Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

শরীররূপ রথে পরমাত্মা রথীরূপে বিরাজমান
চৈতন্যময় নন্দ

জগন্নাথঃ স্বামী নয়নপথগামী ভবতু মে। ভক্তকণ্ঠে শ্রুত এই আকুতি মন্ত্র আজও প্রতিধ্বনিত। আজ রথযাত্রার রাজসমারোহ ও শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের প্রসঙ্গ এলেই সন্ধানীর চোখে সুস্পষ্টভাবেই ধরা পড়ে শ্রীক্ষেত্র পুরীধামের প্রসিদ্ধির তাৎপর্যটি। প্রাচীন ভারতে যে চারটি প্রসিদ্ধ ধামের উল্লেখ আমরা পাই তার মধ্যে অন্যতম পুরীর শ্রীজগন্নাথ ধাম। নীলাচলের লবণ সমুদ্রের তীরে এটি পুরুষোত্তম ক্ষেত্র বলে পরিগণিত। এখানে স্বমহিমায় বিরাজিত দারুব্রহ্ম ভগবান শ্রীশ্রীজগন্নাথদেব। ‘দারুব্রহ্ম জগন্নাথো ভগবান পুরুষোত্তমে।’ জগন্নাথকে বলা হয় পুরুষোত্তম। তিনিই পরব্রহ্ম বিষ্ণু—কৃষ্ণ এবং কৃষ্ণ—বাসুদেব। রত্নবেদিতে আসীন সর্বদেবময় রাজচক্রবর্তী এই প্রাণপুরুষ মহাবিভূতি সম্পন্ন, কৃষ্ণবর্ণ শালগ্রাম শিলার মতো তাঁর মুখমণ্ডল, চক্রনয়নযুক্ত মুখ। ইনি পিতামহ ব্রহ্মার দ্বারা পূজিত, দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা দ্বারা নির্মিত ও রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। জগন্নাথদেব ত্রিমূর্তি —বলরাম, সুভদ্রা ও জগন্নাথ। শ্রীক্ষেত্রের অপার মহিমা। জগন্নাথদেবের এই দারুমূর্তি বিগ্রহ যুগ ধরে মানুষকে আকৃষ্ট করে সর্বোত্তম শ্রদ্ধাভক্তি অর্জন করেছে তাদের স্বকীয় ঐতিহ্যর ধারা অনুসারে। ভারতের মহান বৈদিক আচার্যগণ, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রবর্তকবৃন্দ, অগণিত মহাপুরুষ, যোগী, ব্রহ্মজ্ঞানী ও অগ্রগণ্য সাধক—সাধিকা যুগে যুগে সকলেই তীর্থ থেকে তীর্থান্তরে পরিক্রমা করে কোনও না কোনও সময়ে শ্রীক্ষেত্রে এসে প্রাণের ঠাকুর শ্রীজগন্নাথ স্বামীর শ্রীমন্দিরে প্রকট বিগ্রহ দর্শন করে নিজ নিজ সম্প্রদায়ের পদ্ধতি অনুসারে জগন্নাথজির সান্নিধ্যে আসন প্রতিষ্ঠায় রত থেকে এই মহাতীর্থের মহিমা ও মর্যাদাকে আরও উজ্জ্বলতর ও গৌরবান্বিত করে তুলেছেন। একান্ন দেবী পীঠের অন্যতম পুরীধাম। দেবী এখানে বিমলা রূপে আরাধিতা। “বিমলা পুরুষোত্তমে।’ ভৈরব তাঁর জগন্নাথ। তাই দেবীর অধিষ্ঠান মন্দির চত্বরেই। পুরীতে শ্রীজগন্নাথদেবের দ্বাদশযাত্রার প্রচলন আছে বছরের বিভিন্ন সময়ে, ভিন্ন ভিন্ন উৎসবকে উপলক্ষ করে। জগন্নাথ মন্দিরে যেসব যাত্রা অনুষ্ঠিত হয় এর মধ্যে মাত্র দুটি যাত্রাতে শ্রীজগন্নাথ স্বয়ং গর্ভগৃহের বাইরে এসে নেতৃত্ব দেন। একটি হল স্নানযাত্রা, অপরটি হল রথযাত্রা। অন্য যাত্রাগুলিতে অংশ নেন তাঁর প্রতিনিধিরা। রথযাত্রা উৎসব সর্বপ্রধান উৎসব। রথের