Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

হঠকারিতার মাশুল দিচ্ছে গণআন্দোলন
তন্ময় মল্লিক

অবশেষে কর্মবিরতি তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অনভিপ্রেত ঘটনাকে সামনে রেখে জুনিয়র ডাক্তাররা আংশিক থেকে পূর্ণ কর্মবিরতিতে চলে গিয়েছিলেন। অভয়ার জাস্টিস গোটা বাংলা চায়। কিন্তু এই কর্মবিরতির সঙ্গে অভয়ার জাস্টিসের সম্পর্ক ছিল না। তাও তাঁরা রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি ও পুজোর মুখে কাজ বন্ধ করে দিলেন। দাবি পূরণ না হওয়া সত্ত্বেও কর্মবিরতি তুলে নেওয়ায় স্বস্তি ফিরল। তবে, তা দীর্ঘস্থায়ী নাও হতে পারে। কারণ বিবিধের মাঝে ঐক্যের সুর আর শোনা যাচ্ছে না। বরং নানা মুনির নানা মত। তাই যে কোনও সময় ফের একটা কিছু ঘোষণা হতেই পারে। তবে একটা কথা না বললেই নয়, জুনিয়র চিকিৎসকদের হঠকারী সিদ্ধান্তের খেসারত দিচ্ছে বাংলার গণআন্দোলন।
আর জি করে বাংলার চিকিৎসক কন্যার মৃত্যুতে সুপ্রিম কোর্টে এখনও পর্যন্ত তিনটি শুনানি হয়েছে। ২২ আগস্ট, ৯ সেপ্টেম্বর এবং ১৭ সেপ্টেম্বর। প্রতিটি শুনানিতেই উঠেছে চিকিৎসকদের কর্মবিরতির বিষয়টি। প্রতিবার প্রধান বিচারপতি জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু চিকিৎসকরা সেই নির্দেশ মানেননি। জানিয়ে দিয়েছিলেন, পাঁচদফা দাবি মানলেই তাঁরা কাজে ফিরবেন। সরকার তিন দফা দাবি মানায় ৪২দিন পর তাঁরা কাজে যোগ দিয়েছিলেন। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছিল চিকিৎসা পরিষেবা। শুধু রাজ্যের সাধারণ মানুষই নয়, সিনিয়র চিকিৎসকরাও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন। কারণ জুনিয়রদের কর্মবিরতিতে 
তাঁদের চিকিৎসা শাস্ত্রের ‘জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ’ সবই করতে হচ্ছিল। অমানুষিক পরিশ্রম হচ্ছিল। কিন্তু ১০দিন যেতে না যেতেই ফের পূর্ণ কর্মবিরতির ডাক।
সাগর দত্ত মেডিক্যালে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। মৃতার আত্মীয়রা চিকিৎসক ও নার্সদের উপর চড়াও হয়। মারধর করে। কারও সন্তান বা নিকট আত্মীয় মারা গেলে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। বহু ক্ষেত্রেই হিতাহিত জ্ঞান লোপ পায়। কিন্তু তারজন্য চিকিৎসকের গায়ে হাত তোলা কিছুতেই মানা যায় না। রোগীর পরিবারের বিচার চাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু গায়ে হাত দেবে? এটা কোনও সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ সমর্থন করতে পারে না। একইভাবে লাঞ্ছিত হলে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে চিকিৎসকরা আন্দোলন করতেই পারেন। কিন্তু রোগী দেখা বন্ধ করাটা মেনে নেওয়া যায় না।
