পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক মতান্তর, কলহে মনে হতাশা। কাজকর্ম ভালো হবে। আয় বাড়বে। ... বিশদ
ইতিহাস বলছে, এই সাউথ পার্ক স্ট্রিট সমাধিক্ষেত্র চালু হয়েছিল ১৭৬৭ সালে। কলকাতার অন্যতম বৃহৎ এই সমাধিক্ষেত্র। এখানে সমাধিস্ত করা হয়েছে রয়েছে এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা উইলিয়াম জোনস, ইয়ং বেঙ্গলের ডিরোজিও সহ বহু বিশিষ্ট মানুষকে।
একটি সমাধির পাথর বা ফলকের উপর খোদাই করা বাণী বা শেষ উক্তিকে ‘এপিটাফ’ বলে। এপিটাফ শব্দের
উৎপত্তি প্রাচীন গ্রিসে। যদিও এর
বহুল প্রচলন শুরু হয় ইংল্যান্ড ও
ইউরোপজুড়ে।
ভারতীয়দের প্রথায় এই ধরনের এপিটাফ লেখার প্রবণতা ছিল না। মধুসূদনই প্রথম লিখেছিলেন।
গবেষকরা বলছেন, ইংরেজ কবি টমাস গ্রের সমাধিলিপি দেখে অনুপ্রাণিত হন মধুসূদন। এবং সেই কারণেই নিজের এপিটাফ নিজেই লিখে গেছিলেন। মধুসূদনের সমাধিফলকের গায়ে এখনও উজ্জ্বল সেই কবিতা।
‘দাঁড়াও পথিকবর জনম যদি তব
বঙ্গে, তিষ্ঠ ক্ষণকাল এ সমাধিস্থলে
(জননীর ক্রোড়ে শিশু লভয় যেমতি
বিরাম) মহীর পদে দীর্ঘ নিদ্রাবৃত
দত্ত বংশোদ্ভব কবি শ্রীমধুসূদন।...’
কবিকে সমাধিস্থ করার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য সমাধিলিপিটি বসানো হয়নি। কথিত আছে, কবির মৃত্যুর পরে কন্যা শর্মিষ্ঠা মূল লেখার পাণ্ডুলিপিটি খুঁজে পান। কবির প্রথম জীবনীকার যোগীন্দ্রনাথ বসুর গ্রন্থে তা প্রথম মুদ্রিত হয়। মাইকেলের মৃত্যুর বেশ কয়েক বছর পর সমাধিক্ষেত্রটি বাঁধিয়ে একটি সৌধস্তম্ভ নির্মাণ করেন কবির ঘনিষ্ঠরা।
শোনা যায়, এই সৌধ বানানোর জন্য বিদ্যাসাগরের কাছে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু বিদ্যাসাগর মহাশয় অনুদান দিতে অস্বীকার করেন। কবির মৃত্যুর কয়েক বছরের মধ্যেই স্মৃতিসৌধটি শ্যাওলায় ঢেকে যায়। গত শতাব্দীর পাঁচের দশকে মাইকেলের ছোট ছেলে অ্যালবার্ট নেপোলিয়নের সন্তান চার্লস নেভিল ডাটন। তিনি ছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি। মাইকেল ও হেনরিয়েটার সমাধি নতুন করে নির্মাণ করান সেই চার্লসই।