Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জো হুজুর রাজ্যপাল ও পদের কলঙ্ক আখ্যান
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি কথায় সুপ্রিম কোর্ট বুঝিয়ে দিয়েছে, এই মুহূর্তে বিরোধী রাজ্যগুলিতে অভিষিক্ত রাজ্যপালরা কেমন কাজ করছেন। অত্যন্ত ভর্ৎসনার সুরেই দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি রাজ্যপালদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না।’ প্রধান বিচারপতি অবিলম্বে বিল আটকানোর খেলা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপালদের। এইসব থেকে পরিষ্কার যে, বিরোধী রাজ্যগুলির রাজ্যপালরা যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছেন, তার অনেকগুলিই অসাংবিধানিক। কেন্দ্রের প্রভুকে তুষ্ট করার প্রলোভন যদি তাঁরা ত্যাগ করতে না পারেন, তাহলে সংবিধান প্রতি মুহূর্তেই লঙ্ঘিত হবে। 
আসলে কেন্দ্রের মোদি সরকারের পায়ের তলা থেকে যত মাটি সরে যাচ্ছে, যত বিজেপি সরকারের বিদায়বেলা আসন্ন হচ্ছে, ততই তারা সিবিআই, ইডি, রাজ্যপালদের অস্ত্র হিসাবে আঁকড়ে ধরে বিরোধীদের টাইট দেওয়ার কাজ করছে। আর কেন্দ্রের সমস্ত নির্দেশ বিরোধী রাজ্যের ছোটলাটরা বিনা বাক্যবায়ে নতমস্তকে পালন করছেন। এইসব ‘ইয়েস স্যার’ মার্কা জো হুজুর রাজ্যপালরা চিরকাল গণতন্ত্রের অবক্ষয়ের জন্য দায়ী। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল এন রবিকে প্রশ্ন করেছেন, তিন বছরেও রাজ্যপাল বিলগুলোতে সম্মতি দিতে পারলেন না কেন? তাঁর কাছে আটকে আছে ১২টি বিল। কেরলের রাজ্যপাল মহম্মদ আরিফ খান আটকে রেখেছেন সাতটি বিল। পাঞ্জাবের রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল শুধু বিল আটকেই রাখেননি, তিনি রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন চালু করার অনুমতি দিতেও অস্বীকার করেছেন। পশ্চিমবঙ্গে একাধিক বিল আটকে রেখে বারবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতার প্রমাণ দিয়েছেন বর্তমান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তাঁর পূর্বসূরি জগদীপ ধনকার মহাশয়ও তো রাজ্য সরকারের সঙ্গে তুমুল বিরোধিতার বাতাবরণ সৃষ্টি করে পুরস্কৃতও হয়ে গেলেন। আনন্দবাবু আবার উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আগ বাড়িয়ে খেলতে গিয়ে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি করেছেন। সংবিধান বলছে, বিল নিয়ে রাজ্যপালরা প্রশ্ন তুলতে পারেন, ব্যাখ্যা চাইতে পারেন। কিন্তু অনির্দিষ্টকালের জন্য বিল আটকে অচলাবস্থার সৃষ্টি করতে পারেন না। ঠিক এই মনোভাবের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত রাজ্যপালদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, ‘আপনারা কিন্তু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নন, মনোনীত পদাধিকারী মাত্র। তাই কথায় কথায় রাজ্যের সঙ্গে এভাবে বিরোধ করতে পারেন না।’ সুতরাং রাজ্যপালদের কাজকর্ম আজ কাঠগড়ায় প্রশ্নের মুখে!  
অতীতেও বহুবার এমন ঘটনা ঘটেছে। আসলে কেন্দ্রের সব সরকারই চায় বিরোধী রাজ্যকে একটু টাইট দিতে। সেক্ষেত্রে তারা অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে রাজ্যপাল নামক চেয়ারটি। ১৯৬৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ধরমবীর প্রথম যুক্তফ্রন্ট সরকারকে ভেঙে দিয়েছিলেন। সেই সময় শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক বরুণ সেনগুপ্ত তাঁর একটি উত্তর সম্পাদকীয়তে লিখেছিলেন, ‘সংবিধান রচয়িতারা কি রাজ্যপালকে মোঘল সম্রাট বানাতে চেয়েছিলেন?’ সেই ব্যবস্থা কিন্তু এখনও চলছে। কেন্দ্রের ইশারায় আস্তিন গুটিয়ে রাজনৈতিক খেলায় নেমে পড়ার অগণতান্ত্রিক অভ্যাস এখনও রাজ্যপাল পদটিকে কলঙ্কিত করে চলেছে। ১৯৭৭ সালে এখানে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় এলে ফের নতুন করে রাজ্যপালের সঙ্গে সঙ্ঘাত শুরু হয়। বি ডি পান্ডে এখানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে তাঁর কাজের জন্য বামফ্রন্ট সরকারের সমালোচনার শিকার হতে থাকেন। সেই সময় সিপিএমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা প্রমোদ দাশগুপ্ত তাঁর নাম দিয়েছিলেন ‘বাংলা দমন পান্ডে’। এরপর ১৯৮৪ সালে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপাল হয়ে আসেন অনন্ত প্রসাদ শর্মা। সেই সময় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে কী তীব্র মনোমালিন্য হয়েছিল, তা অনেকেই জানেন। সেদিন রাজ্যপাল মনোনীত উপাচার্য সন্তোষ ভট্টাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট বন্ধ করে তাঁর কাজে দিনের পর দিন বাধা দিয়েছিল সিপিএম। উপাচার্যকে নিগৃহীত করা হয়েছিল কয়েকবার। আজকের কচি সিপিএম নেতাদের অনেকেই সেদিন জন্মাননি। তাই এইসব ইতিহাস তাঁদের অজানা। সেই ইতিহাস না জেনে আজ অনেক সিপিএম নেতাই মমতা জমানায় রাজ্যপালের সঙ্গে সঙ্ঘাত দেখে বোকার মতো খিল্লি খাচ্ছেন আর সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপ্লব করছেন। এইসব নেতারা বোধহয় জানেন না, একসময় বামফ্রন্ট সরকার সারকারিয়া কমিশনে একটি চিঠি পাঠিয়ে বলেছিল, ‘রাজ্যপাল পদের প্রয়োজন নেই।’ 
আসলে রাজ্যপাল পদটাকে কেন্দ্র চিরকালই চরবৃত্তির কাজে ব্যবহার করে। মূলত ইন্দিরা গান্ধীই এই সংস্কৃতি চালু করেছিলেন। রাজ্যে বিরোধী সরকার থাকলেই অসহযোগিতা করে রাজ্যের মানুষের কাছে তার ভাবমূর্তি নষ্ট করার এই ছক অতি পুরনো। সেই ‘বিমাতৃসুলভ আচরণ’কে নরেন্দ্র মোদি সরকার নিয়ে গেল শিল্পের পর্যায়ে। প্রতিটি বিরোধী রাজ্যে রাজভবনকে রাজ্যপালরা অলিখিতভাবে করে তুললেন বিজেপির পার্টি অফিস। রাজ্যের বিশিষ্ট গেরুয়া নেতাদের নির্দেশ মেনে তাঁদের কাজ চালানোর অর্ডার এল কেন্দ্রের কাছ থেকে। আরও বড় পুরস্কারের লোভে অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধান পদক্ষেপ করতে থাকলেন রাজ্যপালরা। সকলেই হয়ে উঠতে চাইলেন এক একজন ‘মোঘল সম্রাট’। পাশাপাশি নানাভাবে বিরোধী রাজ্যগুলিকে বিব্রত করে ভাতে মারার ছক কষা তো চলছেই। 
বারবার দেখা যাচ্ছে, আইনসভাগুলি সুষ্ঠুভাবে চালাতে রাজ্য যে বিল আনছে বা সিদ্ধান্তগ্রহণ করছে, রাজ্যপালরা তা আটকে রেখে অকারণে সাংবিধানিক জটিলতা তৈরি করছেন। তাঁরা ভুলেই যাচ্ছেন, তাঁরা একজন মনোনীত সদস্য মাত্র, নির্বাচিত নন। কিন্তু দেখা যায়, সরকার তাঁদের এমন পাম্প দিয়ে বিভিন্ন বিরোধী রাজ্যে পাঠান যে, তাঁরা নিজেদের মনে করেন, হাম সে বড়কর কৌন! তখনই সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর উদ্যোগ নিয়ে তাঁরা অকারণ জটিলতার সৃষ্টি করেন। প্রশ্ন জাগে, সংবিধানের সীমা লঙ্ঘনের বিষয়টা কি তাঁরা বিস্মৃত হন?
রাজ্যপাল পদে নিয়োগ নিয়ে দু’টি রীতি চালু ছিল। একটি হল, কোনও রাজ্যের বাসিন্দা সেই রাজ্যের রাজ্যপাল হতে পারবেন না। দ্বিতীয়টি হল, রাজ্যপাল পদের নিয়োগ নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে, যাতে দু’পক্ষের সম্মিলিত একটা বোঝাপড়ার ভিত্তিতে রাজ্যপালের নিয়োগ হয়। পরবর্তী ক্ষেত্রে দেখা যায়, এই দু’টি রীতিই লঙ্ঘিত হয়েছে। ১৯৫১ সালে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপাল হয়েছিলেন হরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, কিংবা পরবর্তীকালে ১৯৬৫ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল হন করণ সিং এবং পাঞ্জাবের রাজ্যপাল হন উজ্জ্বল সিং। এঁরা প্রত্যেকেই সেই রাজ্যের বাসিন্দা ছিলেন।  