‘প্রফেশনাল হ্যাজার্ডস’ বলে একটা কথা আছে। সমস্ত পেশার মানুষকেই তার সম্মুখীন হতে হয়। সেনাবাহিনীতে যোগ দিলে সিয়াচেনে ডিউটি করতে হতে পারে। প্রতিপক্ষের হামলায় জওয়ানের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু তারজন্য কোনও জওয়ান সিয়াচেনে যাবেন না, এটা বলতে পারেন না। আবার পুলিসের কাজে যোগ দেওয়া ব্যক্তিটি জানেন, তিনি যে কোনও সময় হেনস্তার শিকার হতে পারেন। শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হতে পারেন। এমনকী, দুষ্কৃতী হামলায় মারা যেতেও পারেন। সাংবাদিকতার পেশাতেও আছে ঝুঁকি। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে মার খাওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। কিন্তু তারজন্য কোনও সাংবাদিক কি বলতে পারেন, নিরাপত্তা না দিলে তিনি খবর করতে যাবেন না। কেস জেতাতে না পারলে আইনজীবীও মক্কেলের রোষের শিকার হন। এমনকী, ম্যাচ জেতাতে না পারলে ফুটবলার ও ক্রিকেটারদের বাড়িতে হামলার ঘটনাও ঘটে।
মোদ্দা কথা, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ও আবেগের সঙ্গে জড়িত যে কোনও পেশাতেই ঝুঁকি থাকে। সেইসব পেশায় যুক্তদের ১০০ শতাংশ নিরাপত্তা দেওয়া কোনও দেশ বা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। পেশাগত দক্ষতা এবং পরিস্থিতি 
সামাল দেওয়ার অভিজ্ঞতা এই সমস্ত অনভিপ্রেত ঘটনাকে বড়জোর কিছুটা কমাতে পারে। কিন্তু, বন্ধ করা অসম্ভব। 
ধর্মতলার আন্দোলন মঞ্চ থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, ‘কর্মবিরতি যদি প্রত্যাহার করতেই হয় তাহলে সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই তা করবেন। কারও নৈতিকতার জ্ঞান শুনে নয়।’ প্রশ্নটা হচ্ছে, হঠাৎ করে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের ‘সাধারণ মানুষে’র কথা মনে পড়ল কেন? এতদিন ধরে সরকার, সুপ্রিম কোর্ট, বহু বিশিষ্টজন বারবার বলেছেন, জাস্টিসের দাবিতে আন্দোলন চলুক। কিন্তু চিকিৎসকরা কাজে যোগ দিন। কর্মবিরতিতে গরিব মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। তখনও তাঁরা সেই ডাকে সাড়া দেননি। উল্টে চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাওয়া মানুষগুলোর মৃত্যুই যে ভবিতব্য ছিল, সেটা নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা যত বেড়েছে ততই উচ্চস্বরে উচ্চারিত হয়েছে ‘কোমর্বিডিটি’র তত্ত্ব। সেই চিকিৎসকদের মুখেই ‘সাধারণ মানুষে’র কথা!
আসলে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরাও বুঝতে পারছেন, অভয়ার নৃশংস এবং মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে বাংলায় যে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ ও গণআন্দোলন তৈরি হয়েছিল, তা থেকে মানুষ সরে যাচ্ছে। ১৪ আগস্টের ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের যে আবেগ, যে উপস্থিতি ছিল, মহালয়ার ‘ভোর দখলে’ তার ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি। কারণ মানুষ বুঝে গিয়েছে, অভয়ার জাস্টিসের দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তা আর এখন ‘অরাজনৈতিক’ নেই। কর্মবিরতি প্রত্যাহারের শর্ত বৃদ্ধিতেই পর্দার আড়াল থেকে বামেদের ও অতিবামেদের কলকাঠি নাড়ার অভিযোগ উঠছিল। যাদবপুরের মিছিল থেকে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান ওঠার পর সেই পর্দাটা এক ঝটকায় সরে গিয়েছে। সামনের সারিতে কিছু জুনিয়র ডাক্তার থাকলেও এই আন্দোলনের চালিকাশক্তি কারা, সেটা বুঝতে কারও বাকি ছিল না।
