Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ব্রিগেডে গীতাপাঠ কি বিজেপির রেকি?
তন্ময় মল্লিক

এক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে বাংলা। ২৪ ডিসেম্বর কলকাতায় হবে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের অনুষ্ঠান। মাস তিনেক পরই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ‘টেস্টিং গ্রাউন্ড’ ব্রিগেডে গীতপাঠ। আবার সেই অনুষ্ঠানের ‘প্রধান পুরোহিত’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই ‘কর্মসূচি’ রাজনৈতিক না অরাজনৈতিক সেই প্রশ্ন একেবারেই অবান্তর। উদ্দেশ্যটাও স্পষ্ট। রামমন্দির উদ্বোধনের প্রভাব বাংলায় লোকসভা ভোটে কতটা পড়বে, তার রেকি করে নিতে চাইছে বিজেপি।
বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছে, চব্বিশের নির্বাচনে রামমন্দিরই হবে তাদের তুরুপের তাস। তাই ভেবেচিন্তেই নির্বাচনের মুখে ঠিক করা হয়েছে মন্দির উদ্বোধনের দিন। রামমন্দিরকে ঘিরে দেশজুড়ে উন্মাদনা তৈরির জোরদার চেষ্টা চলছে। নেওয়া হয়েছে বাড়ি বাড়ি রামলালার ছবি ও প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত সহ বিজেপি শাসিত রাজ্যে রামমন্দির নিয়ে সাড়া মিললেও বাংলায় তেমনটা নেই। এখানে বিজেপির প্রায় কোনও কর্মসূচিই সফল হচ্ছে না। কারণ কর্মীর অভাব। সোশ্যাল মিডিয়া আর টিভি নির্ভর রাজনীতির এটাই ‘সাইড এফেক্ট’।
একুশের নির্বাচনের পর থেকেই বাংলার গেরুয়া শিবির ক্ষয়রোগে ভুগছে। সুকান্ত মজুমদার দায়িত্ব নিয়ে তা রোধ করতে পারেননি, উল্টে বেড়ে গিয়েছে। কারণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দিলীপ ঘোষের অনুগামীরা দলে গুরুত্ব পান না। ফলে অনেকেই অভিমানে বসে গিয়েছেন। অনুপম হাজরা কেন্দ্রীয় সম্পাদক হওয়ার পর বিজেপির কোণঠাসা কর্মীরা কিছুটা হলেও অক্সিজেন পেয়েছেন। তাঁরাও নেমেছেন দলে অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে। তাতে আদি-নব্যের মারামারি নেমে এসেছে রাস্তায়। সামনে নির্বাচন। 
তাই দিল্লি বিজেপি কোনও পক্ষকেই চটাতে সাহস পাচ্ছে না। আর তাতে অশান্তি উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে।
বাংলায় দিল্লির নেতাদের ডেলি প্যাসেঞ্জারিটা ছিল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু সেটা একেবারে প্রধানমন্ত্রীকে সামনে রেখে! তাও আবার শুরু হচ্ছে ব্রিগেড দিয়ে। যাকে বলে, ডাবল ধামাকা। একুশের নির্বাচনের আগেও ব্রিগেডে সভা করেছিলেন মোদি। বাঙালি আবেগ কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে মিঠুন চক্রবর্তীকে তোলা হয়েছিল মঞ্চে। তবে, তখন বাংলার পরিস্থিতি ছিল অন্যরকম। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের তোলা হাওয়া দেখে সাধারণ মানুষ তো বটেই, তৃণমূলের নেতারাও অনেকে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। কেউ কেউ ঝাঁপ দেওয়ার জন্য পাঁচিলে উঠে বসেছিলেন। কিন্তু এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। কেন্দ্রীয় এজেন্সির আক্রমণ আরও বেড়েছে। একের পর এক নেতা মন্ত্রীকে জেলে ভরেছে। তবুও অটুট ঘাসফুল শিবির। ভাঙন তো দূরের কথা, উল্টে গেরুয়া শিবিরের নেতা, বিধায়করা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। 
