Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

দেশজুড়ে কেন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ?


মাসখানেক খানিকটা স্বস্তির শ্বাস নিলেও ফের করোনা আতঙ্ক গ্রাস করেছে দেশবাসীকে। ব্যতিক্রম নয় এ রাজ্যও। সকলের একটাই প্রশ্ন, এটাই কি সেকেন্ড ওয়েভ? এই মারণভাইরাস থেকে নিস্তার পেতে প্রার্থনা করছে গোটা ভারত। এই কঠিন পরিস্থিতিতে পুনের আইসিএমআর-ন্যাশনাল এইডস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর তথা নয়াদিল্লির আইসিএমআর (হেড কোয়ার্টার)-এর এপিডেমিনোলজি অ্যান্ড কমিউনিকেবল ডিজিসেস ডিভিশনের প্রধান ডাঃ সমীরণ পাণ্ডার মতামত শুনলেন সন্দীপ স্বর্ণকার।

বিয়ের পর নতুন জামাইকে নেমন্তন্ন না করলে কি যেচে শ্বশুরবাড়ি যায়? যায় না। বাঙালি পাঠক বেজায় রসিক! ফলে বুঝবেন ধরে নিয়েই সামান্য হেঁয়ালি করে গোড়াতেই এটা বললাম। কোভিড-১৯-এর ভাইরাস ‘সার্স কোভ-টু’ও ঠিক তাই। এই যে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ বা দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে আলোচনায় দেশ উত্তাল, কিন্তু এর জন্য দায়ী কে? দায়ী আমরাই। আমরাই ভাইরাসটাকে ফের জামাই আদরে আমন্ত্রণ জানিয়ে ডেকে এনেছি। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে করোনার প্রকোপ যেই না সামান্য কমল, ব্যস, আমরা গাছাড়া ভাব শুরু করে দিয়েছি। অপ্রয়োজনে ঘোরাঘুরি করছি, পার্টি করছি, করোনা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে আগের মতো আচরণ করেছি। আজ তারই ফল ভুগতে হচ্ছে। তাই সহজ কথায় শুনব না, বুঝেও মানব না, ডাণ্ডা না পড়লে শুধরোব না...এই যদি আমাদের মানসিকতা হয়, তাহলে একবার কেন, বার বার ঢেউ আসবে।  তছনছ করে দিয়ে যাবে শরীর ও স্বাস্থ্য। দুর্বল করে দেবে দেশের অর্থনীতি। 
তাও তো ভালো কথা, দেখতে সেকেন্ড ওয়েভ হলেও আদতে তা গোটা দেশজুড়ে নয়। আমাদের প্রতিটি মানুষের কৃতকর্ম যেমন কোনও না কোনওভাবে গোটা দেশের ওপর প্রভাব ফেলে, সেই অর্থে করোনার এই সংক্রমণের সাংঘাতিক অবস্থাও সার্বিক রেখাচিত্রে ফুটে উঠছে বটে, তবে আসলে এটিকে গোটা দেশের প্রেক্ষিতে দ্বিতীয় ঢেউ বলা যায় না। কয়েকটি মাত্র রাজ্যেই সংক্রমণের এই বাড়বাড়ন্ত লক্ষ করা যাচ্ছে। সেই হিসেবে কোনও রাজ্যে হয়তো তৃতীয়, কোথায় বা চতুর্থ ঢেউও এসে গিয়েছে। কিন্তু সার্বিকভাবে গোটা দেশের পরিপ্রেক্ষিতে যেহেতু গতবারের সর্বোচ্চ একদিনের সংক্রমণের সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে, তাই দ্বিতীয় ঢেউ হিসেবে ব্যাখ্যা করে সাধারণ মানুষের কাছে চিত্রটি তুলে ধরা হচ্ছে। 
