কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
স্কাই লাউঞ্জের আদলে তৈরি রেস্তরাঁটির ঠিকানা পার্ক স্ট্রিট। নাম হ্যামার। অল্পবয়সীদের আড্ডাস্থল হিসেবে এর জুরি মেলা ভার। আর বাঙালির আড্ডা যখন তখন তা কি আর খাওয়া দাওয়া ছাড়া জমে? তাই সেই ট্র্যাডিশন বজায় রাখতে হ্যামারেও পাবেন হালকা থেকে ভারী খানাপিনার আয়োজন। খাবারে একটু ফিউশন স্টাইল এই রেস্তরাঁর বিশেষ আকর্ষণ বা ইউ এস পি। এখানে বিভিন্ন স্বাদের খাবার পাবেন। মেডিটেরেনিয়ান নাচোস চাইলে তাও যেমন পাবেন আবার ইউরোপিয়ান গ্রিলড ফিশ চাইলে তারও অভাব হবে না। আর ইন্ডিয়ান কাবাব চান তো তাও রয়েছে মেনুতে। পছন্দমতো পদ শুধু চেখে দেখার অপেক্ষা। স্ন্যাক্স চাইলে তাও যেমন পাবেন তেমনই আবার লাঞ্চ বা ডিনারের আয়োজনও রয়েছে এখানে। অল্পবয়সী কলেজ পড়ুয়া থেকে সদ্য চাকরিপ্রাপ্ত যুবক যুবতীরা এই আড্ডাখানায় ঢুঁ দিতেই পারেন। ছাদের ওপর কৃত্রিম বাগানে ঘেরা এই স্কাই লাউঞ্জে মনোরম পরিবেশে খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে আড্ডা ফ্রি।
দহি লসুনি চিকেন কাবাব
উপকরণ: বোনলেস চিকেন ৫০০ গ্রাম, আদাবাটা ৩০ গ্রাম, রসুনবাটা ৩০ গ্রাম, নুন স্বাদ মতো, গরম মশলা ৩ গ্রাম, জল ঝরানো টক দই ২৫০ গ্রাম, কাজুবাদামবাটা ৫০ গ্রাম, ফ্রেশ ক্রিম ৫০ গ্রাম, এচালগুঁড়ো ৩ গ্রাম, জয়িত্রীগুঁড়ো ১০ গ্রাম, চিজ ৫০ গ্রাম, তেল ৫০ গ্রাম, চাট মশলা ২০ গ্রাম, ধনেপাতা কুচি ৫০ গ্রাম, কাঁচালঙ্কাকুচি ৫০ গ্রাম।
পদ্ধতি: চিকেন বড় টুকরো করে কেটে তা আদা-রসুনবাটা ও নুন দিয়ে ম্যারিনেট করে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। একটা পাত্রে দই, ক্রিম, কাজুবাটা, জয়িত্রীগুঁড়ো, চাট মশলা, এলাচগুঁড়ো তেল, ধনেপাতাকুচি ও কাঁচা লঙ্কাকুচি মিশিয়ে একটা ম্যারিনেড তৈরি করুন। এই ম্যারিনেড দিয়ে চিকেন আরও আধ ঘণ্টা থেকে পঁয়তাল্লিশ মিনিট ম্যারিনেট করে রাখুন। তারপর শিকে তেল মাখিয়ে নিন। তাতে চিকেনের টুকরোগুলো গেঁথে নিন। তারপর এই শিকে গাঁথা চিকেন দশ মিনিট তন্দুর আভেনে ঢুকিয়ে তন্দুর করুন। মোটামুটি সেদ্ধ হলে তা আভেন থেকে বার করে নিন। মিনিট খানেক বাইরে রেখে তাতে চিজ মাখিয়ে নিন। তারপর আবারও তা মিনিট পাঁচেকের জন্য তন্দুর করুন। চিকেন সুসিদ্ধ হলে আভেন থেকে বার করে নিন। মিন্ট চাটনি সহযোগে পরিবেশন করুন।
লোডেড নাচোস
উপকরণ: নাচোস ২৫টা, সুইট কর্ন ২৫০ গ্রাম, চিজ স্যস ৪ টেবিল চামচ, মোজারেলা চিজ ৫০ গ্রাম, গুয়াকামোল ৩ টেবিল চামচ, সালসা স্যস ৩ টেবিল চামচ, সাওয়ার ক্রিম ২ টেবিল চামচ, ধনেপতাকুচি ১ টেবিল চামচ।
পদ্ধতি: একটা বেকিং ডিশ হালকা করে মাখনে গ্রিজ করে নিন। তার ওপর নাচোজ গুলো সাজান। ইতিমধ্যে চিজ স্যস দিয়ে সুইট কর্ন নেড়ে নিন। অল্প নুন দিন। এবার এই মিশ্রণ নাচোজের ওপর ছড়িয়ে দিন। তার ওপর থেকে মোজারেলা চিজ ছড়ান। ওপর থেকে ধনেপাতাকুচি ছড়িয়ে সাজান। সাওয়ার ক্রিম ফেটয়ে নিন। গুয়াকামোল একটা বাটিতে নিয়ে ফেটান। সালসা স্যস অন্য একটা বাটিতে নিন। এবার নাচোজ এই তিন ধরনের ডিপ সহযোগে পরিবেশন করুন। (ধনেপাতা, অ্যাভোগ্যাডো, পাতিলেবুর রস, টম্যাটোকুচি ও পেঁয়াজকুচি একসঙ্গে বেটে মিশিয়ে নিলেই গুয়াকামোল তৈরি হয়ে যাবে।) হালকা এই স্ন্যাক্স খুব সুস্বাদু তো বটেই, আবার একই সঙ্গে স্বাস্থ্যকরও বটে।
ফিশ আ-লা-মুনিয়ের
উপকরণ: ফ্রেশ ফিশ ফিলে ২২০ গ্রাম, মাখন ৩ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ ২টো, পার্সলেকুচি ২ টেবিল চামচ, রসুনকুচি ২ টেবিল চামচ, মাঝারি মাপের আলু ৩টে, ক্যাপসিকাম ৫০ গ্রাম, বেবি কর্ন ২০ গ্রাম, বিন ১০ গ্রাম, গাজর ১০ গ্রাম, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, ফ্রেশ ক্রিম কাপ।
পদ্ধতি: মাছে নুন, মরিচগুঁড়ো ও সর্ষের তেল মাখিয়ে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর তা সোনালি বাদামি করে গ্রিল করে নিন। এবার প্যান গ্রিজ করে নিন। তাতে লেবুর রস, ও সামান্য ক্রিম দিয়ে একটা মিশ্রণ বানিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণে গ্রিল করা মাছ নেড়ে নামিয়ে নিন। ইতিমধ্যে গাজর বিন ও বেবি কর্ন লম্বা করে কেটে নিন। তা অল্প ভাপিয়ে নিন। তারপর মাখনে নুন ও মরিচ ও রসুনকুচি দিয়ে নেড়ে নিন। আলু সেদ্ধ করে তা ক্রিম, নুন, মাখন দিয়ে মেখে নিন। আলু মাখা দিয়ে একটা বেড তৈরি করে তার ওপর মাছ রেখে সব্জি সহযোগে পরিবেশন করুন।