Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মুছে যাওয়া ট্রামলাইন
সোমনাথ বসু

‘ও   বাবা, বাড়ি থেকে আসার সময় জাহাজ দেখাবে বললে যে। কিন্তু এটা কী? ছোট ট্রেন?’
নিশ্চিন্দিপুরের গোলোক কর্মকার এবার বেশ সমস্যায় পড়লেন। ছেলে অলোককে খিদিরপুর ডক দেখাবেন বলে কলকাতায় নিয়ে এসেছেন। ধর্মতলা থেকে ৩৬ নম্বর রুটের ট্রামে বাবা-ছেলের ওঠা। ফার্স্ট ক্লাসেই। ফোর্ট উইলিয়ামের সামনে ট্রাম ইনসাইড-আউটসাইড ডজ দিতেই ছেলের এই প্রশ্ন। একটু ভেবে তাঁর উত্তর, ‘এটা তো ট্রাম। আমাদের মতো গরিব-গুর্বোদের যান। কেমন লাগছে তোর?’ ফার্স্ট ক্লাসের বাঁ দিকে সিঙ্গল সিটের প্রথমটা দখল করেছে ছেলে। বাবা ঠিক তার পিছনেই। ট্রাম ততক্ষণে রেসকোর্সের কাছে। একটু আগেই সে দেখেছে দূরে একটা সাদা বাড়ির মাথায় কালো পরী ঘুরছে। এই বড় বাড়িটার নাম নাকি ভিক্টোরিয়া। বাবাই বলেছে। শহরের হাওয়া খেতে খেতে এবার সে জানতে চায়, উঁচু উঁচু লোহার পাঁচিলগুলি কেন দেওয়া? রাজু গাইডের মতো বাবা চিনিয়ে দেয়, ‘এটা রেসকোর্স। মানে ঘোড়দৌড়ের মাঠ। এর থেকে বেশি কিছু মনে রাখার দরকার নেই।’
বর্ষার রাত। এসপ্ল্যানেডের এক হোটেলে রঙিন সন্ধ্যা কাটিয়ে ৫ নম্বর রুটের ট্রামে চেপে বসেছেন শ্যামবাজারের ভূপেনবাবু। চুনোট করা ধুতির কোঁচার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে আদ্যির পাঞ্জাবি। কাঁধ থেকে কব্জি পর্যন্ত চামচ দিয়ে গিলে করা। বাঁ হাতে বেলফুলের মালা। মুখে বেনারসি জর্দা পান। নেশায় টগমগ বাবু কালচারের শেষ প্রতিনিধির কণ্ঠে তখন শচীন কত্তার গান, ‘মন দিল না বধূ, মন নিল যে শুধু/আমি কী নিয়ে থাকি...’। কিছুক্ষণের মধ্যেই খাকি পোশাক পরিহিত কন্ডাক্টর তাঁর কাছে এসে টিকিট চাইলেই জড়ানো গলায় ভূপেনের মশকরা, ‘আরে মশায়, কার কাছে টিকিট চাইছেন জানেন? আমার ঠাকুর্দা চাইলে গোটা ট্রাম কোম্পানি কিনে ফেলতে পারতেন। ঠিক আছে, এসেছেন যখন নিয়েই যান।’
গোলোক, অলোক কিংবা ভূপেনের মতো অনেকের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে ট্রাম ভ্রমণের স্মৃতিমেদুরতা। চোখে ভাসে এখনও ক্লড ওয়াডেলের সেই বিখ্যাত পুরনো কলকাতার ছবি... ট্রামের সেকেন্ড ক্লাসের শেষের জানালা দিয়ে কোনওমতে পা গলিয়ে দিয়েছেন অফিসযাত্রী। শরীরটা তখনও বাইরে। আর ওইটুকু বাহনে উপচে পড়ছে ভিড়। কলকাতার ইতিহাসের সঙ্গে মিলেমিশে এক হয়ে যাওয়া এক টুকরো ভালো লাগা। ঐতিহ্যের সেই ফুরফুরে প্রাকৃতিক হাওয়া, নাকি আধুনিকতার এসি মেশিন—এই চাপানউতোরের মধ্যেই অতীত হয়ে যাচ্ছে কল্লোলিনী তিলোত্তমার ট্রাম। থাকবে শুধু বইয়ের পাতায়, ইন্টারনেটে। আর বাঙালির মনে।
ট্রামের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৮৭৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি। তবে তা ছিল ঘোড়ায় টানা। শিয়ালদহ থেকে আর্মেনিয়ান ঘাট পর্যন্ত ট্রাম সফর না করতে পারার আপশোস অনেকেই মিটিয়েছিলেন যাত্রাপথের দু’ধারে দাঁড়িয়ে। এই পরিষেবা কিন্তু বন্ধ হয়ে যায় সে বছরেরই ২০ নভেম্বর। ১৮৭৯ সালে ক্যালকাটা ট্রামওয়ে কোম্পানি ও কর্পোরেশনের চুক্তি হয়। আর তার ভিত্তিতে তার পরের বছর কলকাতায় ফের ট্রাম চলে। কিন্তু আবার বিপত্তি। যাত্রাপথে বড় বড় লোহার চৌবাচ্চা থাকলেও অত্যাধিক গরম এবং আর্দ্রতার জন্য অস্ট্রেলিয়ান ঘোড়াগুলি ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই খোঁজা হয় বিকল্প। অমৃতার মুখে এই ইতিহাস প্রায় বাকরুদ্ধ হয়ে শুনত আকাশ। শোনা ছাড়া উপায়ও ছিল না। কারণ, তার বান্ধবী ইতিহাসের ছাত্রী। আর ট্রামের প্রতি প্রেম কখনও-সখনও তাদের সম্পর্কের গভীরতাকেও ছাপিয়ে যেত। বালিগঞ্জ ডিপো থেকে বেরিয়ে ২৪ নম্বর ট্রাম যতক্ষণ না তাদের সামনে দাঁড়াত, বলেই যেত অমৃতা। আকাশও জানত, এই গল্পের মধ্যে দিয়েই যে বান্ধবীকে বেশিক্ষণ কাছে পাওয়া। অমৃতার কাছেই তার জানা... ১৯০২ সালে প্রথমবার চলে ইলেকট্রিক ট্রাম। সেই সময় কলকাতা আর হাওড়ার মধ্যে যাতায়াতের জন্য ভাসমান সেতু ছিল। দিনের মধ্যে কয়েক ঘণ্টা সেতু খুলে দেওয়া হতো জাহাজ চলাচলের জন্য। কিন্তু এই সেতুর উপর দিয়ে ট্রাম চালানো সম্ভব ছিল না বলে হাওড়া ট্রাম পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল এমনও নয়। ১৯০৫ সালের অক্টোবরে হাওড়া শহরে প্রথম ট্রাম চলাচল শুরু হয়। প্রথম রুট, হাওড়া থেকে শিবপুর। এরপর ১৯০৮ সালের অক্টোবরের কোনও এক সময় আরও দু’টি রুট চালু হয়। অমৃতার কাছে রুট নম্বর নিয়ে জানতে চেয়েছিল আকাশ। নিজে থেকেই। হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো খুশিতে কলকল করে ওঠে বান্ধবী—‘প্রথমদিকে ট্রামের সামনে ঝোলানো থাকত বিশেষ রংয়ের বোর্ড। যাত্রীরা তা দেখেই বুঝে নিতেন তার যাত্রাপথ। রুট নম্বরের প্রচলন হয় ১৯৫৮ সালে।’ 
তার মধ্যে অবশ্য রাজনীতি দাবাখেলায় পা রেখে ফেলেছে ট্রাম। বাম বনাম কংগ্রেস চাপানউতোরের প্রধান চরিত্র যে এই একটি নির্বিবাদী-ধীরস্থির যান হতে পারে, তা দেখিয়েছে বাংলাই। ১৯৫৩ সালে ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের সরকার সিদ্ধান্ত নিল, ১ জুলাই থেকে এক পয়সা বাড়বে সেকেন্ড ক্লাসের ভাড়া। প্রতিবাদে রাজপথে নামে কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া। তারাই জনসাধারণের ক্ষোভে ঘৃতাহুতি দিল। প্রথম দু’দিন অর্থাৎ ১ এবং ২ জুলাই যাত্রীদের সঙ্গে কন্ডাক্টরদের অশান্তি ঠেকল চরমে। ৩ জুলাই পুলিস লাঠিচার্জ করতেই যেন বিস্ফোরণ। পোড়ানো হল বেশ কয়েকটি ট্রাম। এই আন্দোলনের জন্যই ভিয়েনায় নিজের চোখের অস্ত্রোপচার বাতিল করে ফিরে এসেছিলেন বিধানচন্দ্র রায়। গণআন্দোলনে শেষমেশ ভাড়া কমাতে হয় সরকারকে। আম জনতার পরিবহণ পরিষেবায় রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটে গিয়েছিল সেদিনই। সেই ধারা চলছে আজও। ধুঁকতে থাকা ট্রাম কোম্পানি, একে একে কমে শূন্যে পৌঁছে যাওয়া রুট এবং রাজপথে পাতা লাইনে দু’চাকার দুর্ঘটনা। ট্রাম বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত শোনা মাত্র এখানেও নেমে পড়েছে বিরোধীরা। ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখার দাবিতে পথে নাগরিকরাও। কিন্তু আঁকড়ে থাকার এই আব্দারের মধ্যেই আমরা আবিষ্কার করছি, কখন যেন ট্রাম শুধু আমাদের নস্টালজিয়াতেই স্থান পেয়ে রয়েছে। সেই আকাশ আর অমৃতা এখন স্বামী-স্ত্রী। পুঁচকে একটি মেয়ে রয়েছে। তার স্কুলও দক্ষিণ কলকাতায়। তবে এখন আর ট্রামে চড়া হয় না। অটোরিকশাই ভরসা। কিন্তু রাসবিহারী অ্যাভিনিউ ও ল্যান্সডাউন রোডের ক্রসিংটা এলেই মাঝেমধ্যে মনটা হু হু করে দম্পতির। এই অনুভূতির সঙ্গেও যে ট্রাম জড়িয়ে। ১৯৫৪’র অক্টোবরে তো এখানেই দুর্ঘটনা ঘটেছিল জীবনানন্দ দাশের। আটদিন যমে-মানুষে টানাটানির পর শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে নিভে গিয়েছিল বনলতা সেনের স্রষ্টার জীবনদীপ। 
সত্যিই তো আমাদের অনেকের প্রথম অনেক কিছুর সাক্ষী এই ট্রাম। নয়ের দশক পর্যন্ত যা চলেছে রমরমিয়ে। গর্বের সঙ্গে মাথা উঁচু করে। বাদুড়ঝোলা বাস, ট্যাক্সির আর্থিক বাহুল্য থেকে বাঁচতে ভরসা ছিল ট্রামই। কিন্তু ঐতিহ্যের এই ট্রাম কেন উঠিয়ে দিতে বাধ্য হল পশ্চিমবঙ্গ সরকার? বিশ্লেষণে উঠে আসছে দু’টি বিপরীত মেরুর মত। গতিশীল শহরে ডেডিকেটেড লাইন না থাকায় দুর্ঘটনার বহর বাড়ছে। এছাড়া অধিকাংশেরই ট্রামে ওঠার মতো সময় হাতে নেই। শুধুই ঐতিহ্যের পিছনে ছোটার জন্য আধুনিকতাকে জলাঞ্জলি দিতে হবে, এমন মাথার দিব্যি কে দিয়েছে? পাশাপাশি রয়েছে উল্টো মতও। বাবা-মা কর্মক্ষমতা হারালে কি তাঁদের বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানো উচিত? প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। সবমিলিয়ে বাঙালির চায়ের কাপে তুফান উঠছে রমরমিয়ে। 
পায়ের তলায় রাখা লোহার শলাকায় ভারী বুট পরা ড্রাইভার চাপ দিতেই সেই ঘটাং-ঘটাং শব্দ, দড়ি ধরে মারো টানের সেই টিং টিং, অতি পাতলা টিকিট চার ভাঁজে ঘড়ির রিস্টব্যান্ডে আটকানো কিংবা সরু করে মুড়ে কানে দেওয়ার আরাম বাঙালি আর পাবে না। সামনের সিটে বসে আর দেখা যাবে না, স্টপ ছেড়ে ঘটাং করে রওনা দিতেই খুলে যাওয়া চালকের সঙ্গে সংযোগকারী দরজাটা। ব্রেক কষলেই আবার বন্ধ। আর যদি দরজা না খোলে? একটু ঝুঁকলে দেখা যাবে, ওখানে ডোরস্টপ হিসেবে কাজে নেমে পড়েছে নোনা ধরা একটি ইট। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শুধুই শুনবে এই যানের কথা। আজকের বাবা-মা’রা হয়তো ট্রামের গুরুত্ব বোঝাতে গুনগুন করে গেয়ে উঠবেন আনন্দ বকশির লেখা সেই বিখ্যাত গানের কলি, ‘জিন্দগিকে সফর মে গুজর যাতে হ্যায় যো মকাম, ও ফির নেহি আতে, ও ফির নেহি আতে...’।
01st  October, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন ও মমতার চ্যালেঞ্জ
হিমাংশু সিংহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছাব্বিশে, না তারও আড়াই বছর বাদে উনত্রিশের সম্মিলিত নির্বাচনে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁকে প্রধান মুখ করে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পাটনা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে দিল্লির প্রধান বিরোধী দলগুলির মধ্যে। বিশদ

