Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সাফল্যে গ্রামবাংলার কাছে পিছিয়ে এলিট সমাজ?
সমৃদ্ধ দত্ত 

পশ্চিমবঙ্গের বাবু সমাজ ক্রমেই জাতিগত সাফল্যের বিচারে গ্রামীণ সমাজের কাছে পিছিয়ে পড়ছে কেন? বঙ্গীয় বাবু সমাজের একটি বিশেষ দম্ভ রয়েছে যে, তারাই এই রাজ্যের ওপিনিয়ন মেকার। অর্থাৎ কখন কী নিয়ে আলোচনা হবে, কী বিষয়ে আন্দোলন হবে, কী নিয়ে ফেসবুক উত্তাল করতে হবে অথবা কোন বই, কোন সিনেমা, কোন গান, কোন উৎসবকে ভালো বলা হবে কিংবা খারাপ তকমা দেওয়া হবে, সেটা স্থির করা এবং নিদান দেওয়ার দায়িত্ব তাদের উপরই রয়েছে। যেহেতু তারা শিক্ষিত, উচ্চমধ্যবিত্ত এবং পেশাগতভাবে নিরাপদ, তাই তাদের মনোভাব হল, আমরাই বাঙালি জাতির দিশানির্দেশক। 
অথচ দেখা যাচ্ছে, বাংলার সাফল্যের বিচারে এই বাবু সমাজের তুলনায় বছরের পর বছর ধরে অনেক এগিয়ে চলেছে গ্রামীণ বাংলা, অনগ্রসর বাংলা অথবা শিক্ষা অথবা অন্য পরিকাঠামোর সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত নিম্নবর্গের বাংলা। পক্ষান্তরে, বাবু সমাজ কোনও বড়সড় অ্যাচিভমেন্ট দেখাতে পারছে না ভারতের মানচিত্রে।
বিগত বছরের পর বছর ধরে ভারতের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন রাজ্য কোনটা? বাংলা। দেড় কোটি মেট্রিক টন ধান বাংলা শেষ আর্থিক বছরে উৎপাদন করেছে। আমন, আউশ, বোরো চাষে আবার ভারত সরকারের পরিসংখ্যানে দেশের সর্বোচ্চ ধান উৎপাদনকারী রাজ্য হিসেবে স্থান করেছে বাংলা। সৌজন্যে বাংলার কৃষকরা। 
ভারতের সবথেকে বেশি আলু উৎপাদিত হয় কোন রাজ্যে? উত্তরপ্রদেশ এবং বাংলা। বাংলা কখনও প্রথম স্থানে, কখনও দ্বিতীয় স্থনে চলে আসে। বাঁকুড়া, বর্ধমান, হুগলি, মাত্র তিনটি জেলা বাংলাকে বছরের পর বছর ধরে এই মুকুট পরিয়ে দিচ্ছে। শেষ বছরে বাংলা ১ কোটি ২৬ লক্ষ টন আলু উৎপাদন করেছে। দেশে দ্বিতীয়। তার আগেই ছিল প্রথম স্থানে। 
বাংলা এবং উত্তরপ্রদেশের মধ্যে আর কী নিয়ে সর্বদাই চলে প্রতিযোগিতা প্রথম স্থান অধিকার করার ক্ষেত্রে? যা ভারতের অর্থনীতির ক্ষেত্রে বড়সড় একটি ভূমিকা গ্রহণ করে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। এমএসএমই। কখনও উত্তরপ্রদেশ বেশি টার্নওভার দেয় ভারতকে এই সেক্টরে, আবার পরের বছরেই বাংলা বেশি অর্থ দেয়। একেবারে ছোট ছোট ইউনিটে কয়েকজন কাজ করছে সকলের আড়ালে, এরকমই ক্ষুদ্রশিল্পগুলি রপ্তানিতে ভারতকে সাহায্য করছে বছরের পর বছর। কারা তারা? জরি শিল্প, গয়না শিল্প, হস্তশিল্প, টেক্সটাইল ইত্যাদি। 
ভারতের সবথেকে বেশি সব্জি উৎপাদন করে কারা? বাংলার কৃষকরা। কখনও প্রথম স্থান ভারতের মধ্যে। কখনও দ্বিতীয় স্থান। এবার দ্বিতীয় হয়েছে। ভারতের মোট সব্জি উৎপাদনের ১৫ শতাংশ দেয় বাংলার কৃষকরা। বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ভেন্ডি। এই চারটি সব্জি সবথেকে বেশি প্রদান করে ভারতকে এই বাংলাই। 