আর রাজ্যের সঙ্গে সৌহর্দ্যপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে রাজ্যপাল নিয়োগের পাট চুকে গেছে একেবারে গোড়াতেই। কেননা কেন্দ্র সরকার বারবার রাজ্যপালকে রাজ্যের ঩বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছে। প্রথম দিকে কেন্দ্র কিংবা রাজ্যে কংগ্রেসই ক্ষমতায় ছিল, তখন এই দ্বন্দ্ব বোঝার তেমন উপায় ছিল না। কিন্তু কেন্দ্র এবং রাজ্যের শাসক দল পৃথক হলেই দ্বন্দ্ব তুমুল আকার নিয়েছে। ১৯৬৭ সালে পাঞ্জাবে অকালি দল ক্ষমতায় আসতেই দ্বন্দ্বের শুরু। কেন্দ্র রাজ্যপাল পদের জন্য দু’টি নাম তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী গুরনাম সিংয়ের কাছে পাঠায়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, এই দু’জনের কাউকেই রাজ্যপাল পদে তিনি চান না। কেন্দ্র তা মানতে অস্বীকার করে এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে ধরমবীরকে সরিয়ে পাঞ্জাবে অভিষিক্ত করা হয়। বিহারের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছিল। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী মহামায়া প্রসাদ সিনহা রাজি না হলেও জোর করে নিয়োগ করা হয়েছিল রাজ্যপাল নিত্যানন্দ কানুনগোকে। 
আটের দশকের পর থেকে যখন আঞ্চলিক দলগুলি ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠতে লাগল, সঙ্ঘাতটা বেড়ে গেল তার পর থেকেই। কেন্দ্রের মূল উদ্দেশ্যই হয়ে দাঁড়াল নানাভাবে বিরোধী রাজ্যগুলিকে টাইট দেওয়া। এই কাজে কেন্দ্রের প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠলেন রাজ্যপালরা। তখন থেকেই রাজভবন হয়ে উঠল ষড়যন্ত্রের আখড়া। কতবার যে রাজ্যপালরা গণতান্ত্রিক সরকারকে অগণতান্ত্রিক উপায়ে ফেলে দিয়েছেন, সেই সব গোপন ষড়যন্ত্র নিয়ে আস্ত একটা বই লেখা যাবে। 
পরবর্তীকালে সারকারিয়া কমিশন রাজ্যপাল নিয়োগ নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দেয়। কমিশন বলে, কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল হিসাবে কাউকে পাঠানো হলে, রাষ্ট্রপতির উচিত সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া। রাজ্যপালের আচরণ কেমন হওয়া উচিত, সেই সম্পর্কে অনেকগুলি প্রস্তাব সারকারিয়া কমিশন দিয়েছে। তার মধ্যে দু’টি হল, রাজ্যপালকে কোনওভাবেই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হলে চলবে না এবং রাজ্যের কোনওরকম রাজনৈতিক ব্যাপারে তাঁর নাকগলানো অনুচিত। 
কিন্তু আমরা কী দেখছি! মোদি সরকারের আমলে বিরোধী রাজ্যের রাজ্যপালরা প্রত্যেকেই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন। রাজনৈতিক নেতাদের মতো তাঁরা আচরণ করছেন। 
সুতরাং বর্তমান পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ কতটা গভীর, তা বোঝা যায়। আসলে কোণঠাসা মোদি সরকারের এখন ‘আগুন নিয়ে খেলা’ ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। রাজ্যপালদের কাঠপুতলি বানিয়ে এখন শেষ পারানির কড়ি সংগ্রহের মরিয়া চেষ্টা করছেন মোদি। কিন্তু তা যে আর সম্ভব নয়, তা নির্বাচনের মাস চারেক আগে থেকে জনগণই টের পাচ্ছেন। সুতরাং রাজ্যপালের অস্থির আচরণের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের নিরঙ্কুশ বিপন্নতা।
29th  November, 2023
প্রশ্নগুলো তোলা থাক লোকসভা ভোটের জন্য
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রশ্ন ১: এক্সিট পোলে প্রায় সব জাতীয় সংবাদমাধ্যমই জিতিয়ে দিয়েছিল কংগ্রেসকে। ঠিক তখনই সাংবাদিক সম্মেলন ডাকলেন রামন সিং। ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
বিশদ