প্রাচীনত্ব নিয়ে আজ পর্যন্ত অনেক গবেষণাও হয়েছে। উক্ত রথোৎসব যে কতকাল ধরে চলে আসছে তা নির্ণয় করে ঐতিহাসিকদের পক্ষে এখনও সঠিক সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয়নি। আষাঢ় মাসের পুস্যা নক্ষত্রযুক্তা শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতেই রথযাত্রা অনুষ্ঠানের বিধি। পুরীর রথযাত্রা জগদ্বিখ্যাত। শুধু ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত নয় বহির্ভারতের লক্ষ লক্ষ নরনারী পতিত পাবনের রথযাত্রায় ছুটে এসে রথের দড়ি টেনে নিজেদের কৃতার্থ বোধ করেন। 
স্কন্দ পুরাণে উল্লেখ আছে, মন্দির প্রতিষ্ঠার পর দারুব্রহ্ম প্রভু জগন্নাথদেব মহারাজ শ্রীইন্দ্রদুম্নকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘আষাঢ মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে সুভদ্রার সহিত আমাকে ও শ্রীবলরামকে রথে আরোহণ করাইয়া নবযাত্রা—উৎসব সম্পন্ন করিবে। যে স্থানে আমি আবির্ভূত হইয়াছিলাম এবং যে স্থানে তোমার সহস্র অশ্বমেধ—যজ্ঞের মহাবেদি বর্তমান, সেই শ্রীগুণ্ডিচা মন্দিরে আমাকে লইয়া যাইবে।’
প্রতিবছর মাঘ মাসের বসন্ত পঞ্চমী তিথিতে তিনটি রথ তৈরির জন্য কাঠ সংগ্রহ শুরু হয়। আর রথ নির্মাণের কাজ আরম্ভ হয় সত্যযুগাদ্যা অক্ষয়তৃতীয়া হতে। শ্রীমন্দির থেকে জগবন্ধু জগন্নাথদেবকে এনে যে সুদৃশ্য রথে আরোহণ করানো হয়, সেই রথের নাম ‘নন্দীঘোষ’। রথের চূড়ায় গরুড়দেব অধিষ্ঠান করেন বলে এটি ‘গরুড়ধ্বজ’ নামে কথিত। শ্রীবলরামের রথের শীর্ষদেশে তালচিহ্ন আছে বলে তার নাম ‘তালধ্বজ’। আর সুভদ্রাদেবীর রথকে বলা হয় ‘দেবদলন’ বা ‘পদ্মধ্বজ’। বামনরূপী জগন্নাথের রথ রংবাহারি পীতবর্ণের, সুভদ্রাদেবীর রথ শ্যামাঙ্গ আর বলরামের রথ নীলিমাময়। শ্রীজগন্নাথদেবের রথের রক্ষক শ্রীনৃসিংহদেব। সারথির নাম মাতলি। শ্রীবলদেবের রথের রক্ষক শেষাবতার। সারথি সুদুমন। সুভদ্রাদেবীর রথের রক্ষক বনদুর্গা আর সারথি অর্জুন।
রথে আরোহণ করার জন্য তিনজন দেবতার যাত্রা ‘পহণ্ডি’ বা ‘পাণ্ডুবিজয়’ নামে খ্যাত। বিগ্রহগণের পৃথক পৃথক তিনটি রথের ওপরে ওঠার পর প্রাচীন প্রথা অনুসারে গজপতি মহারাজা সোনার ঝাড়ু দিয়ে রথ পরিষ্কার করেন। এই সেবাকে ‘ছেরাপহরা’ বলে। এরপর বিগ্রহগুলিকে নানা বস্ত্র ও অলঙ্কারে সুসজ্জিত করে বিবিধ উপচারে পুজো ও ভোগ নিবেদনান্তে শুরু হয় উড়িয়ে ধ্বজা অভ্রভেদী রথের পথচলা। আগত লক্ষ কোটি মানুষের রথকে ঘিরে বিপুল উন্মাদনা ও আনন্দধ্বনির মধ্যে সুসজ্জিত রথ তিনটি সন্ধ্যার সময় গুণ্ডিচা মন্দির বা মাসির বাড়ির সামনে পৌঁছে যায়। আটদিন পর আবার রথে চড়ে জগন্নাথদেব মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দেন। তাকে বাহুড়া বা উল্টোরথ বলে। একাদশীর দিন শ্রীজগন্নাথদেব সহ তিন বিগ্রহ রাজবেশে প্রভূত অলঙ্কারে ভূষিত হয়ে ভক্তদের দর্শন দেন। তাছাড়া বারো বছর বা উনিশ বছর পর নিয়মানুযায়ী হয় দারুময় নীলাচল নাথের ‘নবকলেবর’। সমগ্র ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত রথযাত্রা উৎসব পুরীর মহিমান্বিত ধারারই অনুবর্তন।
২) আমরা দেখতে পাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণচৈতন্যদেবের মহাজীবনের ছয় বছর ব্যাপী প্রব্রজ্যা বাদ দিলে শেষ আঠারোটি বছর কেটেছে এই নীলাচলে শ্রীজগন্নাথদেবের সান্নিধ্যে। উল্লেখ্য, মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেব স্বয়ং শ্রীক্ষেত্রের মহিমা বিশেষভাবে উপলব্ধি করে নিত্য জগন্নাথ দর্শন, গুণ্ডিচা মার্জন, ওড়িয়া—গৌড়ীয় ভক্তগণ সহ রথাগ্রে নৃত্য ও কীর্তনাদি এবং অলৌকিক লীলার মাধ্যমে শ্রীজগন্নাথদেবের মাহাত্ম্যকে অনাদিকালের জন্য উজ্জ্বলতম রূপে প্রতিষ্ঠিত করে গিয়েছেন। রথের সামনে শ্রীচৈতন্যের নৃত্যগীত সেই সময় ছিল রথোৎসবের সবচেয়ে বড় আকর্ষক। রথাগ্রে গৌরবাসী ভক্তগণকে মহাকীর্তনের সুবিধার জন্য মহাপ্রভু সাত ভাগে ভাগ করে দিলেন। সাত সম্প্রদায়ের কীর্তনের ঝংকারে আকাশ বাতাস উত্তাল হয়ে উঠল। শ্রীচৈতন্যদেব এই সময় ঐশী শক্তির বিকাশ ঘটালেন। সাতটি সম্প্রদায়ের ভক্তগণ দেখছেন ভাবোন্মত্ত মহাপ্রভু তাদের সঙ্গেই চলেছেন পথে কীর্তন নৃত্যে। ‘আর এক শক্তি প্রভু করিলা প্রকাশ। এককালে সাত যাই করেন বিলাস।’ চৈ. চ.। রথের সম্মুখে কীর্তনানন্দে বিভোর হয়ে শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য করজোড়ে জগন্নাথের দিকে নত হয়ে স্তুতিগান করে আত্মনিবেদন করলেন তাঁর স্বরচিত শ্লোক পাঠ করে। একবছর রথ কখনও দ্রুত, কখনও ধীরে চলে, আবার কখনও স্থির হয়ে থাকে। রথের দড়িতে জোরে টান দেওয়া হল। বলরাম ও সুভদ্রাদেবীর রথও চলে গেল। সকলের শত চেষ্টাতে ও জগন্নাথের রথ অচল অটল হয়ে থাকল। বড় বড় হাতি এনে রথে জুড়ে দেওয়া হল। অবাক কাণ্ড, তবুও রথ টানবার চেষ্টা একেবারে ব্যর্থ হল। চারদিকে হাহাকার ধ্বনি উঠল। সকলেই কাঁদতে লাগলেন। তা শুনে মহাপ্রভু সদলবলে সেখানে ছুটে এলেন। সমস্ত হাতিকে সরিয়ে দিয়ে রথের রজ্জু ভক্তগণের হাতে দিয়ে স্বয়ং রথের পিছনে গিয়ে নিজের মাথা দিয়ে ঠেলতে লাগলেন। এবার রথ ঘর্ঘর শব্দে এগতে লাগল। তখন বিশাল জনতা জয় জগন্নাথ, জয় গৌরচন্দ্র রবে জয় ঘোষণা করে আনন্দে উৎফুল্ল হলেন।