ভারতের বস্ত্রশিল্পে প্রথম পাঁচটি রাজ্যের সর্বোচ্চ মানের বস্ত্র উৎপাদনে তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি কে স্থান করে নিয়েছে? বাংলা। তসর সিল্ক, মুর্শিদাবাদ সিল্ক, বালুচরী এবং তাঁত। এই চারটি হল বাংলার চারটি ব্রহ্মাস্ত্র, ভারতের বাকি রাজ্যকে পরাস্ত করার জন্য। বছরের পর বছর ধরে।
দেশের ২০টি জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে সর্বোৎকৃষ্ট একটি করে প্রোডাক্ট এক্সপোর্ট করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মান বজায় রাখায়। কলকাতা সেই তালিকায় অন্যতম। কেন? গহনা শিল্পের জন্য। উজ্জ্বল, আলোকপ্রাপ্ত, শিক্ষিত, সচেতন, শহুরে কলকাতার অলিগলির আড়ালে প্রায়ান্ধকার ঘরে কারা এইসব গয়না নির্মাণ করে ভারতের রপ্তানি বাণিজ্যে সহায়তা করে চলেছেন? ওই গরিব নিম্নবিত্ত ঘরের শ্রেণি। 
ভারতের পরিসংখ্যান দপ্তরের হিসেবে কৃষিকাজ, ক্ষুদ্র শিল্প, মাছ ধরা এবং একক পরিশ্রমে নারীদের আয় করার যে আনুপাতিক হার, সেখানে বাংলার গ্রাম শহরের নিম্নবিত্ত নারীদের স্থান প্রথম সারিতে। অর্থাৎ অসংগঠিত ক্ষেত্রে যাঁরা যুক্ত হয়ে প্রবল পরিশ্রমে সংসারে সামান্য সুরাহা করছেন। 
এই যে ভারতের মানচিত্রে বাংলাকে প্রথম অথবা দ্বিতীয় স্থানে তুলে নিয়ে আসছে গ্রামীণ অথবা অনগ্রসর বাংলা, তার ঠিক বিপরীত বঙ্গীয় শিক্ষিত বাবু সমাজ। বাংলার সাফল্যে তাদের অবদান কী? ঠিক কোন সেক্টরে তাদের অবদানে বাংলা বছরের পর বছর ধরে প্রথম সারিতে থাকতে সক্ষম হচ্ছে? উল্লেখযোগ্য নয়।  
দিল্লির মুখার্জিনগর, রাজিন্দর প্লেস, করোলবাগ ইত্যাদি এলাকার রাস্তায় হাঁটা সম্ভব নয়। কারণ, সর্বত্র ইউপিএসসি পরীক্ষার্থীদের ভিড়। বইখাতা টেস্টপেপার ফোটোকপির দোকানে ঘিঞ্জি। এবং অসংখ্য টিউটোরিয়াল। ভারতের প্রতিটি প্রান্ত থেকে আইপিএস, আইএএস, আইএফএস হওয়ার জন্য ছাত্রছাত্রীরা আসছে। প্রবল কষ্টে একটি ঘরে ঠাসাঠাসি করে, জল বিদ্যুতের সমস্যার মোকাবিলা করেও তারা দাঁতে দাঁত চেপে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় বসছে। আইএএস হওয়ার এই মরণপণ পরীক্ষায় বাঙালি শিক্ষিত তরুণ শেষ কবে টপার হয়েছে? প্রথম ১০ জন টপারের মধ্যে বাঙালির স্থান কোথায়? ২০২৩ সালের রেজাল্টও যদি দেখা যায়, নেই। বাংলায় জেলায় জেলায় পুলিস সুপার, জেলাশাসকদের মধ্যে এত কম কেন বাঙালি? কারণ, আইপিএস, আইএএস হওয়ার সংখ্যাই কমে যাচ্ছে। বঙ্গীয় বাবু চাইছেন না কেন যে, রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে বাঙালি ছেলেমেয়েরা আরও বেশি করে আসুক। আইএএস হলেই একমাত্র সরাসরি ভারত সরকারের নানাবিধ সরকারি প্রকল্পে প্রত্যক্ষ প্রস্তাব, মতামত, পরামর্শ দেওয়া এবং সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করার অধিকার অর্জিত হয়। বাঙালি আইএএসের সংখ্যা কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রকগুলিতে এখন হাতে গোনা। 