কিন্তু একটু গভীরে গিয়ে বিচার করলে দেখা যাবে— মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়,  উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, গুজরাত, দিল্লি, কর্ণাটক, কেরল, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, পাঞ্জাব, তেলেঙ্গানা, উত্তরাখণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ— এই ১৬টি রাজ্যেই সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ বাড়ছে। তাও আবার সব জেলায় নয়। দেশের মোট ৭৩৯টি জেলার মধ্যে ৮২ থেকে ১০০ জেলায় এই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বা বাড়ছে। এর মধ্যে আবার শহরাঞ্চলে বেশি। অন্যদিকে, সিকিম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, লাক্ষাদ্বীপ, দমন-দিউ, দাদরা-নগর হাভেলির মতো কয়েকটি রাজ্য তথা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এক একদিনে কোনও সংক্রমণের খবরই নেই। তাই প্রকৃত অর্থে এটি দেশজুড়ে করোনার সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ বলতে পারছি না।
লক্ষণীয় বিষয় হল, যেখানে জনঘনত্ব বেশি, দোকানপাঠ, শপিংমল, সিনেমা হল, বড় বাজার, জমায়েতের জমকালো আয়োজন— সেখানেই সংক্রমণ বেশি। কারণ, ভিড় পেলেই ‘সার্স কোভ-টু’ ভাইরাসটি জমিয়ে বসার সুযোগ পায়। ফাঁকা এলাকায় বা দূরে দূরে থাকলে সুযোগ কম। বিভিন্ন রাজ্যের যেসব শহরে বা অঞ্চলে সংক্রমণের খবর আপনারা নিত্যদিন লক্ষ করছেন, তাতেই এটা স্পষ্ট। এটা বোঝার জন্য গবেষকও হতে হয় না, প্রয়োজন পড়ে না রকেট সায়েন্সেরও। 
এর মধ্যে আবার অন্য একটি বিষয় হল— রি-ইনফেকশন বা ফের সংক্রমণ। প্রশ্ন হল, একবার কেউ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে দ্বিতীয়বার কি করোনা পজিটিভ হতে পারেন? হলেও বা কতদিন পর? আর কেনই বা? বিশ্বজুড়ে এ ব্যাপারে গবেষণা হয়েছে। তাতে প্রথম প্রশ্নটির উত্তর হ্যাঁ। আর এই রি-ইনফেকশনের ব্যাপারে এক একটি জায়গায় একরকম সময়ের অন্তর লক্ষ করা গিয়েছে। তবে করোনার রি-ইনফেকশন নিয়ে আইসিএমআর-এর সমীক্ষা এবং গবেষণার প্রেক্ষিতে  যে সংজ্ঞা তৈরি হয়েছে, তা সর্বজনগ্রাহ্য। ‘সার্স কোভ-টু রি-ইনফেকশন: ডেভলপমেন্ট অব অ্যান এপিডেমিওলজিক্যাল ডেফিনেশন ফ্রম ইন্ডিয়া’র সেই গবেষণাপত্রের সঙ্গে আমিও জড়িয়ে রয়েছি। 
বিভিন্ন দেশে সার্স কোভ-টু ভাইরাসে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের সাতদিন, দশদিন, ১৫ দিন, ২০ দিন পর আরটি-পিসিআর টেস্ট করা হয়েছে। দেখা হয়েছে, ভাইরাসটার কোনওঅংশ বেঁচে
আছে কি না। সার্স কোভ-টু শরীরে প্রবেশ করার পর তার নিঃসরণ হয়। স্বাভাবিক নিয়মই তাই। তাতে সব সময় যে ভাইরাসটা জীবিত থাকবে, তা নয়। কিন্তু তার অস্তিত্ব ল্যাবরেটরিতে ধরা পড়বে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) যে টেস্ট করছে, তার মধ্যে থেকে ৯০ লক্ষ নমুনা নাড়াচাড়া করে ভাইরাসের নিঃসরণ পরীক্ষা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, ১ হাজার ৩০০ লোকের মধ্যে মাত্র ৫৮ জনের রি-ইনফেকশন হয়েছে। শতাংশের হারে যা ৪.৫-এর কাছাকাছি। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে ১০২ দিনের পরে আর ভাইরাসটার নিঃসরণ হয়নি। তাই  কেউ একবার করোনা পজিটিভ হয়ে মাঝে নেগেটিভ হওয়ার ১০২ দিন পর ফের পজিটিভ হতেই পারেন। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা দ্বিতীয়বার সংক্রমিত হলেন, তাঁদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি। তারই মধ্যে আবার স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা অধিক। কারণ, সাধারণভাবে পুরুষরা বাইরে বেশি বের হন। স্বাস্থ্যকর্মীরা কোভিডের চিকিৎসা করছেন, রোগীর মুখোমুখি হচ্ছেন। তাই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। 