মহাপ্রভুর পর পরমপুরুষ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেব। জগন্নাথের রথের সম্মুখে তিনি সগণে নৃত্য ও কীর্তনে রত। তবে পুরী নয় কলকাতা। ঠাকুরের লীলাসঙ্গী বলরাম বসুর বাড়িতে শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের নিত্য সেবা হতো। রথযাত্রার আগের দিন পরমহংসদেব আসতেন দক্ষিণেশ্বর থেকে বাগবাজারে ভক্ত বলরাম বসুর বাড়িতে। শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃতকার রথযাত্রার বর্ণনা দিয়ে লিখেছেন: ‘অপরাহ্ণ হইয়াছে। ইতিমধ্যে বারান্দায় শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের সেই ছোট রথখানি ধ্বজা পতাকা দিয়া সুসজ্জিত করিয়া আনা হইয়াছে। শ্রীশ্রীজগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরাম চন্দনচর্চিত বসনভূষণ ও পুষ্পমালা দ্বারা সুশোভিত হইয়াছেন। ঠাকুর বেনোয়ারীর কীর্তন ফেলিয়া বারান্দার রথাগ্রে গমন করিলেন, ভক্তেরাও সঙ্গে সঙ্গে চলিলেন। ঠাকুর রথের রজ্জু ধরিয়া একটু টানিলেন—তৎপরে রথাগ্রে ভক্তসঙ্গে নৃত্য ও কীর্তন করিলেন।’ ভক্তবৎসল জগন্নাথের কাছে প্রার্থনা জানিয়ে অবতার শ্রীরামকৃষ্ণ বলতেন, ‘জগন্নাথ! জগবন্ধু! দীনবন্ধু! আমি তো জগৎ ছাড়া নই নাথ, আমায় দয়া কর।’ ঠাকুরের সেই লীলাকে স্মরণ করে আজ ও শত শত ভক্ত বলরাম মন্দিরে এসে রথের রশি স্পর্শ করে ধন্য হন। শ্রীরামকৃষ্ণদেব কিন্তু কখনও পুরীধামে এসে জগন্নাথ দর্শন করেননি। তিনি অনেকবার বলেছেন, ‘আমিই পুরীর জগন্নাথ। পুরীতে আমার যাবার যো নেই। সেখানে গেলে আমার শরীর ত্যাগ হবে।’
‘রথে চ বামনং দৃষ্টা পুনর্জন্ম ন বিদ্যতে।’—রথে বামনরূপী ভগবানকে দর্শন করলে মানুষের আর পুনর্জন্ম হয় না। এখানে বামনের অর্থ বেঁটে নয়। আষাঢ মাসে ভগবান বিষ্ণুর নাম ‘বামন’। আমাদের প্রত্যেক শরীর রূপ রথে পরমাত্মা রথীরূপে বিরাজ করছেন। তাঁকে যাঁরা সাধনার দ্বারা দর্শন করবেন তাঁরাই মায়ার বন্ধন হতে নিষ্কৃতি লাভ করবেন। কঠশ্রুতিতে পাই এর সুন্দর বর্ণনা। ‘আত্মানং রথিনং বিদ্ধি শরীরং রথমেব তু’ ইত্যাদি।  অর্থাৎ শরীরকে রথ, বুদ্ধিকে সারথি ও মনকে রথের লাগাম বলে জানবে। ইন্দ্রিয়গণ শরীর রূপ রথের অশ্ব। আর মন অশ্ব পরিচালক বলগা। এই চিরন্তন সূক্ষ্ম আদর্শকে যাতে সর্বজনের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়া যায় তার জন্য আচার্যগণ এই বৈদিক তত্ত্বকে জগন্নাথের রথযাত্রায় রূপায়িত করে সকলের বোধগম্য করে দিয়েছেন। এই শাস্ত্রবাক্যের বারবার অনুশীলন করে শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবকে আকর্ষণ করাই রথযাত্রার এই বিপুল আয়োজনের উদ্দেশ্য।
 লেখক প্রাবন্ধিক ও গ্রন্থপ্রণেতা। মতামত ব্যক্তিগত
07th  July, 2024
হঠকারিতার মাশুল দিচ্ছে গণআন্দোলন
তন্ময় মল্লিক

