Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

হঠকারিতার মাশুল দিচ্ছে গণআন্দোলন
তন্ময় মল্লিক

অবশেষে কর্মবিরতি তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অনভিপ্রেত ঘটনাকে সামনে রেখে জুনিয়র ডাক্তাররা আংশিক থেকে পূর্ণ কর্মবিরতিতে চলে গিয়েছিলেন। অভয়ার জাস্টিস গোটা বাংলা চায়। কিন্তু এই কর্মবিরতির সঙ্গে অভয়ার জাস্টিসের সম্পর্ক ছিল না। তাও তাঁরা রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি ও পুজোর মুখে কাজ বন্ধ করে দিলেন। দাবি পূরণ না হওয়া সত্ত্বেও কর্মবিরতি তুলে নেওয়ায় স্বস্তি ফিরল। তবে, তা দীর্ঘস্থায়ী নাও হতে পারে। কারণ বিবিধের মাঝে ঐক্যের সুর আর শোনা যাচ্ছে না। বরং নানা মুনির নানা মত। তাই যে কোনও সময় ফের একটা কিছু ঘোষণা হতেই পারে। তবে একটা কথা না বললেই নয়, জুনিয়র চিকিৎসকদের হঠকারী সিদ্ধান্তের খেসারত দিচ্ছে বাংলার গণআন্দোলন।
আর জি করে বাংলার চিকিৎসক কন্যার মৃত্যুতে সুপ্রিম কোর্টে এখনও পর্যন্ত তিনটি শুনানি হয়েছে। ২২ আগস্ট, ৯ সেপ্টেম্বর এবং ১৭ সেপ্টেম্বর। প্রতিটি শুনানিতেই উঠেছে চিকিৎসকদের কর্মবিরতির বিষয়টি। প্রতিবার প্রধান বিচারপতি জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু চিকিৎসকরা সেই নির্দেশ মানেননি। জানিয়ে দিয়েছিলেন, পাঁচদফা দাবি মানলেই তাঁরা কাজে ফিরবেন। সরকার তিন দফা দাবি মানায় ৪২দিন পর তাঁরা কাজে যোগ দিয়েছিলেন। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছিল চিকিৎসা পরিষেবা। শুধু রাজ্যের সাধারণ মানুষই নয়, সিনিয়র চিকিৎসকরাও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন। কারণ জুনিয়রদের কর্মবিরতিতে 
তাঁদের চিকিৎসা শাস্ত্রের ‘জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ’ সবই করতে হচ্ছিল। অমানুষিক পরিশ্রম হচ্ছিল। কিন্তু ১০দিন যেতে না যেতেই ফের পূর্ণ কর্মবিরতির ডাক।
সাগর দত্ত মেডিক্যালে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। মৃতার আত্মীয়রা চিকিৎসক ও নার্সদের উপর চড়াও হয়। মারধর করে। কারও সন্তান বা নিকট আত্মীয় মারা গেলে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। বহু ক্ষেত্রেই হিতাহিত জ্ঞান লোপ পায়। কিন্তু তারজন্য চিকিৎসকের গায়ে হাত তোলা কিছুতেই মানা যায় না। রোগীর পরিবারের বিচার চাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু গায়ে হাত দেবে? এটা কোনও সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ সমর্থন করতে পারে না। একইভাবে লাঞ্ছিত হলে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে চিকিৎসকরা আন্দোলন করতেই পারেন। কিন্তু রোগী দেখা বন্ধ করাটা মেনে নেওয়া যায় না।
‘প্রফেশনাল হ্যাজার্ডস’ বলে একটা কথা আছে। সমস্ত পেশার মানুষকেই তার সম্মুখীন হতে হয়। সেনাবাহিনীতে যোগ দিলে সিয়াচেনে ডিউটি করতে হতে পারে। প্রতিপক্ষের হামলায় জওয়ানের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু তারজন্য কোনও জওয়ান সিয়াচেনে যাবেন না, এটা বলতে পারেন না। আবার পুলিসের কাজে যোগ দেওয়া ব্যক্তিটি জানেন, তিনি যে কোনও সময় হেনস্তার শিকার হতে পারেন। শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হতে পারেন। এমনকী, দুষ্কৃতী হামলায় মারা যেতেও পারেন। সাংবাদিকতার পেশাতেও আছে ঝুঁকি। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে মার খাওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। কিন্তু তারজন্য কোনও সাংবাদিক কি বলতে পারেন, নিরাপত্তা না দিলে তিনি খবর করতে যাবেন না। কেস জেতাতে না পারলে আইনজীবীও মক্কেলের রোষের শিকার হন। এমনকী, ম্যাচ জেতাতে না পারলে ফুটবলার ও ক্রিকেটারদের বাড়িতে হামলার ঘটনাও ঘটে।
