Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

উত্তরকাশী সুড়ঙ্গ শেখালো ঐক্যের শক্তি
সমৃদ্ধ দত্ত

শাবা আহমেদের কাছে আমরা একটা শিক্ষা পেলাম। পুরনো শিক্ষা। নতুন করে। তিনি শিক্ষা দেবেন বলে বলেছেন এমন নয়। খুবই স্বাভাবিকভাবে বলছিলেন কথাগুলো। কিন্তু প্রতিটি বাক্যে আমরা বুঝলাম হ্যাঁ, এটাই হল সফল, সুখী আর মনের শক্তি অর্জনের চাবিকাঠি। যাঁকে তিনি এই কথাগুলো বলছিলেন, সেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও আশা করা যায় শাবা আহমেদের মনের কথা শুনতে ভালোই লেগেছে। 
উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন কর্মী যখন অবশেষে মুক্তি পেলেন, তখন গোটা দেশবাসী স্বস্তি পেলেন। ১৭ দিন পর খোলা আকাশের বাতাস পেলেন তাঁরা। দেশে এল দমবন্ধ করা অপেক্ষার অবসান। এই আটকে পড়া নির্মাণকর্মীদের সঙ্গে বুধবার ফোনে কথা বলছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদি ছিলেন দিল্লিতে। নিজের দপ্তরে। আর ওই কর্মীরা ছিলেন উত্তরাখণ্ডে। ফোন ছিল স্পিকারে। যাতে উভয়ের কথা সকলেই শুনতে পায়। 
প্রধানমন্ত্রী তাঁদের কাছে নিজের উদ্বেগ এবং স্বস্তির বার্তা দেওয়ার পর তাঁদের মনোভাব জানতে চেয়েছিলেন। একটি ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থার কর্মী ওই সুড়ঙ্গ নির্মাণে যুক্ত শাবা আহমেদ বলছিলেন, স্যার, আমরা প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। যখন থেকে খাবার পাওয়া গেল পাইপের মাধ্যমে তারপর থেকে আমাদের মধ্যে কোনও ভয় ছিল না। আর স্যার, আর কিন্তু এক মুহূর্তের জন্যও মনোবল হারাইনি। কেন জানেন স্যার? কারণ আমরা ৪১ জন একসঙ্গে ছিলাম। এই ৪১ জন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা। ভাষা আলাদা। কিন্তু আমরা সব একজোট ছিলাম প্রতিটি মুহূর্তে। কারও কোনও সমস্যা তৈরি হলে, আমরা সবাই একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তাম। তার পাশে দাঁড়াতাম। একসঙ্গে খাওয়ার পর রাতে টানেলের মধ্যে কয়েক কিলোমিটার হাঁটতাম শরীর সুস্থ রাখার জন্য। সকালে যোগব্যায়াম করতাম। এই যে একসঙ্গে ছিলাম, এই কারণেই আমাদের মনের জোর কমেনি। 
কারা ছিলেন সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ওই ৪১ জনের মধ্যে? বিহারের এই শাবা আহমেদ, উত্তরাখণ্ডের গব্বর সিং নেগি, পশ্চিমবঙ্গের জয়দেব প্রামাণিক, মনির তালুকদার, শৌভিক পাখিরা, ওড়িশার তপন মণ্ডল, ঝাড়খণ্ডের বিশ্বজিৎ কুমার...। শাবা আহমেদরা ১৭ দিন একটি পাহাড়ি এলাকায় সুড়ঙ্গের মধ্যে থেকে উপলব্ধি করেছেন যে, একতার কী শক্তি। আমরা খোলা আকাশের নীচে কিন্তু সেটা বুঝতে পারছি না। আমরা বিভাজনের ফাঁদে পা দিচ্ছি। আর রাজনৈতিক দল ধর্মীয় বিভাজনের জাল ছড়াচ্ছে বারংবার। 