পাঁচ রাজ্যের ভোটে আপনার সেরা বাজি কারা?
পি চিদম্বরম

এই নিবন্ধটি লিখেছি গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর)। সেদিনই ভোট নেওয়া হয়েছে তেলেঙ্গানায়। ওইসঙ্গেই শেষ হয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন।
বিশদ

03rd  December, 2023
ভোটের গন্ধেই ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু
হিমাংশু সিংহ

এই লেখা যখন আজ পাঠকের হাতে পৌঁছচ্ছে তখন সবাই উদগ্রীব তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসের উত্থান দেখতে। মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান মোদি না সোনিয়া গান্ধী, কার কপালে জনগণ জয়তিলক পরিয়ে দিল তা জানতে। 
বিশদ

03rd  December, 2023
এলেন, দেখলেন, কিন্তু জয় হল কি?
তন্ময় মল্লিক

এলেন, দেখলেন এবং ফিরে গেলেন। উদ্দেশ্য ছিল জয় করার। কিন্তু পারলেন কি? বঙ্গ বিজেপিকে অক্সিজেন জোগাতে এসে অমিত শাহ বাড়িয়ে দিলেন অস্বস্তি। তুলে দিয়ে গেলেন একগুচ্ছ প্রশ্ন। কী সেই প্রশ্ন? এক, অমিত শাহ বাংলা থেকে তাঁর ৩৫ আসনের দাবির কথা কেন কর্মীদের ফের স্মরণ করিয়ে দিলেন না? বিশদ

02nd  December, 2023
উত্তরকাশী সুড়ঙ্গ শেখালো ঐক্যের শক্তি
সমৃদ্ধ দত্ত

শাবা আহমেদের কাছে আমরা একটা শিক্ষা পেলাম। পুরনো শিক্ষা। নতুন করে। তিনি শিক্ষা দেবেন বলে বলেছেন এমন নয়। খুবই স্বাভাবিকভাবে বলছিলেন কথাগুলো। কিন্তু প্রতিটি বাক্যে আমরা বুঝলাম হ্যাঁ, এটাই হল সফল, সুখী আর মনের শক্তি অর্জনের চাবিকাঠি। বিশদ

01st  December, 2023
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি-রাজ!
মৃণালকান্তি দাস

ভিক্ট্রি ল্যাব: দ্য সিক্রেট সায়েন্স অব উইনিং ক্যাম্পেনস। বইটিতে মার্কিন সাংবাদিক সাশা আইজেনবার্গের লিখেছিলেন, নির্বাচনের সময় সোশ্যাল মিডিয়া নির্বাচকদের মতামতকে কতটা প্রভাবিত করতে পারে, তার প্রথম সফল পরীক্ষা–নিরীক্ষা হয়েছিল আমেরিকায়। বিশদ

30th  November, 2023
কেসিআরের পথ এবার কিন্তু সহজ নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

তেলুগু রাজনীতিতে পবন কল্যাণ এক অদ্ভুত চরিত্র। আম ভারতীয়রা তাঁকে চিরঞ্জীবির ভাই হিসেবে চেনে। দক্ষিণে তিনি নিজেও কিন্তু বেশ জনপ্রিয় অভিনেতা। 
বিশদ

28th  November, 2023
ঔপনিবেশিক আইন রচয়িতাদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ!
পি চিদম্বরম

