Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ইলিশের গল্প, ইলিশের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

দেশ ভাগ হয়েছে কবেই। সীমান্তে এখন কাঁটাতারের বেড়া। তবু আজও দশমীর সকালে বাংলাদেশের পাবনা থেকে জোড়া ইলিশ নিয়ে সান্যাল বাড়িতে হাজির হন মহম্মদ আব্দুল। জলপাইগুড়ি শহরের কামারপাড়ার সান্যাল বাড়ির দুর্গাপুজোয় সেই ইলিশ দেবী দুর্গার সামনে কুলোয় রেখে বরণ করেন পরিবারের বধূরা। সঙ্গে থাকে লাউয়ের ডগা ও বেগুন। বাড়ির বধূরা নতুন শাড়ি পরে, মুখে পান দিয়ে ইলিশ না ভেজেই রান্না করেন। তা দিয়েই হয় দেবীর ভোগ।
১৯৪১ সাল নাগাদ অবিভক্ত বাংলাদেশের পাবনা জেলার বখতারপুরে সান্যাল পরিবারের দুর্গাপুজোর সূচনা হয়েছিল। সান্যাল পরিবারের পুজোয় মহম্মদ আব্দুলদের পূর্বপুরুষেরা জোড়া ইলিশ পৌঁছে দিতেন। দেশের বাড়ির ঠাকুর দালানের মাটি মাথায় করে নিয়ে এসে জলপাইগুড়িতে ঠাকুর দালান গড়ে তুলেছিলেন পরিবারের তৎকালীন কর্তা জয়চন্দ্র সান্যাল। দেশ ভাগ হলেও বংশের পরম্পরা মেনেই আজও আব্দুল দশমীতে জোড়া ইলিশ জলপাইগুড়িতে পৌঁছে দেন। বাংলার দুর্গাপুজোকে ঘিরে ইলিশের এমন কাহিনি যে কত ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তা কে জানে। আজও দুর্গাপুজোয় অনেক বাড়ির পুজোর ভোগে ইলিশ চাই-ই চাই।
ইতিহাস জানাচ্ছে, ইলিশ রান্নার কাহিনি রয়েছে ‘পদ্মপুরাণ’-এও। ‘রোহিতের মুণ্ড দিয়া রান্ধে মুলাশাক/ সরিষার শাক রান্ধে ইলিশার শিরে।’ পদ্মপুরাণে বরিশালের ভূমিপুত্র মনসামঙ্গল–এর রচয়িতা বিজয়গুপ্ত লিখছেন, ‘আনিআ ইলিশ মৎস্য করিল ফালা ফালা/ তাহা দিআ রান্ধে ব্যঞ্জন দক্ষিণ সাগর কলা।’ এপাড় বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে এক সময় ইলিশ মাছ বাড়িতে প্রথম আনা হলে, ইলিশের এক খাবলা আঁশ তুলে নিয়ে বাড়ির উঠোনে পুঁতে দেওয়া হতো। বিশ্বাস ছিল, এর ফলে বাড়িতে ধনসম্পত্তি বাড়বে আর বড় ঘরে বাড়ির ছেলে-মেয়ের বিয়ে হবে। কলকাতার অনেক বনেদি বাড়িতে পরম্পরা ছিল, বাড়িতে প্রথম আসা ইলিশকে সিঁদুর মাখিয়ে বিয়ে দেওয়া হতো রান্নাঘরের সিঁদুর মাখানো নোড়াটির সঙ্গে। বিয়ের পর সেই মাছ কেটেকুটে পাঠানো হতো গুরু বা কুলপুরোহিতের বাড়ি। ভাগ পেত আশপাশের ঠাকুরের থানও।
নদীমাতৃক বাংলাদেশে ‘পদ্মা’ নামাঙ্কিত বজরায় কাল অতিবাহিত করেও রবীন্দ্রনাথের মন কখনও কেন ‘ইলিশময়’ হয়ে ওঠেনি, তা অবশ্যই এক বিস্ময়! এমন নয় যে, মাছ নিয়ে কবিগুরুর ছুৎমার্গ ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলে গিয়েছেন, ‘জেনো বাসনার সেরা বাসা রসনায়’। আর তাই বোধহয় তাঁর ‘দামোদর শেঠ’ ‘অল্পেতে খুশি’ হয় না। তাঁর মুড়কির মোয়া চাই, চাই ভাজা ভেটকি। কবি তো ‘দামোদর শেঠ’র সঙ্গে ভেটকির অন্ত্যমিল খুঁজে পেয়েছিলেন। চিতল মাছকে বলেছেন ‘মিঠাই গজার ছোট ভাই’। নৌকাডুবিতে রমেশ কালিদাসকে দিয়ে আওড়েছেন, ‘স্বপ্ন নয়, মায়া নয়, মতিভ্রম নয়, এ যে রুই মাছের মুড়ো!’ স্মৃতিচারণা করেছেন পারিবারিক মাঝি আব্দুলকে নিয়েও, যিনি ‘হালের কাছে বসে থাকতেন, যাঁর দাড়ি ছিল ছুঁচলো, গোঁফ কামানো ও মাথা নেড়া’ এবং যিনি তাঁর দাদাকে এনে দিতেন ‘পদ্মার ইলিশ ও কচ্ছপের ডিম’। ব্যস ওইটুকুই! ইলিশ নিয়ে রবীন্দ্রনাথের মতো একই রকম আবেগহীন নজরুলও। ইলিশ যেন তাঁর কাছে কাব্যে উপেক্ষিতা ঊর্মিলা! অথচ তাঁদের উত্তরসূরি বুদ্ধদেব বসুর কলমে ইলিশ ‘রজতবর্ণ মনোহরদর্শন মৎস্যকুলরাজ মহান’ এবং বিস্ময়করভাবে ‘প্রতিভাধর’! ইলিশ নিয়ে বাঙালির এই বিহ্বলতা কত কালের, কে জানে। এত কাব্যও আর কোনও মাছ নিয়ে হয়েছে কি না, সন্দেহ।
