Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভোট এলেই মমতার পথ অনুসরণ
হিমাংশু সিংহ

পাঁচ রাজ্যের ভোটে তিনি প্রচারে যাননি, তাঁর দলও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না। কিন্তু না থেকেও তিনি আছেন ষোলো আনা। বোঝা গেল, এখনও তিনিই ভারতীয় রাজনীতির এক নম্বর চালিকাশক্তি। সমালোচনা করতেও আবার অনুসরণ করতেও। তিনি না থাকলে বিরোধী জোট জৌলুস হারায়, আবার উপস্থিত হলে কার পাশে বসলেন, রাহুল, লালু না ইয়েচুরি। তা নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে ঝড় বয়ে যায়। সদ্যসমাপ্ত দু’দিনের সফল শিল্প সম্মেলন দেখে কেউ অতীত ইতিহাস ঘেঁটে তির্যক হাসি হাসে। আবার এক অঙ্গরাজ্যে দেশ বিদেশের তাবড় শিল্পপতিদের এমন ‘মহাকুম্ভ’ দেখে কারও ঈর্ষা হয়। ৪ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ দেখে চোখ কপালে ওঠে। তাঁকে শায়েস্তা করতে ইডি, সিবিআই সবাই কোমর বাঁধে। তাতেও কাজ না হলে এজেন্সি দিয়ে গোটা দলটাকে জেলে পোরার চক্রান্ত তৈরি হয় দিল্লিতে শাসক গেরুয়া শিবিরের সাততারা প্রাসাদে। আবার রাজ্যে রাজ্যে ভোটের লড়াই কঠিন হলে তাঁর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী সহ জনমুখী প্রতিটি প্রকল্প বেমালুম চুরি থুড়ি কপি করে বিজেপি, কংগ্রেস সহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। বামেরা নাক সিঁটকোয়। তবু এই বঙ্গে কারওর ভোটব্যাঙ্ক ফেরে না। তাঁর ব্যক্তিত্বের মাহাত্ম্যে বাকিদের জামানত জব্দই ভবিতব্য।
এত আঘাত সত্ত্বেও ভোটবাক্সে তাঁর ম্যাজিক অটুট থাকে কী করে, তার তল খোঁজা ভার। রাজনীতিতে চার দশকেরও বেশি সময় কাটিয়েও ঘৃণা, অবহেলা, অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসন্ন চব্বিশ সালের মহারাজনৈতিক প্রলয়ের প্রাক্কালেও তিনি সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। এবং ১২ বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকার পরও দেশের এক নম্বর স্ট্রিট ফাইটার। তৃণমূলে স্বাধীনতা কতটা, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অথচ সেই দলেরই মুখপাত্র প্রকাশ্যে সরকারি কাজের সমালোচনা করার সাহস পান। প্রতিক্রিয়া জানতে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে প্ল্যানচেট করার ইচ্ছা হয়। লঘু দোষে গুরু দণ্ড হয়েছিল তাঁর। আর মমতার তৃণমূলে? যে যাই বলুন, যতই কাদা ছেটান, এক বিরল ব্যক্তিত্বের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁরা তাঁর সমালোচনা করেন, উঠতে বসতে কটাক্ষ ছুড়ে দেন, তাঁরাই আবার ভোট বৈতরণী পার হতে তাঁর নীতিই অনুসরণ করেন অবলীলায়।   
তাঁর দলের কারও দশ, বিশ, চল্লিশ কোটি টাকার সম্পত্তি বাড়লে ইডি ঘরে সিঁধ কাটে। আর রাজস্থানে পাঁচ বছরে কোনও ঩বিজেপি বিধায়কের প্রায় একশো কোটির সম্পত্তি বাড়লেও সবাই চুপচাপ। গেরুয়া প্রোটেকশন! এজেন্সি ত্রিসীমানা মাড়ায় না।