অবশেষে কর্মবিরতি তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অনভিপ্রেত ঘটনাকে সামনে রেখে জুনিয়র ডাক্তাররা আংশিক থেকে পূর্ণ কর্মবিরতিতে চলে গিয়েছিলেন। অভয়ার জাস্টিস গোটা বাংলা চায়। কিন্তু এই কর্মবিরতির সঙ্গে অভয়ার জাস্টিসের সম্পর্ক ছিল না। বিশদ

সাফল্যে গ্রামবাংলার কাছে পিছিয়ে এলিট সমাজ?
সমৃদ্ধ দত্ত 

পশ্চিমবঙ্গের বাবু সমাজ ক্রমেই জাতিগত সাফল্যের বিচারে গ্রামীণ সমাজের কাছে পিছিয়ে পড়ছে কেন? বঙ্গীয় বাবু সমাজের একটি বিশেষ দম্ভ রয়েছে যে, তারাই এই রাজ্যের ওপিনিয়ন মেকার। অর্থাৎ কখন কী নিয়ে আলোচনা হবে, বিশদ

04th  October, 2024
ইলিশের গল্প, ইলিশের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

দেশ ভাগ হয়েছে কবেই। সীমান্তে এখন কাঁটাতারের বেড়া। তবু আজও দশমীর সকালে বাংলাদেশের পাবনা থেকে জোড়া ইলিশ নিয়ে সান্যাল বাড়িতে হাজির হন মহম্মদ আব্দুল।
বিশদ

03rd  October, 2024
বাজল তোমার আলোর বেণু, মাতল রে ভুবন
সন্দীপন বিশ্বাস

আকাশজুড়ে যখন ফুটে ওঠে উৎসবের অলৌকিক আলো, ব্রাহ্মমুহূর্তের সেই নৈঃশব্দের মধ্যেই সূচনা হয়ে যায় দেবীপক্ষের। আর তখনই আগমনির সুরে বেতারে বেজে ওঠে আমাদের হৃদয় উৎসারিত শাশ্বত মন্ত্র। বিশদ

02nd  October, 2024
করুণা নয়, অধিকার
শান্তনু দত্তগুপ্ত

খুব দুঃখ হয়েছে মিনতির। ছোট্ট বছর সাতেকের মেয়ে। পুজো এলেই ওর মনে কেমন যেন রেলগাড়ি ছুটতে শুরু করে। পঞ্চমী এলেই ঢাকটাকে কাঁধে ফেলে বেরিয়ে পড়ে বাবা। মুখে একরাশ ভরসার হাসি। ফিরব যখন, নতুন জামা নিয়ে আসব। বিশদ

