বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
বিশ্বে এই প্রথম স্যামসাং ইন্ডিয়া লিমিটেড সিনেমায় এলইডি টেকনোলজি নিয়ে এল। মুম্বইয়ের মালাডে ইন অরবিট মলের আইনক্সে প্রথম স্যামসাং অনিক্স সিনেমায় এলইডি যাত্রা শুরু করল। সম্প্রতি এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে ভারতের বিভিন্ন শহরের থেকে আমন্ত্রিত সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন পুনিত শেঠি (ভাইস প্রেসিডেন্ট, কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স এন্টারপ্রাইজ বিজনেস, স্যামসাং ইন্ডিয়া), অলোক ট্যানডন (চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, আইনক্স লেজার লিমিটেড),
জং (ডিরেক্টর কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স এন্টারপ্রাইজ বিজনেস, স্যামসাং ইন্ডিয়া)। পুনিত শেঠি সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, ‘আগে যে প্রোজেকশন সিস্টেমের মাধ্যমে সিনেমা দেখানো হত তার থেকে বেরিয়ে এসে যাতে আরও ঝকঝকে, উজ্জ্বল, পরিষ্কার ছবি সিনেমা হলে বসে দর্শক দেখতে পারেন তার জন্য অতি আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি স্যামসাং অনিক্স সিনেমা এলইডি নিয়ে এল।’ এই স্যামসাং অনিক্স এলইডি প্রেক্ষাগৃহের যে কোনও দিক থেকেই স্বচ্ছ ছবি দর্শকদের উপহার দেবে। স্ক্রিন অপশনের ক্ষেত্রে ৫ মিটার, ১০ মিটার এবং ১৪ মিটার সাইজের হয় যা অডিটোরিয়ামের আয়তন অনুযায়ী লাগাতে হবে। আগে ছিল এস ডি আর সিস্টেম। আর এখন অনিক্স এলইডি নিয়ে এল এইচ ডি আর সিস্টেম। নতুন সিস্টেমের সাউন্ডও অতি স্পষ্ট এবং পরিষ্কার। এই সিস্টেমটি ইন্ডাস্ট্রির প্রথম ডিসিআই সার্টিফায়েড সিনেমা ডিসপ্লে। কনভেনশনাল প্রোজেকটার থেকে অনিক্স দশগুণ ব্রাইটার এবং সেই সঙ্গে রয়েছে কনট্রাস্ট রেশিও।
অলোক ট্যানডন বলেন, ‘আমরা স্যামসাংয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মুম্বই আইনক্সে প্রথম এলইডি প্রযুক্তিতে দর্শককে ছবি দেখাতে পারব যা নিঃসন্দেহে আনন্দের ব্যাপার। বর্তমানের এই নতুন সিস্টেম সাদা-কালো বা রঙিন যে ধরনের রঙের ছটা হোক না কেন তা খুবই স্পষ্ট।’ অ্যাকোয়াম্যান, স্পাইডারম্যান এবং বাজিরাও মস্তানি ছবির বেশ কিছু অংশ ওই নতুন এলইডি প্রযুক্তিতে সাংবাদিকদের দেখানো হয়। তবে নতুন সিস্টেমে টিকিটের দামের কোনও হেরফের হবে না। সিঙ্গল স্ক্রিনের ক্ষেত্রেও এই প্রযুক্তি কার্যকরী হবে। ইতিমধ্যে দিল্লির পিভিআর-এর স্ক্রিনে স্যামসাং এলইডি স্ক্রিন ইনস্টল করা হয়েছে।
স্মল ইজ বিউটিফুল