এই ইলিশ ঘিরেই তো কত রাজনীতি। কত আকচা–আকছি। কত গবেষণা, ইলিশের বংশ ও কুল রক্ষার এমন প্রাণান্ত প্রচেষ্টাও পৃথিবীর কোনও প্রান্তে কোনও মাছের জন্য হয়তো হয়নি। যেন ইলিশের থাকা না থাকার উপর নির্ভর করে রয়েছে বাঙালিত্বের টিকে থাকার প্রশ্ন। যদিও সেখানেও ভাগাভাগি। কেউ বলেন ইলিশই এই দুনিয়ায় একমাত্র রাজনৈতিক মাছ। কেউ বলেন, কূটনৈতিক মাছ। ইলিশ নিয়ে বাঙালির বিহ্বলতা, কাব্য, আবেশ এবং ‘ভারত-বাংলাদেশ’ দু’দেশের অন্তহীন আকচা–আকচি আর কোথাও সম্ভবত নেই।
বাংলাদেশে ঢোকার পর গঙ্গার নাম হয়েছে পদ্মা। কেউ ভাবে না, নদীটা কিন্তু এক। এই নদীতে ‘ডায়াকম’ নামে এক শেওলা জন্মায়। সেই শেওলা ইলিশের অতি প্রিয় খাদ্য। আশ্চর্য, ডায়াকম কিন্তু মেঘনা বা অন্য নদীতে জন্মায় না। পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গার তুলনায় বাংলাদেশের পদ্মা আড়ে–বহরে, দৈর্ঘ্যে–প্রস্থে বেশি। ফলে ডায়াকমের পরিমাণও বেশি। পদ্মার ইলিশের স্বাদ বেশি হওয়ার বৈজ্ঞানিক কারণ সেটাই। নব্বই দশকের একটি জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন ছিল: ‘বাতির রাজা ফিলিপস, মাছের রাজা ইলিশ।’ সময়ের পরিক্রমায় বাতির রাজা হারিয়ে গেলেও, ইলিশ কিন্তু আরও বেশি শক্তিশালী। সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক ক্ষেত্রে সেই ইলিশ নিয়ে চলেছে ঠান্ডা যুদ্ধ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসে কলকাতার বাঙালির পাতে। তা নিয়েও সমস্যার কিছু ছিল না। তবে সমস্যা বাঁধে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের টানাপোড়েনে। গত পঞ্চাশ বছরে এই টানাপোড়েনে ঢুকে পড়েছে ইলিশ।
হাসিনা সরকার বাঙালির ধর্মীয় পার্বণের প্রতি সম্মান ও সহানুভূতি দেখিয়ে বছরে তিনবার ইলিশ রপ্তানির চুক্তি করেছিল। যদিও খাতায়-কলমে বাংলাদেশ সরকার সেটাকে পুজো, নববর্ষ ও জামাইষষ্ঠীর ‘উপহার’ হিসেবেই দেখাত। গত বছরও, পুজোর মুখে, হাসিনা সরকার ৪ হাজার টন পদ্মার ইলিশ পাঠিয়েছিল। সে-সময়ও হয়তো দেশীয় বাজারে জোগানে টান পড়ত, কিন্তু পড়শি রাজ্যের সর্ববৃহৎ অনুষ্ঠানে যাতে বাঙালির পাত পদ্মার ইলিশের সুবাস থেকে বঞ্চিত না-হয়, সেটা দরদের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। হাসিনা পতনের পর সেই শিষ্টাচার ধরে রাখতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কতটা সচেষ্ট হবে– তা নিয়ে ধন্দ ছিল।
শেষ পর্যন্ত বাঙালির রসনায় থাবা বসিয়েছিল ভারত বিরোধী আবেগ। ক্ষমতায় এসেই সে-দেশের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছিলেন, দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে এ-বছর ওপার বাংলায় পদ্মা-মেঘনার ইলিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত খারিজ করা হয়েছে। তাঁর মতে, রপ্তানির ফলে দেশীয় বাজারে জোগান কমে যাওয়ার কারণে দেশবাসীকে বেশি দাম দিয়ে ইলিশ খরিদ করতে হয়। তারপর বাংলাদেশের মূলধারার মিডিয়া থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়ে গিয়েছিল ইলিশ নিয়ে রাজনীতি। সেইসব মন্তব্য দেখলে মনে হবে, যেন ইলিশ না এলে ভারতীয়রা অনাহারে থাকবে। চোখের জলে ভাসবে বাঙালিরা! নয়াদিল্লি অবশ্য জানিয়ে দিয়েছিল, ইলিশের মতো ‘ক্ষুদ্র ইস্যু’ ভারত-বাংলাদেশের কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কে কোনও প্রভাব ফেলবে না। শুধু তাই-ই নয়, ইলিশ রপ্তানি নিয়ে টানাপোড়েন চললেও, ভারত থেকে ডিমের আমদানি বন্ধ হয়নি। তার উপর বাংলাদেশের তরফে আলু ও পেঁয়াজের রপ্তানি অন্য বছরের মতোই স্বাভাবিক রাখার জন্য অনুরোধ এসেছে। ভারত রপ্তানি না-করলে বাংলাদেশে আলুর দাম দাঁড়াবে কেজি প্রতি ৭০ টাকা এবং পেঁয়াজ ১৪০ টাকা। ভারত থেকে স্বাভাবিক রপ্তানি পৌঁছলে কেজি পিছু আলুর দাম কমে হবে ৪০ টাকা এবং পেঁয়াজের কিলো প্রতি দাম ১০০ টাকার নীচে নামবে।