৪২দিন কর্মবিরতির পর ১০দিন আংশিক কাজ। তারপর ফের দ্বিতীয় দফার পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি। দ্বিতীয় দফার কর্মবিরতির সঙ্গে অভয়ার জাস্টিসের কোনও সম্পর্ক নেই। অভয়ার জাস্টিসই তাঁদের প্রধান দাবি হলে চিকিৎসকরা কিছুতেই কাজে ফিরতেন না। তাঁরাও জানেন, সেই দাবি মেটাতে পারে সিবিআই। সেখানে রাজ্য সরকারের আর কিছু করার নেই। 
তবে কাজে যোগ দেওয়ার সময়েই ফের যে আন্দোলনে ফিরবেন, সেই হুঁশিয়ারি তাঁরা আগাম দিয়ে রেখেছিলেন। কারণ আন্দোলনকারীদের একাংশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে বিষয়টা মিটে গেল, এটা হজম করতে পারছিল না। খুঁজছিল আন্দোলনে ফেরার একটা অজুহাত। সাগর দত্ত মেডিক্যালের ঘটনাকে সামনে রেখে ফের ডাক দিয়েছিলেন কর্মবিরতির। তাঁরা ভেবেছিলেন, একইভাবে তাঁরা সাড়া পাবেন। কিন্তু সেটা হয়নি। 
জুনিয়র ডাক্তারদের এই আন্দোলন বাংলাকে একটা নতুন শব্দবন্ধ উপহার দিয়েছে, ‘থ্রেট সিন্ডিকেট’। সেই সিন্ডিকেটে যুক্তদের তদন্ত কমিটির সামনে হাজির করিয়ে বিচার চাওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে তৈরি হচ্ছে ‘থ্রেট সিন্ডিকেটে’র সদস্যদের তালিকা। তাতে শুধু জুনিয়র ডাক্তার বা পড়ুয়াদেরই নয়, ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে অপছন্দের শিক্ষকদেরও নাম। তাই শুধু জুনিয়রদেরই নয়, অনেক সিনিয়রেরও থরহরিকম্প অবস্থা। একবার তালিকায় নাম উঠলেই আপাতত কলেজে ঢোকা বন্ধ, হতে হবে সাসপেন্ড, এমনকী রেজিস্ট্রেশন বাতিল। অনেকেই বলছেন, থ্রেট সিন্ডিকেট ছিল, আছে এবং থাকবে। কেবল বদলে যাবে শুধু মুখগুলো। 
তাই আপাতত কর্মবিরতি উঠলেও সিন্ডিকেটের মুখবদল না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টা চলবে।
সূচনা হয়েছে দেবীপক্ষের। অভয়ার ইচ্ছাতেই তাঁর বাড়িতে দেবীর আরাধনা শুরু হলেও তিনি ছিলেন মানবপুজোয় বিশ্বাসী। অভয়ার মা জানিয়েছেন, ‘পুজোর অঞ্জলি দিতে বসেও রোগীর ডাক এলে উঠে যেত মেয়ে। বলত, মানুষের উপর তো পুজো হয় না।’ অভয়ার কাছে দেবীর অঞ্জলির চেয়েও বড় ছিল আর্তের সেবা। সেই অভয়ারই জাস্টিসের দাবিতে তাঁর সহপাঠীরা লাগাতার কর্মবিরতি চালিয়ে গেলেন। রোগীদের বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে ‘জাস্টিস’ ছিনিয়ে আনলে জুনিয়র ডাক্তাররা আত্মশ্লাঘা অনুভব করতেই পারেন, কিন্তু তাতে রোগী অন্ত প্রাণ অভয়ার আত্মা শান্তি পাবে না।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, জুনিয়র ডাক্তাররা যে দাবিতে দ্বিতীয় দফার কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন তার তো সমাধান হয়নি। তাহলে কেন কর্মবিরতি তুলে নিলেন? তার কারণ, এতদিন যাঁরা আন্দোলনকে নানাভাবে সাহায্য করেছেন তাঁরাও ফের কর্মবিরতিকে সমর্থন করেননি। বিশেষ করে সিনিয়র ডাক্তারবাবুরা। 
কারণ তাঁরা জানেন, কর্মবিরতি সাময়িক প্রতিবাদের হাতিয়ার হলেও সমস্যা সমাধানের পথ নয়। ফলে ঘরে বাইরে চাপে পড়ে জুনিয়র ডাক্তারদের পিছিয়ে আসা ছাড়া উপায় ছিল না। তবে দীর্ঘ গণআন্দোলনের পথ বেয়ে যে ফসল তাঁরা ঘরে তুলেছিলেন, কর্মবিরতির হঠকারী সিদ্ধান্তে তার অনেকটাই খুইয়ে বসলেন।
05th  October, 2024
আমেরিকার ফলে ভারতের লাভ না ক্ষতি?
হিমাংশু সিংহ

