কাপড়ের ব্যবসায় অগ্রগতি। পেশাদার শিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। উচ্চ/উচ্চতর শিক্ষায় উন্নতি। ... বিশদ
বর্ষার শেষ লগ্ন থেকে বিয়ের মরশুমে ভাটা পড়ে। নভেম্বর থেকে ফের বিয়ের ধুম পড়ে যায়। আগামী দু’মাসে মোট ১৮টি বিয়ের তারিখ আছে এবার। গতবার এই সংখ্যাটা ছিল ১১। গত বছর নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে বিবাহ অনুষ্ঠান কেন্দ্রিক ব্যবসা হয়েছিল ৪.২৫ লক্ষ কোটি টাকার। এবার তা ৫.৯ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে সমীক্ষায়। ইতিমধ্যে বেলাগাম মূল্যবৃদ্ধির জেরে প্রতি ক্ষেত্রে খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। এই কারণেও আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ বাড়বে। ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশনের নোটিস এবং বিভিন্ন অডিটোরিয়াম, হোটেল, গেস্ট হাউস, রিসর্ট, ডেস্টিনেশন প্রপার্টির বুকিং অনুযায়ী এই সময়কালে প্রায় আধ কোটি বিয়ে হবে বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও ভারতের মতো বিপুল জনসংখ্যার দেশে এই পরিসংখ্যান যে চূড়ান্ত নয়, তা বলাই বাহুল্য। গয়না থেকে বস্ত্র, বাড়িভাড়া থেকে পরিবহণ, ভোগ্যপণ্য থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, হোটেল ব্যবসা থেকে সাধারণ বিমান, ট্রেন, চার্টার্ড ফ্লাইট বুকিং, খাদ্য ও বিনোদন, উপহার ইত্যাদি খাতে খরচের বহর যে চমকে ওঠার মতো, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সমীক্ষা বলছে, শুধুমাত্র দিল্লিতেই হবে সাড়ে ৪ লক্ষ বিয়ে। এক্ষেত্রে মোট খরচ হতে পারে ১ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে কম বাজেটের বিয়ে অর্থাৎ ৩ লক্ষ টাকার মধ্যে মিটবে প্রায় ১০ লক্ষ বিবাহ।
ব্যবসায়ীদের আক্ষেপ, বছরে গড়ে অন্তত পাঁচ হাজার পরিবার বিদেশের মাটিতে বিয়ের আসর বসায়। তাতে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা মার খায়। একটি বিয়ের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে যে খরচপাতি হয়,তার প্রায় ৭০ শতাংশ দখলে রাখে পরিষেবা শিল্প। ৩০ ভাগ খরচ হয় কেনাকাটায়। ব্যবসায়ীদের দাবি, বিদেশের মাটিতে বিয়ে হলে বিয়ের মোট খরচের অন্তত ৮০ শতাংশই সংশ্লিষ্ট দেশে হয়। অর্থাৎ ওই ব্যবসা হারায় দেশীয় সংস্থাগুলি। তাই তাঁদের আর্জি, বিয়ের আসর বসুক এদেশেই। তাতে আরও শ্রীবৃদ্ধি হবে দেশীয় ব্যবসার।