যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক মশা যে শুধু অনুকূল পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকে তাই নয়, প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত নিজেদের খাপ খাইয়েও নিচ্ছে। মশা মারার তেল, ধূপ, ধোঁয়া ইত্যাদি এড়িয়ে বেঁচে থাকার উপায়ও বের করে ফেলেছে তারা। শুধু তাই নয়, আলো এখন তাদের শত্রু নয়, বরং বন্ধু। কারণ, তারা দিনের আলোতেও পরিষ্কার জলে ডিম পাড়তে পারছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর পিছনে ডেঙ্গু মশার জিনগত পরিবর্তন।
জিন বা ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড) হল সকল জীবের বংশগতির ধারক ও বাহক। এর মূল ক্ষারীয় উপাদানের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম পরিবর্তনের ফলে ঘটে যায় জিনগত পরিবর্তন। অর্থাৎ, জীবের চরিত্রের রদবদল।
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এক খলনায়ক ব্যাকটেরিয়ার খোঁজ পেয়েছেন। এই ব্যাকটেরিয়া একবার এডিস মশার শরীরে ঢুকলে মশার লালাগ্রন্থিতে ডেঙ্গু ভাইরাসের বংশবৃদ্ধি করতে দেয় না। এই ব্যাকটেরিয়াটির নাম ওলবেচিয়া।
এরপর ওই বিজ্ঞানীরা ওলবেচিয়া ব্যাকটেরিয়ার কোষে থাকা যে বিশেষ জিনটি ডেঙ্গু ভাইরাসের বংশবৃদ্ধিতে সাহায্য করে, সেটিকে জৈবপ্রযুক্তির সাহায্যে বের করেন। সেগুলি এডিসের নিষিক্ত ডিম্বাণুর মধ্যে ঢুকিয়ে দেন। তারপর যে এডিস মশার জন্ম হয়, দেখা যায় তাদের শরীরে ওলবেচিয়া ব্যাকটেরিয়ার সেই বিশেষ জিনটি রয়েছে। এই বিশেষ ধরনের এডিস মশার বেশি বেশি বংশবৃদ্ধি ঘটিয়ে প্রায় দু’লক্ষ মশা কুইন্সল্যান্ডের জঙ্গলে ছাড়া হয়। সপ্তাহ পর কুইন্সল্যান্ডের ওই জঙ্গলে যে কোনও ডেঙ্গু মশার শরীরেই ওই জিনের অস্তিত্ব মিলেছে বলে বিজ্ঞানীদের দাবি। ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়াতেও ডেঙ্গু রুখতে জিন তত্ত্বের নানা গবেষণা চলছে। বিজ্ঞানীদের আশা, জিনের জাদুতেই একদিন জব্দ হবে ডেঙ্গু ভাইরাস।