শাবা আহমেদের ওই কথাগুলো শুনে আমরা বুঝতে পারছি যে, উত্তরাখণ্ডের ওই সুড়ঙ্গটি আদতে ওই ৪১ জনের কাছে একটি মিনি ভারতবর্ষ হয়ে উঠেছিল। তাঁরা একটি অন্ধকারে আটকে পড়েছিলেন। সেখানে থেকে আলোর দিকে বেরতে হবে। এই ছিল লক্ষ্য। সেই আলোর দিকে আসার লক্ষ্য পূরণ করতে সর্বাগ্রে তাঁরা সকলেই ওই মিনি ভারতবর্ষের প্রত্যেক নাগরিক স্থির করেছিলেন জাত, ধর্ম, ভাষার ব্যবধানকে সরিয়ে দিতে হবে। সকলের আগে দরকার একে অন্যের হাত ধরে থাকা। দুর্বলকে শক্তি জোগানো। শক্তিমানকে নানাভাবে সাহায্য করা। এভাবে একসঙ্গে খেয়েছেন। একসঙ্গে হেঁটেছেন। একসঙ্গে যোগব্যায়াম করেছেন। একসঙ্গে কেউ হিন্দু দেবতাকে, কেউ আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছেন। ঐক্যই শক্তি তাঁরা প্রমাণ করে দিয়েছেন। 
এই ৪১ জন তো সুড়ঙ্গের মধ্যে ছিলেন। কিন্তু তাঁদের বাইরে বের করে আনার অসাধ্য সাধন যাঁরা করলেন সেই র‌্যাট হোল মাইনিং শ্রমিকরা কারা? ৬ জন দিল্লির। ৬ জন উত্তরপ্রদেশের। যখন ড্রিল মেশিন ব্যর্থ হল সুড়ঙ্গ খুঁড়তে, তখন এই ৬ জনের উপর এসে দায়িত্ব পড়ল। ২০ থেকে ৪৫ বছর বয়সি তাঁরা। 
তাঁদের নাম ঩কি? হাসান, মুন্না কুরেশি, নাসিম মালিক, মনু কুমার, সৌরভ, যতীন কুমার, অঙ্কুর, নাসির খান, দেবেন্দ্র, ফিরোজ কুরেশি, রশিদ আনসারি এবং ইরশাদ আনসারি।  দিল্লি জল বোর্ডের কর্মী। তাঁদের কাজই হল পাইপে ঢুকে ইঁদুরের মতো মাটি খোঁড়া। 
ওই কর্মীরা বলেছেন, সাধারণ সময়ে এই কাজটি অন্তত ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে তো অত সময় নেওয়া যাবে না। কারণ, তাঁরা তো আর জলের পাইপ বসাচ্ছেন না। মানুষের প্রাণ রক্ষা করছেন। সুতরাং অমানুষিক পরিশ্রমে ২৭ ঘণ্টায় সাফল্য এসেছে।
আমরা নামগুলো লক্ষ্য করেছি তো? যাঁরা ভিতরে আটকে পড়েছেন! যাঁরা বাইরে থেকে রক্ষা করার কাজে নেমেছেন! আমাদের কাজী নজরুল ইসলামের কবিতাটি মনে পড়েছে তো? ‘হিন্দু না মুসলিম? ওই জিজ্ঞাসে কোন জন? কাণ্ডারী! বল ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মার’। এই যে ৪১ প্লাস ১২। অর্থাৎ মৃত্যুগুহায় আটক ও উদ্ধারকর্তা মোট ৫৩ জন ভারতবাসী ১৪০ কোটি দেশবাসীকে কী শিক্ষা দিলেন? সুড়ঙ্গই হোক অথবা দেশ, সঙ্কট এলে বিভাজন কাজে দেয়? নাকি ঐক্য? তাঁরা শেখালেন যেকোনও অসাধ্য সাধন করা যায় যদি দেশ ঐক্যবদ্ধ থাকে। যদি মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস আর মৈত্রী থাকে। বিভাজন এলে ঘনিয়ে আসে মুষলপর্ব। যদুবংশ ধ্বংস হয়। আর ঐক্যের শক্তি চিরন্তন। 
এই সুপারহিরোদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কথা বললেন। আমরা কি তাঁর কাছে এবার একটা কঠোর সতর্কবার্তা আশা করতে পারি না যে, ধর্মের নামে ভোট চাওয়া, ধর্মীয় প্ররোচনা দিয়ে রাজনৈতিক লাভ, দেশবাসীর মধ্যে কোনওরকম জাত পাত ধর্ম ভাষার বিভাজন, কোনওটাই সহ্য করা হবে না? কঠোর আইন এনে যে দলেরই নেতা কর্মী হোক, তাদের চরম শাস্তি দেওয়া হবে? 
