ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
এই সমস্ত আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে সারা বিশ্বের বহু কোম্পানি বা ব্যক্তি যোগদান করেন। কোথাও হয় আদান-প্রদানের মেলা, কোথাও বা নতুন প্রযুক্তি ও পদ্ধতির প্রয়োগে আগের তুলনায় তা কত বেশি কার্যকরী তা শেয়ার করা হয়। কোথাও বা চুল ও ত্বকের যত্নের নতুন প্রোডাক্টের গুণগত মান, বৈশিষ্ট্য, কতটা আধুনিক ও কার্যকরী— তার ব্যাখ্যা ও ব্যবহারের পদ্ধতি দেখানো হয়। নতুন নতুন মেক-আপ সামগ্রীর ব্যবহার কীভাবে বার্ধক্যের ছাপ, দাগ, গর্ত, কালো ছোপ লুকোনো যায় তার ব্যবহারের পদ্ধতি প্রদর্শন করা হয়। বিশ্বমানের নানান সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের প্রোডাক্ট নিয়ে ফ্যাশন শো হয়। বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের উপস্থাপনা করেন এইসব অনুষ্ঠানে।
২০১৯, ৫, ৬, ৭ ফেব্রুয়ারি চাইনিজ নিউইয়ার ছিল। নতুন নতুন লাইফ স্টাইল প্রোডাক্ট ও বিশ্বমানের বিউটি প্রোডাক্টের ছড়াছড়ি। বিশ্বের সর্বোচ্চমানের যে কটা বিউটি প্রোডাক্টের ব্র্যান্ড আছে ‘এসটি লডার’ (Estee Lauder) তার ভেতর অন্যতম। এটা বিজ্ঞানসম্মতভাবে পরীক্ষিত ও প্রমাণিত। বহু পুরনো ব্র্যান্ড যার সমস্ত স্কিন কেয়ার সামগ্রী টাইম টেস্টেড অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরে এদের তৈরি জিনিস আমরা ব্যবহার করে আসছি। এই কোম্পানির সঙ্গে গৌরী প্রায় ২৫ বছর যুক্ত। দীর্ঘ সময় ধরে এই সমস্ত প্রোডাক্টের ব্যবহার, কার্যকারিতা ও ফলাফলের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় থেকে জানা যাচ্ছে আজ পর্যন্ত কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তবে মনে রাখতে হবে নিজের মতো বুদ্ধি বা বিদ্যে ব্যবহার করলে কুফল হবার সম্ভাবনা প্রবল। সেইজন্য অভিজ্ঞ এস্থেটিশিয়ানের কাছে ব্যবহারের নিয়মনীতি জেনে নিতেই হবে। সবার জন্য সব প্রোডাক্ট নয়। যার যেমন প্রয়োজন তার উপর ভিত্তি করেই চার্ট বানানো হয়। এই চার্ট বানানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে যে জিনিসগুলো সেগুলো হল— বয়স, ত্বকের গুণগত অবস্থা, ফুড হ্যাভিট, লাইফ স্টাইল, আবহাওয়া, শরীরের অভ্যন্তরীণ অবস্থা ইত্যাদি।
এবারে এরা যে নতুন রেঞ্জ এনেছে তার নাম রি-নিউট্রিভ আল্টিমেট ডায়মন্ড (Re Nutrive Ultimate Diamond) এই রেঞ্জে আছে ১. ট্রান্সফরমেটিভ এ্যানার্জি আই ক্রিম (Transformative Energy Eye Cream)
২. ট্রান্সফরমেটিভ এ্যানার্জি ক্রিম (Transformative Energy Cream)
৩. স্কাল্পটিং/রিফিনিশিং ডুয়েল ইনফিউশন (Sculpting/Refinishing Dual Infusion),
৪. রিভাইটালাইজিং মাস্ক নয়ের (Revitalizing, Mask Noir)
৫. ট্রান্সফরমেটিভ ম্যাসাজ মাস্ক (Transformative Massage Mask) এর সঙ্গে আছে ১টা সেরামিকের তৈরি পাথর যার গঠন ও মসৃণতা অনেকটা ডিমের মতো, আর ১টা মোটা অতি নরম ব্রাশ। সিরাম, ক্রিম, আই-ক্রিম, মাস্ক, স্পা-ক্রিম এই হল পুরো রেঞ্জ। সাধারণভাবে ডায়মন্ড শুনলেই মনে হয় হীরে থেকে তৈরি, বাস্তবে যার হীরের সঙ্গে কোনও যোগসূত্র নেই। এই রেঞ্জে আছে ব্ল্যাক ডায়মন্ড ট্রাফেল এক্সট্র্যাক্ট (Black Diamond Traffle extract) যা ব্ল্যাক ডায়মন্ড ট্রাফেল নামক এক জাতীয় ছত্রাক থেকে তৈরি হয়। এটি প্রকৃতির একটি অনন্য ও মহার্ঘ সম্পদ। সাধারণত ছত্রাক (যেমন মাশরুম) ভিজে কাঠের গুঁড়ি কিংবা মাটিতে হয় কিন্তু এটি আলাদাভাবে জীবন্ত গাছের উপর চাষ করতে হয় যা বেশ ঝামেলাদায়ক। ওক্ (Oak) বা হ্যাজেলনাট (Hazel nut) গাছের শিকড়ের উপর এই ট্রাফেল চাষ করতে হয়। শোনা যায় রূপচর্চা সংক্রান্ত যে সমস্ত প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে এই ট্রাফেল নাকি সব থেকে দামি। এটা দেখতে কালো, গন্ধও অসাধারণ। এর গুণাগুণ স্কিনের মহৌষধ।
ফ্রান্সের পেরিগোস্ট (Perigord) রিজিওনে এর চাষ শুরু হলেও পৃথিবীর অনেক জায়গাতেই এখন এর চাষ হয়। বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে এই ব্ল্যাক ডায়মন্ড ট্রাফেল চাষ করা হয়। এতে আনুমানিক ১৩০০০ প্রোটিন, ভিটামিন-সি, অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেল-এর সম্ভার লুকিয়ে আছে। ‘এসটি লডার’ প্রথম গবেষণা করে জানতে পারে এই জিনিসটির স্কিনের ক্ষেত্রে গুণগত অবদান। প্রায় 9-stage ডিস্টিলেশনের মাধ্যমে ১০-১৫ কেজি ট্রাফেল থেকে বার হয় এক কেজি নির্যাস। বিশ্ববাজারে ট্রাফেলের দাম পাউন্ড প্রতি ৮০০-৯০০ ডলার। অতএব সহজেই অনুমেয় এই এক্সট্র্যাক্টের দাম কত। এরপর মাথায় রাখতে হবে যে একটা ব্যাচ প্রোডাক্ট বানাতে প্রায় ১০,০০০ ঘণ্টা সময় লাগে।
এই প্রোডাক্টগুলোর ব্যবহারে— ত্বকের বার্ধক্য নিয়ন্ত্রণ হয়, ইলাসটেন ও কোলাজেনের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে, এবং গভীরে গিয়ে ত্বককে উজ্জীবিত করে ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা, টাইটনেস ফিরে আসে, চলে যায় রিংকলস— ফলে ফিরে আসে ইয়ং লুক, সতেজতায় ভরা।
না, মনে হতে পারে ‘কথার কথা’— একদমই নয়। এই লেখার শেষ পর্যন্ত গেলে বোধহয় সত্যতার আঁচ পাওয়া যাবে।
প্রোডাক্টগুলির ভারতীয় মুদ্রায় আনুমানিক দাম ২২,১০০ টাকা থেকে শুরু।