এই অবস্থায় একক শক্তিতে ব্রিগেডে সভা করার হিম্মত বঙ্গ বিজেপির নেই। তাই এমন সব সংগঠনকে যুক্ত করেছে, যাদের কিছু নিজস্ব অনুগামী বা ভক্ত আছে। বঙ্গ বিজেপি তাদের সামনে রেখে লোকজন জড়ো করে ক্ষমতা জাহির করতে চাইছে। গীতাপাঠের অনুষ্ঠানের জেরে বাংলায় ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরি হবে কি না, সেটা বলবে সময়। 
তবে, এই কর্মসূচির ফলে সুকান্তবাবুর চেয়ারটা আপাতত বেঁচে গেল।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, গীতাপাঠের অনুষ্ঠানের পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। সুকান্তবাবুর সঙ্গে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলেন। তবুও তাঁরা নাকি অরাজনৈতিক ও নিরপেক্ষ! তার প্রমাণেও তাঁরা মরিয়া। তাই শুধু প্রধানমন্ত্রীকেই নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ব্রিগেডে আমন্ত্রণ জানাবেন। 
অনেকে বলছেন, এই আমন্ত্রণের মধ্যেই লুকিয়ে আছে আসল ট্যুইস্ট। মুখ্যমন্ত্রী গীতাপাঠের আমন্ত্রণ গ্রহণ করবেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি। যদি ব্রিগেডের গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে যান তাহলে তাঁকে বসতে হবে একঝাঁক বিজেপি নেতার পাশে। সেটা তিনি কিছুতেই চাইবেন না। আর তিনি অনুষ্ঠানে না গেলেই তাঁর গায়ে লাগিয়ে দেওয়া হবে হিন্দু-বিরোধী তকমা। শুরু হয়ে যাবে প্রচার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গীতা মানেন না। সংখ্যালঘুরা চটে যাবে, তাই হিন্দু সাধু সন্ন্যাসীদের গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে তিনি গেলেন না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংখ্যালঘু তোষণকারী বানাতে চাইছে বিজেপি। অন্যদিকে তাঁকে ও বিজেপিকে এক আসনে বসানোর জন্য আদাজল খেয়ে নেমেছে সিপিএম ও বঙ্গ কংগ্রেস। তারজন্য কেউ কেউ দীঘায় জগন্নাথ দেবের মন্দির নির্মাণের প্রসঙ্গটিও সামনে আনছেন। সরকারি টাকায় মন্দির নির্মাণ নিয়ে বিতর্ক জওহরলাল নেহরুর আমলে হয়েছে, এখন হচ্ছে, আগামী দিনেও থাকবে। কিন্তু সেই মন্দির প্রতিষ্ঠার পিছনে উদ্দেশ্য যদি হয় পর্যটকদের আকৃষ্ট করা, তাহলে সেটা কি খুব অন্যায়?
কয়েকদিন আগে  কথা হচ্ছিল পুরী ঘুরে আসা এক সাংবাদিক বন্ধুর সঙ্গে। কথায় কথায় তিনি বললেন, দীঘায় জগন্নাথ দেবের মন্দির হচ্ছে শুনে পুরীর অটোচালক থেকে হোটেল মালিক, সকলেই বেশ চিন্তিত। কারণ প্রতি বছর প্রচুর বাঙালি পর্যটক পুরী যান। মূলত বাংলার উপরেই দাঁড়িয়ে আছে পুরীর পর্যটন ব্যবসা। সেই পর্যটকদের একটা অংশ পুরীর বদলে দীঘায় ভিড় জমালেই তাঁদের ব্যবসা মার খাবে। পাশাপাশি জমে যাবে দীঘার মার্কেট। পুরীর ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা যদি সত্যি হয়, তাহলে বাংলায় এমন মন্দির আরও হওয়া দরকার। 
তবে এটা ঠিক, বাংলাতেও ধর্মকেন্দ্রিক রাজনীতির ট্রেন্ড ঊর্ধ্বমুখী। সিপিএমের আমলে ধর্ম নিয়ে এত রাজনীতি হতো না। অবশ্য তার কারণও আছে। বাম আমলের বেশিরভাগ সময়টাই দিল্লিতে ছিল কংগ্রেস সরকার। আর বিজেপি যখন ছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ি। তিনি সবসময় ধর্ম অপেক্ষা রাজধর্মকেই বেশি প্রাধান্য দিতেন। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি হাঁটেন তাঁর উল্টো পথে। 
