পুজো পুজো ভাব
বাঙালি না হলেও পুজোর ক’দিন বাঙালিয়ানায় নিজেকে মুড়ে রাখেন আকাঙ্ক্ষা মাংলানি। ২০১৮ সালের মিসেস ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ইস্ট পুরস্কারটি পাওয়ার পরেও আকাঙ্ক্ষা জীবনের ছন্দ খুব একটা বদলায়নি। অন্তত পুজোর ক’দিন তো নয়ই। তাঁর সঙ্গে আড্ডাটা জমে উঠেছিল জে ডব্লু ম্যারিয়ট হোটেলে। বললেন, ‘আমরা গুজরাতি। পুজোর সময় আমাদেরও নবরাত্রি উৎসব চলে। ফলে অষ্টমী আর নবমী বাড়িতেই থাকতে হয়। কিন্তু বাকি দিনগুলো চুটিয়ে ঠাকুর দেখি। ম্যাডক্স স্কোয়্যারে পুজোর মধ্যে একদিন, একবেলা অন্তত বন্ধুদের সঙ্গে কাটাই। ভালোলাগে। অষ্টমীতে অবশ্য উপোস করি। আর নবমীতে রাত থাকতেই রান্নার পাট সেরে রাখতে হয়। ছোটবেলায় মাকে করতে দেখেছি এখন আমিও করি।’
নতুন জামার গন্ধ
পুজোর নানান নস্টালজিয়ার মধ্যে নতুন জামার গন্ধটা অন্যতম। এখনও আকাঙ্ক্ষার কাছে পুজো মানেই নতুন পোশাক। এই তো এবছর সপ্তমী থেকে দশমীতে কবে কোন পোশাক পরবেন সব ভেবে রেখেছেন। সিলভার রঙের শাড়ির সঙ্গে ব্ল্যাক ভেলভেট চোলি পরে সাজবেন সপ্তমীতে। অষ্টমীর পোশাকটা সবচেয়ে গর্জাস। ওইদিন পরবেন লাল বেনারসি ঘাগরা। নবমীতে অলওভার সুতোর কাজ করা কালচে লাল শাড়িটা পরবেন আর দশমীর জন্য তুলে রেখেছেন কাজ করা অফ হোয়াইট ঘাগরার সেট। পুজোয় পরবেন ঠিকই কিন্তু তার আগেই চতুষ্পর্ণীর জন্য পুজোর সাজে সেজে ফেললেন আকাঙ্ক্ষ।
ইচ্ছেটা ছোটবেলার
বিউটি পেজেন্টে নাম লেখানোর ইচ্ছে বা মডেলিং করার শখ আকাঙ্ক্ষার অনেক দিনের। যখন ক্লাস টু-তে পড়তেন তখন থেকেই ফ্যাশন দুনিয়ায় নিজের নাম লেখাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাবা মায়ের বারণে সে পথ মাড়াতে পারেননি। তারপর বিয়ে আর বিয়ের পর সন্তান। ইচ্ছেটা কিন্তু মনের কোণে থেকেই গিয়েছিল। স্ত্রীর সেই ইচ্ছেই চরিতার্থ করেছেন তাঁর স্বামী। একদিন ব্রেকফাস্ট টেবিলে কথা প্রসঙ্গে মডেলিংয়ের ইচ্ছার কথা উঠলে বিউটি পেজেন্টে স্ত্রী-র নাম তুলে দেন তিনি। নাম তোলার পর স্ত্রীকে জানান সে কথা। সেদিনই ইনভিটিশন কলটা আসে। প্রথম র‌্যাম্পে হাঁটেন তিনি গ্রেট ইস্টার্ন হোটেলে। দিল্লির হিলটনে ছিল দ্বিতীয় রাউন্ড। ফাইনালটা অনুষ্ঠিত হয় গ্রিসে। এবং ২০১৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মিসেস ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ইস্ট-এর মুকুটটা ওঠে আকাঙ্ক্ষার মাথায়। 
স্বপ্ন পূরণের অনেক বাকি
একটা বিউটি কনটেস্ট জিতেই থেমে যেতে চান না আকাঙ্ক্ষা। বললেন পথ চলার আরও অনেকটাই বাকি। তিনি এমন কিছু করতে চান যাতে তাঁর মেয়ে ও বাড়ির অন্যান্যরা তাঁকে নিয়ে গর্ব করতে পারে। তিনি বললেন তাঁর সবচেয়ে বড় চিয়ার লিডার তাঁর চার বছরের ছোট্ট মেয়ে। মায়ের সামান্যতম সাফল্যে মেয়ের মুখে হাসি ফোটে। সেই হাসিটাই আরও চওড়া করতে চান আকাঙ্ক্ষা মাংলানি।