রেলভবনে ভারতীয় রেলবোর্ডের সর্বোচ্চ স্তরের আধিকারিকদের মধ্যে বাঙালি অফিসার কতজন? ভারতের বিদেশসচিব শেষ কবে বাঙালি হয়েছেন? স্বরাষ্ট্রসচিব? দেশের ক্যাবিনেট সেক্রেটারি? বঙ্গীয় বাবু সমাজের কতজন ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমির পরীক্ষায় বসার জন্য ছেলেমেয়েদের উদ্বুদ্ধ করেন? আর্মি, এয়ারফোর্স, নেভির সর্বোচ্চ স্তরের অফিসার হওয়ার তালিকায় বাঙালির সংখ্যা কম কেন? একজন চিফ অফ এয়ার স্টাফ অরূপ রাহা কিংবা জেনারেল শংকর রায়চৌধুরী থাকা সত্ত্বেও শিক্ষিত বাঙালি উদ্বুদ্ধ হল না কেন ঘরের ছেলেময়েদের এই স্তরে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে? 
এক সময় কিছু ডাক্তারের সম্পর্কে মিথ চালু হয়েছিল। সেই প্রবণতা ও প্রথা বহুকাল ধরে বজায় থাকত। অর্থাৎ ওই চিকিৎসক ধন্বন্তরী। তিনি দূর থেকে দেখেই বলে দেবেন কী রোগ হয়েছে। সেই মিথ সত্য হোক অথবা অতিরঞ্জিত হোক, তাঁরা কিন্তু ওই আস্থা অর্জন করেছিলেন। আজ মিথে পরিণত হয়েছেন এরকম পরবর্তী প্রজন্মের চিকিৎসক কোথায়? নেই কেন? কেন নেই গোটা ভারতের শিক্ষামহলের কাছে শ্রদ্ধেয় কোনও অধ্যাপক কিংবা শিক্ষক? মিডিওক্রিটি অথবা অ্যাভারেজ স্তরকে ছাপিয়ে শিক্ষা সংস্কৃতি পরিষেবায় শ্রেষ্ঠত্বের তালিকায় নিজেদের আর বসাতে পারছে না কেন বাবু সমাজ? গ্রাম তো পারছে! কৃষিতে পারছে। ক্ষুদ্র শিল্পে  পারছে। তাদেরও তো ভারতের অন্য রাজ্যের সঙ্গে লড়াই করেই এই তকমা ছিনিয়ে আনতে হচ্ছে? তারা পারছে, অথচ বঙ্গীয় শহুরে শিক্ষিত শ্রেণি ভারতজয়ী হতে পারছে না কেন? 
লিয়েন্ডার পেজ ১৯৯৬ সালে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন। বাঙালি নন। কিন্তু কলকাতার। অতএব আমাদেরই লোক। দীপা কর্মকার ০.১৫ পয়েন্টের জন্য রিও ওলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ পেলেন না। তারপর থেকে বাঙালি কোথায় ওলিম্পিক্সের পদকতালিকার কাছে যাওয়ার? দাবা ওলিম্পিয়াডে আমাদের ছেলেমেয়ে যাবে একদিন, এই শপথ বঙ্গীয় বাবু সমাজের কতজন নিচ্ছেন?  
ভারতের গ্রামীণ সমাজ বাংলার উৎকর্ষ কিংবা শ্রেষ্ঠত্ব অথবা সফলতাকে এনে দিচ্ছে সরাসরি কঠোর পরিশ্রম করে পারফরম্যান্স দেখিয়ে। চাষ করে, কাজ করে, ঘাম ঝরিয়ে, হস্তশিল্পে নৈপুণ্য দেখিয়ে। ধানে ফার্স্ট। আলুতে ফার্স্ট। সব্জিতে ফার্স্ট। ক্ষুদ্রশিল্পে ফার্স্ট। এটা নিছক কোনও তৃণমূল কিংবা রাজ্য সরকারের কৃতিত্ব নয়। গ্রামবাংলার কৃতিত্ব! পক্ষান্তরে, এলিট সমাজ ডাক্তার হচ্ছে, ইঞ্জিনিয়ার হচ্ছে, সফটঅয়্যারে যাচ্ছে, অধ্যাপক হচ্ছে, সরকারি চাকরি করছে, কিন্তু তাদের নিজস্ব সেক্টরে বাংলাকে জাতিগতভাবে ভারতের মানচিত্রে শ্রেষ্ঠ তালিকায় নিয়ে যেতে পারছে না। কেন? অন্যতম কারণ হল, এই বাবু সমাজ ক্রমেই অন্যকে দোষারোপ দেওয়ার একটি অন্ধসুড়ঙ্গে ঢুকে পড়েছে। মিডিয়া খারাপ। সরকার খারাপ। রাজনীতি খারাপ। প্রতিপক্ষ দল খারাপ। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার খারাপ। কন্যাশ্রী খারাপ। সবাই খারাপ। সবাই ভুল। একমাত্র বাবু সমাজ ঠিক! তারাই ভালো! 
