Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাজল তোমার আলোর বেণু, মাতল রে ভুবন
সন্দীপন বিশ্বাস

আকাশজুড়ে যখন ফুটে ওঠে উৎসবের অলৌকিক আলো, ব্রাহ্মমুহূর্তের সেই নৈঃশব্দের মধ্যেই সূচনা হয়ে যায় দেবীপক্ষের। আর তখনই আগমনির সুরে বেতারে বেজে ওঠে আমাদের হৃদয় উৎসারিত শাশ্বত মন্ত্র। শুরু হয় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে চণ্ডীপাঠ, ‘আশ্বিনের শারদপ্রাতে, বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর।  ধরণীর বহিরাকাশে অন্তর্হিত মেঘমালা, প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত জ্যোতির্ময়ী জগন্ময়ীর আগমন বার্তা।’ এই বার্তার সঙ্গে বাঙালির অন্তরের যোগ। সেই যোগটুকু স্থাপনের জন্য বাঙালি সংবৎসর উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করে। বঙ্গজীবনের শ্রেষ্ঠ মহোৎসবের আঙিনায় প্রবেশ করার প্রথম সিংহদুয়ার হল ‘মহালয়া’। 
অথচ একেবারে গোড়ায়, ১৯৩২ সালে যখন অনুষ্ঠানটি বেতারে সম্প্রচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখন আপত্তি উঠেছিল ভিতর থেকেই। তখন ‘মহালয়া’র প্রস্তুতি চলছে। বাণীকুমারের রচনাটি দেখে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র স্তোত্র পাঠ করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র ছিলেন নাট্যকার ও অভিনেতা। আকাশবাণীর প্রথম পর্বের তিনি এক ঋত্বিক। উচ্চারণ শুদ্ধ করার জন্য তিনি চণ্ডীপাঠ, গীতাপাঠ করতেন। বাণীকুমার বললেন, ‘ঠিক আছে তুমিই কোরো।’ সেই সময় আকাশবাণীর কয়েকজন একটু মিনমিন করে বললেন, ‘ব্যাপারটা কি ভালো হবে?’ সেই সময় অনুষ্ঠান পরিচালক ছিলেন নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বললেন, ‘কেন খারাপ হবে কেন?’ কয়েকজন বললেন, ‘আসলে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ হলেন কায়স্থ। চণ্ডীপাঠ তো ব্রাহ্মণদেরই কাজ। সাধারণ শ্রোতা কি ব্যাপারটা ভালোভাবে নেবে?’ 
নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ তাঁদের ধমকে দিয়ে বললেন, ‘এর মধ্যেও তোমরা বামুন-কায়েতের হিসেব করতে বসেছো? রেডিওতে চণ্ডীপাঠ হবে। আমরা তো আর মন্দিরে গিয়ে পুজো করছি না। তাছাড়া আমাদের এই টিমে যাঁরা যন্ত্রী আছেন, তাঁদের মধ্যে তো বেশ কয়েকজন মুসলমানও আছে। তাহলে কি তাদের বাদ দিতে বলছো?’ সকলের মুখে কুলুপ। চণ্ডীপাঠ করা নিয়ে আর কেউ কোনও কথা বলেননি। উল্টে প্রথম অনুষ্ঠানের পর অনেকেই বীরেন্দ্রকৃষ্ণের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে বলেছিলেন, ‘দাদা, এ আপনি কী করলেন? বাঙালিকে আপনি একটি অসাধারণ শাশ্বত শারদ উপহার দিয়ে গেলেন।’ সত্যি, ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ অনুষ্ঠানে বাদ্যশিল্পীদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন মুসলমান। যেমন সারেঙ্গি বাজিয়েছিলেন মুন্সি, তাঁর ভাই আলি বাজিয়েছিলেন চেলো আর হারমোনিয়াম বাজিয়েছিলেন খুশি মহম্মদ। কই, কোথাও তো তার বিশুদ্ধতা ক্ষুণ্ণ হয়নি। সংশয় তৈরি হয়নি শ্রোতাদের মনে! আসলে আমরাই বোধহয় নানা সংকীর্ণ মানসিকতা নিয়ে ক্ষুদ্র ধর্মবোধ নিয়ে কূপমণ্ডুকের মতো বিচার করতে বসি। 