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব ভালো করেই জানেন, লোহা কাটতে গেলে লোহারই দরকার হয়। তাই তিনি বিজেপিকে মাঠ ছেড়ে দেননি। বিশেষ কোনও ধর্মকে আঁকড়ে না ধরলেও তাকে অচ্ছুৎ করে দেননি। তিনিও বামেদের মতো ধর্মকে আফিম মনে করে নাক সেঁটকালে হিন্দুত্বের ঠিকাদারি চলে যেত বিজেপির হাতে। সেটা করেননি বলেই এরাজ্যে ভোট ধর্মের ভিত্তিতে নয়, হয় সরকারের কাজের নিরিখে। 
ভুল করলে শাস্তি দেয়। ভালো কাজের জন্য আশীর্বাদ করে দু’হাত তুলে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ কি গেরুয়া শিবিরকে সুবিধা দেবে? বিজেপির অনেকে বলছেন, এতে দলের লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে। তাঁদের বক্তব্য, হায়দরাবাদে বিজেপির দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে সংখ্যালঘুদের কাছে টানার পরামর্শ দিয়েছিলেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছিলেন, ‘সংখ্যাগুরু হিন্দুদের পাশাপাশি সংখ্যালঘুদেরও কাছে টানতে হবে। বিশেষ করে গরিবদের অভাব অভিযোগ শুনতে হবে। তাদের পাশে থাকতে হবে।’
কেন সংখ্যালঘুদের পাশে টানার কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী? বিজেপি নেতৃত্ব উপলব্ধি করেছিল, শুধু হিন্দু ভোটের উপর নির্ভর করলে ক্ষমতায় ফেরা যাবে না। কারণ অনেক চেষ্টা করেও হিন্দুভোট এককাট্টা করা যায়নি। তাই নরেন্দ্র মোদির ফের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য সংখ্যালঘু ভোটের সমর্থন লাগবে। বিশেষ করে বাংলা, কেরল সহ কয়েকটি রাজ্যে। 
নরেন্দ্র মোদির পরামর্শের পর সেই প্রক্রিয়াও বিজেপিতে শুরু হয়েছিল। বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির সংখ্যালঘু নেতারা স্লোগান তুলেছিলেন, ‘না দুরি না খাই হ্যায়, মোদি হামারা ভাই হ্যায়’। অর্থাৎ আমাদের মধ্যে কোনও দূরত্ব বা বিভেদ নেই। মোদি আমাদের ভাই। বাংলাতেও সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। 
তাতে পঞ্চায়েত ভোটে কিছু সংখ্যালঘু এলাকায় সাফল্যও পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু লোকসভা ভোটে তাদের আর ধরে রাখা যাবে না। ব্রিগেডে সাধুসন্ন্যাসীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীকে গীতাপাঠ করতে দেখলে মুসলিমরা মুখ ফিরিয়ে নেবে। আরও বেশি করে বিজেপি বিরোধী হয়ে যাবে।
উদ্যোক্তা থেকে বিজেপি নেতৃত্ব একযোগে দাবি করেছে, ব্রিগেডের গীতাপাঠের অনুষ্ঠানের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। না থাকারই কথা। কারণ পবিত্র গীতাও ফলের আশা না করে কর্ম করার উপদেশ দিয়েছে। মহাভারতে যুধিষ্ঠিরও বলেছেন, ‘আমি কর্মফলান্বেষী হইয়া কোনও কর্ম করি না, দান করিতে হয়, তাই দান করি, যজ্ঞ করিতে হয়, তাই যজ্ঞ করি, ধর্মাচরণের বিনিময়ে যে ফল চাহে, সে ধর্মবণিক, ধর্মকে সে পণ্যদ্রব্য করিয়াছে। 
সে হীন, জঘন্য।’
লোকসভা নির্বাচনের মুখে ব্রিগেডে ঘটা করে গীতাপাঠ। প্রধান পুরোহিত প্রধানমন্ত্রী। তাই উঠছে প্রশ্ন, বিজেপি ধার্মিক, না ধর্মবণিক?
25th  November, 2023
প্রশ্নগুলো তোলা থাক লোকসভা ভোটের জন্য
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রশ্ন ১: এক্সিট পোলে প্রায় সব জাতীয় সংবাদমাধ্যমই জিতিয়ে দিয়েছিল কংগ্রেসকে। ঠিক তখনই সাংবাদিক সম্মেলন ডাকলেন রামন সিং। ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
বিশদ