তাদের এটা ভাবার সময় এসেছে যে, আমরা নিজেরা এককভাবে কেমন? কী অবদান রয়েছে আমাদের রাষ্ট্রনির্মাণে? আমরা ঠিক কী কী করেছি জনমনে চিরকাল স্মরণযোগ্য হয়ে থেকে যাওয়ার জন্য? সমাজের ঠিক কোন কাজটি করেছি যা দীর্ঘমেয়াদে বাঙালিকে গর্বিত কিংবা উপকৃত করবে? এমনকী রাজনীতিতেও তারা সফলতম নেতানেত্রী হতে পারছে না। সর্বভারতীয় কোনও দলে নতুন প্রজন্মের জাতীয় স্তরের বাঙালি নেতানেত্রী  নেই আর। রাজ্যেও লক্ষ লক্ষ মানুষকে একা জড়ো করতে পারবেন এক ডাকে, এরকম নতুন যুগের নেতানেত্রী বাবু সমাজ তৈরি করতে পারছে না। কেন? 
কৃষিতে, ক্ষুদ্রশিল্পে, হস্তশিল্পে, মাইক্রো ইকনমিতে গ্রামীণ এবং নিম্নবর্গের গরিব শ্রেণি বাংলার জন্য কিছু অন্তত করছে প্রতি বছর ভারতের মধ্যে সেরার তালিকা ছিনিয়ে এনে। যারা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করায়, বাবুদের আন্দোলনে চিকিৎসা না পেয়ে ঘুরে বেড়ায় শহরের হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে, যাদের পুজোর মুখে বন্যায় ঘরবাড়ি ভেসে যায়, বাঁধের উপর অথবা স্কুলবিল্ডিংএ উঠে আসে তারা ক্যাম্পে। আবার ঘুরে দাঁড়ায় তারাই। আবার ঘর তৈরি করে। আবার কলেজ স্কোয়ারে চন্দননগরের আলোর খেলা আর থিমের পুজোগুলি দেখতে আসে ইছামতী প্যাসেঞ্জার অথবা লক্ষ্মীকান্তপুর লোকালে চেপে। দড়ি দিয়ে তাদের ভিড় আটকে রাখে বাবুদের পুজোকমিটি। গোরুছাগলের মতো। তারা হাসি মুখে মেনে নেয়। তারপর শেষরাতে কাইজার স্ট্রিটের মুখের স্টল থেকে পাউরুটি আলুর দম খেয়ে ভোরের স্পেশাল ট্রেন ধরে ঘুমন্ত ছেলেকে কোলে নিয়ে ফেরে ঘরে। নিমের দাঁতন নিয়ে ঠান্ডা বাতাস মেখে দাঁড়ায় অষ্টমীর সকালে ফসলের খেতের সামনে। রবিচাষের চিন্তা করে দীর্ঘশ্বাস ফেলবে ফসফেট সারের দাম বেড়ে যাওয়ার কথা ভেবে। তারপর আসে সন্ধিপুজো, তীব্র জীবনীশক্তির লড়াইয়ে আবার গ্রামবাংলাকে জিতিয়ে দেওয়ার বরাভয় নিয়ে! 
04th  October, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন ও মমতার চ্যালেঞ্জ
হিমাংশু সিংহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছাব্বিশে, না তারও আড়াই বছর বাদে উনত্রিশের সম্মিলিত নির্বাচনে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁকে প্রধান মুখ করে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পাটনা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে দিল্লির প্রধান বিরোধী দলগুলির মধ্যে। বিশদ