এখন প্রশ্ন হল, দ্বিতীয় ঢেউ হোক বা পুনঃসংক্রমণ। এ কি রোখা সম্ভব? জবাব হল, সম্ভব। কীভাবে? সব সময় তো ঘরে বসে থাকা যায় না। বাইরে তো বেরতেই
হবে। কাজকর্মও করতে হবে। অথচ বাইরে বেরলেই মানুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ, বাজার দোকান করা, বাসে, ট্রামে, ট্রেনে, প্লেনে চড়া ইত্যা঩দি যত বেশি হবে, যাকে বলে এক্সপোজার, ততই সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি। আর সেই কারণেই মহামারী যখন আসে, তখন কেউ কারও দিকে আঙুল তুলে দায় এড়াতে পারে না। দায় সকলেরই। দায়িত্বও। 
তবে হ্যাঁ, কিছু ক্ষেত্র রয়েছে, যেখানে ঝুঁকি এড়ানোর সুযোগ থাকলেও হচ্ছে না। যেমন, কুম্ভমেলা, নির্বাচনী জনসভা। কাতারে কাতারে লোক। ভক্তের দল। আর সেখানেই বিশ্বাসের সঙ্গে বিজ্ঞানের বিতর্ক। আমার মতামত, কোনও সচেতন ভোটারেরই নেতাদের দেখতে বা খুশি করতে জনসভার ভিড়ে যাওয়া উচিত নয়। কারণ, নির্বাচন শেষে আমার আপনার ভোটে নেতারা যখন ক্ষমতার কুর্সিতে বসবেন, তখন দেখা যাবে আমি আপনি হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে খাবি খাচ্ছি!
তাই ১৯১০ সালের মাঞ্চুরিয়ান প্লেগ, ১৯১৮ সালে ইনফ্লুয়েঞ্জা প্যানডেমিকের (যাকে স্প্যানিশ ফ্লু বলে প্রচার করা হয়) অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, মাস্ক হল সার্স কোভ-টু ভাইরাসকে আটকানোর সহজ উপায়। তার সঙ্গে ভ্যাকসিন। সে সময়ে চিকিৎসায় যে গজ ব্য‌বহার করা হতো, তা দিয়ে মাস্ক তৈরি হতো। দু’টি ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে মাস্ক প্রচণ্ড কার্যকরী। পরবর্তীকালে, সিভিয়র অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স), মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (মার্স)-এর ক্ষেত্রেও একই বিষয় দেখা গিয়েছে। কাজে দিয়েছে মাস্ক। এখন সার্স কোভ-টু ভাইরাসকেও আটকাতে পারে মাস্ক। মনে রাখতে হবে, শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ করতে পারে, এমন ভাইরাস হল সার্স কোভ-টু। কিন্তু সরাসরি তো আর ফুসফুসে চলে যেতে পারে না ভাইরাস। এটা তো বুলেট নয় যে বুকের দেওয়াল ভেদ করে যাবে! যাবে নাক, মুখ দিয়েই। তাই সেই রাস্তাটা সবার আগে আটকাতে হবে। সেই কাজ করে মাস্ক। ০.৩ মাইক্রন সাইজের ভাইরাসের অংশও রুখে দিতে পারে মাস্ক। তাছাড়া সেরোলজিক্যাল সার্ভেই যখন সতর্ক করে দিয়েছে যে, এখনও ভারতের ৭৯ শতাংশ নাগরিকের সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে, তখন তো সতর্কতা অবলম্বন করতেই হবে।