প্রথমে অবশ্য এর নাম ছিল ‘মহিষাসুর বধ’। কিন্তু ১৯৩৭ সাল থেকে এই অনুষ্ঠানটির নাম হয় ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। প্রতিবছরই অনুষ্ঠানটির নানা ধরনের পরিবর্তন করা হতো। তাই এই প্রভাতী অনুষ্ঠানটির নানা রকম ভার্সান আছে। একটা সময় অনুষ্ঠানটির সরাসরি সম্প্রচার হতো। প্রত্যেকে ভোরবেলা স্নান করে শুদ্ধ চিত্তে পাঠ বা গান করতে বসতেন। প্রথম দুই বছর এই অনুষ্ঠান হয়েছিল 
ষষ্ঠীর ভোরে। পরে সিদ্ধান্ত হয় মহালয়ার দিন এই অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত করা হবে। 
আজও যখন ভোরের পার্থিব আলো আঁধারির রহস্যময়তায় সুর ছড়ায়, ‘বাজল তোমার আলোর বেণু, মাতল রে ভুবন’, তখন মনের মধ্যে যেন পুষ্পরেণু হয়ে ছড়িয়ে পড়ে ঈশ্বরের অদৃশ্য এক অনুভূতি। মনে হয়, ওই আকাশ চুঁইয়ে নেমে আসা আলোর মধ্য দিয়ে নেমে আসবেন এক আলোকবর্ণা ঈশ্বরী,  যিনি আমাদের ঘরের মেয়ে, অসীম শক্তি তাঁর। পৃথিবীর তাবড় শক্তি তাঁর পায়ের তলায় নতজানু হয়ে লুটিয়ে পড়ে। ইথার তরঙ্গের মধ্য দিয়ে যেন দেবীর দৈববাণী ছড়িয়ে পড়ে আলো ফোটা আকাশে। ‘ইত্থং যদা যদা বাধা দানবোত্থা ভবিষ্যতি।। / তদা তদাবতীর্যাহং করিষ্যাম্যরিসংক্ষয়ম।।’ যখনই দানব জাতির উৎপাত শুরু হবে, আমি আবির্ভূত হয়ে সেই অসুরদের বিনাশ করব। এই প্রত্যাশা নিয়েই তো বাঙালি পুজোর আঙিনায় গিয়ে সন্ধিপুজোর অঞ্জলি দেয়। 
প্রত্যেকের বুকেই রয়েছে মহালয়ার সকালের এক নরম ভালোলাগার স্মৃতি। প্রতি বছর পুজো এলেই সেটা মনে পড়ে, আমাদের নস্টালজিক করে তোলে। আমাদের শৈশব ও কৈশোরের দিনগুলিও সেই অলৌকিক রঙে রাঙানো। মহালয়ার ভোরে চারিদিকে যেন ছড়িয়ে পড়ত এক পবিত্র গন্ধ। বুক ভরে শ্বাস নিলে সেই অনুভূতির আলো ও গন্ধ সরাসরি পৌঁছে যেত মনের ভিতরে। ভালোলাগার এই সালোকসংশ্লেষ আজও যেন উজ্জ্বল হয়ে আছে। রেডিওয় মহালয়া শুরু হওয়ার আগে মা, ঠাকুমা ডেকে দিত। ঘুম থেকে উঠে দেখতাম ঠাকুমা, মা কাচা কাপড় পরে ঘরের চারিদিকে গঙ্গাজল ছিটিয়ে দিচ্ছে। তারপর ধূপ জ্বালিয়ে চারিদিকে দেখানো হতো। মহালয়া শুরুর আগে শঙ্খধ্বনি হতো। অনেকের বাড়ি থেকেই ভেসে আসত শাঁখের শব্দ। 
‘জাগো তুমি জাগো, জাগো দুর্গা, জাগো দশপ্রহরণধারিণী’ গানটি শুনলেই মনে হতো ভোরের স্নিগ্ধতার মধ্যে সত্যিই এক আধ্যাত্মিক অনুভূতির প্রকাশ আছে। তাকে দেখা যায় না, শুধু অনুভব করা যায়। মহালয়ার অনুষ্ঠান আমাদের সেই অনুভূতিকে এক পবিত্র মাত্রায় পৌঁছে দেয়। এখানেই অনুষ্ঠানটির সার্থকতা। ‘জাগো দুর্গা’ গানটির সুর পঙ্কজ মল্লিক দিয়েছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কথা মাথায় রেখে। পাঁচের দশকের গোড়ার দিকে হেমন্ত তখন বলিউডের সুরকার হিসাবে প্রচণ্ড ব্যস্ত। তিনি রিহার্সালে আসতে পারলেন না। সেই জায়গায় ঠিক হয়, শচীন 
গুপ্ত গাইবেন। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে সেই গান দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় গেয়েছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় আমাকে বলেছিলেন, ‘আমার ওপর মা দুর্গার দয়া না থাকলে ওই গান আমি গাইতে পারতাম না। এ আমার পরম সৌভাগ্য।’ এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ‘চণ্ডীপাঠ করার সময় একটা জায়গায় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র কেঁদে ফেলতেন। সেটা কি সত্যি, নাকি একটু নাটকীয় পরিবেশ তৈরির জন্য অমন করতেন।’ দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘বীরেনদা যখন চণ্ডীপাঠ করতেন, তখন যেন তাঁর অন্যমূর্তি। শুদ্ধ হয়ে পট্টবস্ত্র পরে যেন সাধনায় বসেছেন। বাহ্যিক জ্ঞান বিলুপ্ত। মন্ত্রশক্তি ভর করত তাঁর ওপর। চণ্ডীপাঠ করতে করতে ঝরঝর করে কাঁদতেন।’ 
