Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

তোমারে সেলাম

 

আগামী শুক্রবার তাঁর প্রয়াণ দিবস। আর ২ মে পূর্ণ হচ্ছে তাঁর জন্ম শতবার্ষিকী। তিনি বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়। তাঁর বহুমুখী প্রতিভার হীরকোজ্জ্বল দ্যুতি বাঙালি মননে চির ভাস্বর। প্রিয় ‘মানিকদা’র জন্মদিনের আগে স্মৃতিচারণা করলেন তাঁর অধিকাংশ ছবির সিনেমাটোগ্রাফার সৌমেন্দু রায়। 

সত্যজিৎ রায়। নামটা শুনলেই মনে হয় যেন একটা আস্ত মহাকাব্য। আর সেই মানুষটার জন্মশতবর্ষের দোরগোড়ায় আমরা দাঁড়িয়ে রয়েছি। পাঠকদের উদ্দেশে প্রথমেই বলি, মানিকদার জন্মশতবর্ষের প্রাক্কালে তাঁর স্মৃতিচারণা করাটা আজকে আমার কাছে খুবই কঠিন। কারণ দীর্ঘদিন আমি তাঁর সান্নিধ্যলাভ করেছি। তাই মানিকদার কথা বললেই একরাশ স্মৃতি ভেসে আসছে। খারাপ লাগে আজকে বয়সের কারণে মানিকদার সঙ্গে কাটানো সেই স্বর্ণযুগের অনেক কথাই আমার স্মৃতি থেকে মুছে যেতে বসেছে। তাই আজকে ব্যক্তি সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে তৈরি হওয়া কিছু স্মৃতিই না হয় আপনাদের সামনে তুলে ধরি। 
১৯৫৪ সালে আমার সঙ্গে প্রথম সত্যজিৎ রায়ের পরিচয়। মিচেল ক্যামেরায় ‘পথের পাঁচালি’র শ্যুটিং শুরু হল। আমি ক্যামেরা কেয়ারটেকার হিসেবে ইউনিটে যোগদান করলাম। সত্যিই বলছি, কোনওদিন ভাবিনি এই সুযোগ পাব। এরপর ১৯৬০ সালে মানিকদা আমাকে ডেকে পাঠালেন। আমাকে ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’ তথ্যচিত্রের দায়িত্ব দিলেন। আর সুব্রত মিত্রের উপরে ‘তিন কন্যা’র ক্যামেরার ভার দিলেন। কিন্তু সুব্রতদার চোখের সমস্যার জন্য ওই ছবিটা শেষপর্যন্ত আমিই শ্যুট করেছিলাম। 
মানিকদার কথায় ফিরে আসি। তাঁকে বাইরে থেকে দেখে অনেকেই গম্ভীর ভাবতেন। কিন্তু তিনি ছিলেন একদম ‘মাই ডিয়ার’ মানুষ। সেটে কোনওদিন মানুষটাকে রাগতে দেখিনি। যদি কখনও কাউকে বকে থাকেন, সেটা তাঁর ভালোর জন্যই। ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ ছবির একটা অভিজ্ঞতা মনে পড়ছে। কৃষ্ণা বসু বসে রয়েছেন। ঘরে ঢুকলেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়। ওই দৃশ্যে কৃষ্ণাকে হাসতে হতো। কিন্তু কিছুতেই শটটা মানিকদার পছন্দ হচ্ছে না। তখন মানিকদা হঠাৎ গম্ভীর হয়ে বলে উঠলেন, ‘কৃষ্ণা, তুমি কি বাড়িতে হাসো না?’ শুধু ওই একটা কথা। ব্যস, পরের শটেই ওকে। আবার এই মানুষটারই সেন্স অব হিউমার দেখলে অবাক হতে হয়। ‘অভিযান’ ছবির শ্যুটিং চলছে। আহত নরসিং মানে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে হাওয়া করছেন ওয়াহিদা রহমান। হঠাৎ এক ফালি চুল ওয়াহিদার চোখ ঢেকে দিল। মানিকদা আমাকেই বললেন ওঁর মুখ থেকে চুল সরিয়ে দিতে। আমি সেটা করতেই মানিকদা ফ্লোরের বাকিদের উদ্দেশে বললেন, ‘রায়কে একটা চান্স দিলাম!’   