কয়েক সপ্তাহ পরেই বাংলাদেশের উপদেষ্টারা সেই অঙ্ক বুঝলেন, ৫ লাখ ৭১ হাজার টনের মতো ইলিশ উৎপাদিত হলে রপ্তানি না করে উপায় কই। ভারতে ইলিশ না গেলে মরবে তাঁদের দেশের মৎসজীবীরাই। কারণ, অত জোগানে বাংলাদেশে ইলিশের দাম কমে যাবে। কারবারিদের ক্ষতি হবে। বৈধপথে রপ্তানি বন্ধ থাকলে, অবৈধ পথে ইলিশ চোরাচালান বেড়ে যেতে বাধ্য। তাছাড়া বাঙালির অত্যধিক ইলিশপ্রেম অন্য প্রজাতির মাছও ক্রমে ধ্বংস করে দেবে। জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়ে পরিবেশের বারোটা বাজবে। ফলে ২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের তরফে জানানো হয়, পুজোর আগে ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানি হবে। মোট উৎপাদনের ০.৫ শতাংশেরও কম। রিজার্ভ ও রেমিট্যান্সে টানাটানির সময়ে বছরে গড়ে এক কোটি ডলারের আয় কে ছাড়তে চায়? ভারত থেকে শুঁটকি ও তাজা মাছ আমদানিতে ব্যয় হওয়া বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের প্রশ্নও রয়েছে। যদি ইলিশ না যায়, তাহলে আমদানি করা কাতলা থেকে কাঁচকির দাম গাঁটের বৈদেশিক মুদ্রা দিয়েই মেটাতে হবে। বাণিজ্য মন্ত্রকের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের বক্তব্য, ‘যারা ইমোশনালি কথাবার্তা বলে বলুক। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমি বিভিন্ন মহল থেকে বাহবা পাচ্ছি।’
বাংলাদেশের অনেকে মনে করেন, চুরাশি বছর আগে বুদ্ধদেব বসু ‘কলকাতার বিবর্ণ সকালে ঘরে–ঘরে ইলিশ ভাজার গন্ধ’ ও ‘সরস শর্ষের ঝাঁজে’ বর্ষার সঙ্গে ‘ইলিশ উৎসব’–এর যে অনবদ্য যুগলবন্দি সৃষ্টি করেছিলেন, আজ তা বাংলাদেশের কৃপার উপর নির্ভর করে জেগে রয়েছে। এই দৈন্যের মধ্যে গঙ্গা ও পদ্মার ইলিশের চুলচেরা বিশ্লেষণ ও কাজিয়া এখন কেমন যেন নিদারুণ ঠাট্টা ও অবিশ্বাস্য কৌতুক মনে হয়! ইলিশের আঁতুড়ঘর যে দেশ, বাজার ও ব্যাপারীদের বাড়াবাড়ির কারণেই সে দেশের অন্তত দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষ ইলিশের স্বাদ গ্রহণে অপারগ। বাংলাদেশের বাজার ক্রেতার প্রয়োজনমতো কেটে মাছ বিক্রি করে না। নিতে হবে গোটা। এ প্রশ্নে সব সরকারই উদাসীন। সবাই জানে, ব্যবসায়ীদের চটালে রাজনীতির ক্ষতি। সব শ্রেণির উপভোক্তার স্বার্থে কখনও বাংলাদেশে আন্দোলন গড়ে ওঠেনি। হাজার টাকা কেজি দরে গোটা মাছ কেনার সামর্থ্য যাঁদের নেই, ইলিশ তাঁদের কাছে মরীচিকাই। ইলিশের হাত ধরে সে দেশের হেঁশেলে হেঁশেলে আজও শোনা যায়নি সাম্যবাদের গান।
আর এপারে? ভাদ্র মাসের গুমোট গরম আর মাঝেমধ্যে ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে যাকে ভালোবাসার মতো পিঁড়ি পেতে দেয় আম বাঙালি, ‘ঝোলে ঝালে অম্বলে তোমাকে চাই’ বলে হাঁক পাড়লেও চালকুমড়ো বা কালো জিরে বাটা দিয়ে ইলিশের পদ রান্নার সাহস দেখাতে ক’জন পারেন— সেই প্রতিযোগিতা শুরু। পুজো মরশুমে বাঙালির হেঁশেল জানান দেয়, রাজার ঘরে যে ধন আছে, টুনির ঘরেও সে ধন আছে। 
অন্তত একদিন...অতএব, জলের রুপোলি শস্য ঘরে তুলে আনতে বাজারের থলিটা নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন। শারদ উৎসবে ইলিশ-দুপুর সবার শুভ হোক।
বাজল তোমার আলোর বেণু, মাতল রে ভুবন
সন্দীপন বিশ্বাস

