Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অগ্রাধিকারের তালিকা থেকে পড়শিরা বাদ
পি চিদম্বরম

আমাদের প্রতিবেশী অঞ্চলে, ভারতের সঙ্গে চীনের সীমান্ত দৈর্ঘ্য ৩,৪৮৮ কিমি। তবু কেউ চীনকে আমাদের প্রতিবেশী বলে মনে করে না। আমি ভাবছি এমনটা কেন? অন্যদিকে, পাকিস্তান (৩,৩১০ কিমি) এবং বাংলাদেশের (৪,০৯৬ কিমি) মতো অন্য দুই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে রয়েছে আমাদের দীর্ঘ সীমান্ত। ওই দুই দেশের সঙ্গে সীমান্তের প্রায় পুরোটাই আমরা কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলেছি। যদিও নেপাল ও ভারতের জন্য জারি রয়েছে একটি ‘ওপেন বর্ডার’ পলিসি (‘উন্মুক্ত সীমান্ত’ নীতি)। তার ফলে দম বন্ধ হয়ে আসার মতো কিছু সমস্যা এড়ানো গিয়েছে। সীমান্ত উন্মুক্ত থাকায় দুই দেশের মধ্যে পণ্য আদান-প্রদান এবং মানুষের যাতায়াতে সবচেয়ে সুবিধা হয়েছে। ভুটান একটি ছোট্ট দেশ। দেশটির সঙ্গে ভারতের সীমান্তের দৈর্ঘ্য ৫৭৮ কিমির মতো।  তবু ভারতের কাছে এই প্রতিবেশীর গুরুত্ব বিরাট তার কৌশলগত অবস্থানের কারণে। শ্রীলঙ্কা দেশটি একটি সংকীর্ণ পক প্রণালী দ্বারা আমাদের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। দেশটি ঐতিহাসিকভাবে এবং সাংস্কৃতিক কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে কখনও কখনও এই প্রতিবেশী দেশের কারণে আমাদের সমস্যায়ও পড়তে হয়। তুলনায় মালদ্বীপের অবস্থানগত দূরত্ব কিছুটা বেশি। চীন বাধা হয়ে দাঁড়ালেও, মালদ্বীপের সঙ্গে আমরা কিন্তু সুসম্পর্ক বজায় রাখারই চেষ্টা করেছি। ১৯৮৮ সালে দস্যু দলের দখলদারি থেকে মালদ্বীপকে আমরাই বাঁচিয়েছিলাম। সেই ‘অপারেশন ক্যাকটাস’-এর কথা কেউ মনে রেখেছে কি না, আমার সন্দেহ রয়েছে। আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত দৈর্ঘ্য সামান্যই—১০৬ কিমি। চূড়ান্ত অস্থিরতায় ভরা দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে একটা ‘অন-অফ’ মোডে রেখেছে। চীনকে বাদ দিলে ভারতসহ এই বাকি দেশগুলি দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা গোষ্ঠী (সার্ক) নামে একটি গোষ্ঠীর সদস্য।
সার্কের কী অবস্থা?
ভারতীয় পরিকল্পনায় এই প্রতিবেশীদের স্থান কী? একসময় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইন্দরকুমার গুজরাল 
লুক ইস্ট পলিসি বা পুবে তাকাও নীতি ঘোষণা করেন। অটলবিহারী বাজপেয়ি চাতুর্যের সঙ্গে সেই নীতিরই নাম দেন ‘অ্যাক্ট ইস্ট’। নরেন্দ্র মোদির 
অনবদ্য কায়দা অনুসারে তাঁর সরকার ঘোষণা 
করেছে ‘নেবারহুড ফার্স্ট’ বা প্রতিবেশীকে অগ্রাধিকারের নীতি। 
আশেপাশের দেশগুলি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত আগ্রহের বিষয়টি জানার কৌতূহল হল আমার। সার্ক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি মোদিজি শেষ কবে সফর করেছেন? এমন অনুসন্ধানে নেমে ‘পিএমইন্ডিয়া’ ওয়েবসাইট থেকে যে তথ্য পেয়েছি তা নিম্নরূপ:
ভুটান: মার্চ, ২০২৪
নেপাল: মে, ২০২২
বাংলাদেশ: মার্চ, ২০২১
