Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি-রাজ!
মৃণালকান্তি দাস

ভিক্ট্রি ল্যাব: দ্য সিক্রেট সায়েন্স অব উইনিং ক্যাম্পেনস। বইটিতে মার্কিন সাংবাদিক সাশা আইজেনবার্গের লিখেছিলেন, নির্বাচনের সময় সোশ্যাল মিডিয়া নির্বাচকদের মতামতকে কতটা প্রভাবিত করতে পারে, তার প্রথম সফল পরীক্ষা–নিরীক্ষা হয়েছিল আমেরিকায়। সেই ২০১২ সালে। ডেটা বা সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে একেবারে মাইক্রোস্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নির্বাচনী প্রচারকে এবং তার ফলও মিলেছিল হাতেনাতে। ২০১২ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী বারাক ওবামাকে বলা হয় বিশ্বের প্রথম ফেসবুক প্রেসিডেন্ট। নির্বাচনে ফেসবুককে যে এভাবে ব্যবহার করা যায়, তা দেখেছিল গোটা দুনিয়া।
ভারতে ফেসবুক চালু হয়েছিল ২০০৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। তার আগে ১৫ জুলাই আত্মপ্রকাশ করেছিল টুইটার। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে নরেন্দ্র মোদি যখন টুইটারে অ্যাকাউন্ট খোলেন তখন তিনি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। সেই বছর দেশের মাত্র ২০টি বড় শহরে সামান্য প্রভাব ছিল ফেসবুক, টুইটারের। কিন্তু ২০১৪ সালে নির্বাচনী প্রচারের গোটা পরিসরই সোশ্যাল মিডিয়া দখল করে নিয়েছিল। প্রচারের ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার। সোশ্যাল মিডিয়ার সেই দাপট দেখে রাহুল গান্ধী টুইটারে অ্যাকাউন্ট খোলেন ২০১৫-র এপ্রিলে। 
লক্ষ্য করুন, গেরুয়া শিবিরের সোশ্যাল মিডিয়া দখল কিন্তু এক বছরে হয়নি। ২০০৭ সালেই আইআইটি আমেদাবাদের গ্র্যাজুয়েট প্রদ্যোৎ বরার নেতৃত্বে আইটি সেল চালু করেছিল বিজেপি। নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের কর্মকাণ্ডে বিরক্ত হয়ে ২০১৫ সালে গেরুয়া শিবির ছেড়ে বেরিয়ে যান প্রদ্যোৎ। বাজপেয়ি আমলের নেতা প্রদ্যোৎ বরা পরে স্বীকার করেছিলেন, কীভাবে ভোটে জেতার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকে ভুয়ো প্রচারের কাজে ব্যবহার করেছিল বিজেপি। প্রদ্যোৎ বলেছিলেন, ‘‌সত্যের সঙ্গে সমঝোতা করার প্রক্রিয়া বিজেপিতে শুরু হয় ২০১৪ সালে। সেবার নির্বাচনী প্রচারে ছড়ানো হয়েছিল বিভ্রান্তিকর তথ্য। ভুলভাল ভিডিও। এলোমেলো মিম। তবে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে ভুয়ো খবর সরাসরি প্রচার করা হতো না। চুক্তির ভিত্তিতে এই ধরনের প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া হতো অন্য কোনও সংস্থাকে।’ 
‘নরেন্দ্র মোদি’ নামক অতিমানবীয় সত্তার নির্মাণ, অথবা আশি শতাংশ হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতার দেশে ‘হিন্দুরা বিপন্ন’ নামক সম্পূর্ণ অলীক একটি ধারণাকে বহুজনবিশ্বাস্য করে তোলা— একবিংশ শতকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দশকে ভারতে উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির একটি প্রধান চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছিল ফেসবুক। অন্যদিকে, ভারতের মতো বিপুল বাজারে নিজেদের উপস্থিতির প্রাবল্য ক্রমেই বাড়িয়ে চলতে হলে যে দেশের শাসকদের হাতে রাখতে হয়, এ কথা ফেসবুক জানে। শুধু ভারতের ক্ষেত্রেই নয়, কথাটি দুনিয়ার সর্বত্রই সত্য। বিশেষত যেখানে শাসকরা চরিত্রে মূলগতভাবে একাধিপত্যকামী— শাসককে চটালে দেশের বাজারে টিকে থাকা মুশকিল। ফলে, ভারতেই গেরুয়া শিবির ও ফেসবুকের মধ্যে এক আশ্চর্য মিথোজীবী বাস্তুতন্ত্র গড়ে উঠেছে।