ফ্লোরে ছবির কাজ এগতে কেউ যদি সাহায্য করেন, তাহলে সেই মানুষটি যেন মানিকদার কাছে অন্ধের যষ্টির মতো হয়ে উঠতেন। ‘সোনার কেল্লা’র শ্যুটিং চলছে। আমরা যোধপুর থেকে জয়সলমিরের ট্রেনে। প্রায় ছ’ঘণ্টা সময় লাগবে। হোটেলের থেকে বলা হয়েছিল সঙ্গে খাবার রাখতে। কারণ মাঝে সেইভাবে খাবার পাওয়া যায় না। একটা স্টেশনে গাড়ি থামতেই হঠাৎই কামু মুখোপাধ্যায় সিট ছেড়ে উঠে চলে গেল। ফিরে এল ঝুরিভাজা, ডালমুট, মিষ্টি নিয়ে। আমি আর মানিকদা তো রীতিমতো অবাক। মানিকদা জানতে চাইলেন, কী ব্যাপার? পরে জানা গেল,কামু একটি মাড়োয়ারি বরযাত্রীকে ম্যাজিক দেখিয়ে খাবারগুলো নিয়ে এসেছে। মানিকদা তো হেসে অস্থির। মানিকদা কামুকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। ‘জয়বাবা ফেলুনাথ’ ছবিতে ফেলুদা অ্যান্ড কোং বেনারসের সরু গলি ধরে মগনলাল মেঘরাজের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছে। মানিকদা বললেন একটা ষাঁড় পেলে খুব ভালো হতো। আমি বললাম, মানিকদা এখন ষাঁড় কোথা থেকে পাওয়া যাবে। আর পেলেও সে ক্যামেরার সামনে আসবে কেন! শ্যুটিং বন্ধ। এদিকে লাইট পড়ে আসছে। কিছুক্ষণ পর শোনা গেল ‘আসছে আসছে’ রব। এখানেও সেই কামু। সে ষাঁড় বাবাজীবনকে একটা মুলোর লোভ দেখিয়ে তাকে লোকেশনে নিয়ে হাজির!
সময়ের সঙ্গে মানিকদার পরিবারের সঙ্গে আমার অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। আমার মা ওঁকে ডেকে পাঠাতেন। আমি প্রায়দিনই ওঁর বাড়িতে যেতাম। চিত্রনাট্য তৈরি হলে মানিকদা সবাইকে তাঁর বাড়িতে ডেকে নিতেন। তারপর শ্যুটিংয়ের পরিকল্পনা করা হতো। বউদি (বিজয়া রায়) এলাহি খাবার দাবারের আয়োজন করতেন। এই খাবারের প্রসঙ্গেই বলি, শ্যুটিংয়ের সময় মানিকদা কিন্তু পরিমিত আহার পছন্দ করতেন। শুধু স্যান্ডউইচ খেতেন। তবে খাদ্যরসিক ছিলেন। রুটি আর অড়হর ডালও ছিল তাঁর পছন্দের তালিকায়। যোধপুরে শ্যুটিং চলছে। আমরা সেদিন বাইরে থেকে খেয়ে এসেছি। মানিকদা জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী খেলে?’। আমি বললাম, ‘খুব ভালো ঘিয়ে ভাজা কচুরি আর জিলিপি খেয়ে এলাম।’ সঙ্গে সঙ্গে অনিলদাকে (চৌধুরী) নির্দেশ দিলেন, ‘এই, রায় আজকে যা খেয়ে এসেছে, কালই আমার চাই।’
মানিকদা কোনওদিন কম্প্রোমাইজ করে ছবি করেননি। সবচেয়ে বড় কথা শ্যুটিংয়ে কোনও সমস্যার কথা বললে, তিনি সেটা এড়িয়ে না গিয়ে মন দিয়ে শুনতেন। যেমন ‘ঘরে বাইরে’র ইন্ডোর শ্যুটিং রাতে চলছে। তাই লাইট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাতীলেখা-সৌমিত্র রয়েছেন। আপনাদের হয়তো মনে আছে, ঘরের মধ্যে তিনটে পেল্লাই সাইজের আয়না ছিল। কিন্তু আয়নার জন্য লাইট করতে অসুবিধা হচ্ছে। মানিকদাকে কিছু বলতেই ভয় লাগছে। তারপর