পাঁচ রাজ্যের ভোটে আপনার সেরা বাজি কারা?
পি চিদম্বরম

এই নিবন্ধটি লিখেছি গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর)। সেদিনই ভোট নেওয়া হয়েছে তেলেঙ্গানায়। ওইসঙ্গেই শেষ হয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন।
বিশদ

03rd  December, 2023
ভোটের গন্ধেই ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু
হিমাংশু সিংহ

এই লেখা যখন আজ পাঠকের হাতে পৌঁছচ্ছে তখন সবাই উদগ্রীব তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসের উত্থান দেখতে। মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান মোদি না সোনিয়া গান্ধী, কার কপালে জনগণ জয়তিলক পরিয়ে দিল তা জানতে। 
বিশদ

03rd  December, 2023
এলেন, দেখলেন, কিন্তু জয় হল কি?
তন্ময় মল্লিক

এলেন, দেখলেন এবং ফিরে গেলেন। উদ্দেশ্য ছিল জয় করার। কিন্তু পারলেন কি? বঙ্গ বিজেপিকে অক্সিজেন জোগাতে এসে অমিত শাহ বাড়িয়ে দিলেন অস্বস্তি। তুলে দিয়ে গেলেন একগুচ্ছ প্রশ্ন। কী সেই প্রশ্ন? এক, অমিত শাহ বাংলা থেকে তাঁর ৩৫ আসনের দাবির কথা কেন কর্মীদের ফের স্মরণ করিয়ে দিলেন না? বিশদ

02nd  December, 2023
উত্তরকাশী সুড়ঙ্গ শেখালো ঐক্যের শক্তি
সমৃদ্ধ দত্ত

শাবা আহমেদের কাছে আমরা একটা শিক্ষা পেলাম। পুরনো শিক্ষা। নতুন করে। তিনি শিক্ষা দেবেন বলে বলেছেন এমন নয়। খুবই স্বাভাবিকভাবে বলছিলেন কথাগুলো। কিন্তু প্রতিটি বাক্যে আমরা বুঝলাম হ্যাঁ, এটাই হল সফল, সুখী আর মনের শক্তি অর্জনের চাবিকাঠি। বিশদ

01st  December, 2023
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি-রাজ!
মৃণালকান্তি দাস

ভিক্ট্রি ল্যাব: দ্য সিক্রেট সায়েন্স অব উইনিং ক্যাম্পেনস। বইটিতে মার্কিন সাংবাদিক সাশা আইজেনবার্গের লিখেছিলেন, নির্বাচনের সময় সোশ্যাল মিডিয়া নির্বাচকদের মতামতকে কতটা প্রভাবিত করতে পারে, তার প্রথম সফল পরীক্ষা–নিরীক্ষা হয়েছিল আমেরিকায়। বিশদ

30th  November, 2023
জো হুজুর রাজ্যপাল ও পদের কলঙ্ক আখ্যান
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি কথায় সুপ্রিম কোর্ট বুঝিয়ে দিয়েছে, এই মুহূর্তে বিরোধী রাজ্যগুলিতে অভিষিক্ত রাজ্যপালরা কেমন কাজ করছেন। অত্যন্ত ভর্ৎসনার সুরেই দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি রাজ্যপালদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না।’
বিশদ

29th  November, 2023
কেসিআরের পথ এবার কিন্তু সহজ নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

তেলুগু রাজনীতিতে পবন কল্যাণ এক অদ্ভুত চরিত্র। আম ভারতীয়রা তাঁকে চিরঞ্জীবির ভাই হিসেবে চেনে। দক্ষিণে তিনি নিজেও কিন্তু বেশ জনপ্রিয় অভিনেতা। 
বিশদ

28th  November, 2023
ঔপনিবেশিক আইন রচয়িতাদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ!
পি চিদম্বরম