তবে, মাস্ক পরতে হবে সঠিকভাবে। থুতনির কাছে নামিয়ে বা গলায় পরলে হবে না। সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকেই পরতে হবে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হংকং, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়ার লোকেরা দ্রুত মাস্ক পরা অভ্যাস করে ফেলেছেন। সমীক্ষায় এও দেখা গিয়েছে যে, মাস্ক আবশ্যিক করলে আমেরিকায় কমপক্ষে ৪৯ হাজার মানুষকে বাঁচানো যেত। কানাডার সাপ্তাহিক সংক্রমণ কমপক্ষে ২৫ শতাংশ কমানো সম্ভব হয়েছে মাস্ক আবশ্যিক করেই। ৪০ শতাংশ দৈনিক সংক্রমণ হ্রাস সম্ভব করেছে জার্মানিও। অথচ ভারতের ৫৬ শতাংশ নাগরিক ঠিক করে মাস্কই পরেন না।
তাই আমাদের পরামর্শ, মাস্ক মাস্ট। কারণ, যতই ‘দো গজ কি দূরি’র দাওয়াই দেওয়া হোক, আদতে বাস, ট্রাম, লোকাল ট্রেনের মতো সাধারণ পরিবহনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। সেখানে কাজে দেবে একমাত্র মাস্ক। তবে দু’বছরের কম বয়সি শিশু এবং সেরিব্রাল পালসির মতো রোগী বা যাঁরা নিজেরা মাস্ক পরতে-খুলতে অক্ষম, তাঁদের মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই। ওতে শ্বাসকষ্ট হয়ে হিতে বিপরীত হতে পারে। 
বাজারে তিন ধরনের মাস্ক রয়েছে— ১) সাধারণ কাপড়ের মাস্ক, ২) মেডিক্যাল মাস্ক ও ৩) রেসপিরেটরি মাস্ক (এন-৯৫ এবং এন-৯৯)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু’র পরামর্শ, সাধারণ ব্যবহারের জন্য কাপড়ের ত্রিস্তরীয় মাস্কই যথেষ্ট। এতে ৭০ শতাংশ জীবাণু আটকায়। অন্যদিকে, যাঁদের কোভিড-১৯-এর প্রবল ঝুঁকি, তাঁদের জন্য প্রয়োজন মেডিক্যাল মাস্ক। এতে ৯৯ শতাংশ জীবাণুর কণা আটকায়। আর যাঁরা কোভিড আক্রান্ত বা স্বাস্থ্যকর্মী, তাঁদের জন্য উপযুক্ত রেসপিরেটরি মাস্ক। এতে ৯৯.৯ শতাংশ ক্ষুদ্র জীবাণুর কণা রুখে দেয়। 
তাই করোনার যত ঢেউই আসুক, সার্স কোভ-টু ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে গেলে একদিকে যেমন মাস্ক পরতে হবে, অন্যদিকে নিতে হবে ভ্যাকসিন। কারণ, যাঁদের কাবু হওয়ার ঝুঁকি বেশি, তাঁদের তো যুদ্ধ করতে গেলে শুধু বর্ম পরলে চলবে না, চাই অস্ত্রও। তরবারি। এক্ষেত্রে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে মাস্ক হচ্ছে বর্ম, ভ্যাকসিন তরবারি। কিন্তু সবারই কি ভ্যাকসিন প্রয়োজন? জবাব হল, না। স্বাস্থ্যকর্মী, যাঁরা সংক্রমণের ঝুঁকিতে কাজ করছেন তাঁ঩দের সবার জন্য ঩ভ্যাকসিন জরুরি। বাকি, একটা বৃহত্তর অংশ যদি ভ্যাকসিন নিয়ে নেয়, তাহলেই তো অন্যের সংক্রমণের সুযোগ কমে গেল। সেই কারণেই সকলের ভ্যাকসিন দরকার নেই। আবার যাঁদের প্রয়োজন, তাঁরা যদি অবজ্ঞা করেন, তাহলেও বিপদ। তাই কেবল নিজের কথা না ভেবে মহামারী রুখতে সচেতন নাগরিক হিসেবে সমাজে সামান্য অবদান তো রাখা দরকার। আর এটা যদি মন থেকে করতে পারি, তাহলে করোনার যত বড় ঢেউই আসুক না কেন, মানবজাতি তা পেরিয়ে যাবেই। ভাইরাস পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ চলে না গেলেও তার সঙ্গে সহবস্থানে অভ্যাস হয়ে যাবে।
25th  April, 2021
অধিকারের শতবর্ষ

