যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ
স্টিভ বাকনার তো হামেশাই শচীন তেন্ডুলকরকে ভুল আউট দিতেন। ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া সিডনি টেস্টে তো তিনি সাতটি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ইস সেই সময় যদি ডিআরএস থাকত! মাস্টার ব্লাস্টার্সের সেঞ্চুরির সংখ্যা হয়তো আরও ১০-১২টা বেড়ে যেত। শচীন তাও কেরিয়ারের শেষ লগ্নে পৌঁছে ডিআরএস-এর সুবিধা পেয়েছিলেন। কিন্তু সুনীল গাভাসকর। তাঁদের সময় তো অবস্থা আরও খারাপ ছিল। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় সম্প্রতি ক্রিকেট পুরোপুরি বদলে গিয়েছে। আজকাল মাঠের কোনও অ্যাঙ্গলই দর্শকের চোখকে ফাঁকি দিতে পারে না। মাঠের আনাতে-কানাচে প্রায় ৩৫-৪০টি ক্যামেরা বসানো হয়। সেই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ নির্ভুল সিদ্ধান্ত নিতেও ব্যবহৃত হয় উন্নত সব প্রযুক্তি। আক্ষরিক অর্থেই যা দর্শকদের উন্মাদনা অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছে। আজ দেখে নেওয়া যাক সম্প্রতি ক্রিকেটে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক পাঁচটি প্রযুক্তি।
হক-আই : ২০০১ সালে এই প্রযুক্তির আবির্ভাব ঘটে। বাকিংহামস্পায়েরের প্রাক্তন ক্রিকেটার ডঃ পল হকিন্স হক-আই আবিষ্কার করেন। তবে ২০০৮ সালে এই প্রযুক্তিকে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমে গ্রহণ করা হয়। হক আই বলের গতিবিধি লক্ষ্য করে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ডেলিভারির ঘূর্ণন, উচ্চতা, পিচের কোথায় পড়ছে সবকিছু খতিয়ে দেখে এলবিডব্লু শনাক্ত করা হয়। ডিআরএস সিস্টেমকে নিখুঁত করতে হক-আইয়ের অবদান অপরিহার্য।
আলট্রাএজ: উইকেটকিপার বল ধরার আগে তা ব্যাটারের ব্যাট স্পর্শ করছে কি না বোঝা খুবই মুশকিল। এই অবস্থায় ব্যবহৃত হয় স্নিকোমিটারের আপগ্রেডেড ভার্সন আলট্রাএজ। উইকেটের সামনে এক ধরনের মাইক্রোফোন রাখা থাকে, যা অতি সামান্য শব্দও গ্রাফ আকারে প্রকাশ করতে সক্ষম। এই প্রযুক্তি কট বিহাইন্ডের পাশাপাশি এলবিডব্লু নির্ধারণেও ব্যবহৃত হয়।
হটস্পট: আলট্রাএজে মূলত শব্দ নির্ণায়ক প্রযুক্তি। অনেকসময় ব্যাটসম্যানের আশেপাশে অন্যান্য শব্দের আধিক্য থাকলে এই আলট্রাএজে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায় না। তখনই আসে হটস্পটের ব্যবহার। এই প্রযুক্তিতে মাঠে অবস্থিত তাপ সংবেদনশীল ইনফ্রারেড ক্যামেরা ব্যবহার হয়। এটি মনোক্রম্যাটিক দৃশ্যের মাধ্যমে বল ব্যাট, প্যাড বা কোনও কিছুকে স্পর্শ করেছে কি না নির্ধারণ করা হয়।
এলইডি স্টাম্প: ওডিআই ও টি-২০ ক্রিকেটে সম্প্রতি এলইডি লাইটযুক্ত স্টাম্প ব্যবহার করা হয়। উইকেট ও বেলে এলইডি লাইট লাগানো থাকে, যা সামান্য নড়লেই জ্বলে উঠে। ২০১৪ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে প্রথমবার এই বিশেষ উইকেট ব্যবহার করা হয়। অস্ট্রেলিয়ার ইঞ্জিনিয়ার ব্রন্টে একারম্যান এই প্রযুক্তি আবিষ্কার করেন। প্রাথমিকভাবে এর নাম দেওয়া হয়েছিল জিং বেলস। এই স্টাম্পগুলির ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কিছু বেশি।