Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

এসো কালবৈশাখী

বৈশাখ শেষের তামাটে বিকেলেই ধেয়ে আসে সর্বনাশী মেঘ। সব লন্ডভন্ড করে দেওয়া সেই ঝড়ের স্মৃতি ও একটুকরো ইতিহাস লিখলেন কৌশিক মজুমদার

বড্ড গরম পড়েছে আজকাল। একবিন্দু শীতল আদর নেই কোথাও। আগে কি এমন দুঃসহ গরম ছিল? জানি না। কিছুদিন আগেও তো শুনতাম লু নাকি শুধুই দিল্লি আর রাজস্থানে হয়। আর এবার পানাগড় গরমে হারিয়ে দিয়েছে জয়পুরকে। শুধু মনে পড়ে, আমাদের সেই বেড়ে ওঠার ঝিম ধরা দুপুরে লোডশেডিং হয়ে যেত প্রায়ই। আর লোডশেডিং মানেই আজ আর ‘ছুটি ছুটি’ দেখা হল না। গাছের লিচুতে পাক ধরত। দুপুরে ভাতে জল ঢেলে কাঁচা বা শুকনো লঙ্কা, পেঁয়াজ, কাসুন্দি, ভাজা আর চচ্চড়ি দিয়ে খেয়ে মেঝে জুড়ে ভিজে ন্যাকড়া দিয়ে মোছা শীতলপাটি পেতে মা আর ঠাকুমা ঘুমাচ্ছেন। আঁচল এলিয়ে পড়েছে। অন্যঘরে লাল কুচি কুচি কাপড়ের বর্ডার দেওয়া হাতপাখা নাড়তে নাড়তে চোখ বুজে বিশ্রামের চেষ্টায় আমার পিতামহ। মাঝেমাঝেই হাত থেমে যাচ্ছে। হাতের আগল পেরিয়ে পাখা পড়ছে মাটিতে। অমনি জেগে উঠছেন তিনি। যদি পাশে শুয়েও পড়তাম, ঘুম আসত না। যে বিকেল আসতে তখনও বেশ অনেকটা দেরি, তার রুদ্ধশ্বাস প্রতীক্ষায় ছটফট করতাম বিছানাজুড়ে। গায়ে পাখার বাড়ি লাগত। আর লাগলেই তিনবার বিছানায় পাখা ঠুকে দিতেন ঠাকুরদা। গায়ে পাখার বাড়ি নাকি দুর্লক্ষণ। সেটা কাটাতেই এই উপায়। গরমের ছুটিতে বোলতা উড়ত সারা বাড়িময়। পাশের বাড়ি জামরুল গাছটায় লাল সাদা অদ্ভুত মিষ্টি জামরুল ধরত। আমি পাঁচিলে দাঁড়িয়ে পেড়ে পেড়ে খেতাম। মা বকত। পড়ে গেলে পা ভাঙবে। তবুও। সেখানে প্রতি বছর বোলতার বাসা হতো। বাসা ভাঙতে পারত না সবাই। লোক ডাকা হতো। জয়দেবকাকু। একটু খোঁড়া মতন। বেঁটে। এসেই বড্ড যত্ন নিয়ে হাতের কঞ্চিটায় কাপড় জড়াতো। তারপর পরম মমতায় কাপড়ের গায়ে ঢালত কেরোসিন। খানিক তাকিয়ে থাকত। পকেট থেকে দেশলাই বার করে ধরিয়েই ‘সবাই ঘরে যাও’ বলে সেই আগুনকাঠি ছুঁইয়ে দিত বোলতার বাসায়। দৌড়ে ফিরে আসতে আসতে চার-পাঁচটা বোলতা কামড়ে দিত। কাকু ভ্রূক্ষেপ করত না। ফোলা জায়গায় কাঁচা পেঁয়াজের রস বোলাতো। সেদিন পেট ভরে খাওয়া আর কুড়ি টাকা পেত কাকু। অন্যদিন শুনেছি জনমজুরের কাজও করত। একবার আমিও ভাবলাম বোলতা মারব। চাকে ঢিল দিতেই রাশি রাশি বোলতা ঘিরে ধরে সে এক কাণ্ড! শেষে ডাক্তার-বদ্যি করে ঝামেলার একশেষ।
তবু দুপুরটা আমাদের একান্ত নিজের ছিল। সেই ছেলেবেলায় রবি যেমন বলেছিলেন, দিনের বেলার রাত। তেমনি। রঙিন বই, ফেটে যাওয়া বল আর রং পেনসিলের সে জীবনে অন্য কেউ ঢুকতে পারত না। সবুজ মলাটের বাঁধানো রুলটানা পায়োনিয়ার খাতা ছিল একটা। কাউকে না জানিয়ে লেখার জন্য ওই দুপুরের জুড়ি নেই।
