পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক মতান্তর, কলহে মনে হতাশা। কাজকর্ম ভালো হবে। আয় বাড়বে। ... বিশদ
‘ব্রহ্ম সত্য, বুলেটও সত্য!’
হাওড়া স্টেশন থেকে কর্ড লাইনের বর্ধমান লোকাল ছাড়তেই বলে উঠল সৌম্যব্রত। এ তো মারাত্মক কথা! বন্ধু সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত অবশ্য নির্বিকার। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা আমাদের নেশা। কিন্তু তার থেকেও সাংঘাতিক ওর স্মৃতি। বলতে থাকল, ‘নিরালম্ব স্বামীর গুরু ছিলেন সোহম স্বামী। তিনিই একথা বলতেন। তাঁর কথা জানো সৈকত?’ সোহম স্বামীর কথা পড়েছি, তবে এত বিশদে নয়। কিন্তু আজ তো গুরু নয়, শিষ্যের খোঁজেই আমাদের বেরিয়ে পড়া। তাও একটিমাত্র লাইন সম্বল করে—‘বর্ধমান জেলার গলসি থানার অন্তর্গত চান্না গ্রামে জীবনের অধিকাংশটা কাটিয়ে দিলেন ‘অগ্নিযুগের ব্রহ্মা’ বিপ্লবগুরু যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।’
কিন্তু কে এই যতীন্দ্রনাথ? নিরালম্ব স্বামীই বা কে? স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে একাধিক যতীন্দ্রনাথের নামের সঙ্গে আমরা পরিচিত। একজন যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, যিনি অবশ্য বাঘা যতীন নামে বিখ্যাত। দ্বিতীয়জন যতীন্দ্রনাথ দাস, লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় ভগৎ সিংয়ের সহযোদ্ধা। জেলবন্দি অবস্থায় ৬৩ দিন অনশনের শেষে শহিদ হয়েছিলেন। তৃতীয়জন যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর চান্না আশ্রমের কথা শোনার পর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম ইন্টারনেটে। মন দিয়ে ঘাঁটছিলাম স্বাধীনতার আগে বর্ধমান জেলায় দামোদর নদের ভয়াবহ বন্যার ইতিহাস। কারণ, নানা বিপ্লবীর স্মৃতিকথা বলছে, ১৯১৩ সালের ভয়াবহ বন্যায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সমস্ত বিপ্লবী দল। যুগান্তর, অনুশীলন, মুক্তিসঙ্ঘ, আত্মোন্নতি সমিতি—কোনও ভেদাভেদ ছিল না। হেমচন্দ্র ঘোষের সর্বস্ব ত্যাগে খুশি হয়ে একটি রিভলভার উপহার দিয়েছিলেন বাঘা যতীন। আমৃত্যু তা সঙ্গে রাখতেন স্বামী বিবেকানন্দের শিষ্য হেমচন্দ্র। কিন্তু যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম কোথাও পাওয়া গেল না।
তাহলে কে তিনি? সত্যিই বিপ্লবগুরু না পলাতক? আলিপুর বোমা মামলায় নথিপত্র ঘাঁটতে ঘাঁটতে অন্য অনেকের মতো আমার মনেও জেগেছিল এই প্রশ্ন। সেই চিন্তায় অনুঘটকের কাজ করেছিল স্বামী বিবেকানন্দের ভাই ভূপেন্দ্রনাথ দত্তের লেখা। চান্না আশ্রমে এসে দীর্ঘদেহী, বলশালী, গৌরবর্ণ সন্ন্যাসী নিরালম্ব স্বামী ওরফে বিপ্লবগুরু যতীন্দ্রনাথকে কম আক্রমণ করেননি তিনি। শুনে কোনও উত্তর করেননি। নীরবে অন্তরে ধারণ করেছিলেন সব বিষবাক্য। বরং স্নেহ পরবশ হয়ে আশ্রমে কিছুদিন রেখে দেন কমিউনিজমের স্বপ্নে বিভোর ভূপেন্দ্রনাথকে। সেই অগ্নিনির্ঝর দিন আর নেই। তবে চান্নার সেই আশ্রম আজও রয়েছে। দৈন্যদশায়, ঠিক যেমনটা ছিল আগে।
