সাহিত্যের সত্যজিৎ
পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় : সত্যজিৎ রায় শুধু সিনেমার নন, তিনি সাহিত্যেরও। সিনেমার জন্যই তিনি ভুবনজয়ী, চিনেছে গোটা পৃথিবীর মানুষ। সিনেমার নতুন ভাষা আবিষ্কার করেছেন তিনি। এরপরও বলতে হয়, সিনেমা-খ্যাতির শিখরে পৌঁছেও সত্যজিতের কর্মকাণ্ড শুধুই সেলুলয়েডের ফিতেতে সীমাবদ্ধ থাকেনি, সাহিত্যের প্রতি, বিশেষত ছোটদের সাহিত্যের প্রতি তাঁর অন্তর উৎসারিত ভালোবাসা ছিল। ব্যস্তজীবনে একটু ফুরসত পেলেই ছোটদের জন্য কলম ধরেছেন, ডুব দিয়েছেন ফেলুদা বা শঙ্কুর গল্পকথায়। সাহিত্যসৃষ্টির পাশাপাশি সমানতালে চলেছে তাঁর ছবি আঁকা! নিজের বইয়ের মলাট ও ইলাস্ট্রেশন সবই করেছেন নিজে। স্বেচ্ছায় প্রাণের আনন্দে নিয়েছিলেন বাপ-ঠাকুরদার ‘সন্দেশ’ সম্পাদনার দায়িত্ব। ‘সন্দেশ’-এ শুধু নিজের লেখার নয়, অন্যান্য লেখকদের লেখারও ছবি এঁকেছেন। ‘সন্দেশ’কে ঘিরেই গোপনে অন্তরে লালিত সত্যজিৎ রায়ের লেখকসত্তার জাগরণ ঘটেছে। উপেন্দ্রকিশোর-সুকুমার ও পিতৃ-অনুজ সুবিনয়ের বন্ধ হয়ে যাওয়া ‘সন্দেশ’-এর নতুন করে প্রকাশের কথা স্মৃতিকাতর সত্যজিৎ যদি না ভাবতেন, তাহলে তাঁর সাহিত্যপ্রতিভা আদৌ আলোকিত, প্রস্ফুটিত হতো কিনা, সে-প্রশ্ন তো রয়েই যায়! সত্যজিৎ রায় ও সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় ‘সন্দেশ’-এর পুনরুজ্জীবন ঘটে। নব পর্যায়ের প্রথম ‘সন্দেশ’-এ সত্যজিৎ কোনও গদ্যরচনা লেখেননি। করেছিলেন লিয়র-পদ্যের অনুবাদ। সমস্ত ব্যস্ততাকে দূরে সরিয়ে রেখে নিজের মতো করে সাজিয়ে তুলেছিলেন স্মৃতি-বিজড়িত ‘সন্দেশ’কে। নবপর্যায়ের প্রথম সংখ্যায় বেশ কিছু ইলাস্ট্রেশন এঁকেছিলেন তিনি। মুদ্রিত হয়েছিল তাঁর আঁকা রবীন্দ্রনাথের ছবিও। অবনীন্দ্র-দৌহিত্র মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখায় ব্যবহৃত হয়েছিল সে-ছবি। সত্যজিতের ইলাস্ট্রেশনচর্চার শুরু ‘রংমশাল’ পত্রিকায়। ডি-কের সিগনেট প্রেসে চাকরি করার সময় ‘আম আঁটির ভেঁপু’-র ইলাস্ট্রেশন আঁকতে গিয়েই ‘পথের পাঁচালি’ চলচ্চিত্রায়িত করার কথা ভেবেছিলেন তিনি। প্রথম-জীবনে ইলাস্ট্রেশন করে যে আনন্দ পেয়েছিলেন, তা আবারও ফিরে পেয়েছিলেন ‘সন্দেশ’ সম্পাদনাকালে। ‘সন্দেশ’কে কেন্দ্র করে চিত্রশিল্পী সত্যজিৎকে যেমন পাওয়া গেল, তেমনই পাওয়া গেল লেখক সত্যজিৎকেও।