01st  October, 2024
মুছে যাওয়া ট্রামলাইন
সোমনাথ বসু

‘ও   বাবা, বাড়ি থেকে আসার সময় জাহাজ দেখাবে বললে যে। কিন্তু এটা কী? ছোট ট্রেন?’ বিশদ

01st  October, 2024
অগ্রাধিকারের তালিকা থেকে পড়শিরা বাদ
পি চিদম্বরম

আমাদের প্রতিবেশী অঞ্চলে, ভারতের সঙ্গে চীনের সীমান্ত দৈর্ঘ্য ৩,৪৮৮ কিমি। তবু কেউ চীনকে আমাদের প্রতিবেশী বলে মনে করে না।
বিশদ

30th  September, 2024
পুজো বিরোধী ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করুন
হিমাংশু সিংহ

ছোটবেলা থেকে জেনে এসেছি, যাই ঘটে যাক মাধ্যমিক পরীক্ষা, দুর্গাপুজোয় মিটিং মিছিল অবরোধ অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ। এই সময়টা সাধারণ মানুষের সঙ্গে রাজনীতিকদেরও দু’দণ্ড অবকাশের সময়। আন্দোলনের নামে রাজনৈতিক কূটকচালিরও ছুটি। বিশদ

29th  September, 2024
আর জি কর: বিজেপির প্রাপ্তি শূন্য
তন্ময় মল্লিক

‘এতদিন ধরে কেন মানুষকে নাকাল করা হল? মানুষকে খেপিয়ে কী লাভ হল? তাঁরা সমস্যায় পড়লেন। এর জবাব জুনিয়র ডাক্তারদের দিতেই হবে।’ এই বক্তব্যটা রাজ্যের শাসক দলের কোনও নেতার নয়, প্রবীণ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের। বিশদ

28th  September, 2024
কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির কাঠামো বদল দরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

 

অপরাধীদের কাছে একসময় আতঙ্কের নাম ছিল সিবিআই। শুনলেই ভয় ভয় লাগত তাদের। আর এখন সারাক্ষণ সিবিআই ভয়ে ভয়ে থাকে কোনও রাজ্যে অপরাধ ঘটেছে শুনলেই। ভয়ে ভয়ে থাকার কারণ হল, এখনই সিবিআই তদন্তের দাবি উঠবে। বিশদ

27th  September, 2024
সেভেন সিস্টার্স নয়, চট্টগ্রাম নিয়ে ভাবুন!
মৃণালকান্তি দাস

ক্ষমতা গ্রহণের আগেই নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের বক্তব্যকে বিকৃত করেছিল বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম। যাদের মূল এজেন্ডাই এখন ভারতের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো! বিশদ

26th  September, 2024
মোদিতন্ত্রের শিকার স্কুলশিক্ষা
হারাধন চৌধুরী

মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা। পড়াশোনা এবং কর্মসূত্রে ২০০৫ সাল থেকে পাঁশকুড়ায় আছেন। একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের‌ ইংরেজির শিক্ষক। আরও দুই যুবকের সঙ্গে হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে একটি সেলফি তুলে পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। তাঁদের পরনে ট্রাউজারের বদলে গামছা ও জামা, হাতে জুতো এবং পিঠে একটি করে ব্যাগ। বিশদ

25th  September, 2024
একনজরে
আরও বিপাকে পড়লেন রাজ্য পুলিসের প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত। আর জি কর কাণ্ডে তাঁর করা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার কোনও সাড়া দেয়নি সিঙ্গল বেঞ্চ। তাই শুক্রবার তিনি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। এদিন দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করে ডিভিশন বেঞ্চও ...

‘দুর্গা তুমি থেমো না’— এভাবেই আজকের দুর্গার গান গাইলেন লোপামুদ্রা মিত্র, রূপম ইসলাম, উপল সেনগুপ্ত, তিমির বিশ্বাস, সোমলতা আচার্য চৌধুরী, উজ্জয়িনী মুখোপাধ্যায়ের মতো শিল্পীরা। বোরোলীনের ...