২০১২ সালেই ফেসবুকের মতো ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকা সোশ্যাল মিডিয়া পুঁজিপতিদের কাছে বিনিয়োগের লোভনীয় ক্ষেত্র হয়ে ওঠে। এখানে বিজেপির রাজনৈতিক চাহিদার সঙ্গে মিলে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পর্বটি। আবার এর সঙ্গে মিশেছিল এই মাধ্যমের বাজারকে প্রসারিত করে তুলে মুনাফা বৃদ্ধির তাগিদ। সেই কারণেই ২০১৪ সালের নির্বাচনে এই মাধ্যমগুলিকে কাজে লাগানোর জন্য বিজেপির সঙ্গে ডিজিটাল মিডিয়া ও বিজ্ঞাপন ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী পুঁজিপতিদের মধ্যে একটা অঘোষিত জোট তৈরি হয়েছিল। এই জোটই তাদের প্রচারকৌশলে মোদি মিথ তৈরি করে বিজেপিকে এককভাবে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করে।
কারা কারা যুক্ত ছিলেন এই উদ্যোগে? ২০১৪-র লোকসভা ভোটে মোদির হয়ে প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন মুম্বইয়ের রাজেশ জৈন। গুজরাতের মোদি ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ী ছিলেন ৯০-এর দশকের ডটকম ব্যবসার অন্যতম সফল পথিকৃৎ। রাজেশই বিজেপির আইটি স্ট্রাটেজিস্ট। ২০১৪ সালে মোদির ডিজিটাল প্রচারের কৌশল কী হবে তা নিয়ে রাজেশ বৈঠকও করেছিলেন ফেসবুক ও হোয়াটস অ্যাপের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। অভিযোগ, সেই সময় বিজেপির আইটি সেলের সদস্যদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল ফেসবুকের কর্মীরা। রাজেশকে সহযোগিতা করতেন শশীশেখর ভেম্পাতি। একদা ইনফোসিসের পদস্থ কর্তা শশীশেখর পরে হয়েছিলেন প্রসার ভারতী কর্পোরেশেনের সিইও। রাজেশের প্রচার টিমের নাম ছিল ‘‌ফ্রেন্ডস অব বিজেপি’। টিমের সদস্য সংখ্যা ছিল ১০০ জন।
পুনে থেকে উঠে আসা তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের অভিজ্ঞ অধ্যাপক ডক্টর হীরেন যোশি একসময়ে ছিলেন গুজরাতে মোদির ওএসডি। ২০০৮ সালে গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের সময় ডিজিটাল প্রচার চালিয়ে মোদির প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। গান্ধীনগরে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে বসেই তিনি মোদির নির্বাচনী প্রচারের কাজ পরিচালনা করতেন। ফলে ২০১৪-র লোকসভা ভোটের প্রচারে তাঁর গুরুত্ব বাড়ে। মোদি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর যোশি হন পিএমও–র অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি। তিনি দেখেন গবেষণা ও কমিউনিকেশন টেকনোলজি দপ্তর। ব্লুক্রাফট ডিজিটাল ফাউন্ডেশনের সিইও অখিলেশ মিশ্র দেখতেন ভুয়ো খবর প্রচারের ওয়েবসাইট ‘‌দ্য ট্রু পিকচার’‌। এরাই মোদির লেখা বই প্রকাশ করত। নমো টিভির প্রচারের ভিডিও বানাত। পরে অখিলেশ মিশ্র ভারত সরকারের ওয়েবসাইট মাইগভ ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর হন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি-রাজে যুক্ত এরকমই আরও অনেক নাম। 
কেন বিজেপি তাদের আইটি সেলকে এত গুরুত্ব দেয়, তা বোঝা যাবে এদেশে ইন্টারনেট ও সোশাল মিডিয়ার ব্যাপ্তি কতদূর সেদিকে নজর দিলে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের হিসেব অনুযায়ী, এদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬৯ কোটি ২০ লক্ষ। মোট জনসংখ্যার বিচারে ৪৮.‌৭ শতাংশ। জানুয়ারি ২০২৩-এর হিসেবে, এদেশে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪৬ কোটি ৭০ লক্ষ। মানে মোট জনসংখ্যার ৩২.‌৮ শতাংশ বা প্রায় এক তৃতীয়াংশ। বিজেপির আইটি সেলের কর্তা ও প্রাক্তন আইবিএম কর্মী বিনীত গোয়েঙ্কা বলেছিলেন, ২০১৩ সালে যখন লোকসভা ভোটের প্রচার পর্ব শুরু হতে চলেছে তখনই বিজেপির নেটওয়ার্কের সদস্য সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজার। তারাই জোরকদমে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ ও টুইটারে মোদি ও বিজেপির হয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছিল গোটা দেশের সব শহর ও গ্রামীণ ব্লকে। শুধু দেশের মধ্যে নয়, আমেরিকায় এনআরআইদের মধ্যেও বিজেপি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। যাদের কাজ, শুধুই মোদির প্রচার করা। বিনীত গোয়েঙ্কার মন্তব্য, এদেশে ফেসবুক বিজেপিকে চেনায়নি, বিজেপিই ফেসবুককে চিনিয়েছিল।
