পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক মতান্তর, কলহে মনে হতাশা। কাজকর্ম ভালো হবে। আয় বাড়বে। ... বিশদ
দিনটা ছিল ১৯ অক্টোবর, ১৮৬৬। মঙ্গলবার। নরেনের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা হল বরানগর মঠ। রামকৃষ্ণ সঙ্ঘের সদস্যদের দ্বারা স্থাপিত প্রথম মঠ। সেখানেই দিনরাত চলত জপধ্যান এবং শ্রীরামকৃষ্ণ, শঙ্করাচার্য, রামানুজ ও খ্রিস্টের দর্শন ও শিক্ষা নিয়ে আলোচনা। মঠের প্রথম দিনগুলির কথা বলতে গিয়ে নরেন্দ্রনাথ পরে বলেছিলেন, ‘বরাহনগর মঠে আমরা অনেক ধর্মাচরণ করেছি। রাত তিনটে নাগাদ ঘুম থেকে উঠে জপধ্যানে মগ্ন হতাম। সেই দিনগুলিতে বৈরাগ্য কি প্রবল ছিল! বাইরের জগৎ আছে কি নেই, সেকথা একবার মনেও হত না।’ ১৮৮৭ সালের প্রথম দিকে আটজন গুরুভাইকে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ন্যাস ব্রত গ্রহণ করেন নরেন্দ্রনাথ। ধারণ করেন নতুন নাম— স্বামী বিবেকানন্দ।
বরানগর মঠের তখন আশ্রমিকদের মূল পরিধান কৌপীন। বাইরে যাওয়ার বহির্বাস মাত্র একটি। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেটি পরতেন সকলে। ঘরে মাছ ধরার জালের মতো মাদুর আর মাথায় দেওয়ার জন্য একটি করে ইট। খাবার বলতে তেলাকুচো পাতার ঝোল-ভাত। কোনও দিন একটু দুধ জোগাড় হলে সকলে আঙুল ছুঁইয়ে মুখে দিয়ে একে অপরকে জিজ্ঞাসা করতেন, ‘কি হে ভাই, বল পাচ্ছ?’
১৮৯৭ সালে জরাজীর্ণ বাড়িটি ধূলিসাৎ হয়ে যায়। স্বামীজি তখন পাশ্চাত্য সফরে। মঠ পুনর্গঠনের কোনও উদ্যোগই নেওয়া যায়নি। ৭৬ বছর পর, ১৯৭৩ সালে রামকৃষ্ণ সঙ্ঘের স্বামী রামানন্দের তত্ত্বাবধানে ‘বরানগর মঠ সংরক্ষণ সমিতি’ গড়ে বাগানের একটি অংশ দখল করেন স্থানীয়রা। শুরু হয় সমাজসেবা। ২০০১ সালে জমিটি তাঁরাই তুলে দেন বেলুড় মঠের হাতে।