যতই লোকসভা ভোট এগিয়ে আসছে, ততই আবার বেশি করে ধর্মীয় উগ্রতা প্রবেশ করছে রাজনীতিতে। আবার রাজ্যে রাজ্যে চলছে প্রচার, হিন্দু বনাম মুসলিম। উগ্র ধর্মীয় বিভাজন অন্যতম প্রধান হাতিয়ার শুধু নয়, হয়ে উঠছে যেন ব্রহ্মাস্ত্র। অথচ ১৪০ কোটি দেশের সম্মিলিত সর্বধর্মসমন্বয়ী জনতাই যে আসল অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে তার প্রমাণ আমাদের এই আম জনতাই দিচ্ছে অবিরত।  
প্রধানমন্ত্রী আটকে পড়া শ্রমিকদের জন্য অত্যন্ত দুশ্চিন্তায় ছিলেন। সেকথা তিনি নিজেই বলেছেন ওই মুক্তি পাওয়া শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়। কিন্তু তাঁর অথবা তাঁর সরকারের কাছে আরও একটু সংবেদনশীল আচরণ কি কাম্য ছিল না? ৪১ জন শ্রমিক যখন সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন, তখন বেঙ্গালুরুতে গিয়ে তিনি তেজস নামক একটি ফাইটার জেটে বসে আকাশপথের অ্যাডভেঞ্চারাস উড়ানকে এয়ারফোর্সের ফুল ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় উপভোগ করছিলেন। হেলমেট হাতে ধরে দৃপ্ত পদক্ষেপে তিনি হেঁটে আসছেন ককপিটের দিকে। 
তাঁর পা দেখানো হচ্ছে ক্যামেরায়। ঠিক যেন হিন্দি সিনেমা। বাতাসের গতিতে উড়ে চলা তেজসের সিটে বসে তাঁর সেই উৎফুল্ল হাসিমুখের স্মার্ট  ভিডিও দিনভর ভারত সরকার প্রচার করেছে। প্রধানমন্ত্রীর এরকম সুপারম্যান ইমেজ কেন প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হল ওরকম একটি সঙ্কটময় মুহূর্তে? ওই ইভেন্ট কি পিছিয়ে দেওয়া যেত না?
ঠিক উল্টোদিকে সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জনের মধ্যে অন্যতম গব্বর সিং নেগি কী বলেছিলেন আমরা মনে রাখছি তো? যখন উদ্ধারকার্যের সময় একে একে লাইন দিয়ে আটকে পড়া কর্মীদের বেরিয়ে আসতে বলা হচ্ছে বাইরে থেকে, তখন এই গব্বর সিং নেগি বলেছিলেন, আমি সবার বড়। তাই সবার শেষে বেরব। এই স্বার্থহীন অতি মানবিক আচরণ আমাদের হাই প্রোফাইল নেতাদের কাছে পাই না কেন? অবিরত নিজেদের প্রমোট করার এক অন্তহীন তাড়নায় তাঁরা দিগ্‌বিদিকজ্ঞানশূন্য কেন? টিম অথবা দেশ। লিডার কেমন হওয়া উচিত? গব্বর সিং নেগির মতো নয়? 
আমাদের বরাবর সঙ্কটের সময় পথ দেখান, শিক্ষা দেন এই ভারতের মহামানবের অত্যন্ত পিছনের সারিতে থাকা প্রান্তিক মানুষেরা। এই যেমন ধরা যাক ওই দিবারাত্রি পরিশ্রম করা র‌্যাট হোল মাইনিং করা শ্রমিকেরা। তাঁরা এই কাজটির জন্য পারিশ্রমিক নেবেন না বলেছেন! কোথা থেকে আসে এই শক্তি? ঐক্য থেকে! ভারতের চিরকালীন শক্তির নাম ঐক্য! বিভাজন নয়। 
01st  December, 2023
প্রশ্নগুলো তোলা থাক লোকসভা ভোটের জন্য
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রশ্ন ১: এক্সিট পোলে প্রায় সব জাতীয় সংবাদমাধ্যমই জিতিয়ে দিয়েছিল কংগ্রেসকে। ঠিক তখনই সাংবাদিক সম্মেলন ডাকলেন রামন সিং। ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
বিশদ

