সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ
তারুণ্যে পা দিয়েছে ঋতজা। মনে তার বসন্তের আমেজ। সাজগোজেও একটা ফুরফুরে মেজাজ। শুধু বাদ সাধছে ব্রণর সমস্যা। তবু সাজগোজ তো তারুণ্যের ধর্ম। সেক্ষেত্রে ব্রণর সমস্যা এড়ানো যায় কীভাবে? ডার্মাটোলজিস্ট ডাঃ অনুশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, অ্যাকনের সমস্যাটা জেনেটিক। ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তাই ত্বক সবসময় ধুয়ে সাফসুতরো রাখতে হয়।
তবে পরিষ্কার রাখারও কিছু নিয়ম রয়েছে। ব্রণ বা অ্যাকনে থাকলে মুখ ধোয়ার সময় সাবান খুব একটা ব্যবহার করা উচিত নয়। বরং ভালো ব্র্যান্ডের মেডিকেটেড ফেস ওয়াশ ব্যবহার করলে উপকার বেশি হবে। আর কোন ব্র্যান্ড বা কী ধরনের ফেস ওয়াশ ব্যবহার করবেন তা নির্ভর করবে আপনার ত্বকের ওপর।
এছাড়া ব্রণর সমস্যায় সাধারণত ত্বকে একটা ইরিটেশন হয়। তাই খুব একটা ঘষা উচিত হয়। এতে ত্বক লাল হয়ে যাবে এবং ব্রণর সমস্যা বেড়ে যাবে। আর অ্যাকনের ক্ষেত্রে ফেস স্ক্রাব খুব বেশি ব্যবহার না করাই ভালো। স্ক্রাবে একটু দানা দানা জিনিস থাকে বলে তা বেশিবার মুখে ঘষলে ত্বকের পোরস বা ছিদ্রগুলো আরও খুলে যায়, যার ফলে স্কিন পোরাস হয়ে যায় এবং অ্যাকনে বা ব্রণর সমস্যা বাড়ে।
মেডিকেটেড জেল ব্যবহার করলেও অ্যাকনে অনেকটাই কমে। তবে তা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। ডাঃ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে অ্যাকনের চারটি স্তর। তার মধ্যে তৃতীয় ও চতুর্থ স্তরের ক্ষেত্রে ওষুধ ছাড়া অ্যাকনে কমানো অসম্ভব। বাকিগুলোতে মেডিকেটেড জেল, লোশন, ফেস ওয়াশ ইত্যাদি ব্যবহার করা যায়। নিম ব্যবহার করা নাকি ত্বকের পক্ষে ততটা ভালো নয়, জানালেন অনুশ্রী। তাঁর মতে, ব্রণর সমস্যায় নিম খুব একটা উপযোগী নয়।
এছাড়া ফেয়ারনেস ক্রিম বা ত্বকে বাড়তি ঔজ্জ্বল্য আনার জন্য কোনও ক্রিম বা লোশন যতটা কম ব্যবহার করা যায় ততই ভালো। এই ধরনের ক্রিম বা লোশনে স্টেরয়েড থাকে বলে ত্বকের ক্ষতি হয়। অ্যাকনে বা ব্রণ থাকলে এমন লোশন ত্বকের বাড়তি ক্ষতি করে। অ্যাকনে সারানোর জন্য কেমিক্যাল পিলিংও উপযোগী। এক্ষেত্রে একটা অ্যাসিড বেসড কেমিক্যাল সলিউশন অ্যাকনের ওপর লাগানো হয়। তাতে অ্যাকনের অংশটা ফেটে গিয়ে ছালের মতো উঠে যায়। আর নীচ থেকে নরম পরিষ্কার ত্বক বেরিয়ে আসে।
হলুদ, বেসন, মধু, অ্যালোভেরা জেল ইত্যাদি ত্বকের পক্ষে খুবই ভালো। তাই বাড়িতেই রোজ মুখ ধোয়ার আগে অল্প সময় মুখে ঘরোয়া কিছু প্যাক লাগিয়ে নিতে পারেন। বিশেষত টিনএজারদের জন্য হোমমেড ফেস প্যাক খুবই উপযোগী। বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রণর সমস্যায় বাজারচলতি যে কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না। বরং ব্র্যান্ডেড কসমেটিক্স আর ঘরোয়া প্যাকের ওপর ভরসা রাখুন।