সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন: দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে বেহাল দশায় পড়ে রয়েছে কীর্ণাহার বাসস্ট্যান্ড। একদিকে যত্রতত্র নোংরা আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, অন্যদিকে নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় নর্দমাগুলি উপচে পড়ছে। একইভাবে শৌচালয়ের হাল সম্পূর্ণরূপে বেহাল। এত সমস্যার মধ্যেই প্রতিদিন বিভিন্ন রুটের বাস আসা-যাওয়া করছে বাসস্ট্যান্ডে। সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী ও যাত্রীদের অসুবিধার মধ্য দিয়েই বাসস্ট্যান্ড ব্যবহার করতে হচ্ছে। অভিযোগ, এই বিষয়ে বারবার জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরে জানানোর পরও এই সমস্যার সমাধানের কোনও চেষ্টাই করা হয়নি।
নানুর ব্লকের অন্তর্গত কীর্ণাহার বাসস্ট্যান্ডের অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল। প্রতিদিন এখানে বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন রুটের ৫০-৬০টি বাহী বাস আসা-যাওয়া করে। অত্যন্ত ব্যস্ত হওয়ার কারণে কীর্ণাহার বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীর সংখ্যাও প্রচুর। কিন্তু এত মানুষের আসা-যাওয়া থাকলেও সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে সেই বাসস্ট্যান্ড। যত্রতত্র নোংরা আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় স্তূপাকার হয়ে পড়ে রয়েছে চায়ের কাপ, প্লাস্টিকের প্যাকেট সহ নানান বর্জ্য পদার্থ। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কীর্ণাহার ১ নং পঞ্চায়েত বা প্রশাসনের বাসস্ট্যান্ডের পরিছন্নতার দিকে কোনওরকম নজর নেই। সব থেকে বেহাল দশা বাসস্ট্যান্ডের শৌচালয়ের। দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করায় শৌচালয়গুলি কার্যত ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি তার ছাদ ও দরজা ভেঙে গিয়েছে। তার ফলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা প্রচুর সংখ্যক পুরুষ ও মহিলা যাত্রী প্রচণ্ড সমস্যার মধ্যে পড়ছেন। 
এছাড়াও নর্দমাগুলি দীর্ঘদিন ধরে নিকাশির অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তার ফলে সমগ্র বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তীব্র দুর্গন্ধ ছড়িয়ে থাকে। অভিযোগ, বিষয়গুলি নিয়ে বারবার জানানোর পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাসস্ট্যান্ড সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই প্রশাসনিক গাফিলতি ও উদাসীনতার ফল ভোগ করতে বাধ্য হচ্ছেন স্থানীয় মানুষজন থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী ও যাত্রীরা। তাঁরা চাইছেন, দ্রুত অত্যন্ত ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ কীর্ণাহার বাসস্ট্যান্ড সংস্কার করা হোক।
কীর্ণাহার ১নং পঞ্চায়েতের প্রধান সরেশ সান্তারা বলেন, আইনি কিছু জটিলতার কারণে একটি শৌচালয় সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। তার জায়গায় বাসস্ট্যান্ডের পিছনে শৌচালয় তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও আবর্জনা ফেলার জন্য ডাস্টবিন রয়েছে। পাশাপাশি সাফাই কর্মীরা বাসস্ট্যান্ড চত্বর নিয়মিত পরিষ্কার করে থাকেন। তবে মানুষকেও সচেতন হতে হবে। যত্রতত্র নোংরা আবর্জনা না ফেললে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন থাকবে।