একজনের বয়স ৭৪, অন্যজনের ৭৮। এই পূর্ণ বার্ধক্যেও দু’জনকেই তাঁদের নিজের দেশে আদ্যন্ত ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে প্রতিনিয়ত আক্রমণ করেন বিরোধীরা। সেই ছুৎমার্গ থেকেই শিক্ষিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা দুই রাষ্ট্রপ্রধানের নাম শুনতে বিশেষ পছন্দ করেন না। বিশদ

এই লড়াই অপপ্রচারের সঙ্গে মানুষের বিশ্বাসের
তন্ময় মল্লিক

আর জি কর ইস্যুতে বিজেপির অবস্থা অনেকটা ‘বেল পাকলে কাকের কী!’ জাস্টিসের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন হয়েছে, মানুষও হয়েছে আলোড়িত। কিন্তু তার সুবিধে বিরোধীরা ভোটে পাবে কি না, এই উপ নির্বাচনে হবে তার পরীক্ষা। বিশদ

09th  November, 2024
পুরুষতন্ত্র নারী ক্ষমতায়নের বিরোধী
সমৃদ্ধ দত্ত

এই যে কয়েকশ বছর ধরে কোনও নারীকে বিশ্বের সবথেকে সম্পদশালী দেশ আমেরিকায় কিছুতেই রাষ্ট্রপ্রধান করা হল না, শুধু এটাই কি পুরুষতন্ত্রের উদাহরণ? অবশ্যই এর মধ্যে যতটা রাজনীতি আছে, ততটাই পুরুষতন্ত্রের আগ্রাসন আছে। বিশদ

08th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পবাদের প্রত্যাবর্তন
মৃণালকান্তি দাস

ইজরায়েলি দার্শনিক ইউভাল নোয়া হারারি তাঁর ‘নেক্সাস: আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব ইনফরমেশন নেটওয়ার্কস ফ্রম দ্য স্টোন এজ টু এআই’ বইটির ভূমিকায় লিখেছেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে ধরে নিতে পারি না, যেসব সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তি ছড়ায়, তারা সব সময়ই ব্যর্থ হয়।’
বিশদ

07th  November, 2024
ভারতীয় ব্যবসার জন্য একটি নতুন ভাবনা
রাহুল গান্ধী

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতকে চুপ করিয়ে দিয়েছিল। কোম্পানির ব্যবসায়িক দক্ষতা-মাহাত্ম্যে কেউ নির্বাক হয়ে যায়নি, বরং তারা ভারতবাসীর টুঁটি চেপে ধরেছিল। আমাদের দেশীয় মহারাজা ও নবাবদের সঙ্গে ব্যবস্থাক্রমে—ঘুষ এবং হুমকির মাধ্যমে এক শ্বাসরোধকারী পরিস্থিতি কায়েম করেছিল কোম্পানি। বিশদ

06th  November, 2024
ছাব্বিশের ইঙ্গিত দেবে এই উপ নির্বাচন
হারাধন চৌধুরী

বিজেপির আস্থা চমকেই। নরেন্দ্র মোদি যে অনবদ্য রাজনীতির আমদানি করেছেন, বঙ্গ বিজেপি আত্মস্থ করেছে সেটাই। জাতীয় রাজনীতিতে মোদির আবির্ভাব, উত্থান থেকে সরকার পরিচালনা এবং বিদেশ নীতি—সব মিলিয়ে এক চমকের সিরিজ উপহার পেয়েছে ভারত। বিশদ

06th  November, 2024
অথরিটি? মহারাষ্ট্র কিন্তু চাই মোদিজি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কপিল শর্মার সঙ্গে নীতীশ কুমারের মিল কোথায়? দু’জনেই ‘শোয়ের’ জন্য যে কোনও দিকে ঢলে পড়তে পারেন। বিশদ

05th  November, 2024
সাবধান, জোর ঝাঁকুনি অপেক্ষা করে আছে সামনে
পি চিদম্বরম

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি বিষয়ক বিবৃতি যার কারণে শিরোনাম দখল করে তা হল—‘পলিসি রেপো রেট’। রেপো রেট হল সেই সুদের হার যার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক (আরবিআই) দেশের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে টাকা ধার দেয়। বিশদ