আসলে যাকে মহালয়া বলা হয়, তার একটা পুরাণের দিকও আছে। মহালয়া হল পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনা। মহালয়া আসলে এক কল্পিত পিতৃলোক। স্বর্গ ও মর্ত্যের মধ্যবর্তী স্থানে তার অবস্থান। যেখানে আমাদের স্বর্গত পিতৃপুরুষরা অবস্থান করেন। বলা হয়, জীবিত ব্যক্তির তিন পুরুষ এই পিতৃলোকে অবস্থান করেন। মহালয়ার দিন তর্পণ করে সেই পিতৃপুরুষদের তিল সহ জল অর্পণ করতে হয়। রামায়ণে দেখি রাবণের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রার আগে রামচন্দ্র অকালবোধন করেছিলেন। তার আগে তিনি রাজা দশরথ ও পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে জলদানের মাধ্যমে তাঁদের শ্রদ্ধা জানিয়ে আশীর্বাদ প্রার্থনা করেছিলেন।  মহাভারতেও আমরা দেখি তর্পণ প্রসঙ্গটি জড়িয়ে রয়েছে কর্ণের সঙ্গে। দাতা হিসাবে কর্ণের খুবই সুনাম ছিল। মৃত্যুর পর তিনি স্বর্গে গেলে তাঁকে খাদ্যহিসাবে দেওয়া হতো নানা ধরনের স্বর্ণ, রৌপ্য, রত্নসম্ভার। অবাক হয়ে কর্ণ এর কারণ ইন্দ্রকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘আপনি মর্ত্যে অবস্থানকালে কেবল স্বর্ণ, রৌপ্যই দান করেছেন। কখনও আপনার পিতৃপুরুষের উদ্দেশে জলদান করেননি।’ কর্ণ বলেন, ‘আমার পিতৃপুরুষ সম্পর্কে আমি জ্ঞাত নই। তাই তাঁদের উদ্দেশে আমি কখনও অন্নদান বা জলদান করতে পারিনি।’ তখন কর্ণকে বলা হয়, ‘আপনাকে এক পক্ষকাল সময় দেওয়া হল, আপনি ফের মর্ত্যে গিয়ে পিতৃপুরুষের উদ্দেশে জলদান করে আসুন।’ এই পক্ষকালকেই বলা হয় পিতৃপক্ষ।  কর্ণকে এই পক্ষকাল মর্তলোকে অবস্থান করতে হয়েছিল। 
শাস্ত্রমতে প্রতি বছর দেবী দুর্গা মূলত চারটি বাহনে আসেন এবং প্রত্যাবর্তন করেন। যেমন দোলা, ঘোটক, গজ ও নৌকা। প্রতিটি বাহনে চড়ে আগমন ও প্রত্যাবর্তনের পৃথক অর্থ আছে। সেই বিষয়টি প্রকৃতি এবং আমাদের জীবনযাপনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এবার যেমন দেবীর  দোলায় আগমন ও ঘোটকে গমন। শাস্ত্রে বলে দোলায় আগমনের অর্থ হল চারিদিকে অশুভ লক্ষণের প্রকাশ।  শাস্ত্রে বলা হয়েছে, ‘মকরং ভবেৎ’। অর্থাৎ এতে মড়ক বা মহামারীর ইঙ্গিত মেলে। খরা, ধ্বংস, মহামারী, রক্তক্ষয়, হানাহানি, অশান্তির মতো ঘটনা ঘটতেই থাকে। 
আবার ঘোটকে গমন প্রসঙ্গে পণ্ডিতরা বলেন, এর ফল ছত্রভঙ্গ বা ছত্রভঙ্গস্তরঙ্গমে। অর্থাৎ দেবীর বিদায়ের পর নানাধরনের ধ্বংসাত্মক ঘটনা ঘটতে পারে। যেমন বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা ইত্যাদি। আমরা চারিদিকে দেখতে পাচ্ছি, ভয়ঙ্কর এক শক্তি আমাদের উৎসবের চালচিত্রকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে চাইছে, অন্যদিকে সামাজিক অবক্ষয়ের মধ্য দিয়ে আমাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক চেতনাকে ক্ষতবিক্ষত করার নিরন্তর চেষ্টা চলছে। তবে, এটাই শেষ কথা হতে পারে না। মায়ের কাছে আমাদের প্রার্থনা, ‘রূপং দেহি, জয়ং দেহি, যশো দেহি, দ্বিষো দেহি।’ অর্থাৎ আমি যেন জীবন সত্যের রূপটিকে উপলব্ধি করতে পারি, লোভ-মোহ ইত্যাদি রিপুগুলিকে জয় করতে পারি, সমস্ত বাধাকে আমি যেন বিনাশ করে সত্যের পথে এগিয়ে চলতে পারি।  
02nd  October, 2024
ইলিশের গল্প, ইলিশের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