‘দেশের মধ্যে, দেশবাসীর মধ্যেই তোমার ভগবান আছেন। দেশকে ভালোবেসে দেশবাসীর সেবা করো।’— স্বামী বিবেকানন্দের এই বাণীই ছিল যতীন্দ্রনাথের জীবনের মূলমন্ত্র। কেবলমাত্র বিপ্লবী বললে তাঁর পরিচয় দেওয়া হয় না। বিংশ শতকের শুরুতে বাংলার বুকে যে বিপ্লবের আগুন জ্বলেছিল, তা নিজের কর্মে-ধর্মে ধারণ করেছিলেন যতীন্দ্রনাথ। অরবিন্দ ঘোষকে তিনিই নিয়ে এসেছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী রাজনীতির যজ্ঞে। বিপ্লবীদের আশ্রয়, অস্ত্র দিয়ে যথাসাধ্য সাহায্য করেছেন। অথচ অগ্নিযুগের স্থপতি হিসেবে নিজে চিরকাল রয়ে গিয়েছেন অন্তরালে।
ট্রেন থেকে নেমে প্রথম গন্তব্য ছিল বর্ধমান ভবন। সেখানে বসেই চান্না আশ্রমের কর্তৃপক্ষের নাম, আশ্রমের দায়িত্বে থাকা অমল বন্দ্যোপাধ্যায়ের নম্বর ইত্যাদি যা কিছু প্রয়োজন সংগ্রহ করা হল। পরদিন রওনা—গন্তব্য চান্না আশ্রম। মিনিট চল্লিশেকের যাত্রাপথ। বাঁধানো পিচ রাস্তা, আঁকাবাঁকা মেঠোপথ শেষে একেবারে প্রত্যন্ত গ্রাম। রাস্তা খাড়া ঢালে নেমেছে ধানখেতে। এদিক সেদিক ছড়িয়ে কুঁড়েঘর, পাকা বাড়ি, ধানের গোলা। সাধক কমলাকান্তের আশ্রম ডানদিকে রেখে এগিয়ে চললাম অগ্নিযুগের শক্তিপীঠের উদ্দেশে। খানিক এগতেই কমলা রঙের গোল আর্ক করা গেট। বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্রম। আসার পথে নজরে পড়েছিল সাঁওতালদের গ্রাম। কর্মঠ শরীরগুলো রাস্তায় পড়ে থাকা ধান-মুরগির তদারকিতে রত। চান্না আশ্রমের পরিবেশ বেশ রোমাঞ্চকর। দু’টি একচালা ঘর। একটিতে টিনের চাল, অপরটি খড়ের। দূরে পাকা বাড়িটি দেখে বুঝলাম হালে মিউজিয়াম করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু, আশ্রমের শেষ প্রান্তের কাছে পৌঁছে চমকে গেলাম। একটা শুষ্কপ্রায় নদী আশ্রম স্পর্শ করে এঁকেবেঁকে অন্তর্হিত হয়েছে দূরের জঙ্গলে। আশ্রম থেকে বাঁধানো সিঁড়ি নেমেছে নদীর জলে। ওপারে উঁচু জমিতে রোদে ঝলমল করছে মানুষপ্রমাণ ঘাস।
হঠাৎই সৌম্যব্রতর নজর পড়ল একটি সিমেন্টের বসার আসনে।
- দেখ কেমন অদ্ভুত! বসার জায়গা আর হেলান দেওয়ার পাথরটা আলাদা।
ততক্ষণে আমার নজর পড়েছে। স্থানীয় কিছু মানুষও জড়ো হয়ে গিয়েছেন আমাদের দেখে। হেলান দেওয়ার পাথরটির গায়ে কিছু লেখা। আবছা হয়ে এসেছে অক্ষরগুলি। পড়তে পারছিলাম না।
‘স্বামী নিরালম্ব, ৫ই অগ্রহায়ণ, আশ্রম চান্না।’ অস্পষ্ট লেখাটা পড়ে দিলেন আশ্রম-অন্ত প্রাণ অশীতিপর মানুষটি। অমল বন্দ্যোপাধ্যায়। বলতে থাকলেন, ‘‘এই পাথর তুলে নিয়ে ওই ঘাটে নেমে যেতেন তিনি। স্নান সেরে নিশ্চুপ বসে থাকতেন। আমার বাবার কাছে তাঁর অনেক গল্প শুনেছি। কিন্তু আপনারা এখানে কি উদ্দেশ্যে?’ অমলবাবুর কথায় প্রথমে হকচকিয়ে গিয়েছিলাম। পরিচয় দিতে আড়ষ্ট ভাব কাটল।
বিপ্লবগুরু যতীন্দ্রনাথের চালাঘরটি প্রায় দশ বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। দরজার শিকল শক্ত হয়ে এঁটে বসেছে দেওয়ালে। অনেক চেষ্টাতেও খেলা গেল না। অমলবাবু সাঁওতাল গ্রামের দিকে তাকিয়ে হাত নাড়লেন। দু’জন ছুটে এলেন। একসময় ওদের এখানে এনে বসতি স্থাপন করিয়েছিলেন যতীন্দ্রনাথই। বাংলা ভাষাও শেখাতেন। অমলবাবু বললেন, ‘তোমরা একটা শাবল আনো, স্বামীজীর ঘরটা খুলতে হবে।’ গ্রামবাসী দু’জন তৎক্ষণাৎ ছুটলেন। শাবল দিয়ে চাপ দিতে দরজা খুলল। ভিতরে প্রবেশ করতে অবাক হওয়ার মাত্র আরও বাড়ল। এ কেমন সন্ন্যাসী নিরালম্ব স্বামী? না বাইরে, না ঘরে, কোথাও কোনও উপাসনার চিহ্নমাত্র নেই!