ইন্ডিয়ান পেনাল কোড (আইপিসি) ১৮৬০, ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট ১৮৭২ এবং কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (সিআরপিসি) ১৯৭৩ হল—ফৌজদারি আইনের ‘ট্রিনিটি’ বা একটির ভিতরে তিনটির সমন্বয়। আইপিসি বা ভারতীয় দণ্ডবিধির রচয়িতা ছিলেন থমাস ব্যাবিংটন ম্যাকলি। বিশদ

27th  November, 2023
ভোট এলেই মমতার পথ অনুসরণ
হিমাংশু সিংহ

পাঁচ রাজ্যের ভোটে তিনি প্রচারে যাননি, তাঁর দলও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না। কিন্তু না থেকেও তিনি আছেন ষোলো আনা। বোঝা গেল, এখনও তিনিই ভারতীয় রাজনীতির এক নম্বর চালিকাশক্তি। সমালোচনা করতেও আবার অনুসরণ করতেও। বিশদ

26th  November, 2023
ব্রিগেডে গীতাপাঠ কি বিজেপির রেকি?
তন্ময় মল্লিক

এক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে বাংলা। ২৪ ডিসেম্বর কলকাতায় হবে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের অনুষ্ঠান। মাস তিনেক পরই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ‘টেস্টিং গ্রাউন্ড’ ব্রিগেডে গীতপাঠ। বিশদ

25th  November, 2023
ইন্ডিয়া জোট কোথায়? কংগ্রেস একটু ভাবুক
সমৃদ্ধ দত্ত

কিছুকাল আগেও শাহরুখ খান ছিলেন বিজেপি সমর্থকদের কাছে চক্ষুশূল। তাঁর সিনেমা রিলিজ করলে বয়কটের ডাক দেওয়া হতো। এই সেদিনও ‘পাঠান’ রিলিজ করার আগে একটি নাচগানের দৃশ্য নিয়ে আপত্তি ওঠে। ঝড় তোলা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিশদ

24th  November, 2023
আইজলের অভিমান, জোরামের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

সুখের সংজ্ঞা কী! দেশের অন্যতম সুখী রাজ্যের মানুষ তা জানেন কি? গত কয়েক বছরে সেই রাজ্যে অসন্তোষের কারণ কম নয়। নাগরিকত্ব আইন সংশোধনীর বিরুদ্ধে আন্দোলনে রাস্তায় নেমে প্রকাশ্যে ‘হ্যালো চায়না, বাই বাই ইন্ডিয়া’ স্লোগান-পোস্টার উঁচিয়ে মিছিল করেছেন মিজোরা।
বিশদ

23rd  November, 2023
একনজরে
জবজের চিত্রগঞ্জ কালীবাড়িতে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের আনাগোনা দিনে দিনে বাড়ছে। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসছেন। ...

রাজ্যে বাড়ছে মাদক কারবারের রমরমা। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আসছে নিষিদ্ধ মাদক। এই রাজ্য হয়ে তা চলে যাচ্ছে দেশের অন্যান্য অংশ এবং বাংলাদেশে। ...

পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে গিয়ে উত্তরপ্রদেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল সালার থানার খাড়েরা গ্রামের এক যুবকের। মৃতের নাম বাদশা শেখ (২৪) । গ্রামের অঞ্চলপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। মাসতিনেক আগে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজে সেখানে গিয়েছিলেন। ...

আচমকা চিতাবাঘের দেখা! দক্ষিণ দিল্লির নেব সরাইয়ে এই ঘটনায় প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বন্য পশুটির খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৫ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯২ টাকা ১০৭.৩৯ টাকা
ইউরো ৮৯.১৩ টাকা ৯২.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৩,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬০,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৬,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৬,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী ৪৬/১৯ রাত্রি ১২/৩৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ৫৩/৪৯ রাত্রি ৩/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৬/১৪, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৫/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৭ মধ্যে। 
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী রাত্রি ১১/২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ২/৫৯। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বচসার জেরে গুলি চালানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার অভিনেতা ভূপিন্দর সিং, মৃত ১, জখম ৩

08:26:58 PM

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেবন্ত রেড্ডিই, জানাল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব

07:00:00 PM

ভাইফোঁটায় সলমন খানকে আমন্ত্রণ মমতার

06:56:35 PM

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে জুন মালিয়া, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়

06:45:00 PM

কেউ আমাদের ভাগ করতে পারবে না: মমতা

06:44:48 PM

বাংলা এখন ফিল্ম ডেস্টিনেশন হতে পারে: মমতা

06:43:53 PM