দেশ ভাগ হয়েছে কবেই। সীমান্তে এখন কাঁটাতারের বেড়া। তবু আজও দশমীর সকালে বাংলাদেশের পাবনা থেকে জোড়া ইলিশ নিয়ে সান্যাল বাড়িতে হাজির হন মহম্মদ আব্দুল।
বিশদ

করুণা নয়, অধিকার
শান্তনু দত্তগুপ্ত

খুব দুঃখ হয়েছে মিনতির। ছোট্ট বছর সাতেকের মেয়ে। পুজো এলেই ওর মনে কেমন যেন রেলগাড়ি ছুটতে শুরু করে। পঞ্চমী এলেই ঢাকটাকে কাঁধে ফেলে বেরিয়ে পড়ে বাবা। মুখে একরাশ ভরসার হাসি। ফিরব যখন, নতুন জামা নিয়ে আসব। বিশদ

01st  October, 2024
মুছে যাওয়া ট্রামলাইন
সোমনাথ বসু

‘ও   বাবা, বাড়ি থেকে আসার সময় জাহাজ দেখাবে বললে যে। কিন্তু এটা কী? ছোট ট্রেন?’ বিশদ

01st  October, 2024
অগ্রাধিকারের তালিকা থেকে পড়শিরা বাদ
পি চিদম্বরম

আমাদের প্রতিবেশী অঞ্চলে, ভারতের সঙ্গে চীনের সীমান্ত দৈর্ঘ্য ৩,৪৮৮ কিমি। তবু কেউ চীনকে আমাদের প্রতিবেশী বলে মনে করে না।
বিশদ

30th  September, 2024
পুজো বিরোধী ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করুন
হিমাংশু সিংহ

ছোটবেলা থেকে জেনে এসেছি, যাই ঘটে যাক মাধ্যমিক পরীক্ষা, দুর্গাপুজোয় মিটিং মিছিল অবরোধ অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ। এই সময়টা সাধারণ মানুষের সঙ্গে রাজনীতিকদেরও দু’দণ্ড অবকাশের সময়। আন্দোলনের নামে রাজনৈতিক কূটকচালিরও ছুটি। বিশদ