দুটো উদাহরণ দেব: সিদ্ধিকুমারী। বয়স ৫০। বিকানির পূর্ব বিধানসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী। চতুর্থবার বিধায়ক হওয়ার জন্য লড়ছেন। সবে রাজস্থানে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বিগত পাঁচ বছরে সিদ্ধিকুমারীর সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ ২৪ গুণ। ২০১৮ সালে শেষ যেবার রাজস্থানে ভোট হয়, তখন তাঁর সম্পত্তি ছিল ৪ কোটি ৬৬ লক্ষ। আর এবার ভোটে তিনি যে খতিয়ান দিয়েছেন তাতে ধনসম্পদ বেড়ে হয়েছে ১০২ কোটি ২৭ লক্ষ। নিট বৃদ্ধির পরিমাণ সাড়ে ৯৭ কোটি টাকা। তবু তিনি জানেন, আয়কর দপ্তর, ইডি, সিবিআই কেউ তাঁর এই ‘সৎপথ’-এ চমকপ্রদ ফুলে ফেঁপে ওঠার কিস্সা দেখে মুচকি হাসলেও দিনেরাতে কখনও দরজায় কড়া নাড়বে না। প্রশ্ন তুলবে না। বাড়িতে ঢুকে লকার, ব্যাঙ্কের কাগজপত্র ঘাঁটবে না। কারণ, তিনি কেন্দ্রের শাসকদলের সক্রিয় নেত্রী এবং বিধানসভা ভোটে বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী। এটাই স্বাধীনতার ৭৫ বছরে এক রাজনীতিকের শ্রেষ্ঠ রক্ষাকবচ! আগামী রবিবার রাজস্থানে পালাবদল হলে তিনি গেরুয়া সরকারের মন্ত্রীও হয়ে যেতে পারেন। পাঁচ বছর পরে, ২০২৮ সালে যখন আবার রাজস্থানে ভোট হবে তখন সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ ৪৮ গুণ হয় কি না, সেদিকেই নজর থাকবে সবার। আর মোদিজির এক দেশ এক ভোটের চক্করে নির্বাচনটাই না মুছে যায় তাহলে ওসব হিসেব দেওয়ার দায়ই থাকবে না কারও।
লাফিয়ে সম্পদ বৃদ্ধির তালিকায় আর এক উদাহরণ, গেরুয়া দলের চেতন কাশ্যপ। বয়স ৫৪। আর এক সদ্য বিধানসভা ভোট সম্পন্ন হওয়া রাজ্য মধ্যপ্রদেশের রতলাম সিটি কেন্দ্রের প্রার্থী। পাঁচ বছরে তাঁর সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ প্রায় ৯২ কোটি টাকা। পাঁচ বছর আগের ভোটে চেতনের সম্পদের পরিমাণ ছিল ২০৪ কোটি টাকার মতো। চলতি বছরের নির্বাচনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯৬ কোটি। তিনিও বিলক্ষণ জানেন ইডি, সিবিআইয়ের নজর যেহেতু শুধু পশ্চিমবঙ্গে, আরও নির্দিষ্টভাবে তৃণমূলের দিকে, তাই তাঁর সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তোলে কার সাধ্য? কেন্দ্রীয় এজেন্সির নজর আপাতত ইন্ডিয়া জোটের সদস্যদের দিকে, যাতে চব্বিশের লড়াইয়ের আগে জেলে পুরে তাঁদের সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া যায়। গেরুয়া নেতানেত্রীদের সম্পদ, স্থাবর ও অস্থাবর যতই বাড়ুক, তার বিন্দু বিসর্গ খতিয়ে দেখার কোনও প্রয়োজন নেই। স্বয়ংশাসিত ইডির কর্তারা জানেন, ওটা ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ এর পরিপন্থী। নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ। তাই যত রেইড, যত