সত্যজিতের অসংখ্য গল্প ছাপা হয়েছে ‘সন্দেশ’-এ । ‘ক্লাসফ্রেন্ড’, ‘খগম’, ‘বঙ্কুবাবুর বন্ধু’ বা ‘বাতিকবাবু’-র মতো বহু আখ্যান সত্যজিৎ এই পত্রিকার কথা ভেবেই লিখেছিলেন। ‘গোলোকধাম রহস্য’, ‘গোঁসাইপুর সরগরম’, ‘ডাঃ মুনসির ডায়েরি’, ‘বোসপুকুরে খুনখারাপি’, ‘সেপ্টোপাসের খিদে’ বা প্রফেসর শঙ্কু ও ম্যাকাও’— তাঁর এমন কত না ফেলুদা-শঙ্কুর গল্পকথা ‘সন্দেশ’-এ ছাপা হয়েছে! স্মৃতিমেদুর ‘যখন ছোট ছিলাম’ বা হাস্যরসে মুখরিত ‘মোল্লা নাসিরুদ্দিনের গল্প’ও খুদে পাঠকদের কথা ভেবে লিখেছিলেন ‘সন্দেশ’-এ। ফেলুদা-শঙ্কুর গল্পকাহিনিতে প্রসিদ্ধি হলেও তাঁর সাহিত্যপ্রতিভা কত যে বৈচিত্র্যময়, ‘সন্দেশ’-এর পাতাতেই প্রথম তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে! সত্যজিৎ রায় গল্পের ক্যানভাসে দেখেছেন জগৎ ও জীবনকে। নির্মেদ মনোজ্ঞ তাঁর গদ্যভাষা। অননুকরণীয় গদ্যে প্রযুক্তি-সফল রংচঙে পৃথিবীর কথা যেমন শব্দ-তুলিতে এঁকেছেন, তেমনই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে অতীব সাধারণ মানুষের রং-চটা দুঃখময় দিনযাপনের চিত্রমালাও। ‘ক্লাসফ্রেন্ড’ গল্পের জয়দেব বোসের জন্য আমাদের মন কাতর হয়। পড়তে পড়তে মনের ভেতর হু-হু করে ওঠে। সহমর্মিতা জাগে।
ভয়-জাগানিয়া থমথমে রোমাঞ্চকর অতিপ্রাকৃত গল্পও কম লেখেননি। ‘খগম’-এর মতো গল্প সহজেই শিহরিত করে। হো-হো হাসির, হাস্যরসে মুখরিত গল্প লিখেছেন সামান্য। কোনও কোনও গল্পে অবশ্য হাল্কা হাসির আভাস আছে। বুদ্ধিদীপ্ত কথাবার্তা, সেই কথাবার্তার ফাঁকফোকরে হাস্যরসের ঝলকানি, যা সহজেই মনে আনন্দ জাগায়, হ্যাঁ, সত্যজিৎ তেমন গল্পও লিখেছেন। ‘লোডশেডিং’ নামে তাঁর একটি গল্প আছে। গত শতকে জনজীবনের সঙ্গে ‘লোডশেডিং’ শব্দটি জড়িয়ে ছিল আষ্টেপৃষ্ঠে। লোডশেডিংয়ের অন্ধকারে গল্পের ফণীবাবু সিঁড়ি দিয়ে নিজের ফ্ল্যাটে না ঢুকে, ঢুকে পড়েছিলেন অন্যের ফ্ল্যাটে। সে এক নিদারুণ পরিস্থিতি! গল্পের শেষ-পর্যায়ে হাস্যরস যেন ছড়িয়ে গড়িয়ে পড়েছে! ‘অসমঞ্জবাবুর কুকুর’ও হাসির গল্প। সূক্ষ্ম হাসি ছড়িয়ে রয়েছে গল্পের পরতে পরতে। হাস্যরসের দেদার আয়োজনে ঘাটতি থাকলেও সত্যজিতের অনেক গল্পেই অলৌকিকতা আছে। অলৌকিকতা, ভয়-ভীতিও যে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতে হয়, তা কোনও কোনও গল্প পড়তে গিয়ে টের পাওয়া যায়। অলৌকিকতায় তাঁর গল্প-ভাবনা ফুরিয়ে যায়নি। বারবার তিনি ফিরে গিয়েছেন বিজ্ঞানের কাছে। বিজ্ঞানই হয়ে উঠেছে অবলম্বন-আশ্রয়। বিজ্ঞানের সঙ্গে কল্পনার মিলমিশ, সে-সমীকরণে সত্যজিতের দক্ষতা ছিল প্রশ্নাতীত। মাংসাশী গাছ ‘সেপ্টোপাস’কে কেন্দ্র করে লেখা ‘সেপ্টোপাসের খিদে’ বা মাংসাশী এক পাখিকে নিয়ে লেখা গল্প ‘বৃহচঞ্চু’ পাঠের কিশোরকালের স্মৃতি মনের মণিকোঠায় এখনও সজীব, সে-স্মৃতি হারানোর নয়। কল্পলোকের গল্পকথাতে সীমাবদ্ধ থাকেননি, আমাদের চারপাশ, দৈনন্দিন জীবন, জীবনের টানাপোড়েন, সবই এসেছে তাঁর গল্পে। অমল বন্ধুত্ব এখন কোথায়! সত্যজিতের গল্পে এই বন্ধুত্বের কথা বারবারই এসেছে। ‘নতুন বন্ধু’, ‘দুই