29th  September, 2024
আর জি কর: বিজেপির প্রাপ্তি শূন্য
তন্ময় মল্লিক

‘এতদিন ধরে কেন মানুষকে নাকাল করা হল? মানুষকে খেপিয়ে কী লাভ হল? তাঁরা সমস্যায় পড়লেন। এর জবাব জুনিয়র ডাক্তারদের দিতেই হবে।’ এই বক্তব্যটা রাজ্যের শাসক দলের কোনও নেতার নয়, প্রবীণ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের। বিশদ

28th  September, 2024
কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির কাঠামো বদল দরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

 

অপরাধীদের কাছে একসময় আতঙ্কের নাম ছিল সিবিআই। শুনলেই ভয় ভয় লাগত তাদের। আর এখন সারাক্ষণ সিবিআই ভয়ে ভয়ে থাকে কোনও রাজ্যে অপরাধ ঘটেছে শুনলেই। ভয়ে ভয়ে থাকার কারণ হল, এখনই সিবিআই তদন্তের দাবি উঠবে। বিশদ

27th  September, 2024
সেভেন সিস্টার্স নয়, চট্টগ্রাম নিয়ে ভাবুন!
মৃণালকান্তি দাস

ক্ষমতা গ্রহণের আগেই নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের বক্তব্যকে বিকৃত করেছিল বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম। যাদের মূল এজেন্ডাই এখন ভারতের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো! বিশদ

26th  September, 2024
মোদিতন্ত্রের শিকার স্কুলশিক্ষা
হারাধন চৌধুরী

মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা। পড়াশোনা এবং কর্মসূত্রে ২০০৫ সাল থেকে পাঁশকুড়ায় আছেন। একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের‌ ইংরেজির শিক্ষক। আরও দুই যুবকের সঙ্গে হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে একটি সেলফি তুলে পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। তাঁদের পরনে ট্রাউজারের বদলে গামছা ও জামা, হাতে জুতো এবং পিঠে একটি করে ব্যাগ। বিশদ

25th  September, 2024
ইতিহাসে থেকে যাবে বাংলার অসম্মানটুকুই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রচার আর অপপ্রচারের মধ্যে ফারাকটা একচুলের। দুটোই চিরন্তন। আর দুটোই রাষ্ট্রের হাতিয়ার। তফাৎ? প্রথমটা গণতন্ত্রের অস্ত্র এবং দ্বিতীয়টি হিংসার। স্বৈরতন্ত্রের। সম্প্রতি সিবিআই নামক কেন্দ্রীয় সরকারি ‘যন্ত্র’টি সুপ্রিম কোর্টে বেধড়ক ঝাড় খেয়েছে। বিশদ

24th  September, 2024
কোবিন্দ কমিটির রিপোর্ট প্রত্যাখ্যাত হবে
পি চিদম্বরম

একযোগে নির্বাচনের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনে সরকারের প্রকৃত উদ্দেশ্য তার টার্মস অব রেফারেন্স (টিওআর) থেকেই খোলসা হয়ে গিয়েছে। কমিটিকে প্রথম টিওআর ‘বলেছিল, একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পরীক্ষার পর সুপারিশ করতে ...।’
বিশদ

23rd  September, 2024
বিচারের সামনে দাঁড়াতে হবে সবাইকে!
হিমাংশু সিংহ

গত সপ্তাহে একদিন দুপুরে হাতিবাগানে ঘুরছিলাম। ঝিরঝিরে বৃষ্টিতেও পুজোর মাত্র একমাস আগে এমন বিবর্ণ বিধান সরণি দেখিনি। কয়েকদিন আগে গড়িয়াহাটেও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। বড় বড় ঝাঁ-চকচকে দোকানে সেলসম্যানের চেয়ে ক্রেতা কম। বিশদ

22nd  September, 2024
একনজরে
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-স্কটল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে মহিলাদের টি-২০ বিশ্বকাপ। পরের দিন, অর্থাৎ শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করবে ভারতীয় দল। মঙ্গলবার প্রস্তুতি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ...