তল্লাশি সব তৃণমূল, আপ সহ বিরোধী শাসিত রাজ্যে। এবং অবশ্যই অবাধ্য শিল্পপতিদের ডেরায়। তাঁরাও টের পাচ্ছেন এই আমরা-তোমরার টানাপোড়েন। একদল শিল্পপতি হাজার হাজার কোটির সম্পদ লুটে নিয়ে দিব্যি বিদেশে বহাল তবিয়তে। সঙ্গে বিদেশের পরিষ্কার আবহাওয়া। এদেশের দূষণ তাঁদের আয়ু কমাচ্ছে না। আর যাঁরা কেন্দ্রের শাসকদলকে পুজো না দিয়েই ব্যবসা করছেন, তাঁদের ঘরে রোজ হানা। টুঁটি চেপে ধরার সবরকম আয়োজন। রাজনীতিকদের মতোই ব্যবসায়ীরাও তাই ‘আমরা ওরা’র গেরোয় দু’ভাগ। আর গরিব মানুষের চাকরি নেই, ব্যবসা লাটে এবং মূল্যবৃদ্ধি চরমে। তাহলে লাভবান কারা?
এই আবহেই অষ্টাদশ সাধারণ নির্বাচনের পাঁচ মাস আগে পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফল বেরবে আগামী রবিবার। মধ্যিখানে সাত দিন, ১৬৮ ঘণ্টা। তারপর সকাল হতেই একে একে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও রাজস্থানে কোন দলের সরকার গঠিত হবে তার খতিয়ান জানার পালা। রেউড়ি বনাম রেউড়ির যুদ্ধে শেষ হাসি হাসবে কে? মোদির বিজেপি না রাহুলের কংগ্রেস। বলা বাহুল্য, এই পাঁচ রাজ্যের ফলই গড়ে দেবে শাসক, বিরোধীদের ভবিষ্যৎ। ছ’মাস পর কে দখল করবে দিল্লির ক্ষমতা, ইঙ্গিত মিলবে তারও।
রেউড়ি কথাটা এই বঙ্গে মোটেই খুব পরিচিত নয়। কিন্তু চলতি পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন পর্বে সম্ভবত সর্বাধিক আলোচিত শব্দবন্ধ। কেন? কারণ ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে সেই রেউড়ি বিলানোয় সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি। গোটা হিন্দি বলয়ে। পিছিয়ে নেই কংগ্রেসও। অথচ এই সেদিনও এই পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতির বিরুদ্ধে ছিলেন বিজেপির থিঙ্কট্যাঙ্করা। প্রথমটায় ঘোর বিরোধিতা করেছিলেন ১০০ দিনের কাজেরও। ভর্তুকি তুলে দেওয়ার কথাও বলেছিলেন। কিন্তু নোটবন্দি যেমন কালো টাকার ত্র্যহস্পর্শ থেকে দেশকে মুক্ত করতে পারেনি, তেমনি কর্মসংস্থান, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের মতো বেসিক কাজগুলি করতেও ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রের বিগত দশ বছরের সরকার। তাই অগত্যা নথ ভেঙে রেউড়িতেই আস্থা। আবার শোনা যাচ্ছে, মমতার কন্যাশ্রীর ধাঁচে কেন্দ্রীয় সরকারও আনছে রমণীদের মন জয় করা আকর্ষণীয় প্রকল্প। 
বিজেপির সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে কংগ্রেসও অনেকটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথই অনুসরণ করছে। রাজস্থানে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে, তা সম্ভবত এবারের সবচেয়ে কঠিন লড়াই। সেখানে কংগ্রেসের হয়ে একা লড়াইয়ে অবতীর্ণ ৭২ বছরের চির যুবক অশোক গেহলট। যদি তিনি এই নির্বাচনে জয়ের হাসি হাসেন, তাহলে কংগ্রেসের ইতিহাসে