কাপড়ের ব্যবসায় অগ্রগতি। পেশাদার শিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। উচ্চ/উচ্চতর শিক্ষায় উন্নতি। ... বিশদ
কয়েকদিন আগেই ডিভিসির ছাড়া জলে দু’কূল ভাসিয়ে প্লাবিত হয়েছিল দামোদর। ডিভিসি জল ছাড়া সদ্য কমিয়েছে। শিল্পাঞ্চলেও ধারাবাহিক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর জেরে দামোদর, বরাকর নদীতে জলের যথেষ্ট স্রোত রয়েছে। তাই মহালয়ার দিন তর্পণ ঘিরে নদীঘাটে কঠোর নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করে পুলিস ও প্রশাসন। নদীর গভীরে না যাওয়ার জন্য, ঘাট থেকে বারবার মাইক হাতে ঘোষণা করে পুলিস। বিভিন্ন বিপজ্জজনক এলাকা ঘিরে দেওয়া হয়। একাধিক জায়গা টাঙানো হয়েছিল সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড। বোটে করে নদীতে নজরদারি চালাতে দেখা যায় সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের। তাদের সঙ্গে ছিল পুলিসও। প্রতিবারের মতো এবারও বার্নপুরের ধেনুয়ায় মহালয়ার দিন শুরু হয়েছে দুর্গাপুজো। একদিনের পুজো দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজনকে আসতে দেখা যায়।
কয়েক বছর আগে বার্নপুরে দামোদরের ঘাটে তর্পণ করতে গিয়ে জলে তলিয়ে গিয়েছিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটকের দাদা অসীম ঘটক। বার্নপুরে দামোদরের ঘাটগুলি এমনিতেই বিপজ্জনক। হাজার হাজার মানুষ ঘাটগুলিতেই তর্পণ করেন। এবার ডিভিসি মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে পুলিস ও প্রশাসন একাধিক পদক্ষেপ নেয়। পুলিস আধিকারিকরা ভোর থেকেই বার্নপুরের নেহরু পার্কের কাছের ঘাট, ভুতাবুড়ি ঘাটগুলিতে পরিদর্শন করতে থাকেন। সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের মোতায়েন করা হয়। বরাকর ও অজয় নদের ঘাটগুলিতেও বাড়তি নজর রাখা হয়। এসিপি ইপ্সিতা দত্ত বলেন, আমরা প্রতিটি ঘাটেই বাড়তি নজরদারি করেছি।
ধেনুয়ায় তেজানন্দ ব্রহ্মচারীর আশ্রমে এদিন ঘটা করে দুর্গাপুজো হল। এক দিনেই ষষ্ঠী থেকে দশমীর পুজো হয়। মায়ের সঙ্গে থাকে তাঁর দুই সখী জয়া ও বিজয়া। এলাকার বাসিন্দা নারায়ণ দত্ত বলেন, তেজানন্দ ব্রহ্মচারী মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন। তিনিই পুজো শুরু করেন। ১৯৭৯সাল থেকে পুজো শুরু হয়।
কাটোয়া শহরে ভাগীরথীতে কড়া পুলিসি নজরদারির মধ্যে তর্পণ হয়। প্রতিটি ঘাটেই পুলিস ও বিপর্যয় মোকাবিলার বাহিনী মোতায়েন ছিল। ঘাটগুলিতে ভাসমাস টিউব দেওয়া হয়। কালনা, নাদনঘাট, পূর্বস্থলী থানা এলাকার ভাগীরথী নদীর বিভিন্ন স্নানঘাটে তর্পণ সারেন হাজার হাজার মানুষ। ধাত্রীগ্রামের মালতিপুর স্নানের ঘাটে তর্পণ সারেন এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।