Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

করুণা নয়, অধিকার
শান্তনু দত্তগুপ্ত

খুব দুঃখ হয়েছে মিনতির। ছোট্ট বছর সাতেকের মেয়ে। পুজো এলেই ওর মনে কেমন যেন রেলগাড়ি ছুটতে শুরু করে। পঞ্চমী এলেই ঢাকটাকে কাঁধে ফেলে বেরিয়ে পড়ে বাবা। মুখে একরাশ ভরসার হাসি। ফিরব যখন, নতুন জামা নিয়ে আসব। নতুনের সঙ্গে কিছু ভালো পুরনো জামাও পায় মিনতি। কিন্তু এবার অতটা হবে না। মাকে সেদিন চুপিচুপি বলছিল বাবা... আগের বারের থেকে নাকি পয়সা কম পাবে। যে বড় বাড়িটায় ঢাক বাজাতে যায়, সেখানে এবার পুজোর খরচ কম হচ্ছে। যে টাকাটা বাবা পাবে, তার বেশিটাই তুলে রাখতে হবে... খারাপ সময়ের জন্য। পরে থাকা ফ্রকটার দিকে তাকাল মিনতি। গতবার এনে দিয়েছিল বাবা। কাল মহালয়া। মনটা আরও খারাপ খারাপ হয়ে গেল...। এ বছরের পুজো কি ওর নয়?
নবান্নের ১৪ তলার ঘরটাতে অ্যাকোয়ারিয়মের সামনে দাঁড়িয়ে অবাক চোখে মাছগুলোকে দেখছিল সাবির মল্লিকের একরত্তি মেয়েটা। এমন মাছ কখনও দেখেনি সে। মায়ের সঙ্গে এসেছে এখানে। এক দিদার কাছে। টিভিতে দেখেছে সে আগে। কেন এসেছে? জানে না। শুধু জানে, বাবাকে অনেকদিন দেখেনি ও। আজকাল মা খুব কাঁদে। বাবা কবে ফিরবে? বারবার জিজ্ঞেস করেও উত্তর পায় না সে। জানতে পারেনি সে... বাবাকে হরিয়ানায় পিটিয়ে মেরে ফেলেছে গো-রক্ষকরা। সেই মুহূর্ত থেকে শূন্য হয়ে গিয়েছে তার পৃথিবী। পুজো, আর ঈদের সময়টা তারাও খুব আনন্দ করে। কারণ, তখন বাবা ফিরে আসে কাজ সেরে। অনেক খেলনা, জামা পায় সে। এবার পুজো নেই? বুঝতে পারছে না ছোট্ট মেয়েটা।
মিনতিদের কাছে এবার তাই পুজোটা কেমন একটা ঠেকছে। তাদের বাবারা এই সময়ই কলকাতায় যায়। কেউ ঢাকি, কেউ মণ্ডপ বানায়, কেউ জামা-কাপড় বিক্রি করতে যায়, আবার কেউ ওই চারটে দিন কোনও প্যান্ডেলের সামনে খাবারের স্টল দেয়। কাল মহালয়া, অথচ তেমন তাড়াহুড়ো দেখতে পাচ্ছে না মিনতিরা। শহরে সবাই কেমন একটা আন্দোলনের মুডে আছে। পুজোটা অন্ধকার হয়ে গিয়েছে কিরণ সাউয়েরও। তিনি দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি, পুজোটা এত মর্মান্তিক হয়ে আছড়ে পড়বে তাঁর কাছে। সামান্য জ্বর আর শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল মেয়েটা। হেঁটেই ঢুকেছিল। কিন্তু ফিরল না। টান উঠল। দু’ঘণ্টা ধরে ছটফট করল। তারপর সব শেষ। হাসপাতালের এক কর্মী অক্সিজেন লাগানোর চেষ্টা করল... হল না। নিথর হয়ে গেল মেয়েটা। কাল মহালয়া। মা আসছেন। অমাবস্যা কাটলেই শুরু হয়ে যাবে দেবীপক্ষ। তার ঠিক আগে চলে গেল মেয়েটা। খবরটা শুনে বিশ্বাস হয়নি। মেয়ের না থাকাটা মাথায় আঘাত করা মাত্র এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল সব। যন্ত্রণা ধরে রাখতে পারেননি। সেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন ডাক্তারদের উপর। মারধর করেছিলেন তাঁরা। তারপর থেকেই সাগর দত্তর ডাক্তাররা কর্মবিরতিতে চলে গিয়েছেন। বোঝেননি সদ্য কন্যাহারা মা। বোঝেননি, ডাক্তার-নার্সদের গায়ে হাত তোলা উচিত হয়নি তাঁদের। তাঁরা মানুষকে পরিষেবা দেন। প্রাণে বাঁচান। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেন। কিরণ দেখেছেন, কত্ত লোক এই আন্দোলনে ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়ে গিয়েছেন। ওই অভয়া মেয়েটার জন্য। কিন্তু তাঁর মেয়ে...?
কিরণ সাউ মা। নারী সমাজের প্রতিনিধি। অভয়াও তাই ছিলেন। আর মিনতি ভবিষ্যৎ। দেবীপক্ষ শুরু হলে যে মা মর্ত্যে আমাদের মধ্যে আসছেন, তাঁরই অংশ। এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে ইতিহাস সাক্ষী, যখন প্রয়োজন হয়েছে, পুরুষকুল নতজানু হয়েছে একজন দেবীর কাছে। নারীর কাছে। প্রবল পরাক্রমী মহিষাসুর যখন দৈব বলে দেবতাদেরই কাবু করে ফেলেছিলেন, তখন শরণ নিতে হয়েছিল এক নারীরই। মা দুর্গা। এই দেবীরই বরে রামচন্দ্রের সব মারণ অস্ত্র রাবণকে ছুঁতে পারেনি। স্বয়ং প্রজাপতি ব্রহ্মার পরামর্শে রাম তখন আরাধনা করেছিলেন দেবী দুর্গার। এই শরতে। মান সরোবর থেকে নিয়ে আসা ১০৮টি পদ্ম উৎসর্গ করছিলেন রামচন্দ্র। কিন্তু মা দুর্গা তার থেকে একটি লুকিয়ে ফেলেছিলেন। শেষ পদ্মটি খুঁজে না পেয়ে নিজের নীলবর্ণ পদ্মের মতো চোখ উৎসর্গ করতে গিয়েছিলেন রাম। দেবী নিজেই তখন তাঁকে বাধা দেন। সেই ছিল মায়ের অকাল বোধন। কখনও তিনি চণ্ডী, কখনও কালী, কখনও মা তারা। তিনি সর্বভূতেষু। মাটি, ইট, কাঠ, পাথর, বাতাস, ধুলিকণায়... আশ্বিনের হাওয়া গায়ে লাগলে যেন তাঁর অধিষ্ঠানের সেই গন্ধ আরও বেশি করে নাড়া দিয়ে যায়। মা আসছেন। মা আছেন। তিনি শক্তিরূপেণ, শান্তিরূপেণ, আবার লজ্জারূপেণও। তাঁকেই বর্ণনা করা হয়েছে জাতিরূপেণ, বুদ্ধিরূপেণ, বা ক্ষুধারূপেণ শব্দে। এরপরও কেন তাহলে নিরাপত্তার দাবিতে পথে নামতে হয় নারীদের? কেন চাইতে হয় অধিকার? কেন ‘রাত দখল’ করতে হয়? কেনই বা জন্ম নেয় এই শব্দবন্ধ? কারা নেয় রাতের দখল? এটা কি মেয়েদের জন্যও অসম্মানের নয়? নাকি দিন, রাত, ঘড়ির কাঁটার ফেলে যাওয়া প্রত্যেকটি মুহূর্তে নারীর অধিকার নেই? তাঁর গর্ভ থেকে যখন সন্তান জন্ম নেয়, সেটা একজন নারীর জীবনের ঐশ্বরিক মুহূর্ত। সেই সন্তান যদি গভীর রাতে ভূমিষ্ঠ হয়, তাহলে কি রাতটা ওই মায়ের নয়? নাকি নয় সেই কন্যাসন্তানের? 