অন্যতম সফল মুখ্যমন্ত্রীর সম্মান পাবেন। অভিমানে হতে পারে কিংবা প্রবল হতাশা, এই লড়াইয়ে সেভাবে বুক চিতিয়ে লড়তে দেখা যায়নি শচীন পাইলটকে। কিন্তু তবুও কংগ্রেস জিতবে এবং সেই জয় আসবে সম্পূর্ণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফর্মুলায়। গেহলট ঘোষণা করেছেন, ভোটে জিতে এলে মহিলাদের বছরে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেরই রিমেক দেখছে রাজস্থান। ৫০০ টাকায় রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার। ২ টাকা কেজি দরে গোবর। মহিলাদের জন্য মোবাইল। ল্যাপটপ। এছাড়া স্বাস্থ্যবিমা। একদম মমতার পথেই মোদিজির রাজস্থান জয়ের স্বপ্ন রুখে দেওয়ার কৌশল নিয়ে এগিয়েছেন গেহলট। মধ্যপ্রদেশে কমল নাথের পাশে আছেন দিগ্বিজয় সিং’রা। অনেকটা শোলের ‘জয় আর বীরু’র মতো। কিন্তু রাজস্থানে একা কুম্ভ রক্ষায় ব্রতী ৭২ বছরের চির তরুণ গেহলটজি। আগামী রবিবার ফল বেরলে যদি তিনি পারিবারিক জাদু ব্যবসার কিছুমাত্র ঝলক দেখাতে পারেন তাহলে শুধু রাজস্থান নয়, গোটা দেশে বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের পালে দমকা হাওয়া খেলে যাবে। রাজ্যে রাজ্যে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হবে এবং মোতেরা স্টেডিয়ামে যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর চোখের সামনে টিম ভারতকে অল্পের জন্য ক্রিকেট বিশ্বকাপ হারাতে হয়েছে, তেমনি টিম মোদি-শাহকে দিল্লির গদি হারাতে হবে! আবারও প্রমাণ হবে, ভারতীয় গণতন্ত্রে ব্যক্তি পুজোর স্থান সীমিত। এদেশে গণতন্ত্রের ৭৫ বছরের অভিযাত্রায় এমন চেষ্টা যে এই প্রথম, তা বলা যাবে না। আগে হয়েছে এবং একইসঙ্গে সেই শাসককুলকে পত্রপাঠ প্রত্যাখ্যান করে সাধারণ নাগরিকরা প্রমাণ করে দিয়েছেন, এদেশে শেষকথা বলবে মানুষ। কোনও ধর্ম, বিশ্বাস, প্রতিস্পর্ধী মত ও পথকে অসম্মান না-করেও দেশ চলবে সাধারণ নাগরিকের দৈনন্দিন চাহিদা মেনে। কোনও নেতা কিংবা কোনও বিশেষ ধর্মীয় সংগঠনের গোলামি করে নয়। এই সংবিধানকে সংখ্যার জোরে চুপ করিয়ে দিয়ে নিজের দিকে ঝোল টানতে যে-ই সচেষ্ট হবে, ইতিহাস মুছে দেবে তাঁকেই।  
আগামী ৩ ডিসেম্বর তাই ভারতীয় রাজনীতির উত্থান-পতনের এক অবিচ্ছিন্ন কালখণ্ড শুধু নয়, গণতন্ত্রের উৎসবের নতুন অধ্যায়ের শুভ মহরতও। চব্বিশের উত্থান-পতন, রাজনৈতিক ওঠা-পড়ার ঩দিগ্‌঩নির্দেশ শোনার অপেক্ষায় আমরা অধীর। সংবিধান বাঁচবে না ব্যক্তিতন্ত্র। আগামী রবিবারই তার ফয়সালা। 
26th  November, 2023
প্রশ্নগুলো তোলা থাক লোকসভা ভোটের জন্য
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রশ্ন ১: এক্সিট পোলে প্রায় সব জাতীয় সংবাদমাধ্যমই জিতিয়ে দিয়েছিল কংগ্রেসকে। ঠিক তখনই সাংবাদিক সম্মেলন ডাকলেন রামন সিং। ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
বিশদ