মোদ্দা কথা, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ও আবেগের সঙ্গে জড়িত যে কোনও পেশাতেই ঝুঁকি থাকে। সেইসব পেশায় যুক্তদের ১০০ শতাংশ নিরাপত্তা দেওয়া কোনও দেশ বা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। পেশাগত দক্ষতা এবং পরিস্থিতি 
সামাল দেওয়ার অভিজ্ঞতা এই সমস্ত অনভিপ্রেত ঘটনাকে বড়জোর কিছুটা কমাতে পারে। কিন্তু, বন্ধ করা অসম্ভব। 
ধর্মতলার আন্দোলন মঞ্চ থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, ‘কর্মবিরতি যদি প্রত্যাহার করতেই হয় তাহলে সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই তা করবেন। কারও নৈতিকতার জ্ঞান শুনে নয়।’ প্রশ্নটা হচ্ছে, হঠাৎ করে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের ‘সাধারণ মানুষে’র কথা মনে পড়ল কেন? এতদিন ধরে সরকার, সুপ্রিম কোর্ট, বহু বিশিষ্টজন বারবার বলেছেন, জাস্টিসের দাবিতে আন্দোলন চলুক। কিন্তু চিকিৎসকরা কাজে যোগ দিন। কর্মবিরতিতে গরিব মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। তখনও তাঁরা সেই ডাকে সাড়া দেননি। উল্টে চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাওয়া মানুষগুলোর মৃত্যুই যে ভবিতব্য ছিল, সেটা নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা যত বেড়েছে ততই উচ্চস্বরে উচ্চারিত হয়েছে ‘কোমর্বিডিটি’র তত্ত্ব। সেই চিকিৎসকদের মুখেই ‘সাধারণ মানুষে’র কথা!
আসলে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরাও বুঝতে পারছেন, অভয়ার নৃশংস এবং মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে বাংলায় যে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ ও গণআন্দোলন তৈরি হয়েছিল, তা থেকে মানুষ সরে যাচ্ছে। ১৪ আগস্টের ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের যে আবেগ, যে উপস্থিতি ছিল, মহালয়ার ‘ভোর দখলে’ তার ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি। কারণ মানুষ বুঝে গিয়েছে, অভয়ার জাস্টিসের দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তা আর এখন ‘অরাজনৈতিক’ নেই। কর্মবিরতি প্রত্যাহারের শর্ত বৃদ্ধিতেই পর্দার আড়াল থেকে বামেদের ও অতিবামেদের কলকাঠি নাড়ার অভিযোগ উঠছিল। যাদবপুরের মিছিল থেকে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান ওঠার পর সেই পর্দাটা এক ঝটকায় সরে গিয়েছে। সামনের সারিতে কিছু জুনিয়র ডাক্তার থাকলেও এই আন্দোলনের চালিকাশক্তি কারা, সেটা বুঝতে কারও বাকি ছিল না।
৪২দিন কর্মবিরতির পর ১০দিন আংশিক কাজ। তারপর ফের দ্বিতীয় দফার পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি। দ্বিতীয় দফার কর্মবিরতির সঙ্গে অভয়ার জাস্টিসের কোনও সম্পর্ক নেই। অভয়ার জাস্টিসই তাঁদের প্রধান দাবি হলে চিকিৎসকরা কিছুতেই কাজে ফিরতেন না। তাঁরাও জানেন, সেই দাবি মেটাতে পারে সিবিআই। সেখানে রাজ্য সরকারের আর কিছু করার নেই। 
