যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
হ-য-ব-র-ল পাতার রান্নাঘরে রান্নার সঙ্গে গল্প ফ্রি। প্রতি মাসেই হাজির হচ্ছি আমরা নতুন গল্প আর রেসিপি নিয়ে। এমন সব রান্না যাতে তোমাদের মনও মজবে, হাতও চলবে। তাহলে আর দেরি কেন? চটপট রান্না শিখে হয়ে ওঠো খুদে শেফ।
সুদূর মার্কিন দেশে ও কানাডায় চিকেন স্যালাড মানে শুধুই চিকেন আর মেওনিজের মিশ্রণ। কিন্তু এশিয়া মহাদেশে ব্যাপারটা তেমন নয়। সেখানে সব্জি সহযোগে পরিবেশন করা হয় এই স্যালাড। তাতে চিকেনের পাশাপাশি সব্জির গুণও পাওয়া যায় পুরোদমে। এই স্যালাড যখন গরমকালে খাওয়া হয়, তখন তার সঙ্গে কাঁচা আম মেশানো হয়। তাতে স্বাদও যেমন বাড়ে, তেমনই বৃদ্ধি পায় পুষ্টিও। কাঁচা আমে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ফলে মরশুম বদলের সময় এই ধরনের উপকরণ দিয়ে রাঁধা পদ বিশেষ উপকারী। এই পদটি বানাতে আঁচ লাগে না। তাই তোমরা সহজেই তৈরি করতে পারবে এই রান্না।
রান্না ১
রোস্টেড চিকেন অ্যান্ড র ম্যাঙ্গো স্যালাড
উপকরণ: রোস্ট করা চিকেন ৩০ গ্রাম, সরু ফালি করে কাটা কাঁচা আম ৩০ গ্রাম, জুলিয়েন করে কাটা গাজর ২৫ গ্রাম, শসা কুচি ৩০ গ্রাম, মাস্টার্ড সস ১০ মিলি, নুন স্বাদ মতো, গোলমরিচ স্বাদ মতো, মধু ৫ মিলি, সেলেরি পাতা ২০ গ্রাম, অলিভ অয়েল ৫ মিলি।
পদ্ধতি: সেলেরি পাতাগুলো বরফ জলে ভিজিয়ে রাখলে তা মুচমুচে থাকবে। একটা বাটি নাও। তাতে সব সব্জি একসঙ্গে নাও। নুন ও মরিচ মেশাও। তার সঙ্গে রোস্ট করা চিকেন মিশিয়ে নাও। উপকরণগুলো হাতের সাহায্যে ভালো করে মিশিয়ে নাও একে অপরের সঙ্গে। তারপর তার সঙ্গে মাস্টার্ড সস মেশাও। সবটা একসঙ্গে মিশে গেলে লেটুস পাতা বরফ জল থেকে তুলে শুকনো করে মুছে নাও। এবার এই মুচমুচে পাতা হাতের সাহায্যে কুচিয়ে চিকেনের মিশ্রণে মিশিয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে স্যালাড। মজার কথা হল এই স্যালাড কিন্তু ঠান্ডাই খাওয়া যায়।
সেটা ছিল ১৫০০ সাল। দক্ষিণ আমেরিকায় ভাগ্যান্বেষণে গিয়েছিলেন স্যার ফ্রান্সিস ড্রেক। সেখানে গিয়ে তাঁর দলের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রচণ্ড পেটের রোগে ভুগতে শুরু করেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, চর্মরোগও বাধিয়ে বসেছিল অনেকে। এদিকে দলের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ায় কাজও পণ্ড হতে বসল। তখন ঘরোয়া ওষুধের খোঁজ করতে লাগলেন ড্রেক সাহেব। অবশেষে কিউবায় গিয়ে এক ভেষজ লতার সন্ধান পেলেন তিনি। যার সঙ্গে পুদিনা পাতা ও আখের রস মিশিয়ে একটি পানীয় বানিয়ে খেলে পেটের অসুখ সেরে যায়। পরবর্তীকালে এই লতার রস থেকেই তৈরি হয় মোহিতো সিরাপ। যা বিভিন্ন সরবতের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ার চল শুরু হয় বিদেশিদের মধ্যে। মোহিতোর সঙ্গে ক্রমশ নানারকম ফ্রেভার মিশিয়ে তৈরি হয় লিচি মোহিতো, পাইন্যাপেল মোহিতো ইত্যাদি। আজ সেই রেসিপি তোমাদের শিখেয়ে দিলেন শেফ।
রান্না ২
পাইন্যাপেল মোহিতো
উপকরণ: আনারসের জুস ১০০ মিলি, সোডা ৪০ মিলি, পুদিনা পাতা থেঁতো করা ২৫ গ্রাম, লেবুর রস ১০ মিলি, গুঁড়ো করা চিনি ২৫ গ্রাম, নুন ১ চিমটে, মোহিতো সিরাপ ৩০ মিলি, পুদিনা পাতা ও চাকা করে কাটা লেবু সাজানোর জন্য।
পদ্ধতি: একটা বড় স্টিলের গ্লাসে পুদিনা পাতা নিয়ে তা থেঁতো করে নাও। এবার তার সঙ্গে আনারসের জুস মেশাও। সোডা, নুন ও চিনি, একসঙ্গে মিশিয়ে ঝাঁকিয়ে নাও। এবার এই মিশ্রণ পুদিনা ও আনারসের জুসের সঙ্গে মেশাও। সবশেষে মোহিতো সিরাপ মেশাও। মিশ্রণটা একটা কাচের গ্লাসে ঢেলে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নাও। তারপর তা লেবুর চাকা ও পুদিনা পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন কর।