সিপাহী বিদ্রোহ, আদিবাসী বিদ্রোহের স্বপ্ন দেখতেন যতীন্দ্রনাথ। তাই বনজঙ্গলে ঘেরা এই আশ্রম সংলগ্ন জমিতে আদিবাসীদের এনে বসতি স্থাপন করান। উদ্দেশ্য ছিল, ব্রিটিশ ভারতের এই অঞ্চলটুকু মুক্তাঞ্চল রূপে গড়ে তোলা। সাঁওতাল বিদ্রোহ প্রসঙ্গে ‘ইংরাজের আতঙ্ক’ প্রবন্ধে স্বয়ং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন—‘১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে হিন্দু মহাজনদের দ্বারা একান্ত উৎপীড়িত হইয়া গর্ভমেন্টের নিক নালিশ করিবার জন্য সাঁওতালগণ তাহাদের অরণ্য-আবাস ছাড়িয়া কলিকাতা-অভিমুখে যাত্রা করিয়াছিল।... এদিকে পথের মধ্যে পুলিশ তাহাদের সহিত লাগিল, আহারও ফুরাইয়া গেল-পেটের জ্বালায় লুটপাট আরম্ভ হইল। অবশেষে গর্ভমেন্টের ফৌজ আসিয়া তাহাদিগকে দলকে দল গুলি করিয়া ভূমিসাৎ করিতে লাগিল।’ ব্রিটিশ সরকারের অত্যাচারে রোষানলে দগ্ধ হয় সাঁওতালরা। ঝাঁপিয়ে পড়ে কোম্পানিরাজের বিরুদ্ধে। বিদ্রোহের আগুন ধিকি ধিকি জ্বলছিল তাদের মনে। তাই সাঁওতালদের এনে যতীন্দ্রনাথ সাজিয়েছিলেন নিজ দুর্ভেদ্য দুর্গ! অস্ত্র লুকিয়ে রাখা, ফেরার বিপ্লবীদের আশ্রয়দান, বিভিন্ন বিপ্লবী অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করতে দু’দশকের বেশি সময় ধরে ব্যস্ত ছিল এই চান্না আশ্রম।
১৯০২ সালে কলকাতার কাছে মুরারিপুকুরে ছিল অরবিন্দের বাবা ডাঃ কৃষ্ণধন ঘোষের বাগানবাড়ি। সেখানে বসেই এক গুপ্ত সমিতি গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘আনন্দমঠ’কে বাস্তবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় মনোনিবেশ করেন অরবিন্দের সহযোদ্ধা যতীন্দ্রনাথ। কিন্তু অরবিন্দের ভাই বারীনের সঙ্গে তাঁর মতান্তর হয়। তাই সঙ্গত্যাগ করে বর্ধমানে চলে আসা। তারপর গলসিতে অরণ্যে ঘেরা এলাকায় তাঁর এই শক্তিকেন্দ্র স্থাপণ। যতীন্দ্রনাথ জীবিত থাকাকালীনই এই গুপ্ত সমিতি সম্পর্কে ত্রাস সৃষ্টি হয়েছিল স্থানীয় স্তরে।
রীতিমতো প্রবাদ হয়ে উঠেছিল একটি বাক্য— ‘যে যাবে চান্না, ঘরে উঠবে কান্না!’ ফলে ব্রিটিশ পুলিশের চরবৃত্তির জন্য ন্যূনতম সাহসও কেউ করত না। কিন্তু কীভাবে গড়ে উঠল যতীন্দ্রনাথের এমন ব্রিটিশ বিরোধী দুর্ধর্ষ মনস্তত্ত্ব? উত্তরটা দিয়েছিলেন অমলবাবু, ‘যতীন্দ্রনাথের দুরন্তপনার নানা ঘটনা গ্রামবাসীদের মধ্যে এখনও জনশ্রুতির মতো চালু রয়েছে। একবার তাঁর বাবা কালিদাস বন্দ্যোপাধ্যায় স্থির করলেন, যতীনের মন শান্ত করতে মহীনগর শ্মশানে আসা এক কালী সাধকের কাছে তাঁকে নিয়ে যাবেন। সব শুনে সাধুবাবা একটি রক্ষাকবচ দিলেন। যতীন তখন পাথরের মতো শান্ত। সাধুকে বললেন, ‘শুনেছি আপনি এত মহান, বুলেটও আপনাকে স্পর্শ করে না। সত্যি?’ রাশভারি সাধুর জবাব, ‘হ্যাঁ।’ তখন হঠাৎই যতীন্দ্রনাথ লুকনো একটি পিস্তল বের করে বলে উঠলেন, ‘বেশ তবে একটু পরখ করে দেখব?’ আঁতকে উঠে দৌড় লাগালেন সাধু। আশপাশে সবাই চমকে উঠলেন। আর কালিদাসবাবু তো বাকরুদ্ধ। টেরই পাননি বাড়ি থেকে কখন তাঁর লাইসেন্স অস্ত্রটি নিজের জিম্মায় নিয়েছিলেন দুরন্ত যতীন।’ এমন আরও অনেক সাহসিকতার ঘটনার জন্য যতীন্দ্রনাথকে আজও ঘরের ছেলে বলে মনে রেখেছে চান্না গ্রাম। স্থানীয় জমিদারের অত্যাচার, ব্রিটিশ পুলিশের দৌরাত্ম্য সব একাই বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
একসময় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে বিদ্রোহ ঘটানোর বাসনা নিয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন যতীন্দ্রনাথ। ‘যতীন্দর উপাধ্যায়’ নামে গায়কোয়াড় রাজার এক সৈনিকের পরিচয়পত্র ব্যবহার করে যোগও দিয়েছিলেন সেখানে। উত্তর পশ্চিম ভারতে বিভিন্ন উপজাতিদের ব্রিটিশরাজের বিরুদ্ধে সংগঠিতও করেন। গদর পার্টির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগসূত্র স্থাপিত হয়। সেখানে কারারুদ্ধও হয়েছিলেন। মুক্তিলাভের পরে ১৯০৭ সালে চান্নায় প্রতিষ্ঠা করেন এই আশ্রম। সন্ন্যাস গ্রহণ হয়ে ওঠে তাঁর ছদ্মবেশ। আদতে দেশব্যাপী বিপ্লব প্রচেষ্টা গড়ে তোলাই নিরালম্ব স্বামী যতীনের ধ্যান-জ্ঞান-সাধনা!
স্থানীয়দের মধ্যে দীপ্ত সামন্ত, রানা, ইতিহাস শিক্ষক প্রদ্যুৎ ভট্টাচার্যের সঙ্গে আলাপ হল। আশ্রমের কাজ রওনা হলাম পরবর্তী গন্তব্যে। যতীন্দ্রনাথের মাতুলালয়, যেখানে শ্রী অরবিন্দের পদধূলি পড়েছিল। যতীন্দ্রনাথের নাতি নবীন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরিচয় হল। নবীনবাবুর বাবা ছিলেন বিপ্লবগুরুর মামা। দেখলাম যতীন্দ্রনাথের জন্মস্থানও। বাড়িটার কাঠামো সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে কালের নিয়মে। তবে দেড়শো বছর পেরিয়েও রয়ে গিয়েছে গুদাম ঘরের পুরনো দেওয়ালটা। ভেবে শিহরণ জাগে, একদিন সেই দেওয়াল স্পর্শ করেছিলেন যতীন্দ্রনাথ।
ফিরতি পথে কেউ কোনও কথা বলিনি সেভাবে। মধ্যাহ্নভোজ সেরে হাওড়া ফেরার ট্রেন। কিন্তু ততক্ষণে একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম। সেইমতো কলকাতায় ফিরেই ছুটে গেলাম বরানগরে। সেখানকার গৌরীশঙ্কর পান্ডে লেনে যতীন্দ্রনাথের নামে একটি ফলক দেখেছিল সৌম্যব্রত। জানা যায়, ১৯২৮ সাল কলকাতা কংগ্রেস অধিবেশনে যোগ দিতে এসেছিলেন স্বয়ং ভগৎ সিং। সেখানেই যতীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ। যতীন্দ্রনাথ এখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলেও শুনেছি। অনুসন্ধান এখনও অব্যাহত!
সহযোগিতায় : উজ্জ্বল দাস