মনস্থির করে গিয়ে বলতেই মানিকদা ওঁদের দু’জনকে একটু অ্যাডজাস্ট করে দাঁড়াতে বললেন। সঙ্গে সঙ্গে সমস্যা মিটে গেল। আমারও কাজ হয়ে গেল। ইউনিটকে স্বাধীনতা দিতেও তাঁর জুড়ি ছিল না। একটা ঘটনা মনে পড়ছে। পালামৌতে তখন ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’র শ্যুটিং চলছে। প্যাকআপের পর সন্ধ্যায় সৌমিত্র, শুভেন্দু, রবি ঘোষ, শমিত ভঞ্জরা সাধারণত একসঙ্গে আড্ডা মারতেন। একটু আধটু পানাহারও চলত। একদিন সবাই সেরকম আড্ডায় মেতেছেন। একদিন সেখানে হঠাৎই মানিকদা এসে হাজির। সবাই ভয়ে গ্লাস নামিয়ে রেখেছেন। কিন্তু রবি ঘোষ ছিলেন মজার মানুষ। টুক করে গ্লাস তুলে দেখিয়ে বললেন, ‘মানিকদা, আমরা একটু খাচ্ছি।’ মানিকদা হেসে বললেন, ‘বেশ। খাও। আমি তাহলে যাচ্ছি। তবে কাল কিন্তু এখানেই শ্যুটিং। ভুলে যেও না।’ মুচকি হেসে বেরিয়ে গেলেন মানিকদা।   
শ্যুটিং প্যাকআপের পরেও মানিকদার সঙ্গে প্রচুর আড্ডা হতো। ছবি নিয়ে কথা হতো। ভালো কোনও বিদেশি ছবি দেখলেই আমাদের সেটা দেখতে বলতেন। আউটডোরে রাতে শ্যুটিংয়ের পর দীর্ঘক্ষণ আমরা একসঙ্গে তাস খেলতাম। কিন্তু লক্ষ করতাম, তারপর একটা সময় উনি ঠিক উঠে চলে যেতেন। তাড়াতাড়ি ডিনার করে ঘরে গিয়ে চিত্রনাট্যে বুঁদ হয়ে থাকতেন। শ্যুটিং ফ্লোরে আমরা মানিকদার জন্মদিনও পালন করেছিলাম। ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’র শ্যুটিং চলাকালীন মানিকদার জন্মদিন পড়েছিল। বাড়ির বাইরের উঠোনে সাঁওতালি নৃত্যের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রচুর খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। শ্যুটিং সেরে ফিরে মানিকদা তো দেখে অবাক। বললেন, ‘তোমরা করেছ কী! এটা তো একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেল।’ তবে বুঝতে পেরেছিলাম মুখে বললেও তিনি মনে মনে খুশিই হয়েছিলেন। মনে পড়ছে ওইদিন সাঁওতাল রমণীদের সঙ্গে শর্মিলা ঠাকুরও নাচের তালে পা মিলিয়েছিলেন।    
মানিকদার সঙ্গে ছবিদার (বিশ্বাস) একটা মজার ঘটনা বলি। তাহলে দুই মহারথী সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যাবে। ‘দেবী’তে একটা দৃশ্যে ছবিদাকে পড়ে যেতে হবে। ছবিদার হাঁপানি ছিল। তাই ওইভাবে শট দিতে তাঁর আপত্তি ছিল। তিনি করলেন কী, শ্যুটিংয়ের দিন গোটা বুকে ব্যান্ডেজ জড়িয়ে ফ্লোরে চলে এলেন! বললেন, ‘মিস্টার রায়, বুঝতেই পারছেন আমি তো এই শট দিতে পারব না।’ মানিকদা ছিলেন বুদ্ধিমান। বুঝতেই পেরেছিলেন ছবিদা মজা করছেন। তখন ছবিদাকে সুব্রতদা বললেন, ‘আপনি যতটা পারেন শটটা দিন, আমি ঠিক শট কেটে নেব।’ কিন্তু মানিকদাও নাছোড়বান্দা। ঠিক বুদ্ধি খাটিয়ে ব্যবস্থা করলেন। তারপর দুটো শটে ওকে হয়ে গেল। ছবিদা হেসে মানিকদাকে বললেন, ‘আমি নিজেকে চালাক ভাবতাম। কিন্তু আপনি যে আমার থেকে আরও বড় চালাক সেটা আজকে বুঝতে পারলাম।’    
একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি। মানিকদা সারা জীবনে প্রচুর পুরস্কার ও সম্মান পেয়েছেন। ওঁর সঙ্গে আমি কখনও বিদেশ সফর করিনি। তবে তিনি জাতীয় পুরস্কার নেওয়ার সময় বেশ কয়েকবার আমি সঙ্গে গিয়েছিলাম। জাতীয় পুরস্কার শুনলেই আমাদের মনের মধ্যে কী ভীষণ উত্তেজনা হতো। অথচ, ওইরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ দিনেও মানুষটার মধ্যে উত্তেজনার লেশমাত্র থাকত না। বিদেশ থেকে ‘গোল্ডেন লায়ন’ কিংবা ‘গোল্ডেন বেয়ার’ পুরস্কার নিয়ে এলেন। আমরা সবাই এয়ারপোর্টে ওঁকে রিসিভ করতে গিয়েছি। তখনও দেখতাম একদম নির্লিপ্ত। আসলে অত বড় মাপের মানুষ বলেই হয়তো সাফল্যকে কখনও তিনি কাজের উপরে স্থান দেননি।  
২৩ এপ্রিল ১৯৯২। মনে হয়, আমার জীবনের সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন একটা দিন। বেলভিউ থেকে খবর এল মানিকদা আর নেই। যেন আমার দ্বিতীয়বার পিতৃবিয়োগ হল। মনে হয়েছিল পায়ের তলা থেকে যেন মাটিটাই সরে গেল। মানিকদাকে শেষযাত্রায় দেখতে যাইনি। কারণ যে মানুষটার সঙ্গে এত স্মৃতি, তাঁকে সামনে ওই অবস্থায় দেখার শক্তি আমার মধ্যে ছিল না। সারাদিন চুপ করে বাড়িতে বসেছিলাম। প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছিল। আমি জানি, আজকে মানিকদার নতুন করে কিছু পাওয়ার নেই। কিন্তু জীবন সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে আজকে আমার মনে প্রশ্ন জাগে, আমরা কি তাঁর জীবনদর্শন ও কাজকে সেইভাবে উদ্‌যাপন করলাম? বাংলার গণ্ডি ছাড়িয়ে ভারতবাসী কি তাঁকে যোগ্য সম্মান দিতে পেরেছে? ১৯৯৭ সালে পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউটে গেস্ট লেকচারার হিসেবে গিয়েছি। মানিকদার ছবি নিয়ে পড়াতে গিয়ে ছাত্রদের থেকে শুনতে হল, ‘আমরা তো হিন্দি ছবি তৈরি করব। আমাদের সেইভাবে শেখান।’ অবাক হয়ে শুধু ওদের দিকে তাকিয়েছিলাম! নতুন প্রজন্মের কাছে আমার আবেদন, তাঁরা যেন সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে আরও সিরিয়াস হন। মনে মনে একটা স্বপ্ন দেখি— কলকাতায় সত্যজিৎ রায়ের সমস্ত কাজ নিয়ে একটা বিশ্বমানের সংগ্রহশালা তৈরি হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সত্যজিৎ উৎসাহীরা সেখানে হাজির হয়ে মানুষটাকে আরও ভালোভাবে চিনতে পারবেন। জানি এটা বাস্তবায়িত হলেও আমি হয়তো দেখে যেতে পারব না। কিন্তু যেখানেই থাকি না কেন, সেদিন আমার থেকে খুশি আর কেউ হবে না।    
                                                                                                                           অনুলিখন: অভিনন্দন দত্ত
18th  April, 2021
অধিকারের শতবর্ষ