04th  November, 2024
মার্কিন নির্বাচনেও কারচুপি, হিন্দুত্ব কার্ড!
হিমাংশু সিংহ

দুই বিপরীত গোলার্ধের গণতন্ত্রের দেশে এ যেন এক অদ্ভুত সমাপতন! বছরের শুরুতে পৃথিবীর বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশে টানটান উত্তেজনার নির্বাচন। মোদিজি তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরলেন বটে, কিন্তু প্রচণ্ড ঝাঁকুনি দিয়ে চারশো আসনের খোয়াব থামল মাত্র ২৪০-এ। বিশদ

03rd  November, 2024
যেখানে ধান্দা নেই সেখানে বিজেপিও নেই
তন্ময় মল্লিক

অপরাধীর সংখ্যা এক না একাধিক, তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও অভয়ার জাস্টিস পাওয়া নিয়ে দ্বিমত আগেও ছিল না, এখনও নেই। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন আপাতত কমিটি গঠন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক হওয়ার লড়াইয়ে সীমাবদ্ধ। বিশদ

02nd  November, 2024
সুপ্রিম কোর্ট এবং একটি আশ্চর্য অধ্যায়
সমৃদ্ধ দত্ত

১১ নভেম্বর বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে আসীন হবেন। ১০ নভেম্বর বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় অবসর নেবেন। আপাতভাবে অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং রুটিন একটি প্রক্রিয়া। বিশদ

01st  November, 2024
শ্রীরামকৃষ্ণের কালী-দর্শন
মৃণালকান্তি দাস

‘আমার কালী-মা কোথায় গেলে গো’— শ্রীরামকৃষ্ণের দেহত্যাগের পর শিশুর মতো কেঁদে উঠেছিলেন মা সারদামণি। কালী আর রামকৃষ্ণ তাঁর কাছে যে অভিন্ন। ইষ্ট আর ভক্ত এক। সন্তানের বশীভূত জননী। মায়ের সঙ্গে কখনও মান-অভিমানের পালা। কখনও বা নিঃশেষ আত্ম-সমর্পণের শান্ত মুহূর্ত।
বিশদ

31st  October, 2024
একনজরে
বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে ঝাড়খণ্ডে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তত্পরতা! শনিবার মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের ব্যক্তিগত সচিব সুনীল শ্রীবাস্তবের বাড়িতে তল্লাশি চালাল আয়কর দপ্তর। সুনীলের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি ...

বেলদা থানার নেকুড়সেনী স্টেশনে কয়লাবোঝাই একটি মালগাড়িতে আগুন ধরে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়াল। খড়্গপুর থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে খড়্গপুর থেকে ওড়িশার দিকে যাওয়ার সময় বেলদা স্টেশনের কাছে রেলকর্মীরা কয়লাবোঝাই মালগাড়ির একটি বগিতে ধোঁয়া ...

তিন মেয়ে ও দুই ছেলের মা ফের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে আগেই। কিছুদিন আগে তিনিও অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন। এত বয়সে তিনি মা হলে সমাজ কী বলবে, তা ভেবে অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন মন্দিরবাজার থানার চাঁদপুর ধোপাহাটের বাসিন্দা কাজল কয়াল। ...

