যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ
অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট ওই ক্লাবের ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকবছর ধরেই কোনও না কোনও ঝামেলা হচ্ছে। ফলে এই ঘটনায় পুলিস-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অত্যন্ত ঢিলেঢালা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ওই খেলা ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। উপযুক্ত পরিকাঠামো ছাড়াই কীভাবে আয়োজকরা অনুষ্ঠানের অনুমতি পেল তা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের দেখা উচিত বলে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি।
ওই মাঠের চারপাশে মালদহের জেলাশাসক, পুলিস সুপার ও সদর মহকুমা শাসকের বাংলো রয়েছে। গতবারও ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে মাত্রাতিরিক্ত ভিড় হয়। তারপরও এবার কেন পুলিস আগাম ব্যবস্থা নেয়নি তা নিয়ে শহরবাসী প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষ করে জিৎ-এর মতো জনপ্রিয় টলিউড অভিনেতা আসায় যে অনুষ্ঠানে ভিড় হবে তা কার্যত নিশ্চিত ছিল। অনুষ্ঠানটি যাতে সুষ্ঠুভাবে যাতে সম্পন্ন হয় সেজন্য আয়োজকদের কেন পুলিস প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করল না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মালদহের পুলিস সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, কী কারণে গোলমাল হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নিলেও পুলিস লাঠিচার্জ করেনি বলেই তাঁর দাবি।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে দীপক সরকার বলেন, জিৎ-এর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তেমন বিশৃঙ্খলা হয়নি। ফাইনাল খেলার একটি গোল নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। তারপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। বেশ কয়েকজন খেলার মাঠে জোর করে ঢুকে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিসকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
পুলিস এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংলিশবাজার শহরের একটি ক্লাবের উদ্যোগেই দু’দিনের ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। ফাইনাল খেলার শেষে জমকালো অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিও ছিল পুরদমে। সেখানেই অভিনেতা জিৎ উপস্থিত ছিলেন। ঠেলাঠেলি, বিশৃঙ্খলা শুরু হতেই পুলিস রণংদেহি মূর্তি ধারণ করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া বিশৃঙ্খলার একটি ভিডিও ফুটেজে সিভিক ভলান্টিয়ারদের বাঁশ ও লাঠি নিয়ে দর্শকদের দিকে তেড়ে যেতে দেখা যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই র্যাফের জওয়ানরা ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে দেয়। তাতেই গোটা চত্বর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বলে অভিযোগ।
অনুষ্ঠানে জিৎ। -নিজস্ব চিত্র