কাপড়ের ব্যবসায় অগ্রগতি। পেশাদার শিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। উচ্চ/উচ্চতর শিক্ষায় উন্নতি। ... বিশদ
দেবীপক্ষ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুজোর উদ্বোধনও শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল থেকেই শিলিগুড়ির আকাশ ছিল মেঘলা। মাঝে কয়েকবার সূর্যের দেখা মিললেও রোদের তেজ ছিল না। বিকেলের পর আবার আকাশে মেঘ জমলেও বৃষ্টি হয়নি। এমন আবহাওয়ায় দেবীপক্ষের দুপুর থেকে হিলকার্ট রোড, বিধান মার্কেট, শেঠ শ্রীলাল মার্কেট, এনজেপি বাজার, হকার্স কর্নার, জংশন মার্কেট, এসজেডিএ মার্কেট, চম্পাসারি বাজারে ভিড় করেন ক্রেতারা। বর্ধমান রোড, সেভক রোড ও সিটি সেন্টারের শপিং মলেও ছিল ভিড়। বিশেষ করে পোশাক ও মেয়েদের সাজসজ্জার দোকান ছিল ভিড়েঠাসা। হিলকার্ট রোড ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সনৎ ভৌমিক বলেন, বাজারে পাহাড়, সমতল ও তরাই-ডুয়ার্সের চা বাগানের লোকরা ভিড় করেন। পুজোর ব্যবসা জমে উঠেছে।
এদিন সকাল থেকেই জলপাইগুড়ি রেডিমেট জামাকাপড়, শাড়ি সহ কসমেটিক্সের দোকানে ভিড় ছিল ক্রেতাদের। বিভিন্ন শপিংমলেও ভিড় ছিল। সদর শহরের মতো ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি, রাজগঞ্জ এলাকার বাজারের ছবিও ছিল একই রকম। আবহাওয়া মনোরম হওয়ায় আলিপুরদুয়ারের মাড়োয়ারিপট্টি, বাটা মোড়, পুরসভার সুপার মার্কেটে ক্রেতাদের ঠাসা ভিড় ছিল। আলিপুরদুয়ার টাউন ব্যবসায়ী সমিতির সহ সম্পাদক সন্দীপ ভার্মা বলেন, বাজার জমায় খুশি। পুজোর এই কেনাকাটার ভিড় সপ্তমী পর্যন্ত চলবে বলেই আশা করছি। এদিন কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ বাজার, হরিশ পাল চৌপথি, সুনীতি রোড, বিশ্বসিংহ রোড, স্টেশন চৌপথি প্রভৃতি এলাকার বস্ত্র বিপণী ও শপিংমলে নজরকাড়া ভিড় ছিল। জেলার দিনহাটা, মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জ, হলদিবাড়ি ও মেখলিগঞ্জের বাজারের ছবিটাও ছিলও একই রকম।
এদিকে, মহালয়ার ভোরে মহিষাসুরমর্দিনী সম্প্রচার করে শিলিগুড়ি পুরসভা। তাতেই ঘুম ভাঙে শহরবাসীর। নাগরিকদের একাংশ তর্পণের জন্য মহানন্দা নদীর লালমোহন মৌলিক ও পার্বতী ঘাটে ভিড় করেন। নদীর জলে নেমে পুরোহিতের সঙ্গে মন্ত্রোচ্চারণ করে তর্পণ সারেন। লালমোহন মৌলিক ঘাটে মেলাও বসে। তর্পণ পর ঘাটেই সকালের টিফিন সেরে বাচ্চাদের জন্য খেলনা কিনে বাড়ি ফেরেন অনেকে। বালাসন, চামটা, পঞ্চানই নদীর ঘাটেও তর্পণ হয়েছে। পিতৃপুরুষের আত্মার শান্তি কামনায় বাড়িতেই পিতৃতর্পণ করেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার মহানন্দা নদীর ঘাটে, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা দার্জিলিং জেলা মুখপাত্র (সমতল) বেদব্রত দত্ত পিতৃতর্পণ করেন। একইরকম দৃশ্য আলিপুরদুয়ারের কালজানি, নোনাই ও গদাধর, জলপাইগুড়ির তিস্তা, কোচবিহারের তোর্সা নদীতে দেখা গিয়েছে।