মালদ্বীপ: জুন, ২০১৯
শ্রীলঙ্কা: জুন, ২০১৯
আফগানিস্তান: জুন, ২০১৬
পাকিস্তান: ডিসেম্বর, ২০১৫ 
আমি আরও দেখতে পেয়েছি যে, প্রধানমন্ত্রী গত দশ বছরে নেপাল ভ্রমণ করেছেন মোট পাঁচবার। তিনবার করে সফর করেছেন ভুটান আর শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তান সফরের সংখ্যা প্রতিটি ক্ষেত্রে দুই। তবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তান সফর করেছেন মাত্র একবারই। নরেন্দ্র মোদি তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বকালে বিদেশ সফর করেছেন মোট ৮২ বার। পড়শি দেশগুলিতে এই ১৮ বার সফর তার মধ্যেই ধরা আছে। তাঁর সফরসূচি লক্ষণীয়ভাবে আমাকে হতাশ করেছে যে, ২০২৪ সালের মার্চ মাসে একদিনের জন্য ভুটান সফর ব্যতীত, গত দু’বছরের বেশি সময়কালের ভিতরে তিনি অন্যকোনও প্রতিবেশী দেশে পা দেননি!  
১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০২১৪ সালের নভেম্বরে। সেবার আসর বসেছিল নেপালের রাজধানী শহর কাঠমান্ডুতে। ২০১৬ সালের 
নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হয় ১৯তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন। কিন্তু পাকিস্তানের ইসলামাবাদের ওই আন্তর্জাতিক আসরে ভারত যোগ দেয়নি। ভারতের সঙ্গে ওই সম্মেলন বয়কট করেছিল আরও চারটি দেশ। তারপর থেকে সার্কের আর কোনও শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। বাজপেয়ি সরকারের বিদেশমন্ত্রী যশবন্ত সিং সার্ককে ‘পুরো ব্যর্থ’ বলে ঘোষণা করেন। মনে হচ্ছে, মোদি সরকার সেই সিদ্ধান্তকেই ‘চূড়ান্ত’ বলে স্বেচ্ছায় মেনে নিয়েছে। 
ড্রাগন-হাতির দ্বন্দ্ব
নরেন্দ্র মোদি তাঁর শাসনকালের ২০১৫ থেকে জুন, ২০১৮ সালের মধ্যে পাঁচবার চীন সফর করেন। দু’দেশের সম্পর্ক তারপরই খারাপ হয়। তিনি দু’বার মায়ানমার ও একবার মরিশাস সফর করেছেন। চীনের এই ভূমিকায় মোদিজি ক্ষুব্ধ, কিন্তু যতটা জানা যায় তাতে মনে হয় যে তিনি অসহায়। ভারতের নীতি, চীনকে নির্ধারণের অনুমতি দিয়েছেন তিনি! সেনা প্রত্যাহার বা বিবাদ মীমাংসার আলোচনার এজেন্ডা চীনই ঠিক করছে। তার ফল যা হওয়ার হচ্ছে সেটাই। অন্তহীন আলোচনার পরেও কোন মীমাংসা সূত্র সামনে আসছে না। সামরিক উপস্থিতির ক্ষেত্রে কী ঘটছে? প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর চীন তাদের সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে। এমনকী সেখানেই নির্মাণ করে চলেছে সড়ক, সেতু, ক্যাম্প এবং মাটির নীচে স্টোরেজসহ একাধিক সুবিধাযুক্ত কেন্দ্র। এছাড়া সেখানে জনবসতিও গড়ে তুলছে তারা। চীনের 
সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ২০১৩-১৪ সালে ছিল ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৩-২৪ সালে বা দশ বছরে সেটা বেড়ে হয়েছে ৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যেসব ভারতীয় উদ্যোগপতি মরিশাসে গিয়ে অর্থ বিনিয়োগ করতে চান, তাঁদের জন্য 
মরিশাস সানন্দে একটি নির্ঝঞ্ঝাটের দেশ হতে প্রস্তুত। অন্যদিকে, মায়ানমার ভারতে রোহিঙ্গা শরণার্থী 