আসলে দৈন্য যে আমাদের ভাবনায়। আর এই ‘আমরা’র মধ্যে ছেলেদের সঙ্গে জমিয়ে বসে আছে মেয়েরাও। আজও কোনও না কোনও সংসারে গরিব ঘর থেকে আসা ‘নিরুপমা’কে প্রাণ দিতে হচ্ছে পণের জন্য। শিক্ষিতা-মেধাবী নববধূকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে স্বামীর মুখের দিকে, যদি তিনি চাকরি করার অনুমতি দেন। আর সেই অনুমতি না পেলে, তিনি সেটাও মেনে নিচ্ছেন। একবারও তাঁর মনে হচ্ছে না, কোনও স্বামী তাঁর ‘বউকে চাকরি করতে দেওয়ার’ সঙ্গে ‘চাকরি করতে না দেওয়ার’ কোনও ফারাক নেই। যে সমাজ আজ অভয়ার বিচার চেয়ে রাতের শহরকে বিনিদ্র করে তুলছে, তারাই ১২টার সময় কোনও মেয়েকে অফিস থেকে ফিরতে দেখলে চোখ কুঁচকাবে। বাড়ির ছেলে গভীর রাতের পার্টিতে যেতে পারে, মেয়ে নয়। নিরাপত্তার আশঙ্কা? সেটাই যে শেখানো হয় মেয়েদের। আমরা শেখাই। আমরা দেবীর বীরত্বের পুজো করি, আর কন্যাসন্তানকে বলি, বাড়ির ভিতর থাকো। সমস্যার মোকাবিলা কোরো না। কেউ কিছু বলতে গেলে পালিয়ে এসো। তাই সমাধানও অধরা থেকে যায়। বাড়তে থাকে আতঙ্ক। সেই সাহস ফিরে পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয় আবার কোনও নির্ভয়া বা অভয়ার চলে যাওয়ার। 
শ্রীরামপুর থেকে নিউ মার্কেটে শপিং করতে আসা তিন বান্ধবীও যে সে কথাই বলছিল। কলেজ পড়ুয়া। কেনাকাটা শেষে রেস্তরাঁয় খেয়ে বাড়ি ফিরবে। অত রাতে ফিরতে ভয় করবে না? একজন বলছিল, ‘না দাদা, করবে না। আমরা সাহস পেয়েছি কি না জানি না। তবে কিছু লোক ভয় পেয়েছে।’ জানতে ইচ্ছে করে, অন্যের ভয়ের আশায় আমাদের ঘরের দুর্গা, কালী, তারাদের কেন বসে থাকতে হবে? আর কতদিনই বা এই অপেক্ষা? এই মিছিল কাল শেষ হবে। কেউ প্রচার ঘরে তুলবে, কেউ অন্য কোনও স্বার্থ। সত্যিকারের বিচারের দাবিতে পথে দাঁড়িয়ে থাকা আম আদমি তখন আবিষ্কার করবে, সে বিলকুল একা। সে দেখবে, মানুষ, নেতা, মন্ত্রী, প্রশাসন... সব বদলে গেলেও সমাজটা বদলায়নি। যারা সেদিন ভয়ে মাথা নিচু করেছিল, তাদের দাঁত-নখ আবার বেরিয়ে এসেছে। অর্থাৎ, নিরাপত্তা আসেনি। আর হ্যাঁ, আসবেও না। তার জন্য সমাজকে বদলাতে হবে। একজন নারীর বিচার চাইতে গিয়ে আর একজন নারীকে হেনস্তা সমাধান নয়। কিংবা একজন কিশোরী বা যুবতীর প্রাণ চলে যাওয়াটাও জাস্টিস নয়। প্রতি ক্ষেত্রেই আমরা অস্বীকার করছি মাতৃসত্ত্বাকে। যে মায়ের সামনে বসে ভক্তিতে গদগদ হয়ে থাকছি, তাঁকেই সমাজের মাটিতে দাঁড়িয়ে অপমানিত করছি বারবার। কীসের সংরক্ষণ? কীসের ছাড়? অধিকার ছাড়া আর কোনও শব্দ কি নারী বা পুরুষ কারও জন্য যথাযোগ্য হতে পারে? সমাজের দুর্ভাগ্য, নারীদের আজও এই সমাজ পণ্য হিসেবেই দেখে চলেছে। রাস্তাঘাটে, সিনেমার স্ক্রিনে, বা সম্বন্ধ দেখতে গিয়ে। তাই অধিকার শব্দটা মাথাতেই আসে না। শুধু শোনা যায় মিছিল, মিটিং, রাজনীতির মঞ্চে। 