গ্রামের পথ। এক মহিলা দুপুর রোদে ছাতা নিয়ে চলেছেন। হঠাৎ সামনে চলে আসে এক ষণ্ডামার্কা লোক। সে মহিলাকে এগতে বাধা দেয়। মহিলা তাও এগতে চান। 
বিশদ

13th  June, 2021
বাঙালির গোয়েন্দাগিরি
সুখেন বিশ্বাস

বাঙালিদের কাছে ‘গোয়েন্দা’ শব্দটি অতি পরিচিত। সেই ছোটবেলা থেকেই মা-বাবার কাছ থেকে আমরা শুনে আসছি শব্দটি। হারানো জিনিস ফিরে পাওয়া, খুন-ডাকাতি বা যে কোনও রহস্য উন্মোচনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে ‘গোয়েন্দা’ শব্দটি। ছোটবেলায় চোর-পুলিস খেলেনি এইরকম শিশু-কিশোর খুব কমই আছে বাঙালি সমাজে। বিশদ

06th  June, 2021
আবার নতুন দিল্লি
সমৃদ্ধ দত্ত

লর্ড কার্জনকে কংগ্রেস নেতা সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক চিঠি পাঠালেন। লিখলেন, বিহার আর ওড়িশাকে বাংলা থেকে পৃথক করে দেওয়া হোক। কিন্তু পূর্ববঙ্গকে যেন বিচ্ছিন্ন করা না হয়। বাংলার মানুষ ভাগ হয়ে যাবে, এটা আমরা মেনে নিতে পারছি না। লর্ড কার্জন প্রতিটি চিঠি পড়লেন। মতামত শুনলেন। বিশদ

30th  May, 2021
লাল গ্রহের মাটিতে পা
চীনের নীল প্রজাপতির

২৭০ কোটি টাকার ‘রোবোটিক জিওলজিস্ট’ পারসিভিয়ারেন্সের ‘শার্লক’ আর ‘ওয়াটসন’ পাথরের খাঁজে লেপটে থাকা প্রাণের অনুসন্ধান চালাবে মঙ্গলে। যখন ৯ কোটি ৭০ লক্ষ অপুষ্টি জর্জরিত অভুক্ত শিশু মরছে পৃথিবীতে, তখন বিপুল অর্থব্যয়ে, সৌরশক্তি ব্যবহারে আলো জ্বলবে মঙ্গলে। 
বিশদ

23rd  May, 2021
নতুন ভারতের  অগ্রদূত
মীনাক্ষী সিংহ

আগামী শনিবার অর্থাৎ ২২ মে রাজা রামমোহন রায়ের জন্মদিন। সেদিন থেকেই সূচনা হবে ভারতের নবজাগরণের অগ্রদূতের জন্ম সার্ধ দ্বিশতবর্ষের। এই একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও মুক্ত চিন্তার বড্ড অভাব। কেউ কেউ চালাচ্ছেন জাতের নামে বজ্জাতি। এমন যুগসঙ্কট মুহূর্তে আরও বেশি করে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে প্রায় আড়াইশো বছর আগে ভারতের বুকে জন্ম নেওয়া এই মানুষটির চিন্তা ও চেতনা। বিশদ

16th  May, 2021
একুশের জয়
চব্বিশের স্বপ্ন
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটাই সুবিধা। বিরোধীরা কখনওই তাঁকে সিরিয়াসলি নেয় না। তিনি অত্যন্ত সুকৌশলে নিজের রাজনীতির ঘুঁটি সাজিয়ে যেতে পারেন... মসৃণভাবে। কারণ, আগাগোড়া বিরোধী দল ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে নিয়ে হাসিঠাট্টা, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে যান। বিশদ

09th  May, 2021
নতুন স্ট্রেইনে ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী?

এখনও পর্যন্ত দেখা গিয়েছে, ভ্যাকসিন কাজ করছে। ভাইরাসটার চরিত্র বুঝতে বা নতুন প্রজাতির ভাইরাসের উৎস কী, তা জানতে জিনোম সিকোয়েন্স করা হচ্ছে। বিশদ

25th  April, 2021
দেশজুড়ে কেন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ?

