সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ
গত সপ্তাহেই মঙ্গল গ্রহের মাটি ছুঁয়েছে নাসা-র পারসিভিয়ারেন্স রোভার। এই অভিযানের সাফল্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন বিজ্ঞানী ড.স্বাতী মোহন। কর্নেল ইউনিভার্সিটির এই স্নাতক রোভার ল্যান্ডিং অভিযানের অপারশেন লিড ছিলেন। অনলাইনে স্বাতী লেখেন, ‘মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করেছি আমরা! পারসিভিয়ারেন্স এবার মঙ্গল ঘুরে অতীত যুগের প্রাণের হদিশ খুঁজে বের করার কাজটি শুরু করার জন্য প্রস্তুত।’ এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসার কন্ট্রোলরুমে হইহই পড়ে যায়। নাসার সেই ভিডিওটি ভাইরালও হয়। তাতেই সবার নজর পড়ে স্বাতীর দিকে। ঠান্ডা মাথার ছোট্ট টিপ পরা মেয়েটিকে নিয়ে চর্চা শুরু হয় তারপর থেকে। এমআইটি থেকে এরোনটিকস-এ এমএস এবং পিএইচডি করেছেন স্বাতী। এই অভিযানে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তো প্রশংসিত হয়-ই, তার সঙ্গেই কপালে টিপ নিয়ে চলে জোর আলোচনা। অনেক ভারতীয়ই বলেছেন, স্বাতী তাঁর সংস্কৃতির প্রতি যত্নবান বলেই টিপ পরতে তিনি এত স্বচ্ছন্দ।
লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে সরব নব্যা নন্দা
তাঁর দিদা জয়া বচ্চন। তাঁর মা শ্বেতা বচ্চন নন্দা। অমিতাভ বচ্চনের নাতনি নভ্যা নভেলি নন্দা পরিবারের ওই দুই মহিলার দ্বারাই অনুপ্রাণিত। কারণ জয়া বা শ্বেতার আত্মবিশ্বাস, মনের জোর তাঁকে মুগ্ধ করে। মা আর দিদিমার শিক্ষা নিয়েই নভ্যা এবার ভারতে লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করার কথা ঘোষণা করেছেন। তার জন্য নতুন একটি উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি, যার নাম ‘প্রোজেক্ট নভেলি।’ ২৩-এর তরুণীর কথায়, ‘আমার যে মূলধন, সঙ্গী, সুবিধা ইত্যাদি রয়েছে, তা কাজে লাগিয়ে লিঙ্গ বৈষম্য প্রতিরোধে সচেতনতা গড়ে তুলতে চাই। সমাজের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে চাই। বিদেশে পড়াশোনা করতে গিয়ে দেখেছি ওখানে নারীরা অনেক বেশি স্বাধীনচেতা এবং মুক্তমনা। আমি চাই ভারতের মহিলারাও তেমনটা হয়ে উঠুন। তাঁরাও নিজের ভাগ্য নিজে নিয়ন্ত্রণ করুন, নিজের জীবনের দায়িত্ব নিজে নিন। আমি কর্মরত মহিলাদের মধ্যে বড় হয়ে উঠেছি। ছোট থেকেই এমনটা দেখেছি বলে আমার মনে হয় পরিবর্তন আনতে গেলে শিক্ষা এবং অর্থনৈতিক স্বাধীনতার ওপরে জোর দিতে হবে। আর এখান থেকেই ‘প্রোজেক্ট নভেলির’ যাত্রা শুরু।’ এই উদ্যোগে চারটি বিশেষ ক্ষেেত্রর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে— শিক্ষা, আর্থিক স্বাধীনতা, পারিবারিক হিংসা এবং মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা। নভ্যার মতে এই ক্ষেত্রগুলিতেই লিঙ্গ বৈষম্য সবচেয়ে বেশি।