পাচার করছে। তা না-হলে ওই দেশটির কোথায় কী ঘটছে বা না-ঘটছে, তা জানার জন্য ভারতের কারও কোনও মাথাব্যথা থাকে না। এইসমস্ত সমস্যা কাটিয়ে উঠতে ভারত কতদূর কী করেছে? দৃশ্যত, এখনও পর্যন্ত কিছুই না।
প্রতিবেশীদের উপেক্ষা করার একটা মূল্য আমাদের চোকাতে হয়েছে। নেপাল সরকারে যে একটা মধ্যবর্তী পরিবর্তন হতে যাচ্ছে এবং কে পি শর্মা ওলি তাদের প্রধানমন্ত্রী পদে ফিরে আসছেন, এটা কিন্তু আমরা অনুমান করতে পারিনি। শেখ হাসিনাকে আক্ষরিক অর্থেই বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করা হবে, সেটাও অনুমান করতে ব্যর্থ  হয়েছি আমরা। আমরা মাখামাখি চালিয়ে গিয়েছি রনিল বিক্রমসিংহের সঙ্গে। অনুরা দিসানায়েকের সঙ্গে আমাদের কোনও যোগাযোগই ছিল না। অথচ, ৪২.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন তিনিই। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মোহাম্মদ মুইজ্জুর প্রথম এজেন্ডা ছিল সে-দেশে যে সামান্য সংখ্যক ভারতীয় সামরিক উপদেষ্টা ছিলেন তাঁদের সেখান থেকে খেদানো। পাকিস্তানের ব্যাপারে যতদূর বুঝতে পারছি তা হল, মোদি সরকারের পাকনীতি সম্ভবত ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির অঙ্কেই ঠিক হচ্ছে। পাকিস্তানের প্রকৃত শাসক কারা, তা নিয়ে বোধহয় মোদি সরকারের কোনও মাথাব্যথা নেই।
খুঁচিয়ে ঘা করা
দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে ভারতের প্রভাব ক্রমে খর্ব হচ্ছে। এটা নিজের গা খুঁচিয়ে ঘা করারই শামিল। নরেন্দ্র মোদির বিদেশনীতির লক্ষ্য হয়ে উঠেছে বিশ্ব পরিস্থিতিতে ভারতকে একটি ‘পিস ব্রোকার’ বা ‘শান্তির দালাল’ হিসেবে তুলে ধরা। মোদি সরকার এইভাবেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে তুলতে সচেষ্ট। এর সাক্ষ্য দেয় রাশিয়া, ইউক্রেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং অন্য একাধিক দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মোদিজির  যোগাযোগ বৃদ্ধি ও বৈঠকের ঘটা এবং জি-২০, রাষ্ট্রসঙ্ঘের শীর্ষ সম্মেলন ও কোয়াড-এ তাঁর উপস্থিতি।
নরেন্দ্র মোদির জন্য সবসময় আমাদের শুভকামনা আছে। তবু আমরা তাঁকে মনে করিয়ে দিতে পারি যে, তাঁর সরকারের প্রতিবেশী নীতি বস্তুত হয়ে উঠেছে—নেবারহুড লাস্ট বা নেবারহুড লস্ট! সোজা কথায়, অগ্রাধিকারের তালিকা থেকে পড়শিরা ছিটকে গিয়েছে। 
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
30th  September, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন ও মমতার চ্যালেঞ্জ
হিমাংশু সিংহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছাব্বিশে, না তারও আড়াই বছর বাদে উনত্রিশের সম্মিলিত নির্বাচনে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁকে প্রধান মুখ করে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পাটনা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে দিল্লির প্রধান বিরোধী দলগুলির মধ্যে। বিশদ

15th  December, 2024
মৌলবাদ: চক্রান্ত রুখছেন রাজ্যের মুসলিমরাই
তন্ময় মল্লিক

‘কোটা’র বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে ঘটেছিল তথাকথিত ‘গণঅভ্যুত্থান’। কোটাপ্রথার বিলোপই যদি লক্ষ্য হতো, তাহলে ৫আগস্ট  আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটত। শেখ হাসিনা দেশত্যাগী হয়েছেন। কিন্তু দেশে শান্তি ফেরেনি। বিশদ

14th  December, 2024
বিজেপি-সখ্যে আঞ্চলিক দলের ক্ষতি হচ্ছে
সমৃদ্ধ দত্ত

বিগত ১০ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে যে আঞ্চলিক দলই সখ্য স্থাপন করেছে, তাদেরই চরম রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। হয় তারা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে অথবা সরকার থেকে পদচ্যুত হয়েছে। কিংবা নিজেদের রাজ্যে গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে। বিশদ

13th  December, 2024
দেশে এবার ‘কৃষ্ণ বিপ্লব’ আসন্ন!
মৃণালকান্তি দাস

দেশের এক আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) অধিকর্তা দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি মন্ত্রবলে ‘ভূত ছাড়াতে’ পারেন। বেশ কয়েক বছর আগে একটি পরিবারকে তিনি ‘অশুভ আত্মার কবল থেকে মুক্ত’ করেছিলেন বলে দাবি করেন প্রযুক্তিবিদ্যার ওই বিশেষজ্ঞ। বিশদ

12th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

11th  December, 2024
হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
একনজরে
সম্প্রতি শহরে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের এই সাফল্যকে সামনে এনে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র দাবি করলেন, বাংলায় পড়াশোনোর বহর বাড়ছে। সেই কারণেই মেধার বিস্তৃতি সম্ভব হচ্ছে। ...

শনিবার তেলেঙ্গানায় সন্তোষ ট্রফির মূল পর্বের গ্রুপ লিগে বাংলার প্রতিপক্ষ মণিপুর। সম্প্রতি ভারতীয় ফুটবলের সাপ্লাই লাইন এই রাজ্য। একাধিক ফুটবলার আইএসএলে বিভিন্ন দলের হয়ে মাঠ কাঁপাচ্ছেন। ...

শুক্রবার সকালে স্কুটারের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম মুজাফফর বিশ্বাস (৪২)। ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গার কামদেবকাটিতে। পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুটার চালককে উদ্ধার করে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলেও শেষরক্ষা হয়নি। ...

মাদক কারবার থেকে চোরাচালান। মানব পাচার থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ। সবমিলিয়ে ক্রমশ স্পর্শকাতর নেপাল ও ভুটান সীমান্ত। এজন্যই ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চলছে সংশ্লিষ্ট দুই সীমান্তে। একইসঙ্গে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০১: শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক প্রসন্নকুমার ঠাকুরের জন্ম
১৯১১: প্রতিষ্ঠিত হল সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
১৯৫৯: ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের জন্ম
১৯৬৩: অভিনেতা গোবিন্দার জন্ম
১৯৯৮: নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে ‘দেশিকোত্তম’ দিল বিশ্বভারতী
২০১২: পরিচালক যীশু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.১৩ টাকা ৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৭ টাকা ১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ১৫/১৫, দিবা ১২/২২। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৫৯/৫৫ শেষ রাত্রি ৬/১৪। সূর্যোদয় ৬/১৬/১৭, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/১১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪২ গতে ৯/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/১৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
৫ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী দিবা ১/৫৮। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৯, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৮ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৪ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৩ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২০ মধ্যে।
১৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
অসমে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রতিবাদ মিছিল

04:53:00 PM

মিথ্যে দুর্নাম দেওয়ার অভিযোগে ধর্নায় বসলেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক

04:33:00 PM

অমিত শাহের পদত্যাগের দাবিতে কেরলে মহিলা কংগ্রেসের প্রতিবাদ মিছিল

04:30:00 PM

অমিত শাহের মন্তব্যের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভে কংগ্রেস

04:18:00 PM

কুয়েতে বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

03:54:00 PM

কুয়েতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

03:50:00 PM