পাঁচ রাজ্যের ভোটে আপনার সেরা বাজি কারা?
পি চিদম্বরম

এই নিবন্ধটি লিখেছি গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর)। সেদিনই ভোট নেওয়া হয়েছে তেলেঙ্গানায়। ওইসঙ্গেই শেষ হয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন।
বিশদ

03rd  December, 2023
ভোটের গন্ধেই ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু
হিমাংশু সিংহ

এই লেখা যখন আজ পাঠকের হাতে পৌঁছচ্ছে তখন সবাই উদগ্রীব তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসের উত্থান দেখতে। মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান মোদি না সোনিয়া গান্ধী, কার কপালে জনগণ জয়তিলক পরিয়ে দিল তা জানতে। 
বিশদ

03rd  December, 2023
এলেন, দেখলেন, কিন্তু জয় হল কি?
তন্ময় মল্লিক

এলেন, দেখলেন এবং ফিরে গেলেন। উদ্দেশ্য ছিল জয় করার। কিন্তু পারলেন কি? বঙ্গ বিজেপিকে অক্সিজেন জোগাতে এসে অমিত শাহ বাড়িয়ে দিলেন অস্বস্তি। তুলে দিয়ে গেলেন একগুচ্ছ প্রশ্ন। কী সেই প্রশ্ন? এক, অমিত শাহ বাংলা থেকে তাঁর ৩৫ আসনের দাবির কথা কেন কর্মীদের ফের স্মরণ করিয়ে দিলেন না? বিশদ

02nd  December, 2023
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি-রাজ!
মৃণালকান্তি দাস

ভিক্ট্রি ল্যাব: দ্য সিক্রেট সায়েন্স অব উইনিং ক্যাম্পেনস। বইটিতে মার্কিন সাংবাদিক সাশা আইজেনবার্গের লিখেছিলেন, নির্বাচনের সময় সোশ্যাল মিডিয়া নির্বাচকদের মতামতকে কতটা প্রভাবিত করতে পারে, তার প্রথম সফল পরীক্ষা–নিরীক্ষা হয়েছিল আমেরিকায়। বিশদ

30th  November, 2023
জো হুজুর রাজ্যপাল ও পদের কলঙ্ক আখ্যান
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি কথায় সুপ্রিম কোর্ট বুঝিয়ে দিয়েছে, এই মুহূর্তে বিরোধী রাজ্যগুলিতে অভিষিক্ত রাজ্যপালরা কেমন কাজ করছেন। অত্যন্ত ভর্ৎসনার সুরেই দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি রাজ্যপালদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না।’
বিশদ

29th  November, 2023
কেসিআরের পথ এবার কিন্তু সহজ নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

তেলুগু রাজনীতিতে পবন কল্যাণ এক অদ্ভুত চরিত্র। আম ভারতীয়রা তাঁকে চিরঞ্জীবির ভাই হিসেবে চেনে। দক্ষিণে তিনি নিজেও কিন্তু বেশ জনপ্রিয় অভিনেতা। 
বিশদ

28th  November, 2023
ঔপনিবেশিক আইন রচয়িতাদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ!
পি চিদম্বরম

ইন্ডিয়ান পেনাল কোড (আইপিসি) ১৮৬০, ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট ১৮৭২ এবং কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (সিআরপিসি) ১৯৭৩ হল—ফৌজদারি আইনের ‘ট্রিনিটি’ বা একটির ভিতরে তিনটির সমন্বয়। আইপিসি বা ভারতীয় দণ্ডবিধির রচয়িতা ছিলেন থমাস ব্যাবিংটন ম্যাকলি। বিশদ