ইন্ডিয়ান পেনাল কোড (আইপিসি) ১৮৬০, ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট ১৮৭২ এবং কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (সিআরপিসি) ১৯৭৩ হল—ফৌজদারি আইনের ‘ট্রিনিটি’ বা একটির ভিতরে তিনটির সমন্বয়। আইপিসি বা ভারতীয় দণ্ডবিধির রচয়িতা ছিলেন থমাস ব্যাবিংটন ম্যাকলি। বিশদ

27th  November, 2023
ভোট এলেই মমতার পথ অনুসরণ
হিমাংশু সিংহ

পাঁচ রাজ্যের ভোটে তিনি প্রচারে যাননি, তাঁর দলও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না। কিন্তু না থেকেও তিনি আছেন ষোলো আনা। বোঝা গেল, এখনও তিনিই ভারতীয় রাজনীতির এক নম্বর চালিকাশক্তি। সমালোচনা করতেও আবার অনুসরণ করতেও। বিশদ

26th  November, 2023
ইন্ডিয়া জোট কোথায়? কংগ্রেস একটু ভাবুক
সমৃদ্ধ দত্ত

কিছুকাল আগেও শাহরুখ খান ছিলেন বিজেপি সমর্থকদের কাছে চক্ষুশূল। তাঁর সিনেমা রিলিজ করলে বয়কটের ডাক দেওয়া হতো। এই সেদিনও ‘পাঠান’ রিলিজ করার আগে একটি নাচগানের দৃশ্য নিয়ে আপত্তি ওঠে। ঝড় তোলা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিশদ

24th  November, 2023
আইজলের অভিমান, জোরামের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

সুখের সংজ্ঞা কী! দেশের অন্যতম সুখী রাজ্যের মানুষ তা জানেন কি? গত কয়েক বছরে সেই রাজ্যে অসন্তোষের কারণ কম নয়। নাগরিকত্ব আইন সংশোধনীর বিরুদ্ধে আন্দোলনে রাস্তায় নেমে প্রকাশ্যে ‘হ্যালো চায়না, বাই বাই ইন্ডিয়া’ স্লোগান-পোস্টার উঁচিয়ে মিছিল করেছেন মিজোরা।
বিশদ

23rd  November, 2023
একনজরে
আমেরিকায় ফের শ্যুটআউট। এবার ডালাসের একটি বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজনের মৃত্যু হল। ...

জবজের চিত্রগঞ্জ কালীবাড়িতে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের আনাগোনা দিনে দিনে বাড়ছে। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসছেন। ...

২০০৪ সাল। ভারতীয় ফুটবলে সাড়া জাগানো নাম মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড। ম্যানেজমেন্টের আন্তরিকতা দেখে সই করতে দ্বিধা করিনি। মরশুমের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। কিন্তু বিনা মেঘে বজ্রপাত। একদিন অনুশীলনের আগে হঠাৎ ডাক পড়ল। ...

রাজ্যে বাড়ছে মাদক কারবারের রমরমা। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আসছে নিষিদ্ধ মাদক। এই রাজ্য হয়ে তা চলে যাচ্ছে দেশের অন্যান্য অংশ এবং বাংলাদেশে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৫ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯২ টাকা ১০৭.৩৯ টাকা
ইউরো ৮৯.১৩ টাকা ৯২.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৩,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬০,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৬,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৬,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী ৪৬/১৯ রাত্রি ১২/৩৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ৫৩/৪৯ রাত্রি ৩/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৬/১৪, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৫/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৭ মধ্যে। 
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী রাত্রি ১১/২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ২/৫৯। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বচসার জেরে গুলি চালানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার অভিনেতা ভূপিন্দর সিং, মৃত ১, জখম ৩

08:26:58 PM

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেবন্ত রেড্ডিই, জানাল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব

07:00:00 PM

ভাইফোঁটায় সলমন খানকে আমন্ত্রণ মমতার

06:56:35 PM

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে জুন মালিয়া, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়

06:45:00 PM

কেউ আমাদের ভাগ করতে পারবে না: মমতা

06:44:48 PM

বাংলা এখন ফিল্ম ডেস্টিনেশন হতে পারে: মমতা

06:43:53 PM