বন্ধু’ বা ‘প্রসন্ন স্যার’ এমন আরও কয়েকটি গল্পের কথা প্রসঙ্গত মনে পড়ে যায়। স্মৃতিবিজড়িত স্কুলজীবন শুধু নয়, ঘুরেফিরে এসেছে ফিল্মজীবনও। আলো পড়েছে কর্মক্ষেত্রের অভিজ্ঞতায়। সে-অভিজ্ঞতাও সত্যজিতের কম নয়! ‘জুটি’, ‘পটলবাবু ফিল্মস্টার’ বা ‘টলিউডে তারিণীখুড়ো’— এমনতরো আরও কয়েকটি গল্পে আলো-আঁধারির ফিল্ম-জগৎ পেয়েছে ভিন্নতর মাত্রা। তারিণীখুড়োকে নিয়ে বেশ ক’টি গল্প লিখেছিলেন সত্যজিৎ। প্রতিটি গল্পই ভিন্নতর। শুধু টলিউডে নয়, কাছে দূরে নানা দিকে তারিণীখুড়োর অবাধ বিচরণ। যেমন, ‘গল্পবলিয়ে তারিণীখুড়ো’ গল্পটির পটভূমি সুদূর আমেদাবাদ। পটভূমি বরাবরই সত্যজিতের গল্পে বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে। থাকে পটভূমি-স্থানের অনেক খুঁটিনাটি বর্ণনাও।
ফেলুদা, তোপসে, সিধুজ্যাঠা আর হাবে ভাবে চলায় বলায় যিনি হাস্যরসে টইটম্বুর, সেই লালমোহন গাঙ্গুলির দেখা মিলেছে পরে। আগে ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কুর আবির্ভাব। আবির্ভাবেই বাজিমাত। কিশোর-তরুণ পাঠকের কাছে শুধু নয়, সমাদৃত হয়েছেন পরিণয় পাঠকের কাছেও। ‘সন্দেশ’ নবপর্যায়ে প্রকাশবর্ষেই ছাপা হয়েছে শঙ্কুকে নিয়ে লেখা গল্প। সে-গল্পের নাম ‘ব্যোমযাত্রীর ডায়েরি’। ছাপা হয়েছিল ধারাবাহিকভাবে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর সংখ্যায়। বাংলা ভাষায় সায়েন্স-ফিকশন সত্যজিতের আগেও লেখা হয়েছে। আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর হাতে শুরু, রয়েছে এক সুদীর্ঘ ইতিহাস। কিশোর-পাঠকের কথা ভেবে হেমেন্দ্রকুমার রায়-প্রেমেন্দ্র মিত্ররাও লিখেছেন। সত্যজিতের হাতে সায়েন্স ফিকশন ভিন্নতর মাত্রা পেয়েছে। আধুনিকতার আলোয় আলোকিত হয়েছে। মুখময় সাদা দাড়ি-গোঁফ, মাথা জোড়া টাক— সায়েন্টিস্ট-সুলভ বাড়তি গাম্ভীর্য না থাকা সরলসাদা ভোলেভালা এই মানুষটির প্রতি ভালোবাসায় কিশোর-বয়সে সব বাঙালিই বুঝি মজে! ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কুর প্রতি এই ভালো-লাগা বয়স বাড়লেও মনের কোণে রয়ে যায়, ভালোবাসা জেগে থাকে। অমোঘ তাঁর আকর্ষণ, সৎ-নির্লোভী এই মানুষটিকে উপেক্ষা করে কার সাধ্যি!
১৯৬১ থেকে ১৯৯২— একত্রিশ বছরে শঙ্কুর ডায়েরির সংখ্যা চল্লিশ। চল্লিশের মধ্যে দু’টি অবশ্য অসম্পূর্ণ। ডায়েরির পাতায় পাতায় রয়েছে বিচিত্র বিবরণ, কত অদ্ভুত আবিষ্কার! অ্যানাইহিলিন, মিরাকিউরল, অমনিস্কোপ, ম্যাঙ্গোরেঞ্জ, এভলিউটিন— এর কোনওটি ওষুধ, কোনওটি যন্ত্র আবার কোনওটি অস্ত্র। এয়ারকন্ডিশনিং পিলও আবিষ্কার করেছিলেন প্রফেসর শঙ্কু। সে-পিল জিভের তলায় রাখলে শীতকালে শরীর গরম আর গ্রীষ্মকালে ঠান্ডা রাখা যায়!
