সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ
পলাশের মেলা অনেক দিন ধরেই জানান দিচ্ছে কথাটা, দ্বার পেরিয়ে বসন্ত তো এখন ঘরে ঢুকে মনের ভিতরে জমিয়ে বসেছে! এক সপ্তাহ পরেই দোল উৎসব। এর মধ্যে চৈত্র সেলের আনন্দে গা ভাসিয়ে এটা-ওটা কেনা তো আছেই। সব মিলিয়ে মনে একটা খুশির আমেজ।
তবে যে জামাকাপড় বা শাড়িই পরুন, একটু আরামদায়ক না হলে এই সময় মুশকিল। সেই কথা মাথায় রেখে এখন বিভিন্ন ডিজাইনার এবং পোশাক বিক্রেতা তাঁদের পসরা সাজিয়েছেন। বুটিক থেকে, কখনও বা সরাসরি দোকানে গিয়ে হাতে নিয়ে দেখে নিতে পারেন এই সব সম্ভার। উপরি পাওনা সেলের অফার তো আছেই।
ব্র্যান্ড পরমা-র ব্লাউজ-শাড়ি এমনিতে খুবই নজরকাড়া, ব্যতিক্রমী। সঙ্গে বাচ্চাদের পোশাকও এখন বানানো হচ্ছে এখানে। এই ব্র্যান্ডের ডিজাইনার পরমা ঘোষের মতে, ‘পুজো বাদ দিয়ে এই সময়টাই যেন বাঙালিকে আবার ছেলেবেলায় ফিরিয়ে নিয়ে যায়। বসন্ত ও গরমের এই যে সন্ধিক্ষণ, সেটা খুব সুন্দর। এই সময়ে নতুন জামা কেনার একটা হিড়িক তো আছেই। পুজোর মতো বাজেট থাকে না হয়তো। কিন্তু আসন্ন পয়লা বৈশাখের কথা মাথায় রেখে খুব দামি না হলেও কিছু না কিছু কিনেই থাকি আমরা। গরম পড়ে যায় বলে সুতিই প্রাধান্য পায়। সঙ্গে আরামটাও চাই।’ এই সূত্রেই তিনি মনে করালেন, ছোটবেলার হাতকাটা ছোট ফুলের মোটিফ করা সাদা সুতির জামার কথা। বাচ্চা মেয়েদের জন্য প্রায় সব মা এক সময় কিনতেন এই ধরনের জামা। এখন চাওয়া-পাওয়া বদলালেও নিজের সাম্প্রতিক প্রদর্শনীতে সব ধরনের সুতির কালেকশনই রেখেছেন পরমা। তা সে জামদানি হোক বা খাদি। তার ওপর এমব্রয়ডারি করা থাকছে। জামদানি শাড়ির সঙ্গে জামদানি ব্লাউজও পাবেন এখানে। ব্লাউজের এই নতুন কালেকশন বেশ অভিনব। জামদানির মধ্যে সাবেকি নকশাকাটা ডিজাইন করে ব্লাউজ করেছেন তিনি। মোটিফে বা নকশায় পুরনো-আধুনিক দু’রকম প্রভাবই আছে। গলায় বা হাতে ফ্রিল, লেস তো আছেই। কোথাও আছে হ্যান্ড-এমব্রয়ডারি করা ছোট ছোট গোলাপ। ব্লাউজকে ক্রপ টপের মতো শেপ দিয়ে তা স্কার্টের সঙ্গে পরার অপশনও রাখা হয়েছে। আর সব ক’টার কাপড়ই একেবারে নরম, তুলতুলে শিশুদের ত্বকের মতো, জানালেন পরমা। (যোগাযোগ: www.paramacalcutta.com)
গরমের কথা ভেবেই শ্যামবাজারে সিইএসসি-র উল্টোদিকে বেনারসি টেক্সটোরিয়াম (যোগাযোগ: ২৫৫৫৬৪২৭) এনেছে অনেকরকম শাড়ির সম্ভার। এখানে দারুণ সেলও চলছে। ছবিতে যে সি-গ্রিন রঙের চোখজোড়ানো ঢাকাইটি দেখতে পাচ্ছেন সেটির দাম মাত্র ১১৫০ টাকা। সাধারণ সময়ে এটির দাম ১৮৫০ টাকা। এটি সফট ঢাকাই হিসেবেও পাবেন। চাইলে আবার অন্য কালার কম্বিনেশন পাওয়া যাবে, জানালেন দোকানের কর্ণধার তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। চাক্ষুষ দেখতে হলে এখনই চলে যান বেনারসি টেক্সটোরিয়ামে।
ছবিতে ম্যাচিং পিঙ্ক কালারের পাঞ্জাবিটিও দেখার মতো, ডুপিয়ান সিল্কের মধ্যে বুটিতে এমব্রয়ডারি করা। হাতে আর গলার কাছের বিশেষ কাজটিও নজর টানে। সঙ্গে ডুপিয়ান সিল্কের ধুতির মধ্যে ব্লক প্রিন্টের কাজ দারুণ মানানসই। উৎসবে পরার জন্য উপযোগী এই পাঞ্জাবি-ধুতি, জানালেন বাগুইআটি এসি মার্কেটের (বেসমেন্ট) শ্রীগোপাল পাঞ্জাবি মহলের কর্ণধার তপন দাস (যোগাযোগ: ৯৮৩৬৫৯২৫৪৯)। এইরকম পাঞ্জাবির দাম ২৫০০ টাকা আর ধুতি ১৫০০ টাকা। এখানে সাড়ে ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে ৮-১০ হাজার টাকা (কটন থেকে সিল্ক) পর্যন্ত পাঞ্জাবি পেয়ে যাবেন। মেটিরিয়াল দেখে নিজস্ব মাপ বা ডিজাইন অনুযায়ী কাস্টমাইজড অর্ডারও দিতে পারেন। পারিবারিক উৎসবে পুরুষদের জন্য একরকম ধুতি-পাঞ্জাবিও তাঁরা অনায়াসে করিয়ে দেন। এখানে চৈত্র সেল শুরু হচ্ছে ২৮ মার্চ থেকে। চলবে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত।