কাপড়ের ব্যবসায় অগ্রগতি। পেশাদার শিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। উচ্চ/উচ্চতর শিক্ষায় উন্নতি। ... বিশদ
তবে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান উৎপল ভাদুড়ী বলছেন, এ ধরনের ওয়ার্ক অর্ডারের কথা আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে পুরসভায় আলোচনাও হয়নি। তাছাড়া কোথায় এই দু’শোটি বাড়ি তৈরির কথা ছিল, সে ব্যাপারেও আমি অন্ধকারে। মাল পুরসভার অ্যাকাউন্ট্যান্ট কাম ক্যাশিয়ার সুরজ প্রধানও বলেছেন, আমি এমন ওয়ার্ক অর্ডারের কথা জানি না। এরকম কপিও নেই আমার কাছে। বুধবার এ ব্যাপারে মাল পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহার দাবি, বোর্ড মিটিংয়ে আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে, যদি কোনও উপভোক্তা নিজেরা আবাস যোজনার বাড়ি তৈরি করতে না পারেন, কিংবা স্থানীয় ঠিকাদাররা যদি কাজ করতে না চান, তাহলে আমরা বাইরের ঠিকাদারদের আবাসের বাড়ি তৈরির বরাত দিতে পারি। সেইমতো বারুইপুরের ওই ঠিকাদার সংস্থাকে দু’শো বাড়ির বরাত দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে কোনও দুর্নীতি নেই।
এদিকে, এক উপভোক্তার নামে আবাস যোজনায় বরাদ্দ হওয়া টাকা অন্যকে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মাল পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জামিলা খাতুন। দীর্ঘদিন আগে স্বামী মারা গিয়েছেন। নদীতে পাথর ভেঙে ও দিনমজুরি খেটে পেটের ভাত জোগাড় করেন। বললেন, অনেকদিন আগে আবাস যোজনার ঘরের জন্য আবেদন করেছিলাম। এখন পুরসভা বলছে, আমার নামে যে টাকা এসেছিল, তা তোলা হয়ে গিয়েছে। কোথায় টাকা এল, কে তুলল জানি না। আমি ঘর পাইনি। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অজয় লোহার বলেন, খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি জামিলা খাতুনের যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেখানে আবাসের টাকা ঢোকেনি। অথচ পুরসভার নথি বলছে, তাঁর আধার দিয়ে এন্ট্রি করা অন্য অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুরসভার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।
স্বপন-বিরোধী বলে পরিচিত তৃণমূলের কয়েকজন কাউন্সিলারের বক্তব্য, উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে। তিনি ধাপে ধাপে আবাস যোজনার বাড়ি তৈরি করবেন, এটাই নিয়ম। কিন্তু বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান ঠিকাদার নিয়োগ করেন। তারপর উপভোক্তাদের কাছ থেকে অ্যাডভান্স ডেটের চেক নিয়ে নেওয়া হয়। উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে ঢোকা মাত্র তুলে নেওয়া হয় সেই টাকা। এমন একাধিক ঘটনা ঘটেছে।