জেলা তৃণমূল সভাপতি পদে বদল হতে পারে। তেমন সম্ভাবনার অআঁচ করে শক্তি বাড়াতে চেষ্টা করছে বিপ্লব মিত্রের বিরোধী গোষ্ঠী। জেলার রাজনীতিতে ‘ত্রিশক্তি’ বলে পরিচিত মৃণাল সরকার, গৌতম দাস ও অম্বরীশ সরকারকে দুর্গাপুজোর সময় থেকেই বিভিন্ন মঞ্চে একছাতার তলায় দেখা যাচ্ছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উকিল ও ডাক্তারদের কর্মব্যস্ততা বাড়বে। পত্নী/পতির স্বাস্থ্য আকস্মিক ভোগাতে পারে। মানসিক অস্থিরভাব। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৮৩ - জার্মান সন্ন্যাসী ও পুরোহিত প্রোটেস্ট্যান্ট সংস্কার নেতা মার্টিন লুথারের জন্ম
১৪৯৩ - ক্রিস্টোফার কলম্বাস দ্বিতীয় সমুদ্রযাত্রায় অ্যান্টিগুয়া আবিষ্কার করেন
১৬৫৯ - ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কলকাতা, সুতানুটি ও গোবিন্দপুরের কর্তৃত্ব গ্রহণ করে
১৮২২ - বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান গ্রন্থ রচনার পথিকৃৎ উইলিয়াম কেরির পুত্র ফেলিঙ্ কেরির মৃত্যু
১৮৪৮ - ভারতের জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ রাষ্ট্রগুরু স্যার সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৮৮ - ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মাওলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম
১৯০৭ -  অভিনেতা হরিধন মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৮ - বিপ্লবী কানাইলাল দত্তের ফাঁসি কার্যকর হয়
১৯১৮ - প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরিসমাপ্তি
১৯৫৪ - কবি ও সাহিত্যিক জয় গোস্বামীর জন্ম
১৯৫৫ – চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন পরিচালক রাজা সেনের জন্ম
১৯৬৭ – অভিনেতা আশুতোষ রানার জন্ম
১৯৮২ - পৃথিবীতে ১৯১০ সালের পর আবার হ্যালির ধূমকেতু দেখা গেল
১৯৯১ - আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে একুশে বছরের নির্বাসন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট দল আবার আন্তর্জাতিক খেলায় অংশ নেয় কলকাতার ইডেনে ভারতের বিরুদ্ধে
২০০৯ – অভিনেত্রী তথা ফ্যাশন ডিজাইনার সিম্পল কাপাডিয়ার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৫৩ টাকা ৮৫.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৬২ টাকা ১১১.৪০ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৬ টাকা ৯২.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
09th  November, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ কার্তিক, ১৪৩১, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী ৪২/২৩ রাত্রি ১০/৪৬। শ্রবণা নক্ষত্র ১৪/৫৮ দিবা ১১/৪৮। সূর্যোদয় ৫/৪৯/২৭, সূর্যাস্ত ৪/৫১/৩২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৩৪ মধ্যে পুনঃ ৭/১৮ গতে ৯/৩০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২২ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৯ গতে ২/২২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/২২ গতে ৩/১৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/১২ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৩ গতে ২/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/১২ গতে উদয়াবধি। 
২৩ কার্তিক, ১৪৩১, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী রাত্রি ৬/২২। শ্রবণা নক্ষত্র দিবা ৮/৪৪। সূর্যোদয় ৫/৫০, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে ও ৭/৩১ গতে ৯/৩৯ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ২/৩৯ মধ্যে ও ৩/২১ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৪৬ গতে ২/৩৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৩৩ গতে ৩/২৬ মধ্যে। কালবেলা ৭/১৩ মধ্যে ও ১২/৪৪ গতে ২/৭ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩০ মধ্যে ও ৪/১৩ গতে ৫/৫১ মধ্যে। 
৬ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দ্বিতীয় টি২০: ৩ রানে আউট মার্করাম, দঃ আফ্রিকা ৩৩/২ (৫.২ ওভার), টার্গেট - ১২৫

09:58:00 PM

নয়ডায় ইলেকট্রিক টাওয়ারের উপর উঠে নাচ এক ব্যক্তির, চক্ষু চড়কগাছ পুলিসের
রবিবার দুপুরে নয়ডা সেক্টর ৭৬-এ তাজ্জব কাণ্ড। একটি ইলেকট্রিক টাওয়ারের ...বিশদ

09:48:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: ১৩ রানে আউট রায়ান, দঃ আফ্রিকা ২২/১ (২.৫ ওভার), টার্গেট - ১২৫

09:44:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, মোহন বাগান ১ - ওড়িশা ১

09:27:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: দঃ আফ্রিকাকে ১২৫ রানের টার্গেট দিল ভারত

09:14:00 PM

আইএসএল: মোহন বাগান ১ - বনাম ওড়িশা ১ (৭৯ মিনিট)

09:07:00 PM