গ্রামের পথ। এক মহিলা দুপুর রোদে ছাতা নিয়ে চলেছেন। হঠাৎ সামনে চলে আসে এক ষণ্ডামার্কা লোক। সে মহিলাকে এগতে বাধা দেয়। মহিলা তাও এগতে চান। 
বিশদ

13th  June, 2021
বাঙালির গোয়েন্দাগিরি
সুখেন বিশ্বাস

বাঙালিদের কাছে ‘গোয়েন্দা’ শব্দটি অতি পরিচিত। সেই ছোটবেলা থেকেই মা-বাবার কাছ থেকে আমরা শুনে আসছি শব্দটি। হারানো জিনিস ফিরে পাওয়া, খুন-ডাকাতি বা যে কোনও রহস্য উন্মোচনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে ‘গোয়েন্দা’ শব্দটি। ছোটবেলায় চোর-পুলিস খেলেনি এইরকম শিশু-কিশোর খুব কমই আছে বাঙালি সমাজে। বিশদ

06th  June, 2021
আবার নতুন দিল্লি
সমৃদ্ধ দত্ত

লর্ড কার্জনকে কংগ্রেস নেতা সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক চিঠি পাঠালেন। লিখলেন, বিহার আর ওড়িশাকে বাংলা থেকে পৃথক করে দেওয়া হোক। কিন্তু পূর্ববঙ্গকে যেন বিচ্ছিন্ন করা না হয়। বাংলার মানুষ ভাগ হয়ে যাবে, এটা আমরা মেনে নিতে পারছি না। লর্ড কার্জন প্রতিটি চিঠি পড়লেন। মতামত শুনলেন। বিশদ

30th  May, 2021
লাল গ্রহের মাটিতে পা
চীনের নীল প্রজাপতির

২৭০ কোটি টাকার ‘রোবোটিক জিওলজিস্ট’ পারসিভিয়ারেন্সের ‘শার্লক’ আর ‘ওয়াটসন’ পাথরের খাঁজে লেপটে থাকা প্রাণের অনুসন্ধান চালাবে মঙ্গলে। যখন ৯ কোটি ৭০ লক্ষ অপুষ্টি জর্জরিত অভুক্ত শিশু মরছে পৃথিবীতে, তখন বিপুল অর্থব্যয়ে, সৌরশক্তি ব্যবহারে আলো জ্বলবে মঙ্গলে। 
বিশদ

23rd  May, 2021
নতুন ভারতের  অগ্রদূত
মীনাক্ষী সিংহ

আগামী শনিবার অর্থাৎ ২২ মে রাজা রামমোহন রায়ের জন্মদিন। সেদিন থেকেই সূচনা হবে ভারতের নবজাগরণের অগ্রদূতের জন্ম সার্ধ দ্বিশতবর্ষের। এই একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও মুক্ত চিন্তার বড্ড অভাব। কেউ কেউ চালাচ্ছেন জাতের নামে বজ্জাতি। এমন যুগসঙ্কট মুহূর্তে আরও বেশি করে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে প্রায় আড়াইশো বছর আগে ভারতের বুকে জন্ম নেওয়া এই মানুষটির চিন্তা ও চেতনা। বিশদ

16th  May, 2021
একুশের জয়
চব্বিশের স্বপ্ন
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটাই সুবিধা। বিরোধীরা কখনওই তাঁকে সিরিয়াসলি নেয় না। তিনি অত্যন্ত সুকৌশলে নিজের রাজনীতির ঘুঁটি সাজিয়ে যেতে পারেন... মসৃণভাবে। কারণ, আগাগোড়া বিরোধী দল ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে নিয়ে হাসিঠাট্টা, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে যান। বিশদ

09th  May, 2021
নতুন স্ট্রেইনে ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী?