মাসখানেক খানিকটা স্বস্তির শ্বাস নিলেও ফের করোনা আতঙ্ক গ্রাস করেছে দেশবাসীকে। ব্যতিক্রম নয় এ রাজ্যও। সকলের একটাই প্রশ্ন, এটাই কি সেকেন্ড ওয়েভ? এই মারণভাইরাস থেকে নিস্তার পেতে প্রার্থনা করছে গোটা ভারত। এই কঠিন পরিস্থিতিতে পুনের আইসিএমআর-ন্যাশনাল এইডস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর তথা নয়াদিল্লির আইসিএমআর (হেড কোয়ার্টার)-এর এপিডেমিনোলজি অ্যান্ড কমিউনিকেবল ডিজিসেস ডিভিশনের প্রধান ডাঃ সমীরণ পাণ্ডার মতামত শুনলেন সন্দীপ স্বর্ণকার।
  বিশদ

25th  April, 2021
সাহিত্যের  সত্যজিৎ

সত্যজিৎ রায় শুধু সিনেমার নন, তিনি সাহিত্যেরও। সিনেমার জন্যই তিনি ভুবনজয়ী, চিনেছে গোটা পৃথিবীর মানুষ। সিনেমার নতুন ভাষা আবিষ্কার  করেছেন তিনি। বিশদ

18th  April, 2021
বাঙালি ব্যক্তিত্ব
সমৃদ্ধ দত্ত

সাধারণত ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় দিল্লি গেলে প্রথমদিকে উঠতেন মৌলানা আবুল কালাম আজাদের বাসভবনে।  পরবর্তীকালে ডাঃ জে পি গাঙ্গুলির বাড়িতে। ১৯৪৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু হঠাৎ জরুরি তলব করলেন। সেবার দেখা গেল প্রয়োজনটা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, বিধানচন্দ্র রায় উঠলেন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। একদিন দু’দিন নয়। একটানা তিনদিন। বিশদ

11th  April, 2021
একশোয় ভিক্টোরিয়া
রজত চক্রবর্তী

কলকাতার ভোর হল আজ সমবেত কীর্তন আর খোল-করতালের শব্দে। উঠোন ঝাঁট দিতে দিতে ঘোমটার ফাঁক দিয়ে দেখে নিল বউ-ঝিয়েরা। কে মারা গেল! দু’হাত কপালে ঠেকিয়ে পেন্নাম ঠোকে। ছেলেরা নিমদাঁতন দাঁতে চিবতে চিবতে দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে। বিশদ

04th  April, 2021
সত্যধর্মের দোলোৎসব
সুখেন বিশ্বাস

ফাগুনের দোলপূর্ণিমা। গাছে গাছে নতুন পাতা। শাখায় শাখায় শিমুল-পলাশের রোশনাই। ফুলে-ফলে ফাগুন যেন এক নতুন পৃথিবী। দোলের আবিরে একদিকে রঙিন বাংলার আকাশ-বাতাস, অন্যদিকে ডালিমতলা, হিমসাগর আর বাউল-ফকিরদের আখড়া। বিশদ

28th  March, 2021
কুম্ভে অমৃতের সন্ধানে
সমৃদ্ধ দত্ত

 

কাটিহারের মণিহারি ব্লকের কমলা পাসোয়ানের প্রিয় শখ হারিয়ে যাওয়া। এই ১৪ বছর বয়সে সে চারবার হারিয়ে গিয়েছে। প্রতিবারই মেলায়। কখনও কুম্ভে। কখনও শোনপুরে। কী আশ্চর্য! চারবারই আবার ফিরে এসেছে বাবা-মায়ের কাছে। ‘এই প্রথম কুম্ভে এলেন?’ নিরঞ্জনী আখড়ার বাইরের রাস্তায় ভাণ্ডারা হবে। বিশদ

21st  March, 2021
তারকার রাজনীতি
রাহুল চক্রবর্তী 

লাইট। সাউন্ড। ক্যামেরা। অ্যাকশন। শব্দগুলো বদলে গিয়ে হয়েছে— জয় বাংলা। জয় শ্রীরাম। ইনক্লাব জিন্দাবাদ। মোদ্দা কথা— সুসজ্জিত চেহারার ছোট কিংবা বড়পর্দার চেনা মুখগুলো আজ অচেনা গণ্ডিতে ধরা দিচ্ছেন। বিশদ

14th  March, 2021
একনজরে
কোচবিহার পুরসভায় দু’শোরও বেশি ‘ভূতুড়ে’ শ্রমিক! বাস্তবে যাদের কোনও হদিশ মিলছে না। অথচ বেশ কয়েকমাস ধরে প্রতিমাসে ১৪ লক্ষ টাকা করে তাদের বেতন দেওয়া হয়েছে। ...