আমেরিকায় ‘সাইবার সিকিওরিটি ফর ডেমোক্র্যাসি’ নামে একটা সংগঠন একটা রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। ফেসবুকের বিভিন্ন পেজকে ওরা পাঁচ ভাগে ভেঙেছিল— অতি-দক্ষিণপন্থী, দক্ষিণপন্থী, মধ্যপন্থী, বামপন্থী এবং অতি-বামপন্থী। পাঁচ মাস ধরে আশি লক্ষ পোস্টের পরিসংখ্যান বিচার করে জানা গেল যে, অতি-দক্ষিণপন্থী পেজের ভুয়ো খবরে সবচেয়ে বেশি এনগেজমেন্ট হয়। পেজের প্রতি এক হাজার ফলোয়ারপিছু গড়ে ৪২৫ জন তেমন পোস্ট লাইক করেন, তাতে কমেন্ট করেন, শেয়ার করেন। আর মধ্যপন্থী পেজ থেকে যথাযথ তথ্য শেয়ার করলে প্রতি হাজার ফলোয়ারে এনগেজমেন্ট ৮০, বামপন্থী পেজে ১০০, অতি-বামপন্থী পেজে ১৪৫। শুনলে অবাক হবেন, বিজেপির রয়েছে নিজস্ব ২ থেকে ৩ লক্ষ হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ। ‘‌দ্য পলিটিসাইজেশন অব সোশ্যাল মিডিয়া ইন ইন্ডিয়া’‌ প্রবন্ধে জেলভিন জোসে লিখেছেন, বিজেপি গোপনে পরিচালনা করে ১৮ হাজার ভুয়ো টুইটার হ্যান্ডেল। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ফেসবুক–হোয়াটস অ্যাপের কন্টেন্ট যত ব্যক্তিগত চরিত্রের হয় ততই তার আবেদন বেশি।
ফেসবুকের প্রাক্তন ডেটা সায়েন্টিস্ট সোফি ঝ্যাং তথ্যপ্রমাণ পেশ করে জানিয়েছিলেন, ভারতে ফেক অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাটি বিজেপির প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট। অভিযোগটিতে অবশ্য চমকে ওঠার অবকাশ নেই। ভারতে বিজেপির প্রতি ফেসবুকের পক্ষপাতের বহু প্রমাণ আগেও মিলেছে। বিজেপি নেতাদের বিদ্বেষমূলক প্রচারে ফেসবুক সজ্ঞানে নিষ্ক্রিয় থাকছে, এই অভিযোগে তোলপাড় হয়েছিল ২০২০ সাল। সোফি ঝ্যাং বলেছিলেন, বিনা বাধায় অজস্র দক্ষিণপন্থী ফেক অ্যাকাউন্ট রাখতে দেয় ফেসবুক। সেগুলি এইসব পেজের এনগেজমেন্ট বাড়ায়। এনগেজমেন্ট বেশি বলেই ফেসবুকের অ্যালগরিদম সেই পোস্টগুলিকে আরও ছড়িয়ে দেয়। 
আসলে, সাধারণ মানুষের মনে অতি-দক্ষিণপন্থী ভুয়ো খবরের গ্রহণযোগ্যতা সত্য তথ্যের চেয়ে অনেক বেশি। বিভিন্ন গবেষণা বলে, যাদের আইকিউ কম, তারাই অতি-দক্ষিণপন্থী রাজনীতির দিকে আকৃষ্ট হয়। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুর কথায়, দক্ষিণপন্থী অর্থনীতির হাতে সবচেয়ে বেশি মার খেয়েছে যারা, তারাই দক্ষিণপন্থী রাজনীতির সবচেয়ে বড় সমর্থক। কারণ, তাদের আর্থিক বিপন্নতা সব সময় তাদের আইকিউকে চেপে রাখে, আর ফাঁক গলে ঢোকে আদিম রিপুর রাজনীতি। দক্ষিণপন্থী রাজনীতির এই রকম লোকই দরকার, যারা বিশ্বাস করবে, মুসলিমরা সংখ্যায় বেড়ে গেলে হিন্দুদের সব অধিকার কেড়ে নেবে। এই রকম লোককেই দক্ষিণপন্থী রাজনীতির চাই, ভয় দেখালেই যারা প্রবল ভয় পেয়ে যায়।
আর সেই সুযোগেই ঘৃণার কুপ্রচারে গোটা সমাজকে তমসার দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়!
30th  November, 2023
প্রশ্নগুলো তোলা থাক লোকসভা ভোটের জন্য
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রশ্ন ১: এক্সিট পোলে প্রায় সব জাতীয় সংবাদমাধ্যমই জিতিয়ে দিয়েছিল কংগ্রেসকে। ঠিক তখনই সাংবাদিক সম্মেলন ডাকলেন রামন সিং। ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
বিশদ

