যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ
রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের সুপার প্রহ্লাদ অধিকারী বলেন, হাসপাতালে দ্বিতীয় একটি ভবন তৈরি করা হচ্ছে। সেখানেই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ড সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। নতুন ভবনে লিফ্ট থাকবে। কিন্তু সেই ভবন কবে চালু হবে তা জানে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ততদিন পর্যন্ত সঙ্কটজনক রোগীকে পাঁজাকোলা করে উপরে নিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। হাসপাতালের নীচের অংশে রয়েছে ইমার্জেন্সি, প্রসূতি, পুরুষ মেডিসিন ও সার্জিক্যাল বিভাগ, ইসিজি এবং অপারেশন থিয়েটার। দোতলায় রয়েছে মহিলা মেডিসিন ও সার্জিক্যাল, শিশু বিভাগ। এছাড়াও এসএনসিইউ, আইসিইউ, এক্স রে, প্যাথোলজি এবং ব্লাড ব্যাঙ্কও রয়েছে দ্বিতীয় তলায়। অভিযোগ, কোনও রোগীকে প্যাথোলজিতে নিয়ে যেতে কিংবা এক্স রে করাতে হলে হাসপাতালের আউটডোর কিংবা ইমার্জেন্সি বিভাগ থেকে থেকে সিঁড়ি পর্যন্ত ট্রাই সাইকেলের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু দোতলায় ওঠার জন্য সিঁড়ি দিয়ে হেঁটে কিংবা অন্যের কাঁধে চেপে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় থাকে না। সবথেকে সমস্যা হয় অপারেশনের রোগীদের ক্ষেত্রে। অপারেশন থিয়েটার থেকে মহিলা বিভাগে নিয়ে যেতে চরম ঝুঁকি নেওয়া ছাড়া আর উপায় থাকে না রোগীর আত্মীয়দের কাছে।
সোমবার সকালে কলকাতা থেকে চিকিৎসা করিয়ে ট্রেনে চেপে একাই কৃষ্ণনগর ফিরছিলেন বৃদ্ধা আঞ্জুয়ারা বিবি। ট্রেনে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি রানাঘাট স্টেশনে নেমে রেল পুলিসের দ্বারস্থ হন। জিআরপির তরফে দুজন সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁকে নিয়ে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালের নীচের তলায় ইসিজি করিয়ে বৃদ্ধাকে উপরের মহিলা বিভাগে নিয়ে যেতে এদিন কার্যত কালঘাম ছোটে ওই দুই মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের। তাঁদের মধ্যে একজন বলেন, সে সময় হাসপাতালের কোনও কর্মীকেই কাছে পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে আমরাই বৃদ্ধাকে স্ট্রেচারে শুইয়ে উপরে নিয়ে গিয়েছি। হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ বলেন, হাসপাতালে লিফ্ট না থাকায় কোনও দুর্ঘটনায় জখম রোগীর ক্ষেত্রে প্রাণের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। কারণ দুর্ঘটনায় জখম হলে তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাত থাকে। আঘাতপ্রাপ্তদের হেঁটে চলাচল করাটা কার্যত অসম্ভব। অন্যের কাঁধে ভর করে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে বেশ কয়েকবার হিতে বিপরীত পরিস্থিতিও হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের সাফাই কর্মীরা। তাঁরা বলেন, সিঁড়ি দিয়ে রোগীকে নিয়ে যাওয়ার সময় যদি সামান্য কিছু হয়ে যায়, তাহলে পরিজনদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় আমাদের। সাহায্য করতে গিয়েও উল্টে বিপদ ডেকে আনার মত অবস্থা হয়ে যায়। দ্রুত লিফ্ট চালু না হলে এই সমস্যা আরও বাড়বে। এভাবেই রোগীকে দোতলায় নিয়ে যেতে হয়।-নিজস্ব চিত্র