ওয়ার্ড থেকে রোগীকে নিয়ে স্ট্রেচারে শুইয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁর পরিবারের লোকেরা। তাঁদের ওয়ার্ড থেকে বলে দেওয়া হয়েছিল অ্যাঞ্জিওগ্রাম করাতে হবে। কিন্তু, তাঁদের সঙ্গে হাসপাতালের কোনও স্বাস্থ্যকর্মী ছিলেন না। ...

একটানা বেজে চলেছে তীক্ষ্ণ সাইরেন। কাতারে কাতারে জনতা আশ্রয় নিয়েছে বাঙ্কারে। চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। বাইরে রাতের আকাশ চিরে ধেয়ে আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইরানি ...

রেশনের কেরোসিনের দাম অক্টোবর মাসে লিটারে সাড়ে ৪ টাকার মতো কমছে। এমাসে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি কেরোসিনের যে ইস্যু প্রাইস ঠিক করেছে তার ভিত্তিতেই এই নতুন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাপড়ের ব্যবসায় অগ্রগতি। পেশাদার শিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। উচ্চ/উচ্চতর শিক্ষায় উন্নতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯১: ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম মাসিক পত্রিকা ‘ক্যালকাটা ম্যাগাজিন অ্যান্ড ওরিয়েন্টাল মিউজিয়াম’ প্রকাশ শুরু হয়
১৮৭৭: পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল হরেন্দ্রকুমার মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১১: ক্রিকেটার সুঁটে বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯২০: বিশিষ্ট ধারাভাষ্যকার অজয় বসুর জন্ম 
১৯২৩: প্রথম মহিলা স্নাতক ও ডাক্তার কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৪৫: বিশ্ব ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৪৯: পরিচালক জে পি দত্তের জন্ম
১৯৭৮: বিশ্বের দ্বিতীয় ও ভারতের প্রথম টেস্ট টিউব শিশুর জন্ম
১৯৮৯: বিশিষ্ট সরোদ শিল্পী ওস্তাদ বাহাদুর হোসেন খান কলকাতায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন
১৯৯০: অক্টোবরে দুই জার্মানি অর্থাৎ পূর্ব জার্মানি এবং পশ্চিম জার্মানি আনুষ্ঠানিকভাবে একত্রিত হবার ঘোষণা করে



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯৯ টাকা ৮৪.৭৩ টাকা
পাউন্ড ১১০.৩৮ টাকা ১১০.৩৮ টাকা
ইউরো ৯১.৮১ টাকা ৯৫.০১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
02nd  October, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৫৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৫,৯০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
02nd  October, 2024

দিন পঞ্জিকা

১৭ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪। প্রতিপদ ৫৩/৩৮ রাত্রি ২/৫৯। হস্তা নক্ষত্র ২৫/০ দিবা ৩/৩২। সূর্যোদয় ৫/৩২/২০, সূর্যাস্ত ৫/১৯/৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৪ গতে ২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/৯ গতে ৯/২৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৫১ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৫ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/২৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২৬ গতে ১২/৫৮ মধ্যে।
১৬ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪। প্রতিপদ রাত্রি ১/১২। হস্তা নক্ষত্র দিবা ৩/১৯। সূর্যোদয় ৫/৩২, সূর্যাস্ত ৫/২১। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫০ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/১ গতে ৫/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ২/২৪ গতে ৫/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৭ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। 
২৯ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিল্লিতে কালকাজি মন্দিরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নবম শ্রেণির পড়ুয়ার মৃত্যু, হুড়োহুড়িতে জখম আরও ৬

07:49:00 PM

আইএসএল: ওড়িশা ০-কেরল ০ (৮ মিনিট)

07:39:00 PM

মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ: টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের (বিপক্ষ শ্রীলঙ্কা)

07:22:00 PM

দমদম থেকে গ্রেপ্তার বাঁশদ্রোণীর ঘাতক পে লোডারের চালক

07:22:00 PM

রজনীকান্তের সুস্থতা কামনা করে চেন্নাইয়ের মন্দিরে পুজো দিলেন মেয়ে সৌন্দর্যা

07:14:00 PM

উড়ানের আগেই বিমানে আগুন, উদ্ধার ২০০ যাত্রী
ইতালিতে রানওয়ে থেকে উড়ানের মাত্র কিছুক্ষণ আগে আগুন লাগল রায়ানএয়ার ...বিশদ

06:47:00 PM