আকাশজুড়ে যখন ফুটে ওঠে উৎসবের অলৌকিক আলো, ব্রাহ্মমুহূর্তের সেই নৈঃশব্দের মধ্যেই সূচনা হয়ে যায় দেবীপক্ষের। আর তখনই আগমনির সুরে বেতারে বেজে ওঠে আমাদের হৃদয় উৎসারিত শাশ্বত মন্ত্র। বিশদ

02nd  October, 2024
করুণা নয়, অধিকার
শান্তনু দত্তগুপ্ত

খুব দুঃখ হয়েছে মিনতির। ছোট্ট বছর সাতেকের মেয়ে। পুজো এলেই ওর মনে কেমন যেন রেলগাড়ি ছুটতে শুরু করে। পঞ্চমী এলেই ঢাকটাকে কাঁধে ফেলে বেরিয়ে পড়ে বাবা। মুখে একরাশ ভরসার হাসি। ফিরব যখন, নতুন জামা নিয়ে আসব। বিশদ

01st  October, 2024
মুছে যাওয়া ট্রামলাইন
সোমনাথ বসু

‘ও   বাবা, বাড়ি থেকে আসার সময় জাহাজ দেখাবে বললে যে। কিন্তু এটা কী? ছোট ট্রেন?’ বিশদ

01st  October, 2024
অগ্রাধিকারের তালিকা থেকে পড়শিরা বাদ
পি চিদম্বরম

আমাদের প্রতিবেশী অঞ্চলে, ভারতের সঙ্গে চীনের সীমান্ত দৈর্ঘ্য ৩,৪৮৮ কিমি। তবু কেউ চীনকে আমাদের প্রতিবেশী বলে মনে করে না।
বিশদ