ঠান্ডা মাথায় ভাবলে দেখতে পাবেন, অভয়া শেষ পর্যন্ত একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়েই থেকে যাচ্ছে। যত মানুষ ডাক্তারদের জন্য পথে নেমেছিলেন, তাঁরা এখন দেখছেন, এই আন্দোলনে সাধারণের জন্য কিছু নেই। সবটাই মূল আন্দোলনকারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সব ধরনের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার দাবি নয়, হাসপাতালে সুরক্ষা নিয়ে তাঁদের আন্দোলন। ওষুধ কোম্পানিদের চাপিয়ে দেওয়া অগ্নিমূল্য নয়, বিক্ষোভের লক্ষ্য স্বাস্থ্যসচিব। প্রতি বছর লাফিয়ে বাড়তে থাকা ডাক্তারদের ফি বা চিকিৎসা খরচ নয়, এই আন্দোলন হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী এবং সিসি ক্যামেরা নিয়ে। অথচ অভয়ার মৃত্যুকে সামনে রেখে রক্ষণশীল এবং হিপোক্রিট সমাজের গোড়ায় ঘা দেওয়ার সুযোগ একটা ছিল। কিন্তু আন্দোলন সে পথে যায়নি। গেলে অভয়া বিচ্ছিন্ন হতেন না। প্রত্যেক মেয়ের মধ্যে থেকেই একজন অভয়া জন্ম নিতেন। বন্ধু বা সহকর্মী হয়ে যাঁরা পিঠে ছুরি মেরেছিল, চিনিয়ে দিতেন তাঁদের। কর্মক্ষেত্রে প্রত্যেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতেন। বদল আনতেন তাঁরা নিজের বাড়িতে, অফিসে, বাসে, রাস্তায়। নিঃশব্দে। আর সর্বত্র তাঁদের পাশে পেতেন পুরুষ সমাজকেও। তাহলে কিন্তু কিরণ সাউদের সন্তান হারাতে হতো না। মিনতিদেরও একবুক যন্ত্রণা নিয়ে পরের পুজোর অপেক্ষায় থাকতে হতো না।
বলছেন ‘তাঁরা’... উৎসব চান না। তাই খরচে কোপ। খানিক আনন্দ হতে পারে। সঙ্গে নতুন জামা, বাইরে খাওয়া, নিজের বুটিক-পার্লারের বিজ্ঞাপন, আর খুব বেশি হলে ঘুরতে যাওয়া। কিন্তু উৎসব নয়। এ এক অদ্ভুত ট্রানজিশনের মধ্যে দিয়ে চলেছে আমাদের সমাজ। সিবিআই যা করছে, তাতে যদি জাস্টিস না আসে, কী তাহলে ন্যায়বিচার? নতুন জামা, রেস্তরাঁয় খাওয়া, আর প্যান্ডেল হপিং যদি উৎসব না হয়... উৎসব তাহলে কী? প্রান্তিক মানুষের আনন্দে কোপ ফেলা? কেন তাঁরা বলতে পারছেন না যে—অন্যের ভয় নয়, নিজের সাহসের উপর ভর করে কোনও সদ্য যুবতী যেদিন একা বাড়ি ফিরতে পারবে, প্রকৃত উৎসব হবে সেদিন। একজন মেয়ের বাবা যেদিন সমাজের উপর, আপনাদের উপর ভরসা রাখতে পারবেন, উৎসব তোলা থাকবে সেদিনের জন্য। আর হ্যাঁ, ন্যায়বিচারের নামে স্বার্থ-সুযোগ ঝেড়ে যেদিন অভয়াকে কেউ আর রাজনীতির ঘুঁটি করবে না... প্রকৃত উৎসব হবে ওই দিনও। 
01st  October, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন ও মমতার চ্যালেঞ্জ
হিমাংশু সিংহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছাব্বিশে, না তারও আড়াই বছর বাদে উনত্রিশের সম্মিলিত নির্বাচনে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁকে প্রধান মুখ করে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পাটনা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে দিল্লির প্রধান বিরোধী দলগুলির মধ্যে। বিশদ