পাঁচ রাজ্যের ভোটে আপনার সেরা বাজি কারা?
পি চিদম্বরম

এই নিবন্ধটি লিখেছি গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর)। সেদিনই ভোট নেওয়া হয়েছে তেলেঙ্গানায়। ওইসঙ্গেই শেষ হয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন।
বিশদ

03rd  December, 2023
ভোটের গন্ধেই ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু
হিমাংশু সিংহ

এই লেখা যখন আজ পাঠকের হাতে পৌঁছচ্ছে তখন সবাই উদগ্রীব তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসের উত্থান দেখতে। মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান মোদি না সোনিয়া গান্ধী, কার কপালে জনগণ জয়তিলক পরিয়ে দিল তা জানতে। 
বিশদ

03rd  December, 2023
এলেন, দেখলেন, কিন্তু জয় হল কি?
তন্ময় মল্লিক

এলেন, দেখলেন এবং ফিরে গেলেন। উদ্দেশ্য ছিল জয় করার। কিন্তু পারলেন কি? বঙ্গ বিজেপিকে অক্সিজেন জোগাতে এসে অমিত শাহ বাড়িয়ে দিলেন অস্বস্তি। তুলে দিয়ে গেলেন একগুচ্ছ প্রশ্ন। কী সেই প্রশ্ন? এক, অমিত শাহ বাংলা থেকে তাঁর ৩৫ আসনের দাবির কথা কেন কর্মীদের ফের স্মরণ করিয়ে দিলেন না? বিশদ

02nd  December, 2023
উত্তরকাশী সুড়ঙ্গ শেখালো ঐক্যের শক্তি
সমৃদ্ধ দত্ত

শাবা আহমেদের কাছে আমরা একটা শিক্ষা পেলাম। পুরনো শিক্ষা। নতুন করে। তিনি শিক্ষা দেবেন বলে বলেছেন এমন নয়। খুবই স্বাভাবিকভাবে বলছিলেন কথাগুলো। কিন্তু প্রতিটি বাক্যে আমরা বুঝলাম হ্যাঁ, এটাই হল সফল, সুখী আর মনের শক্তি অর্জনের চাবিকাঠি। বিশদ

01st  December, 2023
জো হুজুর রাজ্যপাল ও পদের কলঙ্ক আখ্যান
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি কথায় সুপ্রিম কোর্ট বুঝিয়ে দিয়েছে, এই মুহূর্তে বিরোধী রাজ্যগুলিতে অভিষিক্ত রাজ্যপালরা কেমন কাজ করছেন। অত্যন্ত ভর্ৎসনার সুরেই দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি রাজ্যপালদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না।’
বিশদ

29th  November, 2023
কেসিআরের পথ এবার কিন্তু সহজ নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

তেলুগু রাজনীতিতে পবন কল্যাণ এক অদ্ভুত চরিত্র। আম ভারতীয়রা তাঁকে চিরঞ্জীবির ভাই হিসেবে চেনে। দক্ষিণে তিনি নিজেও কিন্তু বেশ জনপ্রিয় অভিনেতা। 
বিশদ

28th  November, 2023
ঔপনিবেশিক আইন রচয়িতাদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ!
পি চিদম্বরম

