পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ
বিশেষজ্ঞদের দাবি এই পাখার প্রথম গুণ হল এতে কোনও আওয়াজ হয় না। ফলে লিভিংরুমে অথবা বেডরুমে এই পাখা লাগালে শান্তিতে টিভি দেখা, আড্ডা দেওয়া বা নির্বিঘ্নে ঘুমানো যায়।
এছাড়া বাড়ির সৌন্দর্যায়নও একটা বড় ব্যাপার। ঘরের সাজে আভিজাত্য আনতে এই ধরনের পাখা অবশ্যই লাগাতে পারেন। কাঠের যে কোনও জিনিসই অভিজাত দেখতে লাগে। পাখাতেও যে তার অন্যথা হবে না তা বলাই বাহুল্য।
এই পাখায় যে মোটর লাগানো হয় সেগুলো সাধারণ পাখার তুলনায় একটু বড়। সেই কারণে এই পাখায় হাওয়া বেশি হয়। তাছাড়া ঘরের অনেকটা অংশে ছড়িয়ে পড়ে এই পাখার হাওয়া, তাও ওই বড় মোটরের সৌজন্যে।
ইলেকট্রিশিয়ান বাবলু মণ্ডল জানালেন, এই পাখার ব্লেডগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যে তাতে ডুয়াল রোটেশনের (দু’দিকে ঘোরা) প্রযুক্তি থাকে। ফলে এই পাখা চালালে তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়। তিনি আরও বললেন প্রচণ্ড গরমে এই পাখা যথেষ্ট শীতল ভাব তৈরি করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখা ভালো। আপনার ঘরের মাপ যত বড় হবে, এই পাখা ততই ভালো কাজ করবে।
এই ধরনের পাখা নিয়মিত চালালেও বিদ্যুৎ খরচ কম বলেই বিভিন্ন সংস্থার দাবি। মাসের শেষে ইলেকট্রিক বিলে তার প্রতিফলন দেখা যায়।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই পাখা সাধারণ ফাইবারের তৈরি পাখার তুলনায় বেশি টেকসই। তাছাড়া এতে অ্যালুমিনিয়ামের মোটর ব্যবহার করা হয় বলে সারাক্ষণ চলার পরেও তা গরম হয় না।
ফেংশ্যুই বিশেষজ্ঞরা বলেন এই পাখা নাকি বাস্তুসম্মত। এর ব্যবহারে বাড়িতে তাই সুখ সমৃদ্ধি বাড়ে।
বাড়ির অন্দরসজ্জার সঙ্গে খাপ খাইয়ে এই পাখা তৈরি করানো যায়। কাঠের ব্লেডের পালিশ আপনার চাহিদা মতো করে দেওয়া সম্ভব। তাই অনেকেই ঘরের অন্যান্য আসবাবের সঙ্গে রং মিলিয়ে পালিশ করান এই পাখায়।
এই পাখার ব্লেডগুলো বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবহারে পালিশ করানো হয়। কাঠের ক্ষেত্রেও তা দীর্ঘ দিন ধরে প্রসেস করিয়ে তবেই এই ধরনের পাখা বানানো হয়। ফলে ঘূণ ধরা, পোকা লাগা ইত্যাদির সমস্যা এই পাখায় থাকে না।
পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে নরম কাপড় দিয়ে প্রথমে মুছে ঝুল ময়লা ফেলে দিন। তারপর যে কোনও ফ্লোর ক্লিনার স্প্রে করে তা আবারও কাপড় দিয়ে মুছে নিন। পরিষ্কার হয়ে যাবে এই পাখা।