্যে আমরা বুঝলাম হ্যাঁ, এটাই হল সফল, সুখী আর মনের শক্তি অর্জনের চাবিকাঠি। বিশদ

01st  December, 2023
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি-রাজ!
মৃণালকান্তি দাস

ভিক্ট্রি ল্যাব: দ্য সিক্রেট সায়েন্স অব উইনিং ক্যাম্পেনস। বইটিতে মার্কিন সাংবাদিক সাশা আইজেনবার্গের লিখেছিলেন, নির্বাচনের সময় সোশ্যাল মিডিয়া নির্বাচকদের মতামতকে কতটা প্রভাবিত করতে পারে, তার প্রথম সফল পরীক্ষা–নিরীক্ষা হয়েছিল আমেরিকায়। বিশদ

30th  November, 2023
জো হুজুর রাজ্যপাল ও পদের কলঙ্ক আখ্যান
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি কথায় সুপ্রিম কোর্ট বুঝিয়ে দিয়েছে, এই মুহূর্তে বিরোধী রাজ্যগুলিতে অভিষিক্ত রাজ্যপালরা কেমন কাজ করছেন। অত্যন্ত ভর্ৎসনার সুরেই দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি রাজ্যপালদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না।’
বিশদ

29th  November, 2023
কেসিআরের পথ এবার কিন্তু সহজ নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

তেলুগু রাজনীতিতে পবন কল্যাণ এক অদ্ভুত চরিত্র। আম ভারতীয়রা তাঁকে চিরঞ্জীবির ভাই হিসেবে চেনে। দক্ষিণে তিনি নিজেও কিন্তু বেশ জনপ্রিয় অভিনেতা। 
বিশদ

28th  November, 2023
ঔপনিবেশিক আইন রচয়িতাদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ!
পি চিদম্বরম

ইন্ডিয়ান পেনাল কোড (আইপিসি) ১৮৬০, ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট ১৮৭২ এবং কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (সিআরপিসি) ১৯৭৩ হল—ফৌজদারি আইনের ‘ট্রিনিটি’ বা একটির ভিতরে তিনটির সমন্বয়। আইপিসি বা ভারতীয় দণ্ডবিধির রচয়িতা ছিলেন থমাস ব্যাবিংটন ম্যাকলি। বিশদ

27th  November, 2023
ভোট এলেই মমতার পথ অনুসরণ
হিমাংশু সিংহ

পাঁচ রাজ্যের ভোটে তিনি প্রচারে যাননি, তাঁর দলও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না। কিন্তু না থেকেও তিনি আছেন ষোলো আনা। বোঝা গেল, এখনও তিনিই ভারতীয় রাজনীতির এক নম্বর চালিকাশক্তি। সমালোচনা করতেও আবার অনুসরণ করতেও। বিশদ

26th  November, 2023
ব্রিগেডে গীতাপাঠ কি বিজেপির রেকি?
তন্ময় মল্লিক

এক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে বাংলা। ২৪ ডিসেম্বর কলকাতায় হবে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের অনুষ্ঠান। মাস তিনেক পরই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ‘টেস্টিং গ্রাউন্ড’ ব্রিগেডে গীতপাঠ। বিশদ

25th  November, 2023
আইজলের অভিমান, জোরামের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

সুখের সংজ্ঞা কী! দেশের অন্যতম সুখী রাজ্যের মানুষ তা জানেন কি? গত কয়েক বছরে সেই রাজ্যে অসন্তোষের কারণ কম নয়। নাগরিকত্ব আইন সংশোধনীর বিরুদ্ধে আন্দোলনে রাস্তায় নেমে প্রকাশ্যে ‘হ্যালো চায়না, বাই বাই ইন্ডিয়া’ স্লোগান-পোস্টার উঁচিয়ে মিছিল করেছেন মিজোরা।
বিশদ

23rd  November, 2023
একনজরে
আচমকা চিতাবাঘের দেখা! দক্ষিণ দিল্লির নেব সরাইয়ে এই ঘটনায় প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বন্য পশুটির খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। ...

২০০৪ সাল। ভারতীয় ফুটবলে সাড়া জাগানো নাম মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড। ম্যানেজমেন্টের আন্তরিকতা দেখে সই করতে দ্বিধা করিনি। মরশুমের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। কিন্তু বিনা মেঘে বজ্রপাত। একদিন অনুশীলনের আগে হঠাৎ ডাক পড়ল। ...

রাজ্যে বাড়ছে মাদক কারবারের রমরমা। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আসছে নিষিদ্ধ মাদক। এই রাজ্য হয়ে তা চলে যাচ্ছে দেশের অন্যান্য অংশ এবং বাংলাদেশে। ...

আজ, মঙ্গলবার বালুরঘাট এয়ারপোর্ট পরিদর্শনে আসছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি দল। আজ সকাল ১০টা নাগাদ ওই প্রতিনিধি দল বালুরঘাট এয়ারপোর্ট পরিদর্শন করবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৫ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯২ টাকা ১০৭.৩৯ টাকা
ইউরো ৮৯.১৩ টাকা ৯২.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৩,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬০,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৬,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৬,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী ৪৬/১৯ রাত্রি ১২/৩৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ৫৩/৪৯ রাত্রি ৩/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৬/১৪, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৫/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৭ মধ্যে। 
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী রাত্রি ১১/২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ২/৫৯। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বচসার জেরে গুলি চালানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার অভিনেতা ভূপিন্দর সিং, মৃত ১, জখম ৩

08:26:58 PM

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেবন্ত রেড্ডিই, জানাল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব

07:00:00 PM

ভাইফোঁটায় সলমন খানকে আমন্ত্রণ মমতার

06:56:35 PM

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে জুন মালিয়া, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়

06:45:00 PM

কেউ আমাদের ভাগ করতে পারবে না: মমতা

06:44:48 PM

বাংলা এখন ফিল্ম ডেস্টিনেশন হতে পারে: মমতা

06:43:53 PM