15th  December, 2024
মৌলবাদ: চক্রান্ত রুখছেন রাজ্যের মুসলিমরাই
তন্ময় মল্লিক

‘কোটা’র বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে ঘটেছিল তথাকথিত ‘গণঅভ্যুত্থান’। কোটাপ্রথার বিলোপই যদি লক্ষ্য হতো, তাহলে ৫আগস্ট  আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটত। শেখ হাসিনা দেশত্যাগী হয়েছেন। কিন্তু দেশে শান্তি ফেরেনি। বিশদ

14th  December, 2024
বিজেপি-সখ্যে আঞ্চলিক দলের ক্ষতি হচ্ছে
সমৃদ্ধ দত্ত

বিগত ১০ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে যে আঞ্চলিক দলই সখ্য স্থাপন করেছে, তাদেরই চরম রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। হয় তারা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে অথবা সরকার থেকে পদচ্যুত হয়েছে। কিংবা নিজেদের রাজ্যে গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে। বিশদ

13th  December, 2024
দেশে এবার ‘কৃষ্ণ বিপ্লব’ আসন্ন!
মৃণালকান্তি দাস

দেশের এক আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) অধিকর্তা দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি মন্ত্রবলে ‘ভূত ছাড়াতে’ পারেন। বেশ কয়েক বছর আগে একটি পরিবারকে তিনি ‘অশুভ আত্মার কবল থেকে মুক্ত’ করেছিলেন বলে দাবি করেন প্রযুক্তিবিদ্যার ওই বিশেষজ্ঞ। বিশদ

12th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

11th  December, 2024
হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
একনজরে
শুক্রবার ভোরে কালীগঞ্জের বড়চাঁদঘর পঞ্চায়েতের তেজনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি মোবাইল দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। দোকানের শাটার ভেঙে দুষ্কৃতীরা লক্ষাধিক টাকার মোবাইল চুরি করে ...

শুক্রবার সকালে স্কুটারের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম মুজাফফর বিশ্বাস (৪২)। ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গার কামদেবকাটিতে। পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুটার চালককে উদ্ধার করে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলেও শেষরক্ষা হয়নি। ...

ফের বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হল মণিপুরে। এবারও সেই ইম্ফল পূর্ব ও কাংপোকপি জেলা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ইম্ফল পূর্ব জেলার নুংব্রাম এবং লাইরোক ভইেপেই গ্রামে তল্লাশি চালায় পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ দল। ...

সম্প্রতি শহরে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের এই সাফল্যকে সামনে এনে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র দাবি করলেন, বাংলায় পড়াশোনোর বহর বাড়ছে। সেই কারণেই মেধার বিস্তৃতি সম্ভব হচ্ছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০১: শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক প্রসন্নকুমার ঠাকুরের জন্ম
১৯১১: প্রতিষ্ঠিত হল সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
১৯৫৯: ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের জন্ম
১৯৬৩: অভিনেতা গোবিন্দার জন্ম
১৯৯৮: নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে ‘দেশিকোত্তম’ দিল বিশ্বভারতী
২০১২: পরিচালক যীশু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.১৩ টাকা ৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৭ টাকা ১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ১৫/১৫, দিবা ১২/২২। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৫৯/৫৫ শেষ রাত্রি ৬/১৪। সূর্যোদয় ৬/১৬/১৭, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/১১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪২ গতে ৯/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/১৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
৫ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী দিবা ১/৫৮। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৯, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৮ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৪ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৩ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২০ মধ্যে।
১৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইএসএল: মুম্বই সিটি ১-চেন্নাই ০ (৩৭ মিনিট)

05:41:00 PM

উজ্জয়নীতে জনসভা মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের

05:39:00 PM

জয়পুরে রিভিউ মিটিংয়ে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা

05:36:00 PM

দিল্লিতে জরুরি বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা

05:29:00 PM

আইএসএল: মুম্বই সিটি ১-চেন্নাই ০ (১০ মিনিট)

05:13:00 PM

গুজরাতের রণ উৎসব সবাইকে যোগদানের আহ্বান মোদির

05:11:00 PM