তামাটে বিকেল পড়তে না পড়তেই গাছপালারা অদ্ভুতভাবে নীরব হয়ে যেত। সারা গা থেকে ঝরে পরা স্বেদবিন্দুরা বারবার ভিজে গামছা বোলানোতেও শান্তি দিত না। কুঁজোর জল খেতাম ঢকঢকিয়ে। কোনও কোনওদিন আমার পিতামহ আকাশের ঈশান কোণে চেয়ে বলতেন, ‘পূর্বদিকের মেঘ ইস্পাতের মতো কালো। পশ্চিম দিকের মেঘ ঘন নীল। সকালে রৌদ্র ছিল, নিশ্চিন্ত ছিলাম। দেখতে দেখতে বিস্তর মেঘ জমেছে।’ সহজ পাঠের এই লাইনগুলো কণ্ঠস্থ ছিল তাঁর। মা তাড়াতাড়ি উঠে পড়তেন। প্রায় দৌড়ে ছাদের তারে মেলা কাপড় কোনওক্রমে তুলে পাহাড় করে রাখতেন ঘরের ভিতর। এদিকে, আকাশজুড়ে তখন এক সর্বনাশী মেঘ করেছে। আমি নিশ্চিত জানতাম, খানিক বাদেই বুবান, মিঠুনরা এসে ডাক দেবে, ‘আম কুড়াতে যাবি না? এখন না গেলে আর ভাল আম পাওয়া যাবে না। ওপাড়ার সন্তু আর বিকিরা এসে গেলেই হয়ে গেল।’
মা কিছু বোঝার আগেই পালাতে হতো। পিছনের সব ‘কোথায় যাচ্ছিস? মাথায় আমডাল পড়ে গেলে মাথা ফেটে দু’খানা হবে। এক্ষুনি ঘরে আয়’-কে উপেক্ষা করে। আমবাগানে পৌঁছতেই দেখি বাগানের বিভিন্ন কোণে আমাদের মতো জনাদশেক তখনই দাঁড়িয়ে। সবাই আড়চোখে সবাইকে দেখছে। আর দেখছে, কোন গাছের আম কতটা ফলন্ত হয়েছে।
এদিকে বড় একখানা চাদরের মতো ঘন কালো মেঘ ঢেকে ফেলেছে গোটা আকাশ। আমবাগানের অন্ধকারে কেউ কাউকে পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি না। এতক্ষণ যে সামান্য গরম বাতাস বইছিল, সেটাও আচমকা বন্ধ। আমগাছের পাতা তিরতির কাঁপতে শুরু করল। সবাই জানি এর পরেই আসল খেলা শুরু। কেউ যেন রেডি- স্টেডি বলে হুইসেলটা বাজানোর আগে জিরিয়ে নিচ্ছে একটু। তারপরেই হাড়হিম করা এক ঠান্ডা বাতাস বয়ে যায়। গাছগুলো চঞ্চল হয়ে তীব্রবেগে মাথা দোলাতে থাকে। দূরের সুপারি বনের চুলের মুঠি ধরে কে যেন প্রচণ্ড রাগে নাড়াচ্ছে ক্রমাগত। গোটা আমবাগান জুড়ে খড়খড় সরসর এক অদ্ভুত শব্দের মাঝেই দূরে কোথাও ‘ধুপ’ করে একটা শব্দ হল। এ শব্দ সবার চেনা। ‘আম পড়েছে’, ‘আম পড়েছে’ করে অনেকেই দৌড় দিল সেদিকে। কিন্তু তারা কাঁচা খেলোয়াড়। এ খেলার ভেটেরানরা জানে বেশি দৌড়াদৌড়িতে পায়ের ব্যায়াম হয় ঠিকই, কিন্তু লাভের বেলায় ঘণ্টা। তারা পাকা মেছুড়ের মত তিন-চারটে গাছ টার্গেট করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। হাওয়ার বেগ বাড়ে। তাদের দেহের প্রতিটি মাংসপেশি টানটান হয়ে থাকে। কান খাড়া। আম মাটিতে পড়তে না পড়তে শিকারি বাজের মতো ছোঁ মেরে তুলেই হাতের ব্যাগে চালান। মুশকিল হতো, এক খাপে দুই তলোয়ারের মতো এক বাগানে দুই ওস্তাদ থাকলে। এমনিতে এদের এরিয়া ভাগ করা থাকত। কিন্তু গ্রহের ফেরে কোনওদিন হয়তো ‘আজ দু’জনার দু’টি পথ’ একই দিকে বাঁকত। আর তখন বাকিরা প্রমাদ গুনত। আম পড়ামাত্রেই প্রায় সমান সময়ে দু’জনেই দুর্লঙ্ঘ্য নিয়তির মতো চলে আসত সেই আমের কাছে। কিন্তু যে আগে হাত লাগাবে, আম তার। অন্যে যাতে হাত না লাগাতে পারে সেই জন্যে শ্লীল-অশ্লীল কোনও প্রচেষ্টাই বাদ রাখা হতো না। আমার স্পষ্ট মনে আছে, আমারই চোখের সামনে বুবান একটা ডাইভ মারতে যেতেই সন্তু প্রায় ডব্লুডব্লুই-র আন্ডারটেকারের কায়দায় ঝাঁপিয়ে পড়ে ওর প্যান্ট ধরে মারল এক টান। সরসর করে সেটা চলে এল সন্তুর হাতে। কিন্তু বুকে ভর দিয়ে প্রায় হেঁচড়ে বুবান এর পরেও যেভাবে আমটাকে ব্যাগস্থ করল, দেখলে অগ্নিপথের অমিতাভ বচ্চনও লজ্জা