মহিলা সুপারহিরো প্রিয়া
কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ ঠেকাতে বেড়িয়ে পড়েছে ভারতের প্রথম ফিমেল সুপারহিরো প্রিয়া। মিনা নামে একটি ছোট মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে তাকে প্রিয়া বোঝাতে চাইছে, কোভিড রুখতে স্বাস্থ্যকর্মীরা কী দুঃসাহসিক কাজটাই না করছেন। তাই তাঁদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে এই কঠিন সময়টা সাহসের সঙ্গে পেরিয়ে যেতে বলছে প্রিয়া। ‘সাহস’ নামে উড়ন্ত বাঘকে সঙ্গী করে প্রিয়া বোঝাচ্ছে মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা, একসঙ্গে কাজ করে সারা বিশ্বের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা। সবটাই কিন্তু বই আর ফিল্মে। দিল্লিতে মার্কিন দূতাবাসের সহায়তা ও সমর্থনে জনপ্রিয় কমিক বুক সিরিজ প্রিয়া থেকে সম্প্রতি ‘প্রিয়াজ মাস্ক’ নামে এই বইটি অনলাইনে এসেছে। তৈরি হয়েছে একটি শর্ট ফিল্মও। ন’টি ভাষায় অনূদিত বইটি অনলাইনে বিনামূল্যে পড়া যাবে।
কাস্টমাইজড হার্বাল প্রোডাক্ট
দিয়ে স্বনির্ভর মৌমিতা
দাদু ছিলেন কবিরাজ। বিভিন্ন ভেষজ পদার্থের মিলমিশ দেখতে দেখতেই বড় হয়ে ওঠা। তখন থেকেই ইচ্ছে, নিজেও এমন ভাবেই কিছু বানানো যা ভবিষ্যতে কাজে আসে। সুযোগ এল ২০১৬ সালে। ততদিনে বিউটিশিয়ান কোর্স শেষ করেছেন নিউ আলিপুরের মৌমিতা মজুমদার। কিন্তু বাজারচলতি বিউটি প্রোডাক্ট বিভিন্ন জনকে দিলেও অনেকের ত্বক তাতে বিদ্রোহ করছে। ঠিক করলেন, নিজেই বানাবেন ভেষজ উপাদানে তৈরি নানা বিউটি প্রোডাক্ট। একেবারে ছোট করে মাত্র ৫০০ টাকা মূলধন দিয়েই শুরু করলেন তা। প্রথমেই বানালেন ট্যান প্যাক। পরিচিত যে ক’জনকে দিলেন তাঁরা প্রত্যেকে খুশি। সাহস বাড়ল ক্রমে। এবার আমলা, মেথি মিশিয়ে একটা হেয়ার প্যাক। তারও সুফল মিলল হাতেনাতে। তারপর থেকে এই ধরনের প্রোডাক্ট বানানো নেশা হয়ে উঠল। নিজেকে আরও দক্ষ ও দড় করে তুলতে দিল্লির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আয়োজনে এমন বিউটি প্রোডাক্ট বানানোর কোর্সও করেন মৌমিতা। নিজেকে ঘষেমেজে আরও পারদর্শী করে তোলেন। তার পর থেকেই স্থানীয় মানুষের গণ্ডি ছাড়িয়ে পেশাগত ভাবে তাঁর প্রোডাক্ট তিনি ছড়িয়ে দিতে থাকেন দূর দূরান্তেও। এখন প্রায় ৯-১০ রকমের হার্বাল প্রোডাক্ট তৈরি করেন মৌমিতা। বিভিন্ন এসেনশিয়াল অয়েল ছাড়াও নানা ধরনের মিস্ট, হেয়ার সিরাম, গোল্ড সিরাম, স্যাফ্রন অয়েল তৈরি করছেন মৌমিতা। বিক্রিবাটাও এখন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। হোয়াটসঅ্যাপে প্রোডাক্টের ডিটেলস জানার পর ক্রেতার সঙ্গে সরাসরি কথা বলে তাঁর ত্বকের ধরন বুঝে হার্বাল প্রোডাক্ট বানিয়ে দেন তিনি। দামও হয় একেবারে সাধ্যের মধ্যে। কাস্টমাইজড হওয়ায় ক্রেতারাও খুশি তাঁদের ত্বকের যত্নে।
যোগাযোগ: ৯৮৩৬৯৯৯১১৯