আগামী পয়লা জুলাই পর্যন্ত রাজ্য সরকারি অফিসে ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালানো হবে। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অফিস কর্তৃপক্ষ কর্মীদের রোস্টার তৈরি করে তাঁদের আসার জন্য পরিবহণের ব্যবস্থা করবে। ...

দু’মাস আগের কথা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুফান তুলে দেওয়াই বিজেপি’র একনিষ্ঠ নেতা-কর্মী হওয়ার অন্যতম মাপকাঠি ছিল। সময়ের ফেরে সেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন নেতাদের পোস্ট করাই কার্যত ‘ব্যান’ করে দিল বিজেপি নেতৃত্ব। ...

করোনা আতঙ্কের মধ্যে দেশে কোপা আমেরিকা আয়োজনের বিপক্ষে সুর চড়িয়েছিল ব্রাজিল দল। টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানোরও ইঙ্গিতও ছিল নেইমার-কাসেমিরোদের বক্তব্যে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৬: জাপানে সুনামিতে ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু
১৯৫০: শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তালের জন্ম
১৯৫৩: চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের জন্ম
১৯৬০: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়
১৯৬৯: জার্মানির গোলকিপার অলিভার কানের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৪৩ টাকা ৭৪.১৪ টাকা
পাউন্ড ১০১.৬৬ টাকা ১০৫.১৭ টাকা
ইউরো ৮৭.০৬ টাকা ৯০.২৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  June, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯, ১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭, ৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭২, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭২, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
14th  June, 2021

দিন পঞ্জিকা

৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮, মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১। পঞ্চমী ৪৫/৪ রাত্রি ১০/৫৭। অশ্লেষা নক্ষত্র ৪১/৫৬ রাত্রি ৯/৪২। সূর্যোদয় ৪/৫৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৬/১৮/১২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১২/৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৭ গতে ৪/৩১ মধ্যে। রাত্রি ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৪ গতে ৩/৩৭ মধ্যে পুনঃ ৪/৩১ গতে ৫/২৪ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৫ গতে ৯/৫০ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৬ মধ্যে পুনঃ ১/১৭ গতে ২/৫৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৮ গতে ৮/৫৮ মধ্যে। 
৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮, মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১। পঞ্চমী রাত্রি ৭/৩৬। অশ্লেষা নক্ষত্র রাত্রি ৭/৭। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২০।  অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ মধ্যে ও ৯/২৭ গতে ১২/৮ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৪/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ মধ্যে ও ১২/২ গতে ২/৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৮ গতে ৩/৪২ মধ্যে ও ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ গতে ৯/৫৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৭ মধ্যে ও ১/১৮ গতে ২/৫৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪০ গতে ৮/৫৯ মধ্যে। 
৪ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: হাঙ্গেরি ০ পর্তুগাল ৩ (ফুলটাইম)

11:28:00 PM

ইউরো কাপ: হাঙ্গেরি ০ পর্তুগাল ০ (হাফটাইম)

10:28:19 PM

যে এলাকায় সংক্রমণ বেশি সেখানে কড়াকড়ি করতে হবে, নির্দেশ রাজ্য প্রশাসনের 
যে এলাকায় সংক্রমণ বেশি সেখানে কড়াকড়ি করতে হবে। আজ, মঙ্গলবার ...বিশদ

07:51:00 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরপ্রদেশে আক্রান্ত ৩৪০, মৃত ৫৭ 

07:39:36 PM

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতীয় দলে কে কে রয়েছেন, জানুন 
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য আজ, মঙ্গলবার ভারতীয় দল ঘোষণা ...বিশদ

07:23:31 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাখণ্ডে আক্রান্ত ২৭৪, মৃত ১৮ 

07:22:21 PM