পেতেন। একটু বাদেই সন্তু সাঁইত্রিশ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে লাফ মেরে উড়ন্ত একটা আম পাকড়াবার আগেই তার নাকের ডগা দিয়ে খপাত করে সেই আম ক্যাচ ধরে নিল মিঠুন। এ আমার নিজের চোখে দেখা। নেহাত ভারতে রাগবি খেলার চল নেই। তা না হলে আমাদের পাড়া থেকেই সেরা রাগবি প্লেয়ারদের জন্ম হতো। আমার মতো কিছু আনাড়ি প্রচুর ছুটে কিছু ছোট ছোট আমের কুশি ছাড়া কিছুই জোগাড় করতে পারত না। সেগুলোই পকেটে পুরে অপেক্ষা করতাম কখন ওস্তাদদের কৃপা হবে।
এখানে ঝড়ে আম কুড়ানোর আর একটা ‘থাম্বরুল’ বলে যাই। বৃষ্টি শুরু হলে আর আমবাগানে থাকতে নেই। তখন বেড়িয়ে এসে সেই সব ওস্তাদের পিছনে পিছনে ঘুরতে হয় অন্তত এক পিস ভালো আমের জন্য। বারণ না শুনে পালিয়ে আসাকে আম দিয়ে জাস্টিফাই না করতে পারলে বাড়ি ফিরে কপালে যা জুটবে, তা কহতব্য নয়। তাই ঝুপ্পুস বৃষ্টির মধ্যে রাস্তার ধারের এক কালভার্টে এক পা তুলে বসে আম ভাগাভাগি হতো। দেখা হতো কে কেমন আম পেল। ‘আরে, তুই সন্তুর দলে ছিলি না? আমাকে কনুই মারলি। এখন আমের ভাগ নিতে এসেছিস! ভাগ এখান থেকে।’ সে বেচারা তখন প্রাণপণে প্রমাণ করতে ব্যস্ত ‘আমি তোমাদেরই লোক।’ চিঁড়ে ভেজে না। আমায় নেহাত দুধভাত বলে একখানা মাঝারি আম দেওয়া হয়। সেটা নিয়েই বীরদর্পে, মানকচুর পাতা মাথায় ঘরে ফিরি।
সামনের বকুল গাছটা, যেটায় একটা বসন্তবৌরী এসে ঘুরে ঘুরে যেত, নেচে বেড়াত টিয়াপাখিরা, সেটা ঝড়ে উল্টে গোটা রাস্তাজুড়ে আছে। এলাকাজুড়ে ঘন অন্ধকার। লোডশেডিং। খান দু’-এক খোলা জানলা দিয়ে হলদে লন্ঠনের আলো উঁকি মারছে। বাড়ি ফিরেই আগে স্নান করে নিতে হতো। তারপর মায়ের বকার মধ্যেই সেই আম আর আমের কুশি থেঁতো করে নুন, মিষ্টি, অল্প সর্ষের তেল আর কাঁচালঙ্কা দিয়ে খেয়ে ঝালে শিষোতাম। মা প্রথম দিকে রেগে বলত খাবে না। পরে ‘দে একটু টেস্ট করি’ বলে ঠিকই খেত। মামাদের মুখে শুনেছি, আম কুড়োনোতে মায়ের নাকি জুড়ি ছিল না গোটা অঞ্চলে। সে কথাই মনে পড়ে যেত হয়তো। পরদিন সকালে দোমড়ানো অ্যান্টেনা, ভেঙে যাওয়া বাংলাদেশি বুস্টার আর উঠোনভরা পাতা নিয়ে ঝকঝকে সকাল যেন সদ্য স্নান করে ওঠা শিশুর মতো হেসে উঠত।  
এসব কেমন গতজন্মের কথা মনে হয়। জয়দেব কাকু এখনও বেঁচে আছে কি না, জানি না। পাঁচিলের ধার ঘেঁষা পাশের বাড়ির জামরুল গাছটা কাটা পড়েছে। ওখানে এখন তীব্র রোদ। বোলতারা বাসা বাঁধতে আসে না আর। দুপুর হতে না হতেই নতুন এক গুনগুন শুরু হয় সব বাড়িতে। বোলতার ডানার না, ঠান্ডা এসি মেশিনের। প্রকৃতির নিয়ম মেনে কালবৈশাখী আসে। সন্তু, বুবান, মিঠুনরা ফেসবুকের এক ক্লিক কিন্তু আদতে অনন্ত মাইল দূরে। কবে তারা দূরতর নক্ষত্রমালা হয়ে গেল, টেরই পেলাম না। আমাকে কেউ আর আম কুড়াতে ডাকে না। 
দু’বছর হল, সেই আমবাগান বিক্রি হয়ে বিরাট মার্কেটিং কমপ্লেক্স হয়েছে। তার ফ্রিজে থরে থরে রাখা বহুজাতিক কোম্পানির সিলপ্যাক করা কাঁচা আমের আমপান্না। ‘খেয়ে দেখুন। একেবারে ফ্রেশ মাল’—দোকানদার বলল সেদিন।
কাটুর্ন : সেন্টু 
19th  May, 2024
দাঁড়াও, পথিক-বর