পাঁচ রাজ্যের ভোটে আপনার সেরা বাজি কারা?
পি চিদম্বরম

এই নিবন্ধটি লিখেছি গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর)। সেদিনই ভোট নেওয়া হয়েছে তেলেঙ্গানায়। ওইসঙ্গেই শেষ হয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন।
বিশদ

03rd  December, 2023
ভোটের গন্ধেই ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু
হিমাংশু সিংহ

এই লেখা যখন আজ পাঠকের হাতে পৌঁছচ্ছে তখন সবাই উদগ্রীব তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসের উত্থান দেখতে। মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান মোদি না সোনিয়া গান্ধী, কার কপালে জনগণ জয়তিলক পরিয়ে দিল তা জানতে। 
বিশদ

03rd  December, 2023
এলেন, দেখলেন, কিন্তু জয় হল কি?
তন্ময় মল্লিক

এলেন, দেখলেন এবং ফিরে গেলেন। উদ্দেশ্য ছিল জয় করার। কিন্তু পারলেন কি? বঙ্গ বিজেপিকে অক্সিজেন জোগাতে এসে অমিত শাহ বাড়িয়ে দিলেন অস্বস্তি। তুলে দিয়ে গেলেন একগুচ্ছ প্রশ্ন। কী সেই প্রশ্ন? এক, অমিত শাহ বাংলা থেকে তাঁর ৩৫ আসনের দাবির কথা কেন কর্মীদের ফের স্মরণ করিয়ে দিলেন না? বিশদ

02nd  December, 2023
উত্তরকাশী সুড়ঙ্গ শেখালো ঐক্যের শক্তি
সমৃদ্ধ দত্ত

শাবা আহমেদের কাছে আমরা একটা শিক্ষা পেলাম। পুরনো শিক্ষা। নতুন করে। তিনি শিক্ষা দেবেন বলে বলেছেন এমন নয়। খুবই স্বাভাবিকভাবে বলছিলেন কথাগুলো। কিন্তু প্রতিটি বাক্যে আমরা বুঝলাম হ্যাঁ, এটাই হল সফল, সুখী আর মনের শক্তি অর্জনের চাবিকাঠি। বিশদ

01st  December, 2023
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি-রাজ!
মৃণালকান্তি দাস

ভিক্ট্রি ল্যাব: দ্য সিক্রেট সায়েন্স অব উইনিং ক্যাম্পেনস। বইটিতে মার্কিন সাংবাদিক সাশা আইজেনবার্গের লিখেছিলেন, নির্বাচনের সময় সোশ্যাল মিডিয়া নির্বাচকদের মতামতকে কতটা প্রভাবিত করতে পারে, তার প্রথম সফল পরীক্ষা–নিরীক্ষা হয়েছিল আমেরিকায়। বিশদ

30th  November, 2023
জো হুজুর রাজ্যপাল ও পদের কলঙ্ক আখ্যান
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি কথায় সুপ্রিম কোর্ট বুঝিয়ে দিয়েছে, এই মুহূর্তে বিরোধী রাজ্যগুলিতে অভিষিক্ত রাজ্যপালরা কেমন কাজ করছেন। অত্যন্ত ভর্ৎসনার সুরেই দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি রাজ্যপালদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না।’
বিশদ

29th  November, 2023
কেসিআরের পথ এবার কিন্তু সহজ নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

তেলুগু রাজনীতিতে পবন কল্যাণ এক অদ্ভুত চরিত্র। আম ভারতীয়রা তাঁকে চিরঞ্জীবির ভাই হিসেবে চেনে। দক্ষিণে তিনি নিজেও কিন্তু বেশ জনপ্রিয় অভিনেতা। 
বিশদ

28th  November, 2023
ঔপনিবেশিক আইন রচয়িতাদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ!
পি চিদম্বরম