দিল্লি পুরনিগমের স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনার ভূমিকার কড়া সমালোচনা করল সুপ্রিম কোর্ট। স্ট্যান্ডিং কমিটির একটি আসনে নির্বাচন নিয়ে সাক্সেনা ...

দু’টি পৃথক রুটের অটো ইউনিয়নের গণ্ডগোলে বন্ধ অটো ও বাস চলাচল। যার জেরে বিপাকে পড়লেন সাধারণ যাত্রীরা। শুক্রবার সকাল থেকে দিনভর বন্ধ থাকে বনগাঁ-দত্তফুলিয়া ও বনগাঁ-বয়রা রুটের বাস পরিষেবা। বন্ধ থাকে বনগাঁ-হেলেঞ্চা অটো পরিষেবা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব শিক্ষক দিবস
১৭৮৯ - ফরাসি বিপ্লবের সূচনা
১৮৬৪ - ঘূণিঝড়ে কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে ১৭ হাজার লোকের মৃত্যু
১৮৯৫ - অনুশীলন সমিতির সদস্য ও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী হেমন্তকুমার বসুর জন্ম
১৯৪৭ - কলকাতা ফিল্ম সোসাইটি স্থাপিত
১৯৮৯ - কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ফতিমা বিবি ভারত সুপিমকোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি মনোনীত হন
১৮০৫ -  ব্রিটিশ ভারতের গভর্নর লর্ড কর্নওয়ালিসের মৃত্যু
২০১১ - অ্যাপল ইনকর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জোবসের মৃত্যু
২০২০- সঙ্গীত শিল্পী ও অভিনেতা শক্তি ঠাকুরের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৩ টাকা ৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৫০ টাকা ১১২.০৬ টাকা
ইউরো ৯১.০৪ টাকা ৯৪.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ আশ্বিন, ১৪৩১, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪। তৃতীয়া অহোরাত্র। স্বাতী নক্ষত্র ৪০/৩ রাত্রি ৯/৩৩। সূর্যোদয় ৫/৩৩/১, সূর্যাস্ত ৫/১৭/১১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২০ মধ্যে পুনঃ ৭/৭ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ২/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৯ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/১৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/১ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/২১ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে উদয়াবধি। 
১৮ আশ্বিন, ১৪৩১, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪। তৃতীয়া শেষরাত্রি ৪/৫৪। স্বাতী নক্ষত্র ৮/১৬। সূর্যোদয় ৫/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/১৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৪ মধ্যে ও ৭/৯ গতে ৯/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৪৮ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৯ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৩৭ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/১৭ গতে ৩/৭ মধ্যে। কালবেলা ৭/১ মধ্যে ও ১২/৫৪ গতে ২/২৩ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৫১ মধ্যে ও ৪/১ গতে ৫/৩৩ মধ্যে। 
১ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মেঘালয়ের গারো পাহাড়ে ধস, দোসর হড়পা বান, মৃত কমপক্ষে ১০

05:59:06 PM

আইএসএল: জামশেদপুর ১-ইস্ট বেঙ্গল ০ (হাফ টাইম)

05:52:00 PM

আর জি কর: থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত ৫৯ জন চিকিৎসকদের মধ্যে ৩৭ জনকে হস্টেল থেকে বহিষ্কার করতে চলেছে কলেজ কাউন্সিল

05:51:33 PM

শ্রীভূমির পুজো প্যান্ডেলে প্যারিস ওলিম্পিকসে পদক জয়ী মানু ভাকের

05:48:00 PM

তৃতীয়ায় বৃষ্টি উপেক্ষা করেই মানুষের ঢল নামল শ্রীভূমিতে

05:36:00 PM

বেঙ্গালুরুর গুহা থেকে উদ্ধার ১৮৮ বছরের বৃদ্ধ!
বেঙ্গালুরুর একটি গুহা থেকে উদ্ধার করা হল ১৮৮ বছর বয়সি ...বিশদ

05:31:00 PM