সম্প্রতি সায়েন্স সিটি মেগা ট্রেড ফেয়ার অডিটোরিয়ামে স্মল ইজ বিউটিফুল নামে এক আলোচনা সভা হয়ে গেল। স্কুল অফ ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস (এস ও এম এস) আই আই ই এস টি, শিবপুর এবং সাহা টেক্সটাইলের যৌথ প্রয়াসে এই আলোচনা সভা আয়োজিত হয়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক গবেষক ড. অঞ্জন ঘোষ (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, শিবপুর), অধ্যাপক গবেষক রঞ্জন দাস (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট ক্যালকাটা), অধ্যাপক গবেষক ভাস্কর ভৌমিক (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, খড়গপুর), অধ্যাপক গ্রেগারি ডান (ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস স্কুল না’অক্স বিশ্ববিদ্যালয়), কান্তি সাহা (কর্ণধার, সিইও সাহা টেক্সটাইল) প্রমুখ। সেদিন এই আলোচনা সভায় জানা গেল যে স্কুল অফ ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস এবং আই আই ই এস টি শিবপুর কলেজের অধ্যাপক তথা গবেষক ড. অঞ্জন ঘোষ ও তাঁর শিক্ষার্থীরা মিলে সাহা টেক্সটাইলের কর্ণধার তথা সিইও কান্তি সাহার ওপর গবেষণা শুরু করেছেন। এর আগে ড. অঞ্জন ঘোষ চাইল্ড ইন নিড ইনস্টিটিউট (সিনি) ওপর গবেষণা করেন, যা আইডি পাবলিশিং থেকে প্রকাশিত হয়। হঠাৎ কান্তি সাহার ওপর গবেষণা কেন প্রশ্ন করতেই ড. অঞ্জন ঘোষ বলেন, ‘কান্তিবাবুর ব্যবসার চিন্তা-ভাবনা একটু অন্যরকম। গবেষণার মাধ্যমে যদি অভিনব কিছু পাই যা ম্যানেজমেন্টের ছাত্রছাত্রীদের কাজে আসবে সেই ভাবনা থেকে গবেষণা শুরু। গবেষণার দুটো বিষয়—উদ্যোগপতি যাঁরা নতুন কিছু করেন, যা সকলের থেকে আলাদা। দ্বিতীয়ত আমি স্ট্র্যাটেজিক ম্যানেজমেন্ট নিয়ে গবেষণা করি। তৃণমূল স্তর থেকে উঠে আসা মানুষ যাঁরা দেশের মধ্যে নিজের কৃতিত্বে সাফল্য পেয়েছেন এবং সমাজেও তাঁরা প্রতিষ্ঠিত, গবেষক হিসেবে আমি তার মধ্যে নতুন কিছু খুঁজে পেলে তা সমগ্র পৃথিবীকে দেওয়ার চেষ্টা করি। কান্তিবাবুর বিজনেস মডেল আমাকে আকৃষ্ট করেছে। কলকাতার ইতিহাস দেখলে বোঝা যাবে এখানে বেশিরভাগই ট্রেডার্স। তাঁদের বিজনেস মডেল দেখলে বোঝা যায় তাঁরা একটা জায়গা থেকে জিনিসপত্র সংগ্রহ করে বাজারে তা বিক্রি করেন। কিন্তু কান্তিবাবু সরাসরি বাজার থেকে কিনে তা বিক্রি করেন না। উনি তাঁতি বা শিল্পীদের দিয়ে কাজ করান। এই সংস্থার মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কতজন মানুষের পরিবার নির্ভর করছে সেটাও গবেষণার বিষয়বস্তু। বারাসত বাজারের কাছে ১৭৫ স্কোয়ার ফুট জায়গা নিয়ে কান্তিবাবু প্রথম ব্যবসা শুরু করেন। আজ তিনি সফল ব্যবসায়ী। কলকাতা সহ সমগ্র ভারত এমনকী ভারতবর্ষের বাইরেও কান্তিবাবু একটা বাজার তৈরি করেছেন। কীভাবে সেটা ঘটেছে সেটাও দেখার।’
কান্তিবাবু জানান, ‘আমার ওপর গবেষণার কথা শুনে প্রথমে হতবাক হয়ে যাই। আলোচনাসভায় কিছুটা হলেও স্বীকৃতি পেলাম। এতে আমার দায়িত্ব বাড়ল। গ্রামের উন্নতি এবং স্মল স্কেল ইন্ডাস্ট্রির যাতে উন্নয়ন হয় সেই চেষ্টা করব’।
চৈতালি দত্ত