এখনও পর্যন্ত দেখা গিয়েছে, ভ্যাকসিন কাজ করছে। ভাইরাসটার চরিত্র বুঝতে বা নতুন প্রজাতির ভাইরাসের উৎস কী, তা জানতে জিনোম সিকোয়েন্স করা হচ্ছে। বিশদ

25th  April, 2021
তোমারে সেলাম

 

আগামী শুক্রবার তাঁর প্রয়াণ দিবস। আর ২ মে পূর্ণ হচ্ছে তাঁর জন্ম শতবার্ষিকী। তিনি বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়। তাঁর বহুমুখী প্রতিভার হীরকোজ্জ্বল দ্যুতি বাঙালি মননে চির ভাস্বর। প্রিয় ‘মানিকদা’র জন্মদিনের আগে স্মৃতিচারণা করলেন তাঁর অধিকাংশ ছবির সিনেমাটোগ্রাফার সৌমেন্দু রায়।  বিশদ

18th  April, 2021
সাহিত্যের  সত্যজিৎ

সত্যজিৎ রায় শুধু সিনেমার নন, তিনি সাহিত্যেরও। সিনেমার জন্যই তিনি ভুবনজয়ী, চিনেছে গোটা পৃথিবীর মানুষ। সিনেমার নতুন ভাষা আবিষ্কার  করেছেন তিনি। বিশদ

18th  April, 2021
বাঙালি ব্যক্তিত্ব
সমৃদ্ধ দত্ত

সাধারণত ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় দিল্লি গেলে প্রথমদিকে উঠতেন মৌলানা আবুল কালাম আজাদের বাসভবনে।  পরবর্তীকালে ডাঃ জে পি গাঙ্গুলির বাড়িতে। ১৯৪৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু হঠাৎ জরুরি তলব করলেন। সেবার দেখা গেল প্রয়োজনটা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, বিধানচন্দ্র রায় উঠলেন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। একদিন দু’দিন নয়। একটানা তিনদিন। বিশদ

11th  April, 2021
একশোয় ভিক্টোরিয়া
রজত চক্রবর্তী

কলকাতার ভোর হল আজ সমবেত কীর্তন আর খোল-করতালের শব্দে। উঠোন ঝাঁট দিতে দিতে ঘোমটার ফাঁক দিয়ে দেখে নিল বউ-ঝিয়েরা। কে মারা গেল! দু’হাত কপালে ঠেকিয়ে পেন্নাম ঠোকে। ছেলেরা নিমদাঁতন দাঁতে চিবতে চিবতে দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে। বিশদ

04th  April, 2021
সত্যধর্মের দোলোৎসব
সুখেন বিশ্বাস

ফাগুনের দোলপূর্ণিমা। গাছে গাছে নতুন পাতা। শাখায় শাখায় শিমুল-পলাশের রোশনাই। ফুলে-ফলে ফাগুন যেন এক নতুন পৃথিবী। দোলের আবিরে একদিকে রঙিন বাংলার আকাশ-বাতাস, অন্যদিকে ডালিমতলা, হিমসাগর আর বাউল-ফকিরদের আখড়া। বিশদ

28th  March, 2021
কুম্ভে অমৃতের সন্ধানে
সমৃদ্ধ দত্ত

 

কাটিহারের মণিহারি ব্লকের কমলা পাসোয়ানের প্রিয় শখ হারিয়ে যাওয়া। এই ১৪ বছর বয়সে সে চারবার হারিয়ে গিয়েছে। প্রতিবারই মেলায়। কখনও কুম্ভে। কখনও শোনপুরে। কী আশ্চর্য! চারবারই আবার ফিরে এসেছে বাবা-মায়ের কাছে। ‘এই প্রথম কুম্ভে এলেন?’ নিরঞ্জনী আখড়ার বাইরের রাস্তায় ভাণ্ডারা হবে। বিশদ

21st  March, 2021
তারকার রাজনীতি
রাহুল চক্রবর্তী 

লাইট। সাউন্ড। ক্যামেরা। অ্যাকশন। শব্দগুলো বদলে গিয়ে হয়েছে— জয় বাংলা। জয় শ্রীরাম। ইনক্লাব জিন্দাবাদ। মোদ্দা কথা— সুসজ্জিত চেহারার ছোট কিংবা বড়পর্দার চেনা মুখগুলো আজ অচেনা গণ্ডিতে ধরা দিচ্ছেন। বিশদ

14th  March, 2021
একনজরে
নন্দীগ্রামের গঙ্গামেলার মাঠে হলদি নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ তিনজনের দেহ উদ্ধার হল সোমবার। এদিন ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে কাঁটাখালি ও ১০কিলোমিটার দূরে জেলিংহাম এলাকায় ...