30th  September, 2024
পুজো বিরোধী ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করুন
হিমাংশু সিংহ

ছোটবেলা থেকে জেনে এসেছি, যাই ঘটে যাক মাধ্যমিক পরীক্ষা, দুর্গাপুজোয় মিটিং মিছিল অবরোধ অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ। এই সময়টা সাধারণ মানুষের সঙ্গে রাজনীতিকদেরও দু’দণ্ড অবকাশের সময়। আন্দোলনের নামে রাজনৈতিক কূটকচালিরও ছুটি। বিশদ

29th  September, 2024
আর জি কর: বিজেপির প্রাপ্তি শূন্য
তন্ময় মল্লিক

‘এতদিন ধরে কেন মানুষকে নাকাল করা হল? মানুষকে খেপিয়ে কী লাভ হল? তাঁরা সমস্যায় পড়লেন। এর জবাব জুনিয়র ডাক্তারদের দিতেই হবে।’ এই বক্তব্যটা রাজ্যের শাসক দলের কোনও নেতার নয়, প্রবীণ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের। বিশদ

28th  September, 2024
কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির কাঠামো বদল দরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

 

অপরাধীদের কাছে একসময় আতঙ্কের নাম ছিল সিবিআই। শুনলেই ভয় ভয় লাগত তাদের। আর এখন সারাক্ষণ সিবিআই ভয়ে ভয়ে থাকে কোনও রাজ্যে অপরাধ ঘটেছে শুনলেই। ভয়ে ভয়ে থাকার কারণ হল, এখনই সিবিআই তদন্তের দাবি উঠবে। বিশদ

27th  September, 2024
সেভেন সিস্টার্স নয়, চট্টগ্রাম নিয়ে ভাবুন!
মৃণালকান্তি দাস

ক্ষমতা গ্রহণের আগেই নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের বক্তব্যকে বিকৃত করেছিল বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম। যাদের মূল এজেন্ডাই এখন ভারতের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো! বিশদ

26th  September, 2024
মোদিতন্ত্রের শিকার স্কুলশিক্ষা
হারাধন চৌধুরী

মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা। পড়াশোনা এবং কর্মসূত্রে ২০০৫ সাল থেকে পাঁশকুড়ায় আছেন। একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের‌ ইংরেজির শিক্ষক। আরও দুই যুবকের সঙ্গে হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে একটি সেলফি তুলে পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। তাঁদের পরনে ট্রাউজারের বদলে গামছা ও জামা, হাতে জুতো এবং পিঠে একটি করে ব্যাগ। বিশদ

25th  September, 2024
ইতিহাসে থেকে যাবে বাংলার অসম্মানটুকুই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রচার আর অপপ্রচারের মধ্যে ফারাকটা একচুলের। দুটোই চিরন্তন। আর দুটোই রাষ্ট্রের হাতিয়ার। তফাৎ? প্রথমটা গণতন্ত্রের অস্ত্র এবং দ্বিতীয়টি হিংসার। স্বৈরতন্ত্রের। সম্প্রতি সিবিআই নামক কেন্দ্রীয় সরকারি ‘যন্ত্র’টি সুপ্রিম কোর্টে বেধড়ক ঝাড় খেয়েছে। বিশদ

24th  September, 2024
কোবিন্দ কমিটির রিপোর্ট প্রত্যাখ্যাত হবে
পি চিদম্বরম

একযোগে নির্বাচনের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনে সরকারের প্রকৃত উদ্দেশ্য তার টার্মস অব রেফারেন্স (টিওআর) থেকেই খোলসা হয়ে গিয়েছে। কমিটিকে প্রথম টিওআর ‘বলেছিল, একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পরীক্ষার পর সুপারিশ করতে ...।’
বিশদ

23rd  September, 2024
বিচারের সামনে দাঁড়াতে হবে সবাইকে!
হিমাংশু সিংহ

গত সপ্তাহে একদিন দুপুরে হাতিবাগানে ঘুরছিলাম। ঝিরঝিরে বৃষ্টিতেও পুজোর মাত্র একমাস আগে এমন বিবর্ণ বিধান সরণি দেখিনি। কয়েকদিন আগে গড়িয়াহাটেও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। বড় বড় ঝাঁ-চকচকে দোকানে সেলসম্যানের চেয়ে ক্রেতা কম। বিশদ

22nd  September, 2024
একনজরে
দিন কয়েক আগে মুরারই ও লাগোয়া ঝাড়খণ্ডে চলেছে লাগাতার বৃষ্টি। আর তার জেরে ফুলেফেঁপে উঠেছিল ঝাড়খণ্ড থেকে বইয়ে আসা বাঁশলৈ নদী। মঙ্গলবার সেই নদীর জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে দুই শিশুকন্যার। ...