15th  December, 2024
মৌলবাদ: চক্রান্ত রুখছেন রাজ্যের মুসলিমরাই
তন্ময় মল্লিক

‘কোটা’র বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে ঘটেছিল তথাকথিত ‘গণঅভ্যুত্থান’। কোটাপ্রথার বিলোপই যদি লক্ষ্য হতো, তাহলে ৫আগস্ট  আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটত। শেখ হাসিনা দেশত্যাগী হয়েছেন। কিন্তু দেশে শান্তি ফেরেনি। বিশদ

14th  December, 2024
বিজেপি-সখ্যে আঞ্চলিক দলের ক্ষতি হচ্ছে
সমৃদ্ধ দত্ত

বিগত ১০ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে যে আঞ্চলিক দলই সখ্য স্থাপন করেছে, তাদেরই চরম রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। হয় তারা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে অথবা সরকার থেকে পদচ্যুত হয়েছে। কিংবা নিজেদের রাজ্যে গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে। বিশদ

13th  December, 2024
দেশে এবার ‘কৃষ্ণ বিপ্লব’ আসন্ন!
মৃণালকান্তি দাস

দেশের এক আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) অধিকর্তা দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি মন্ত্রবলে ‘ভূত ছাড়াতে’ পারেন। বেশ কয়েক বছর আগে একটি পরিবারকে তিনি ‘অশুভ আত্মার কবল থেকে মুক্ত’ করেছিলেন বলে দাবি করেন প্রযুক্তিবিদ্যার ওই বিশেষজ্ঞ। বিশদ

12th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

11th  December, 2024
হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
একনজরে
মাদক কারবার থেকে চোরাচালান। মানব পাচার থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ। সবমিলিয়ে ক্রমশ স্পর্শকাতর নেপাল ও ভুটান সীমান্ত। এজন্যই ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চলছে সংশ্লিষ্ট দুই সীমান্তে। একইসঙ্গে ...

সম্প্রতি শহরে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের এই সাফল্যকে সামনে এনে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র দাবি করলেন, বাংলায় পড়াশোনোর বহর বাড়ছে। সেই কারণেই মেধার বিস্তৃতি সম্ভব হচ্ছে। ...

শুক্রবার ভোরে কালীগঞ্জের বড়চাঁদঘর পঞ্চায়েতের তেজনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি মোবাইল দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। দোকানের শাটার ভেঙে দুষ্কৃতীরা লক্ষাধিক টাকার মোবাইল চুরি করে ...

শনিবার তেলেঙ্গানায় সন্তোষ ট্রফির মূল পর্বের গ্রুপ লিগে বাংলার প্রতিপক্ষ মণিপুর। সম্প্রতি ভারতীয় ফুটবলের সাপ্লাই লাইন এই রাজ্য। একাধিক ফুটবলার আইএসএলে বিভিন্ন দলের হয়ে মাঠ কাঁপাচ্ছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০১: শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক প্রসন্নকুমার ঠাকুরের জন্ম
১৯১১: প্রতিষ্ঠিত হল সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
১৯৫৯: ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের জন্ম
১৯৬৩: অভিনেতা গোবিন্দার জন্ম
১৯৯৮: নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে ‘দেশিকোত্তম’ দিল বিশ্বভারতী
২০১২: পরিচালক যীশু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.১৩ টাকা ৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৭ টাকা ১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ১৫/১৫, দিবা ১২/২২। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৫৯/৫৫ শেষ রাত্রি ৬/১৪। সূর্যোদয় ৬/১৬/১৭, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/১১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪২ গতে ৯/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/১৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
৫ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী দিবা ১/৫৮। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৯, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৮ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৪ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৩ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২০ মধ্যে।
১৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইএসএল: মুম্বই সিটি ১-চেন্নাই ০ (৩৭ মিনিট)

05:41:00 PM

উজ্জয়নীতে জনসভা মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের

05:39:00 PM

জয়পুরে রিভিউ মিটিংয়ে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা

05:36:00 PM

দিল্লিতে জরুরি বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা

05:29:00 PM

আইএসএল: মুম্বই সিটি ১-চেন্নাই ০ (১০ মিনিট)

05:13:00 PM

গুজরাতের রণ উৎসব সবাইকে যোগদানের আহ্বান মোদির

05:11:00 PM