কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
মিষ্টির দোকান হিসেবে খ্যাত হলেও গোকুলে মিষ্টির পাশাপাশি নোনতাও পাবেন। তবে আজ শুধুই মিষ্টি কথা। গোকুলের মিষ্টি বলতেই অবাঙালি ধাঁচের ক্ষীরের মিষ্টির ছবি যদি চোখে ভেসে ওঠে তাহলে সেই ধারণা বদল করার সময় এসেছে। গোকুলে অবাঙালি ক্ষীরের মিষ্টির পাশাপাশি বাঙালি ছানার মিষ্টি তো পাবেনই, এছাড়াও আবার পাবেন নানা স্বাদের ফিউশন মিষ্টি। এই যেমন ছানার পায়েসের সঙ্গে স্ট্রবেরির মিশ্রণ বা ছানা ও বাদাম বাটার সঙ্গে বাটারস্কচের মিশ্রণ ইত্যাদি। গোকুলে মিষ্টির পাশাপাশি একটি বুটিক স্টোরও রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের প্যাকিং বাক্স বিক্রি করা হয় সেই বুটিক স্টোরে। বাড়িতে বাচ্চা জন্মালে তার মুখ দেখার চল বাঙালি বা অবাঙালি সব সংস্কৃতিরই অঙ্গ। সেক্ষেত্রে মিষ্টি খাওয়ানোর রীতিও যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। কিন্তু সেই মিষ্টি যদি সুসজ্জিত কোনও বাক্সে ভরে দেওয়া যায় তাহলে? দারুণ হবে তাই না? এমন ভাবনা থেকেই নানা ধরনের উপহারের বাক্স ও ট্রে তৈরি করেছে গোকুল। সেই ট্রে বা বাক্স কাগজের হতে পারে, হতে পারে কাঠের অথবা তামার। আবার সেরামিকেরও হতে পারে। যেমন বাক্স দামও তেমনই।
বাদাম বাটারস্কচ কেক
উপকরণ: বাটারস্কচ ৫০০ গ্রাম, রোস্ট করা আমন্ড ১ কাপ, ময়দা ২ কাপ, চিনি ১ কাপ, দুধ ১ কাপ।
পদ্ধতি: কিছুটা বাদাম কুচিয়ে রেখে বাকি বাদাম দানা দানা করে বেটে নিন। তা ময়দার সঙ্গে মিশিয়ে দিন। একটা পাত্রে দুধ ফুটিয়ে একটু ঘন করে নিন। তাতে চিনি দিয়ে একসঙ্গে ফোটান। দুধ ও চিনি মিশে গেলে তা আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। এবার তা ঠান্ডা করে নিন। দুধ ঠান্ডা হলে তাতে ময়দা অল্প অল্প করে মেশান আর মাখুন। মিশ্রণটা মাখা মাখা হলে তা থেকে ছোট ছোট লেচি কেটে বাটির মতো করে গড়ুন। এই বাটির মধ্যে বাটারস্কচের পুর ভরুন। তারপর আবারও গোল করে মেখে হাতের সাহায্যে চ্যাপটা করে গড়ে নিন। এবার এই কেক অন্তত দুই থেকে তিন ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে সেট করুন। ফ্রিজ থেকে বার করে ওপরে কুচনো বাদাম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
রোজ ধলওয়া গুলকন্দ কেক
উপকরণ: দুধ ১ লিটার, আমন্ড ১ কেজি, গুলকন্দ ২০০ গ্রাম, রোজ সিরাপ প্রয়োজন মতো, গোলাপের পাঁপড়ি সাজানোর জন্য।
পদ্ধতি: বাদাম সারারাত ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে রেখে দিন। সকালে দেখবেন তা ফুলে উঠেছে। তখন জলটা ফেলে দিয়ে বাদামের খোসা ছাড়িয়ে নিন। দুধ ফুটিয়ে অল্প ঘন করে নিয়ে তা থেকে ছানা কাটিয়ে নিন। ছানা ঠান্ডা জলে চুবিয়ে রেখে জল ঝরিয়ে ফ্রিজে দুই থেকে তিন ঘণ্টা রেখে দিন। ইতিমধ্যে বাদাম একটু দানা রেখে বেটে নিন। এই বাদামের সঙ্গে ছানা মিশিয়ে তাতে রোজ সিরাপ অল্প অল্প করে মেশান আর মাখতে থাকুন। মোটামুটি টাইট মাখা হলে তা থেকে ছোট ছোট লেচি কেটে বাটির মতো করে গড়ুন। চামচ করে গুলকন্দ তুলে বাদামের বাটিতে ভরে মুখ বন্ধ করে আবারও গোল করে নিন। তারপর হাতের চাপে তা চ্যাপটা কেকের মতো গড়ে নিন। ওপর থেকে গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজান। তারপর এই মিষ্টি অনন্ত তিন থেকে চার ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে সেট করে নিন। ফ্রিজ থেক বার করে পরিবেশন করুন।
স্ট্রবেরি ছানার পায়েস
উপকরণ: দুধ ২ লিটার ও আলাদা করে ১ লিটার, স্ট্রবেরি ৭০০ গ্রাম, চিনি ১ কেজি, আমন্ড ও পেস্তাকুচি সাজানোর জন্য।
পদ্ধতি: ২ লিটার দুধ ফুটিয়ে সামান্য ঘন করে নিন। তারপর তা অল্প ঠান্ডা করে নিন। এই দুধ থেকে ছাড়া কাটিয়ে নিন। ছানা একটা মসলিন কাপড়ে জড়িয়ে নিংড়ে জল ঝরিয়ে নিন। তারপর তা বরফ ঠান্ডা জলে কাপড়ে জড়ানো অবস্থাতেই খানিকক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। এতে লেবুর স্বাদ কেটে যাবে। এরপর ছানা থেকে অতিরিক্ত জল নিংড়ে নিয়ে তা একটা মুখ বন্ধ টিফিন বাক্সে রেখে ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিন। ইতিমধ্যে বাকি দুধ ফুটিয়ে তাতে চিনি মিশিয়ে আবারও ফুটিয়ে নিন। বেশ ঘন করে নিন। এই দুধ ঠান্ডা হতে দিন। এবার স্ট্রবেরি কুচিয়ে কেটে নিন। অল্প একটু কুচি স্ট্রবেরি সরিয়ে রেখে বাকিটা মিক্সিতে বেটে নিন। বাটা স্ট্রবেরি ছানার সঙ্গে মেশান। এবার এই মিশ্রণ চিনি ও দুধের ঘন মিশ্রণে ফেলে হাতার সাহায্যে মেশান। সবটা একসঙ্গে মিশে গেলে ফ্রিজে ঢুকিয়ে তা ঠান্ডা করে নিন। এরপর ছোট বাটিতে ঢেলে ওপরে স্ট্রবেরিকুচি, আমন্ডকুচি ও পেস্তাকুচি দিয়ে সাজিয়ে দিন।