27th  November, 2023
ভোট এলেই মমতার পথ অনুসরণ
হিমাংশু সিংহ

পাঁচ রাজ্যের ভোটে তিনি প্রচারে যাননি, তাঁর দলও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না। কিন্তু না থেকেও তিনি আছেন ষোলো আনা। বোঝা গেল, এখনও তিনিই ভারতীয় রাজনীতির এক নম্বর চালিকাশক্তি। সমালোচনা করতেও আবার অনুসরণ করতেও। বিশদ

26th  November, 2023
ব্রিগেডে গীতাপাঠ কি বিজেপির রেকি?
তন্ময় মল্লিক

এক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে বাংলা। ২৪ ডিসেম্বর কলকাতায় হবে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের অনুষ্ঠান। মাস তিনেক পরই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ‘টেস্টিং গ্রাউন্ড’ ব্রিগেডে গীতপাঠ। বিশদ

25th  November, 2023
ইন্ডিয়া জোট কোথায়? কংগ্রেস একটু ভাবুক
সমৃদ্ধ দত্ত

কিছুকাল আগেও শাহরুখ খান ছিলেন বিজেপি সমর্থকদের কাছে চক্ষুশূল। তাঁর সিনেমা রিলিজ করলে বয়কটের ডাক দেওয়া হতো। এই সেদিনও ‘পাঠান’ রিলিজ করার আগে একটি নাচগানের দৃশ্য নিয়ে আপত্তি ওঠে। ঝড় তোলা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিশদ

24th  November, 2023
আইজলের অভিমান, জোরামের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

সুখের সংজ্ঞা কী! দেশের অন্যতম সুখী রাজ্যের মানুষ তা জানেন কি? গত কয়েক বছরে সেই রাজ্যে অসন্তোষের কারণ কম নয়। নাগরিকত্ব আইন সংশোধনীর বিরুদ্ধে আন্দোলনে রাস্তায় নেমে প্রকাশ্যে ‘হ্যালো চায়না, বাই বাই ইন্ডিয়া’ স্লোগান-পোস্টার উঁচিয়ে মিছিল করেছেন মিজোরা।
বিশদ

23rd  November, 2023
একনজরে
আমেরিকায় ফের শ্যুটআউট। এবার ডালাসের একটি বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজনের মৃত্যু হল। ...

জবজের চিত্রগঞ্জ কালীবাড়িতে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের আনাগোনা দিনে দিনে বাড়ছে। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসছেন। ...

পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে গিয়ে উত্তরপ্রদেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল সালার থানার খাড়েরা গ্রামের এক যুবকের। মৃতের নাম বাদশা শেখ (২৪) । গ্রামের অঞ্চলপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। মাসতিনেক আগে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজে সেখানে গিয়েছিলেন। ...

রাজ্যে বাড়ছে মাদক কারবারের রমরমা। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আসছে নিষিদ্ধ মাদক। এই রাজ্য হয়ে তা চলে যাচ্ছে দেশের অন্যান্য অংশ এবং বাংলাদেশে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৫ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯২ টাকা ১০৭.৩৯ টাকা
ইউরো ৮৯.১৩ টাকা ৯২.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৩,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬০,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৬,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৬,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী ৪৬/১৯ রাত্রি ১২/৩৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ৫৩/৪৯ রাত্রি ৩/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৬/১৪, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৫/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৭ মধ্যে। 
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী রাত্রি ১১/২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ২/৫৯। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বচসার জেরে গুলি চালানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার অভিনেতা ভূপিন্দর সিং, মৃত ১, জখম ৩

08:26:58 PM

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেবন্ত রেড্ডিই, জানাল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব

07:00:00 PM

ভাইফোঁটায় সলমন খানকে আমন্ত্রণ মমতার

06:56:35 PM

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে জুন মালিয়া, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়

06:45:00 PM

কেউ আমাদের ভাগ করতে পারবে না: মমতা

06:44:48 PM

বাংলা এখন ফিল্ম ডেস্টিনেশন হতে পারে: মমতা

06:43:53 PM