হিন্দু না খ্রিস্টান—ধর্মীয় টানাপোড়েনে দেড় দিন মাইকেল মধুসূদন দত্তের নিথর দেহ পড়ে ছিল মর্গে! কবির মৃতদেহের দায়িত্ব নিতে রাজি ছিল না কেউ। কেন এমনটা হয়েছিল? লিখছেন অনিরুদ্ধ সরকার বিশদ

23rd  June, 2024
মাইকেলের সমাধি

কলকাতার কোলাহলমুখর অন্যতম ব্যস্ত মল্লিকবাজার মোড়। তার একটু আগেই শিয়ালদহ থেকে আসার পথে বাঁদিকে কলকাতার লোয়ার সার্কুলার রোড সেমেট্রি। গেট পার হলেই সোজা কিছুটা এগিয়ে ডান দিকে তাকালেই দেখা যাবে লেখা রয়েছে ‘মধু বিশ্রাম পথ’। বিশদ

23rd  June, 2024
বিস্মৃত বিপ্লবীর সন্ধানে

স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে বিপ্লবগুরু যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে নিরালম্ব স্বামী ও তাঁর চান্না আশ্রম। ইতিহাসের সেই অধ্যায় ছুঁয়ে এসে স্মৃতি উজাড় করলেন সৈকত নিয়োগী। বিশদ

16th  June, 2024
কোথায় বিপ্লব? কখন বিপ্লব?

