সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ
শান্তিনিকেতনের আলপনা
শান্তিনিকেতনের আশ্রমশিক্ষায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে আলপনার প্রচলন করেছিলেন, তা ছিল প্রকৃতিশিক্ষারই একটা রূপ। আচার্য নন্দলাল বসুর শিক্ষাদর্শে কিরণমালা দেবী, সুকুমারি দেবী, গৌরী ভঞ্জ, যমুনা দেবী, ননীগোপাল ঘোষ প্রমুখের হাত ধরে আলপনার এই রীতি সেই সময় সারা পৃথিবীতে খ্যাতি পেয়েছিল ।
পরবর্তীকালে সেই ধারা বহন করে আলপনা রীতির সুযোগ্য শিল্পী হয়ে ওঠেন সুধীরঞ্জন মুখোপাধ্যায়। ১৯৭৬ সালে সুধীবাবু জাতীয় বৃত্তি নিয়ে কলাভবনে আসেন। পরবর্তীকালে সেখানেই শিক্ষকতা করার পাশাপাশি শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন ঋতু-উৎসবে আলপনা দেওয়ার প্রধান কান্ডারি হয়ে ওঠেন। এছাড়াও রবীন্দ্রনাট্যের পোশাক, অলঙ্কার, মঞ্চসজ্জাতেও তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সেই সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়েছে চারণ ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠান ও মেলার মাধ্যমে।
৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায়, শান্তিনিকেতনে সোনাঝুরি গেস্ট হাউস, যা ‘দুর্গাবাড়ি’ নামে পরিচিত, সেখানে শ্রী সুধীরঞ্জন মুখোপাধ্যায় আলপনার নানা রূপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সেই সঙ্গে আলপনার প্রাথমিক পাঠও তিনি দেন আগ্রহী ছাত্র ও দর্শকদের। নাচে গানে শিল্পরচনায় মুখর হয়ে ওঠে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ। হারিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতিকে ফিরে পাওয়ার আনন্দ এই অনুষ্ঠানে এক বাড়তি মাত্রা যোগ করে।