তবে কাজে যোগ দেওয়ার সময়েই ফের যে আন্দোলনে ফিরবেন, সেই হুঁশিয়ারি তাঁরা আগাম দিয়ে রেখেছিলেন। কারণ আন্দোলনকারীদের একাংশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে বিষয়টা মিটে গেল, এটা হজম করতে পারছিল না। খুঁজছিল আন্দোলনে ফেরার একটা অজুহাত। সাগর দত্ত মেডিক্যালের ঘটনাকে সামনে রেখে ফের ডাক দিয়েছিলেন কর্মবিরতির। তাঁরা ভেবেছিলেন, একইভাবে তাঁরা সাড়া পাবেন। কিন্তু সেটা হয়নি। 
জুনিয়র ডাক্তারদের এই আন্দোলন বাংলাকে একটা নতুন শব্দবন্ধ উপহার দিয়েছে, ‘থ্রেট সিন্ডিকেট’। সেই সিন্ডিকেটে যুক্তদের তদন্ত কমিটির সামনে হাজির করিয়ে বিচার চাওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে তৈরি হচ্ছে ‘থ্রেট সিন্ডিকেটে’র সদস্যদের তালিকা। তাতে শুধু জুনিয়র ডাক্তার বা পড়ুয়াদেরই নয়, ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে অপছন্দের শিক্ষকদেরও নাম। তাই শুধু জুনিয়রদেরই নয়, অনেক সিনিয়রেরও থরহরিকম্প অবস্থা। একবার তালিকায় নাম উঠলেই আপাতত কলেজে ঢোকা বন্ধ, হতে হবে সাসপেন্ড, এমনকী রেজিস্ট্রেশন বাতিল। অনেকেই বলছেন, থ্রেট সিন্ডিকেট ছিল, আছে এবং থাকবে। কেবল বদলে যাবে শুধু মুখগুলো। 
তাই আপাতত কর্মবিরতি উঠলেও সিন্ডিকেটের মুখবদল না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টা চলবে।
সূচনা হয়েছে দেবীপক্ষের। অভয়ার ইচ্ছাতেই তাঁর বাড়িতে দেবীর আরাধনা শুরু হলেও তিনি ছিলেন মানবপুজোয় বিশ্বাসী। অভয়ার মা জানিয়েছেন, ‘পুজোর অঞ্জলি দিতে বসেও রোগীর ডাক এলে উঠে যেত মেয়ে। বলত, মানুষের উপর তো পুজো হয় না।’ অভয়ার কাছে দেবীর অঞ্জলির চেয়েও বড় ছিল আর্তের সেবা। সেই অভয়ারই জাস্টিসের দাবিতে তাঁর সহপাঠীরা লাগাতার কর্মবিরতি চালিয়ে গেলেন। রোগীদের বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে ‘জাস্টিস’ ছিনিয়ে আনলে জুনিয়র ডাক্তাররা আত্মশ্লাঘা অনুভব করতেই পারেন, কিন্তু তাতে রোগী অন্ত প্রাণ অভয়ার আত্মা শান্তি পাবে না।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, জুনিয়র ডাক্তাররা যে দাবিতে দ্বিতীয় দফার কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন তার তো সমাধান হয়নি। তাহলে কেন কর্মবিরতি তুলে নিলেন? তার কারণ, এতদিন যাঁরা আন্দোলনকে নানাভাবে সাহায্য করেছেন তাঁরাও ফের কর্মবিরতিকে সমর্থন করেননি। বিশেষ করে সিনিয়র ডাক্তারবাবুরা। 
কারণ তাঁরা জানেন, কর্মবিরতি সাময়িক প্রতিবাদের হাতিয়ার হলেও সমস্যা সমাধানের পথ নয়। ফলে ঘরে বাইরে চাপে পড়ে জুনিয়র ডাক্তারদের পিছিয়ে আসা ছাড়া উপায় ছিল না। তবে দীর্ঘ গণআন্দোলনের পথ বেয়ে যে ফসল তাঁরা ঘরে তুলেছিলেন, কর্মবিরতির হঠকারী সিদ্ধান্তে তার অনেকটাই খুইয়ে বসলেন।
05th  October, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন ও মমতার চ্যালেঞ্জ
হিমাংশু সিংহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছাব্বিশে, না তারও আড়াই বছর বাদে উনত্রিশের সম্মিলিত নির্বাচনে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁকে প্রধান মুখ করে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পাটনা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে দিল্লির প্রধান বিরোধী দলগুলির মধ্যে। বিশদ

15th  December, 2024
মৌলবাদ: চক্রান্ত রুখছেন রাজ্যের মুসলিমরাই
তন্ময় মল্লিক

‘কোটা’র বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে ঘটেছিল তথাকথিত ‘গণঅভ্যুত্থান’। কোটাপ্রথার বিলোপই যদি লক্ষ্য হতো, তাহলে ৫আগস্ট  আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটত। শেখ হাসিনা দেশত্যাগী হয়েছেন। কিন্তু দেশে শান্তি ফেরেনি। বিশদ

14th  December, 2024
বিজেপি-সখ্যে আঞ্চলিক দলের ক্ষতি হচ্ছে
সমৃদ্ধ দত্ত

বিগত ১০ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে যে আঞ্চলিক দলই সখ্য স্থাপন করেছে, তাদেরই চরম রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। হয় তারা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে অথবা সরকার থেকে পদচ্যুত হয়েছে। কিংবা নিজেদের রাজ্যে গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে। বিশদ

13th  December, 2024
দেশে এবার ‘কৃষ্ণ বিপ্লব’ আসন্ন!
মৃণালকান্তি দাস

দেশের এক আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) অধিকর্তা দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি মন্ত্রবলে ‘ভূত ছাড়াতে’ পারেন। বেশ কয়েক বছর আগে একটি পরিবারকে তিনি ‘অশুভ আত্মার কবল থেকে মুক্ত’ করেছিলেন বলে দাবি করেন প্রযুক্তিবিদ্যার ওই বিশেষজ্ঞ। বিশদ

12th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

11th  December, 2024
হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
একনজরে
সম্প্রতি শহরে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের এই সাফল্যকে সামনে এনে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র দাবি করলেন, বাংলায় পড়াশোনোর বহর বাড়ছে। সেই কারণেই মেধার বিস্তৃতি সম্ভব হচ্ছে। ...

মাদক কারবার থেকে চোরাচালান। মানব পাচার থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ। সবমিলিয়ে ক্রমশ স্পর্শকাতর নেপাল ও ভুটান সীমান্ত। এজন্যই ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চলছে সংশ্লিষ্ট দুই সীমান্তে। একইসঙ্গে ...

শনিবার তেলেঙ্গানায় সন্তোষ ট্রফির মূল পর্বের গ্রুপ লিগে বাংলার প্রতিপক্ষ মণিপুর। সম্প্রতি ভারতীয় ফুটবলের সাপ্লাই লাইন এই রাজ্য। একাধিক ফুটবলার আইএসএলে বিভিন্ন দলের হয়ে মাঠ কাঁপাচ্ছেন। ...

ফের বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হল মণিপুরে। এবারও সেই ইম্ফল পূর্ব ও কাংপোকপি জেলা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ইম্ফল পূর্ব জেলার নুংব্রাম এবং লাইরোক ভইেপেই গ্রামে তল্লাশি চালায় পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ দল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০১: শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক প্রসন্নকুমার ঠাকুরের জন্ম
১৯১১: প্রতিষ্ঠিত হল সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
১৯৫৯: ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের জন্ম
১৯৬৩: অভিনেতা গোবিন্দার জন্ম
১৯৯৮: নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে ‘দেশিকোত্তম’ দিল বিশ্বভারতী
২০১২: পরিচালক যীশু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.১৩ টাকা ৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৭ টাকা ১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ১৫/১৫, দিবা ১২/২২। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৫৯/৫৫ শেষ রাত্রি ৬/১৪। সূর্যোদয় ৬/১৬/১৭, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/১১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪২ গতে ৯/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/১৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
৫ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী দিবা ১/৫৮। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৯, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৮ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৪ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৩ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২০ মধ্যে।
১৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইএসএল: মুম্বই সিটি ১-চেন্নাই ০ (৩৭ মিনিট)

05:41:00 PM

উজ্জয়নীতে জনসভা মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের

05:39:00 PM

জয়পুরে রিভিউ মিটিংয়ে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা

05:36:00 PM

দিল্লিতে জরুরি বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা

05:29:00 PM

আইএসএল: মুম্বই সিটি ১-চেন্নাই ০ (১০ মিনিট)

05:13:00 PM

গুজরাতের রণ উৎসব সবাইকে যোগদানের আহ্বান মোদির

05:11:00 PM