করোনা আতঙ্কের মধ্যে দেশে কোপা আমেরিকা আয়োজনের বিপক্ষে সুর চড়িয়েছিল ব্রাজিল দল। টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানোরও ইঙ্গিতও ছিল নেইমার-কাসেমিরোদের বক্তব্যে। ...

কোচবিহার পুরসভায় দু’শোরও বেশি ‘ভূতুড়ে’ শ্রমিক! বাস্তবে যাদের কোনও হদিশ মিলছে না। অথচ বেশ কয়েকমাস ধরে প্রতিমাসে ১৪ লক্ষ টাকা করে তাদের বেতন দেওয়া হয়েছে। ...

মসজিদে নামাজ পরতে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতীদের হাতে প্রহৃত হলেন এক প্রবীণ ব্যক্তি। কেটে দেওয়া হল দাড়ি। প্রহৃত ব্যক্তির নাম আব্দুল সামাদ। প্রথমে তাঁকে অটো থেকে নামিয়ে জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত একটি কুঁড়ে ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৬: জাপানে সুনামিতে ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু
১৯৫০: শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তালের জন্ম
১৯৫৩: চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের জন্ম
১৯৬০: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়
১৯৬৯: জার্মানির গোলকিপার অলিভার কানের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৪৩ টাকা ৭৪.১৪ টাকা
পাউন্ড ১০১.৬৬ টাকা ১০৫.১৭ টাকা
ইউরো ৮৭.০৬ টাকা ৯০.২৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  June, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯, ১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭, ৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭২, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭২, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
14th  June, 2021

দিন পঞ্জিকা

৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮, মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১। পঞ্চমী ৪৫/৪ রাত্রি ১০/৫৭। অশ্লেষা নক্ষত্র ৪১/৫৬ রাত্রি ৯/৪২। সূর্যোদয় ৪/৫৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৬/১৮/১২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১২/৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৭ গতে ৪/৩১ মধ্যে। রাত্রি ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৪ গতে ৩/৩৭ মধ্যে পুনঃ ৪/৩১ গতে ৫/২৪ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৫ গতে ৯/৫০ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৬ মধ্যে পুনঃ ১/১৭ গতে ২/৫৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৮ গতে ৮/৫৮ মধ্যে। 
৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮, মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১। পঞ্চমী রাত্রি ৭/৩৬। অশ্লেষা নক্ষত্র রাত্রি ৭/৭। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২০।  অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ মধ্যে ও ৯/২৭ গতে ১২/৮ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৪/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ মধ্যে ও ১২/২ গতে ২/৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৮ গতে ৩/৪২ মধ্যে ও ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ গতে ৯/৫৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৭ মধ্যে ও ১/১৮ গতে ২/৫৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪০ গতে ৮/৫৯ মধ্যে। 
৪ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: হাঙ্গেরি ০ পর্তুগাল ৩ (ফুলটাইম)

11:28:00 PM

ইউরো কাপ: হাঙ্গেরি ০ পর্তুগাল ০ (হাফটাইম)

10:28:19 PM

যে এলাকায় সংক্রমণ বেশি সেখানে কড়াকড়ি করতে হবে, নির্দেশ রাজ্য প্রশাসনের 
যে এলাকায় সংক্রমণ বেশি সেখানে কড়াকড়ি করতে হবে। আজ, মঙ্গলবার ...বিশদ

07:51:00 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরপ্রদেশে আক্রান্ত ৩৪০, মৃত ৫৭ 

07:39:36 PM

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতীয় দলে কে কে রয়েছেন, জানুন 
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য আজ, মঙ্গলবার ভারতীয় দল ঘোষণা ...বিশদ

07:23:31 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাখণ্ডে আক্রান্ত ২৭৪, মৃত ১৮ 

07:22:21 PM