পাথরের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ সন্ন্যাসীর। খড়ের ছাউনি দেওয়া মাটির ঘরে বসে আনমনা হয়ে মেঝেতে একটা বুলেট ঠুকছেন। পাশে ইতস্তত ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রিভলভারের যন্ত্রাংশ। উল্টোদিকে মোড়ায় বসে এক যুবক ক্রমাগত তাঁকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছেন। বিশদ

16th  June, 2024
জামাইবাবু জিন্দাবাদ
কৌশিক মজুমদার

সে অনেককাল আগের কথা। এক পরিবারে দুই বউ ছিল। ছোট বউটি ছিল খুব লোভী। বাড়িতে মাছ কিংবা অন্য ভালো খাবার রান্না হলেই সে লুকিয়ে লুকিয়ে খেয়ে নিত আর শাশুড়ির কাছে গিয়ে বলত ‘সব ওই কালো বেড়ালটা খেয়ে নিয়েছে।’ বিড়াল মা-ষষ্ঠীর বাহন। বিশদ

09th  June, 2024
আদরের অত্যাচার
কলহার মুখোপাধ্যায়

মাছের মুড়ো মনে হচ্ছে হাঁ করে গিলতে আসছে। পাক্কা সাড়ে তিন কেজির কাতলা। জল থেকে তোলার পরও দু’মিনিট ছটফট করেছিল। এক-একটি পিস প্রায় ২৫০ গ্রামের। তেল গড়গড়ে কালিয়া হয়েছে। পাশে কাঁসার জামবাটিতে খাসির মাংস। সব পিসে চর্বি থকথক করছে। বিশদ

09th  June, 2024
ঝড়ের  ঠিকানা

কখনও আইলার মতো সরাসরি, কখনও বা রেমালের ‘লেজের ঝাপ্টা’—প্রায় প্রতি বছরই বর্ষার আগে বাংলায় আঘাত হানছে একের পর এক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। একটার ক্ষত শুকোতে না শুকোতে আবার একটার তাণ্ডব। ব্যস, যাবতীয় বিপর্যয় মোকাবিলার ব্যবস্থাপনা, পুনর্বাসন ও উন্নয়ন ধুয়েমুছে সাফ! শুধু জেগে থাকছে আতঙ্ক জাগানো একটা শব্দ, ‘সাইক্লোন’।
বিশদ

02nd  June, 2024
সবহারাদের কথা

সালটা ২০০৯। ২৬ মে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় আইলা। তছনছ হয়ে গিয়েছিল পাথরপ্রতিমা ব্লকের উত্তর গোপালনগর গ্রাম। গোবোদিয়া নদীবাঁধ ভেঙে সুন্দরবনের মধ্যে প্রথম প্লাবিত হয়েছিল এই গ্রামই। কোমরসমান জলের মধ্যে দাঁড়িয়েই শুরু হয় জীবনের লড়াই। সেই কথা মনে পড়লে আঁতকে ওঠেন স্থানীয়রা।
বিশদ

02nd  June, 2024
বাস্তবের সাইবর্গরা
কল্যাণ কুমার দে

মেরিন কর্পে কাজ করতেন ক্লডিয়া মিশেল। মোটরবাইক দুর্ঘটনায় একটি হাত হারিয়ে ফেলেন। সেখানে স্থাপন করা হয় একটি বায়োনিক হাত। সেটিকে যুক্ত করা হয় শরীরের নার্ভাস সিস্টেম বা স্নায়ুতন্ত্রের সঙ্গে। এখন এই যান্ত্রিক হাতে তিনি এতটাই সাবলীল যে ফলের খোসা ছাড়াতেও কোনও অসুবিধা হয় না। বিশদ