ইন্ডিয়ান পেনাল কোড (আইপিসি) ১৮৬০, ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট ১৮৭২ এবং কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (সিআরপিসি) ১৯৭৩ হল—ফৌজদারি আইনের ‘ট্রিনিটি’ বা একটির ভিতরে তিনটির সমন্বয়। আইপিসি বা ভারতীয় দণ্ডবিধির রচয়িতা ছিলেন থমাস ব্যাবিংটন ম্যাকলি। বিশদ

27th  November, 2023
ভোট এলেই মমতার পথ অনুসরণ
হিমাংশু সিংহ

পাঁচ রাজ্যের ভোটে তিনি প্রচারে যাননি, তাঁর দলও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না। কিন্তু না থেকেও তিনি আছেন ষোলো আনা। বোঝা গেল, এখনও তিনিই ভারতীয় রাজনীতির এক নম্বর চালিকাশক্তি। সমালোচনা করতেও আবার অনুসরণ করতেও। বিশদ

26th  November, 2023
ব্রিগেডে গীতাপাঠ কি বিজেপির রেকি?
তন্ময় মল্লিক

এক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে বাংলা। ২৪ ডিসেম্বর কলকাতায় হবে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের অনুষ্ঠান। মাস তিনেক পরই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ‘টেস্টিং গ্রাউন্ড’ ব্রিগেডে গীতপাঠ। বিশদ

25th  November, 2023
ইন্ডিয়া জোট কোথায়? কংগ্রেস একটু ভাবুক
সমৃদ্ধ দত্ত

কিছুকাল আগেও শাহরুখ খান ছিলেন বিজেপি সমর্থকদের কাছে চক্ষুশূল। তাঁর সিনেমা রিলিজ করলে বয়কটের ডাক দেওয়া হতো। এই সেদিনও ‘পাঠান’ রিলিজ করার আগে একটি নাচগানের দৃশ্য নিয়ে আপত্তি ওঠে। ঝড় তোলা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিশদ

24th  November, 2023
আইজলের অভিমান, জোরামের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

সুখের সংজ্ঞা কী! দেশের অন্যতম সুখী রাজ্যের মানুষ তা জানেন কি? গত কয়েক বছরে সেই রাজ্যে অসন্তোষের কারণ কম নয়। নাগরিকত্ব আইন সংশোধনীর বিরুদ্ধে আন্দোলনে রাস্তায় নেমে প্রকাশ্যে ‘হ্যালো চায়না, বাই বাই ইন্ডিয়া’ স্লোগান-পোস্টার উঁচিয়ে মিছিল করেছেন মিজোরা।
বিশদ

23rd  November, 2023
একনজরে
২০০৪ সাল। ভারতীয় ফুটবলে সাড়া জাগানো নাম মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড। ম্যানেজমেন্টের আন্তরিকতা দেখে সই করতে দ্বিধা করিনি। মরশুমের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। কিন্তু বিনা মেঘে বজ্রপাত। একদিন অনুশীলনের আগে হঠাৎ ডাক পড়ল। ...

আচমকা চিতাবাঘের দেখা! দক্ষিণ দিল্লির নেব সরাইয়ে এই ঘটনায় প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বন্য পশুটির খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। ...

জবজের চিত্রগঞ্জ কালীবাড়িতে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের আনাগোনা দিনে দিনে বাড়ছে। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসছেন। ...

আজ, মঙ্গলবার বালুরঘাট এয়ারপোর্ট পরিদর্শনে আসছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি দল। আজ সকাল ১০টা নাগাদ ওই প্রতিনিধি দল বালুরঘাট এয়ারপোর্ট পরিদর্শন করবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৫ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯২ টাকা ১০৭.৩৯ টাকা
ইউরো ৮৯.১৩ টাকা ৯২.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৩,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬০,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৬,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৬,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী ৪৬/১৯ রাত্রি ১২/৩৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ৫৩/৪৯ রাত্রি ৩/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৬/১৪, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৫/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৭ মধ্যে। 
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী রাত্রি ১১/২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ২/৫৯। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বচসার জেরে গুলি চালানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার অভিনেতা ভূপিন্দর সিং, মৃত ১, জখম ৩

08:26:58 PM

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেবন্ত রেড্ডিই, জানাল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব

07:00:00 PM

ভাইফোঁটায় সলমন খানকে আমন্ত্রণ মমতার

06:56:35 PM

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে জুন মালিয়া, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়

06:45:00 PM

কেউ আমাদের ভাগ করতে পারবে না: মমতা

06:44:48 PM

বাংলা এখন ফিল্ম ডেস্টিনেশন হতে পারে: মমতা

06:43:53 PM