একটানা বেজে চলেছে তীক্ষ্ণ সাইরেন। কাতারে কাতারে জনতা আশ্রয় নিয়েছে বাঙ্কারে। চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। বাইরে রাতের আকাশ চিরে ধেয়ে আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইরানি ...

কংগ্রেসের আপত্তি টিকল না। হরিয়ানা বিধানসভা ভোটের তিনদিন আগে বুধবার জেল থেকে ছাড়া পেলেন  ধর্ষণ ও খুনের মামলা সাজাপ্রাপ্ত দেরা সাচা সৌদার প্রধান গুরমিত রাম ...

অবশেষে কিছুটা হলেও জট কাটল চেঙ্গাইলের ল্যাডলো জুটমিলে। মঙ্গলবার জুটমিল কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বোনাস দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাপড়ের ব্যবসায় অগ্রগতি। পেশাদার শিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। উচ্চ/উচ্চতর শিক্ষায় উন্নতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯১: ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম মাসিক পত্রিকা ‘ক্যালকাটা ম্যাগাজিন অ্যান্ড ওরিয়েন্টাল মিউজিয়াম’ প্রকাশ শুরু হয়
১৮৭৭: পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল হরেন্দ্রকুমার মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১১: ক্রিকেটার সুঁটে বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯২০: বিশিষ্ট ধারাভাষ্যকার অজয় বসুর জন্ম 
১৯২৩: প্রথম মহিলা স্নাতক ও ডাক্তার কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৪৫: বিশ্ব ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৪৯: পরিচালক জে পি দত্তের জন্ম
১৯৭৮: বিশ্বের দ্বিতীয় ও ভারতের প্রথম টেস্ট টিউব শিশুর জন্ম
১৯৮৯: বিশিষ্ট সরোদ শিল্পী ওস্তাদ বাহাদুর হোসেন খান কলকাতায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন
১৯৯০: অক্টোবরে দুই জার্মানি অর্থাৎ পূর্ব জার্মানি এবং পশ্চিম জার্মানি আনুষ্ঠানিকভাবে একত্রিত হবার ঘোষণা করে



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯৯ টাকা ৮৪.৭৩ টাকা
পাউন্ড ১১০.৩৮ টাকা ১১০.৩৮ টাকা
ইউরো ৯১.৮১ টাকা ৯৫.০১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
02nd  October, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৫৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৫,৯০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
02nd  October, 2024

দিন পঞ্জিকা

১৭ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪। প্রতিপদ ৫৩/৩৮ রাত্রি ২/৫৯। হস্তা নক্ষত্র ২৫/০ দিবা ৩/৩২। সূর্যোদয় ৫/৩২/২০, সূর্যাস্ত ৫/১৯/৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৪ গতে ২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/৯ গতে ৯/২৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৫১ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৫ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/২৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২৬ গতে ১২/৫৮ মধ্যে।
১৬ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪। প্রতিপদ রাত্রি ১/১২। হস্তা নক্ষত্র দিবা ৩/১৯। সূর্যোদয় ৫/৩২, সূর্যাস্ত ৫/২১। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫০ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/১ গতে ৫/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ২/২৪ গতে ৫/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৭ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। 
২৯ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেপ্তার ৩ পাকিস্তানি

06:40:00 PM

মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ: স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৬ রানে জয় পেল বাংলাদেশ

06:35:00 PM

ডিভোর্স মন্তব্যে তেলেঙ্গানার মন্ত্রী কোন্ডা সুরেখার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিলেন অভিনেতা নাগার্জুন

06:14:00 PM

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানকে কেশিয়াড়িতে প্রাথমিক শিক্ষকদের পক্ষ থেকে দেওয়া হল সম্বর্ধনা

06:06:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের কিস্তওয়ারে জঙ্গিদের খোঁজে যৌথ বাহিনীর তল্লাশি অভিযান

06:05:12 PM

জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচন: তিন দফায় গড়ে ভোট পড়ল ৬৩.৮৮ শতাংশ

06:04:00 PM