যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের নানা ধরনের কাজকর্মের একাধিক উদাহরণ ইতিপূর্বেই রয়েছে। কখনও কোনও বন্দি ছবি এঁকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তো কেউ আবার নাচ, অভিনয়ে নজর কেড়ে নিয়েছেন। কারও জীবনকাহিনি উঠে এসেছে বইয়ের পাতায়। কিন্তু পেট্রল পাম্প পরিচালনার উদ্যোগ এসবের থেকে অনেকটাই আলাদা বলে মনে করা হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, বন্দিরা পরিচালনা করবে, এরকম ১০টি পেট্রল পাম্প চিহ্নিত করা হয়েছে। পাম্পের ম্যানেজারি, অ্যাকাউন্ট সামলানো থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ করবেন বন্দিরাই। এ বিষয়ে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
দপ্তর সূত্রে খবর, যে সমস্ত বন্দির বিরুদ্ধে তেমন কোনও বড় অভিযোগ নেই, ট্র্যাক রেকর্ড যথেষ্ট ভালো, তাঁদের এই কাজে লাগানোর চিন্তাভাবনা চলছে। নামগুলি নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করছেন কারাদপ্তরের কর্তারা। মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, পেট্রল পাম্পে যাঁরা কাজ করবেন, তাঁদের দৈনিক উপার্জনের ব্যবস্থা থাকবে। ১০০ টাকা করে পাবেন তাঁরা। এছাড়া, এই পেট্রল পাম্পগুলি থেকে রাজ্য সরকারের উপার্জনও হবে। পেট্রল পাম্পগুলি সরাসরি কারাদপ্তরের অধীনেই থাকবে। বছরে ৮০-৯০ লক্ষ টাকা আয় হবে দপ্তরের। পাম্পের যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরি করে দেবে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষ। কারাদপ্তর এগুলি সার্বিকভাবে পরিচালনা করবে। তার থেকেই মুনাফা আসবে বলে দাবি অখিলবাবুর। কবে থেকে পেট্রল পাম্পগুলি বন্দিরা চালাতে শুরু করবেন, তা ঠিক করতে দপ্তরের আধিকারিকরা শীঘ্রই বৈঠকে বসবেন।
অন্যদিকে, ওপেন কারেকশনাল হোম বা উন্মুক্ত সংশোধনাগারের মাধ্যমে বন্দিদের সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে একাধিক ভাবনা রয়েছে দপ্তরের। উন্মুক্ত সংশোধনাগার নিয়ে আরও কী কী পদক্ষেপ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।