ইন্ডিয়ান পেনাল কোড (আইপিসি) ১৮৬০, ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট ১৮৭২ এবং কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (সিআরপিসি) ১৯৭৩ হল—ফৌজদারি আইনের ‘ট্রিনিটি’ বা একটির ভিতরে তিনটির সমন্বয়। আইপিসি বা ভারতীয় দণ্ডবিধির রচয়িতা ছিলেন থমাস ব্যাবিংটন ম্যাকলি। বিশদ

27th  November, 2023
ব্রিগেডে গীতাপাঠ কি বিজেপির রেকি?
তন্ময় মল্লিক

এক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে বাংলা। ২৪ ডিসেম্বর কলকাতায় হবে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের অনুষ্ঠান। মাস তিনেক পরই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ‘টেস্টিং গ্রাউন্ড’ ব্রিগেডে গীতপাঠ। বিশদ

25th  November, 2023
ইন্ডিয়া জোট কোথায়? কংগ্রেস একটু ভাবুক
সমৃদ্ধ দত্ত

কিছুকাল আগেও শাহরুখ খান ছিলেন বিজেপি সমর্থকদের কাছে চক্ষুশূল। তাঁর সিনেমা রিলিজ করলে বয়কটের ডাক দেওয়া হতো। এই সেদিনও ‘পাঠান’ রিলিজ করার আগে একটি নাচগানের দৃশ্য নিয়ে আপত্তি ওঠে। ঝড় তোলা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিশদ

24th  November, 2023
আইজলের অভিমান, জোরামের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

সুখের সংজ্ঞা কী! দেশের অন্যতম সুখী রাজ্যের মানুষ তা জানেন কি? গত কয়েক বছরে সেই রাজ্যে অসন্তোষের কারণ কম নয়। নাগরিকত্ব আইন সংশোধনীর বিরুদ্ধে আন্দোলনে রাস্তায় নেমে প্রকাশ্যে ‘হ্যালো চায়না, বাই বাই ইন্ডিয়া’ স্লোগান-পোস্টার উঁচিয়ে মিছিল করেছেন মিজোরা।
বিশদ

23rd  November, 2023
একনজরে
আমেরিকায় ফের শ্যুটআউট। এবার ডালাসের একটি বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজনের মৃত্যু হল। ...

পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে গিয়ে উত্তরপ্রদেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল সালার থানার খাড়েরা গ্রামের এক যুবকের। মৃতের নাম বাদশা শেখ (২৪) । গ্রামের অঞ্চলপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। মাসতিনেক আগে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজে সেখানে গিয়েছিলেন। ...

২০০৪ সাল। ভারতীয় ফুটবলে সাড়া জাগানো নাম মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড। ম্যানেজমেন্টের আন্তরিকতা দেখে সই করতে দ্বিধা করিনি। মরশুমের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। কিন্তু বিনা মেঘে বজ্রপাত। একদিন অনুশীলনের আগে হঠাৎ ডাক পড়ল। ...

জবজের চিত্রগঞ্জ কালীবাড়িতে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের আনাগোনা দিনে দিনে বাড়ছে। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৫ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯২ টাকা ১০৭.৩৯ টাকা
ইউরো ৮৯.১৩ টাকা ৯২.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৩,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬০,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৬,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৬,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী ৪৬/১৯ রাত্রি ১২/৩৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ৫৩/৪৯ রাত্রি ৩/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৬/১৪, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৫/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৭ মধ্যে। 
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী রাত্রি ১১/২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ২/৫৯। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বচসার জেরে গুলি চালানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার অভিনেতা ভূপিন্দর সিং, মৃত ১, জখম ৩

08:26:58 PM

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেবন্ত রেড্ডিই, জানাল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব

07:00:00 PM

ভাইফোঁটায় সলমন খানকে আমন্ত্রণ মমতার

06:56:35 PM

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে জুন মালিয়া, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়

06:45:00 PM

কেউ আমাদের ভাগ করতে পারবে না: মমতা

06:44:48 PM

বাংলা এখন ফিল্ম ডেস্টিনেশন হতে পারে: মমতা

06:43:53 PM