গিরিডির এই বাঙালি বিজ্ঞানীকে সামনে রেখে সত্যজিৎ ফ্যান্টাসির এক আশ্চর্য জগৎ নির্মাণ করেছেন। পড়তে পড়তে পৌঁছে যাওয়া যায় নানা দেশে। ভ্রমণ-আনন্দের সঙ্গে রয়েছে বিজ্ঞান ও অ্যাডভেঞ্চারের অভূতপূর্ব মিলমিশ। মুগ্ধ হতেই হয়!
ফেলুদার কাহিনি ঘিরেও আমাদের সমান মুগ্ধতা। কিশোর-তরুণ-পাঠক তো বটেই, বড়রাও ফেলুদার ভক্ত। এক সময় পাঁচকড়ি দে-র দেবেন্দ্রবিজয় বা দীনেন্দ্রকুমার রায়ের মিস্টার ব্লেক বাঙালিকে মজিয়েছিল। না, এই দুই গোয়েন্দা চরিত্রের আবছা-ঝাপসা ছায়াও নেই ফেলুদায়। বরং শরদিন্দুর ব্যোমকেশের হাল্কা ছায়া খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। ব্যোমকেশ ও ফেলুদা অতিমানব নয়, রক্ত-মাংসের মানুষ। তাঁদের কর্মকাণ্ডে অতিনাটকীয়তা নেই, নেই অবাস্তবতা। খাঁটি বাঙালি তাঁরা। একটা বড় পার্থক্য অবশ্য আছে, শরদিন্দু ব্যোমকেশের কথা শুনিয়েছেন বয়স্ক-পাঠকের কথা ভেবে। ফেলুদা বড়দের কাছে উপভোগ্য হলেও কিশোর-পাঠকদের কথা ভেবে লিখেছিলেন সত্যজিৎ। ‘সন্দেশ’-এর পাতায় ‘ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি’ গল্পে ফেলুদার সঙ্গে আমাদের প্রথম পরিচয়। প্রথম পরিচয়েই তৈরি হয় গাঢ় মুগ্ধতা। সেই মুগ্ধতায় কখনও চিড় ধরেনি, ফিকে হয়ে যায়নি। ফেলুদার বুদ্ধিদীপ্ত আচরণে, বুদ্ধির সূক্ষ্ম মারপ্যাঁচে এই মুগ্ধতা দিনে দিনে বেড়েছে। গোলাগুলি চালাতে হয় না, রক্তপাত-প্রাণহানি ঘটাতে হয় না, তীক্ষ্ণ বুদ্ধির কাছে সব রহস্য যেন বশ্যতা স্বীকার করে। অপরাধী শনাক্তকরণে ফেলুদার আশ্চর্য দক্ষতা, বারবারই তা মুগ্ধ করে। অত্যন্ত সিরিয়াস তিনি। সিরিয়াসনেসের সেই আবহে কমিক-রিলিফ নিয়ে এসেছেন জটায়ু। এক ‘হিউমারাস’ চরিত্র। ‘জটায়ু’ নামের আড়ালে থাকা লালমোহন গাঙ্গুলি উত্তেজনায় ভরপুর গোয়েন্দাগল্পের লেখক। অনুপ্রাসের ঝংকার শোনা যায় তাঁর বইয়ের নামকরণে। কোনওটির নাম ‘সাহারায় শিহরন’, আবার কোনওটি বা ‘হংকং-এ হিমশিম’। রহস্যের জট ছাড়ানোর জটিলতায় লালমোহনবাবু হাস্যরসের বাতাবরণ তৈরি করেছেন। একদিকে রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনা, আরেকদিকে হাস্যচ্ছটা। আপাতভাবে পরস্পর বিরোধী হয়েও এক আশ্চর্য সমীকরণ ঘটেছে। ‘জটায়ু’হীন ফেলুদাকাহিনি ভাবাই যায় না! প্রদোষচন্দ্র মিত্রের পাশে তিনি মানানসই নন কেবল, অপরিহার্যও বটে! ফেলুদার রহস্য-আখ্যান পড়তে পড়তেও সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে আমরা বেরিয়ে পড়ি ভ্রমণে। পটভূমির বর্ণনায়, ডিটেলের কারুকাজে সত্যিই তাঁর তুলনা হয় না! কোনান ডয়েলের শার্লক হোমস নয়, আগাথা ক্রিস্টির এরকিউল পোয়ারোও নয়, নয় ঘরের ব্যোমকেশও। ফেলুদা অনন্য, তিনি একমেবদ্বিতীয়ম।
সত্যজিৎ রায় শুধুই যে সিনেমার, তা নয়। তিনি সাহিত্যেরও। তাঁর মধ্যে সাহিত্য ছিল বলেই সিনেমায় ওই উচ্চতায় পৌঁছতে পেরেছিলেন।
গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
সহযোগিতায় : উজ্জ্বল দাস
18th April, 2021