26th  May, 2024
টেলিপ্যাথির ১০০ দিন

টেলিপ্যাথির দাম নাকি ৮ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা! ইলন মাস্ক অবশ্য এখনও প্রাইসট্যাগ লাগাননি। কিন্তু তাঁর সংস্থার যুগান্তকারী আবিষ্কার নিউরালিঙ্ক বা এনওয়ান চিপ মস্তিষ্কে বসাতে এতটাই খরচ হতে পারে বলে সংবাদমাধ্যমের দাবি। সঙ্গে রয়েছে আনুষঙ্গিক বিমা, ৩৩ লক্ষ ২৪ হাজার টাকার। বিশদ

26th  May, 2024
সেকালের কলকাতার ঝড়বৃষ্টি

‘মনে হচ্ছে দুনিয়া ভাসিয়ে দেবার জন্য স্বর্গের জানলাগুলো খুলে গেছে। ভয়ানক বাজ আর তীব্র বিদ্যুৎ। ইউরোপে এমন বাজের আওয়াজ কোনওদিন শুনিনি। সেখানে বৃষ্টি মানে নেহাত আনন্দ। ঝড় আর বাজের এমন রূপ কেউ চিন্তাও করতে পারে না!’ লিখেছিলেন ফ্যানি পার্কস। বিশদ

19th  May, 2024
রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দের সংগ্রাম
পূর্বা সেনগুপ্ত

বুদ্ধের সেবা আর খ্রিস্টান মিশনারীদের সেবা—দুই সঙ্ঘবদ্ধ সন্ন্যাসীদের অভিজ্ঞতা মিশিয়ে স্থাপিত হয় রামকৃষ্ণ মিশন। বিশদ

12th  May, 2024
বরানগর মঠ: প্রতিষ্ঠা কাহিনি

শ্রীরামকৃষ্ণের দেহাবসানের ১৫ দিনের মাথায় ছেড়ে আসতে হয়েছিল কাশীপুর উদ্যানবাটী। সারদা দেবী গৃহীভক্ত বলরাম বসুর পরিবারের সঙ্গে তীর্থে চললেন। গুরুভাইদের নিয়ে পথে নেমে এসেছিলেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত। সব ছেড়ে নবীন সন্ন্যাসীদের মঠে যাওয়ার ডাক দিতেন। বিশদ

12th  May, 2024
রবীন্দ্রনাথ ও সত্যজিৎ

শান্তিনিকেতনের লাইব্রেরি তাঁকে সিনেমা সম্পর্কে কৌতূহলী করে তুলেছিল। প্রকৃতি ও জগৎকে দেখার চোখ খুলে দিয়েছিলেন বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায় ও নন্দলাল বসু। শান্তিনিকেতন তথা রবীন্দ্র-সাহচর্যেই সত্যজিৎ রায় হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক। লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস বিশদ

05th  May, 2024
একনজরে
১৭ মার্চ থেকে ২১ জুন— তিন মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত। এতদিনেও পুরোপুরি সাফ করা গেল না গার্ডেনরিচে ভেঙে পড়া নির্মীয়মাণ বেআইনি বহুতলের ভগ্নস্তূপ। ফলে কলকাতা পুরসভার নিযুক্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি তাদের অনুসন্ধান চালাতে পারছে না। ...

অপ্রতিরোধ্য স্মৃতি মান্ধানা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজের তৃতীয় ম্যাচেও ঝড় তুললেন তিনি। মান্ধানার ৮৩ বলে ৯০ রানের ইনিংসের সুবাদেই প্রোটিয়াদের ৩-০ হোয়াইটওয়াশ করল ভারত। ...

বাতাসে বহিছে বিষ।  দূষণ বেড়েছে মাত্রাছাড়া এর খেসারত দিতে হচ্ছে আম আদমিকে। বিশেষ করে, শিশুদের শরীরে উদ্বেগজনক প্রভাব ফেলছে এই দূষণ। সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে উঠে ...