15th  December, 2024
মৌলবাদ: চক্রান্ত রুখছেন রাজ্যের মুসলিমরাই
তন্ময় মল্লিক

‘কোটা’র বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে ঘটেছিল তথাকথিত ‘গণঅভ্যুত্থান’। কোটাপ্রথার বিলোপই যদি লক্ষ্য হতো, তাহলে ৫আগস্ট  আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটত। শেখ হাসিনা দেশত্যাগী হয়েছেন। কিন্তু দেশে শান্তি ফেরেনি। বিশদ

14th  December, 2024
বিজেপি-সখ্যে আঞ্চলিক দলের ক্ষতি হচ্ছে
সমৃদ্ধ দত্ত

বিগত ১০ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে যে আঞ্চলিক দলই সখ্য স্থাপন করেছে, তাদেরই চরম রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। হয় তারা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে অথবা সরকার থেকে পদচ্যুত হয়েছে। কিংবা নিজেদের রাজ্যে গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে। বিশদ

13th  December, 2024
দেশে এবার ‘কৃষ্ণ বিপ্লব’ আসন্ন!
মৃণালকান্তি দাস

দেশের এক আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) অধিকর্তা দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি মন্ত্রবলে ‘ভূত ছাড়াতে’ পারেন। বেশ কয়েক বছর আগে একটি পরিবারকে তিনি ‘অশুভ আত্মার কবল থেকে মুক্ত’ করেছিলেন বলে দাবি করেন প্রযুক্তিবিদ্যার ওই বিশেষজ্ঞ। বিশদ

12th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

11th  December, 2024
হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
একনজরে
শনিবার তেলেঙ্গানায় সন্তোষ ট্রফির মূল পর্বের গ্রুপ লিগে বাংলার প্রতিপক্ষ মণিপুর। সম্প্রতি ভারতীয় ফুটবলের সাপ্লাই লাইন এই রাজ্য। একাধিক ফুটবলার আইএসএলে বিভিন্ন দলের হয়ে মাঠ কাঁপাচ্ছেন। ...

সম্প্রতি শহরে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের এই সাফল্যকে সামনে এনে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র দাবি করলেন, বাংলায় পড়াশোনোর বহর বাড়ছে। সেই কারণেই মেধার বিস্তৃতি সম্ভব হচ্ছে। ...

ফের বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হল মণিপুরে। এবারও সেই ইম্ফল পূর্ব ও কাংপোকপি জেলা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ইম্ফল পূর্ব জেলার নুংব্রাম এবং লাইরোক ভইেপেই গ্রামে তল্লাশি চালায় পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ দল। ...

শুক্রবার সকালে স্কুটারের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম মুজাফফর বিশ্বাস (৪২)। ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গার কামদেবকাটিতে। পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুটার চালককে উদ্ধার করে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলেও শেষরক্ষা হয়নি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০১: শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক প্রসন্নকুমার ঠাকুরের জন্ম
১৯১১: প্রতিষ্ঠিত হল সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
১৯৫৯: ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের জন্ম
১৯৬৩: অভিনেতা গোবিন্দার জন্ম
১৯৯৮: নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে ‘দেশিকোত্তম’ দিল বিশ্বভারতী
২০১২: পরিচালক যীশু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.১৩ টাকা ৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৭ টাকা ১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ১৫/১৫, দিবা ১২/২২। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৫৯/৫৫ শেষ রাত্রি ৬/১৪। সূর্যোদয় ৬/১৬/১৭, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/১১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪২ গতে ৯/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/১৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
৫ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী দিবা ১/৫৮। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৯, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৮ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৪ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৩ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২০ মধ্যে।
১৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইএসএল: মুম্বই সিটি ১-চেন্নাই ০ (হাফটাইম)

05:55:00 PM

আইএসএল: মুম্বই সিটি ১-চেন্নাই ০ (৩৭ মিনিট)

05:41:00 PM

উজ্জয়নীতে জনসভা মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের

05:39:00 PM

জয়পুরে রিভিউ মিটিংয়ে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা

05:36:00 PM

দিল্লিতে জরুরি বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা

05:29:00 PM

আইএসএল: মুম্বই সিটি ১-চেন্নাই ০ (১০ মিনিট)

05:13:00 PM