মালদহের আম চিনতে কিউআর কোড লাগাতে শুরু করেছে উদ্যান পালন দপ্তর। এজেলার আম যখন আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়ে অর্থনীতি চাঙ্গা করছে, ঠিক তখনই আমগাছ নিধনে ব্যস্ত জমি মাফিয়ারা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক মতান্তর, কলহে মনে হতাশা। কাজকর্ম ভালো হবে। আয় বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

 
১৭৬৩ - ব্রিটিশ সৈন্যরা মুর্শিদাবাদ দখল করে মীরজাফরকে বাংলার নবাব নিযুক্ত করে
১৭৯৩ - ফ্রান্সে প্রথম গণতান্ত্রিক সংবিধান গৃহীত হয়।
১৮১৯ - শিল্পপ্রেমী লোকহিতৈষী তথা কলকাতার মার্বেল প্যালেস প্রতিষ্ঠাতা রাজেন্দ্র মল্লিকের জন্ম
 ১৮৮৩- অস্ট্রিয়-মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী ভিক্টর ফ্রান্সিস হেসের জন্ম
১৮৯৭ - সংগীত শিক্ষক, সঙ্গীতজ্ঞ ও গোয়ালিয়র ঘরানার হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত ওমকারনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৯০৮ - সঙ্গীত-নাটক আকাদেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কথাকলি নৃত্যশিল্পী ও অভিনেতা গুরু গোপীনাথের জন্ম
১৯০৮- প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট গ্রোভার ক্লিভল্যান্ডের মৃত্যু
১৯১৮ - কানাডায় প্রথম এয়ার মেইল সার্ভিস শুরু হয়- মনট্রিল থেকে টরন্টো
১৯৭০- অভিনেত্রী জুন মালিয়ার জন্ম
১৯৮০ -ভারতের চতুর্থ রাষ্ট্রপতি ভারতরত্ন বরাহগিরি ভেঙ্কট গিরির মৃত্যু
১৯৮৭- আর্জেন্তিনার ফুটবলার লিওনেল মেসির জন্ম
২০০২ - আফ্রিকার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর রেল দুর্ঘটনা ঘটে তাঞ্জানিয়ায়। ২৮১ জন মারা যায়।
২০১০ - জুলিয়া গিলার্ড অস্ট্রেলিয়ার প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭৭ টাকা ৮৪.৫১ টাকা
পাউন্ড ১০৪.১৬ টাকা ১০৭.৬৩ টাকা
ইউরো ৮৮.০৭ টাকা ৯১.১৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
22nd  June, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  June, 2024

দিন পঞ্জিকা

৯ আষাঢ়, ১৪৩১, সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪। তৃতীয়া ৫১/৮ রাত্রি ১/২৪। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ২৭/২৩ দিবা ৩/৫৪। সূর্যোদয় ৪/৫৭/২৩, সূর্যাস্ত ৬/২০/২৫। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩১ গতে ১০/১৮ মধ্যে। রাত্রি ৯/১০ গতে ১২/০ মধ্যে পুনঃ ১/২৫ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৩/৩৩ গতে ৪/১৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৮ গতে ৮/১৯ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৪/৪০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/২০ গতে ১১/৪০ মধ্যে।  
৯ আষাঢ়, ১৪৩১, সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪। তৃতীয়া রাত্রি ২/৫৭। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র অপরাহ্ন ৫/৪৫। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩৫ গতে ১০/২২ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/১৩ গতে ১২/৩ মধ্যে ও ১/২৮ গতে ২/৫৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৩/৩৬ গতে ৪/১৯ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৭ গতে ৮/১৮ মধ্যে ও ৩/২ গতে ৪/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/২১ গতে ১১/৪০ মধ্যে। 
১৭ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি-২০ বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়াকে ২৪ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতল ভারত

11:52:27 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ: ১৫ রানে আউট টিম ডেভিড, অস্ট্রেলিয়া ১৬৬/৭ (১৭.৫ ওভার) টার্গেট ২০৬

11:40:59 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ: ১ রানে আউট ম্যাথু ওয়েড, অস্ট্রেলিয়া ১৫৩/৬ (১৭.১ ওভার) টার্গেট ২০৬

11:35:15 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ: ৭৬ রানে আউট ট্রাভিস হেড, অস্ট্রেলিয়া ১৫০/৫ (১৬.৩ ওভার) টার্গেট ২০৬

11:30:48 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ: ২ রানে আউট মার্কাস স্টোইনিস, অস্ট্রেলিয়া ১৩৫/৪ (১৪.১ ওভার) টার্গেট ২০৬

11:18:26 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ: ২০ রানে আউট ম্যাক্সওয়েল, অস্ট্রেলিয়া ১২৮/৩ (১৩.১ ওভার) টার্গেট ২০৬

11:13:37 PM