Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পুজো বিরোধী ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করুন
হিমাংশু সিংহ

ছোটবেলা থেকে জেনে এসেছি, যাই ঘটে যাক মাধ্যমিক পরীক্ষা, দুর্গাপুজোয় মিটিং মিছিল অবরোধ অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ। এই সময়টা সাধারণ মানুষের সঙ্গে রাজনীতিকদেরও দু’দণ্ড অবকাশের সময়। আন্দোলনের নামে রাজনৈতিক কূটকচালিরও ছুটি। চড়া নিন্দার সুর, পারস্পরিক আক্রমণ, তোপ দাগা, উতোরচাপান, দাবিদাওয়া মেটানোর জন্য তো পড়েই আছে সারাটা বছর। তখন ক্ষোভ-বিক্ষোভ, প্রতিবাদ উগরে দাও যত পার। ভোটের বছরেও এর অন্যথা হতে দেখিনি কখনও। কিন্তু এবার? উৎসবকে ভিলেন বানিয়ে বিচারের নাম করে আড়াল থেকে রাজনীতির নখদাঁত বের করার আয়োজন দেখে অবাক হচ্ছি। আশ্চর্য হচ্ছি, নাগরিক সমাজকে ব্যবহার করে বাম ও অতিবামদের নিজেদের প্রাসঙ্গিক করে তোলার মরিয়া প্রয়াস দেখে। এমন অদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাংলার আকাশে আগে পুজো এসেছে কখনও, মনে পড়ে না। মহালয়ার মাত্র ৭২ ঘণ্টা আগে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব ঘিরে এমন সংশয় ও সন্দেহ তৈরির চেষ্টা কি ষড়যন্ত্র নয়? এরা সত্যি অভয়ার বিচার চায়, না অশান্তি চায়! বিধানসভা ভোট কিন্তু এখনও ১৮ মাস দূরে। 
একদিকে প্রকৃতির রোষ। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিস্তৃত অঞ্চল বন্যার কবলে। পরপর নিম্নচাপের ভ্রুকুটি। মানুষের মন এমনিতেই ভালো নেই। গোদের উপর বিষফোঁড়া, উৎসবকে বানচাল করতে ফেসবুকে বাম ও অতিবামেদের বিপ্লব। কিছু ডাক্তারের পোস্ট করা বক্তব্য দেখলে মনে হচ্ছে, উৎসব করলেই আপনি প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি, বিচারের বিরোধী। এসবই বামপন্থীদের পুরনো ফর্মুলা। পুজোর ক’টা দিন ছেড়ে দিলে কী বিচার পালিয়ে যেত! মাত্র কয়েকবছর আগে এরাজ্যেরই গেরুয়া শক্তি অভিযোগ করেছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি পুজোয় বাধা দিচ্ছেন। আর আজ বামঘেঁষারা বলছেন, মমতার পুজো অনুদান বয়কট করুন। পুজো অনুদানের সঙ্গে অভয়ার বিচারের কী সম্পর্ক? অথচ কুৎসিত প্রচার চলছে তা নিয়েও। নিঃসন্দেহে দু’টো পরস্পর-বিরোধী অভিযোগ। তাহলে কাদের অভিযোগ সত্যি— বামেদের না বিজেপির? বিরোধীরা বারবার নির্বাচনী রাজনীতিতে ব্যর্থ হয়ে কাণ্ডজ্ঞানটাই হারিয়ে ফেলেছেন। তাই পুজো ঘিরেও এমন ভয়ঙ্কর চক্রান্ত!
নিঃসন্দেহে একটা দুঃখজনক খুন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে গিয়েছে সরকারি হাসপাতালের অন্দরে। পুজোর মাত্র দু’মাস আগে যাঁরা সেই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তাঁদের জন্য কোনও ধিক্কার কিংবা শাস্তিই যথেষ্ট নয়। গাফিলতিও অমার্জনীয়। সবাই একবাক্যে বিচার চাইছেন। এমন একজনও সুস্থ মানুষ নেই, যিনি বলবেন বিচার চাই না। কিন্তু একইসঙ্গে এটাও ঠিক, বিচারেরও তো একটা প্রক্রিয়া থাকে। এবং ভারতীয় আইন মেনে চললে তা যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ। রাস্তায় মোমবাতি জ্বালিয়ে বসলে আর পুজো প্যান্ডেলের সামনে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বললেই কি অপরাধীদের ভোররাতে ফাঁসি হয়ে যাবে, অভয়া বিচার পাবেন? চার্জশিট, তদন্ত রিপোর্ট, নিম্ন আদালত থেকে ধাপে ধাপে সুপ্রিম কোর্টের রায়, শেষে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন, কিছুই লাগবে না! তাহলে তো সৌদি আরবের মতো প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করতে হয়। প্রকৃত বিচার বলতে অতিবামেরা কি সেটাই বোঝাচ্ছেন?
এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে তার চেষ্টাই চলছে সব মহল থেকে। আর জি কর কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ এবং স্থানীয় টালা থানার ওসি গ্রেপ্তার হয়েছেন। কয়েক ডজন ডাক্তার, পুলিস, নেতা, বিধায়ককে একাধিকবার জেরা করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে নিয়মিত তদন্তের স্টেটাস রিপোর্টও জমা দিচ্ছে সিবিআই। ছাত্রদের দাবি মেনে কলকাতার পুলিস কমিশনার সহ একাধিক সরকারি কর্তাকেও সরানো হয়েছে। সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা ঢেলে সাজায় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কাল সোমবারও শুনানি আছে। কিন্তু যেটা উদ্বেগজনক তা হচ্ছে, বিচারকে শিখণ্ডী করে আড়াল থেকে রাজনীতির ইতিউতি উঁকি। আসল উদ্দেশ্য বিচার না চেয়ার? রাতদখল না ক্ষমতা দখল? সামনাসামনি না পেরে, নাগরিক আবেগকে ব্যবহার করে ঘোলাজলে মাছ ধরার এই ভড়ং কিন্তু ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। 
চার বছর আগে পুজো পণ্ড হওয়ার কারণ ছিল কোভিড প্যান্ডেমিক। প্রাণভয়ে লোকে বেরতেই পারেনি। আর এবার এক আশ্চর্য পরিস্থিতি। কী 
সেই পরিস্থিতি? আওয়াজ তোলা হচ্ছে, শুধু পুজো হবে, কিন্তু আনন্দ নৈব নৈব চ। স্বাস্থ্য ভবনের 
সামনে বিরিয়ানি, চাউমিন, চিকেন, মাটন, ফিশফ্রাই, প্যাটিস, ফ্রুট জুস, উদ্দাম নাচ, গান কিছুই বাকি ছিল না। কিন্তু পুজোয় আনন্দ করলেই অপরাধ! 
পুজো থেকে দূরে থাকলেই অভয়া বিচার পাবে। আর বৎসরান্তে আনন্দে মেতে কেউ প্যান্ডেল হপিং করলেই চূড়ান্ত অনাচার। এই সরলীকরণ 
আপামর বাঙালি মেনে নেবে কি? বাংলার দুর্গাপুজোর দিকে চেয়ে থাকে গোটা বিশ্ব। বহু বিদেশি পর্যটক আসেন ঠাকুর, প্যান্ডেল, শিল্পের উৎকর্ষ দেখতে। আর গরিব চেয়ে থাকে দু’টো পয়সার মুখ দেখবে বলে। এই উৎসবের উপরই আমাদের সমাজ ও অর্থনীতি দাঁড়িয়ে। 
সবচেয়ে যেটা দুঃখের তা হচ্ছে, এই মুহূর্তে পুজোকে কেন্দ্র করেও এক আশ্চর্য সামাজিক মেরুকরণের চেষ্টা হচ্ছে। বাঙালি সমাজকে বিজেপি হিন্দু-মুসলমানে ভাগ করার চক্রান্ত করে আসছে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। সেই ক্ষত দগদগে ঘা হয়ে বুকে জ্বলছে, যা সহজে শুকোবার নয়। আর এবার শহুরে এলিটস ও গ্রামের প্রান্তিক মানুষদের মধ্যেও একটা সূক্ষ্ম অথচ তীব্র বিভাজনের চেষ্টা চলছে। সামনে অস্ফুটে বলা হচ্ছে বিচারের কথা, কিন্তু আড়ালে কবরে সেঁধিয়ে যাওয়া এরাজ্যের বাম ও অতিবামেরা যেনতেন প্রকারে আবার নিজেদের প্রাসঙ্গিক করে তোলার মরিয়া চেষ্টায় ব্যস্ত। 
অভয়া ইস্যু দূরবর্তী জেলাগুলিতে তেমন প্রভাব ফেলেনি। তাই বারবার শহরে রাত থেকে ভোর দখলের ডাক। এমনও বলা হচ্ছে, অষ্টমীর সন্ধ্যা থেকে নাকি ঘরে ঢুকে যেতে হবে—পরদিন সকাল পর্যন্ত। এ কেমন ফতোয়া! মহালয়ার আগের রাতে বাঙালি রেডিও সারিয়ে আগে আগে শুয়ে পড়ে। পরদিন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনী শুনবে বলে। এবার মহালয়ার আগের দিনও রাত থেকে ভোর দখলের ডাক দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্যটা কী? শুধুই বিচার তো নয়! কেউ কেউ আবার বলছেন, এটাই নাকি বামেদের ঘুরে দাঁড়ানোর শেষ সুযোগ। তাতেও তেমন কাজ হচ্ছে না বুঝে তাঁরা আরও বেশি করে আঁকড়ে ধরতে চাইছেন একটা মর্মান্তিক খুনের ঘটনাকে।
এসবের চেয়েও ভয়াবহ—‘মন চায়, এবার পুজোয় নেমে আসুক দুর্যোগ। নেমে আসুক তিলোত্তমার অভিশাপ, ধ্বংস হোক পৃথিবী। প্রলয়ের পর আরও একবার নতুন করে শুরু করি।’ এই পোস্ট এক প্রথিতযশা বামঘেঁষা ডাক্তারের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত। কী চাইছেন তিনি? পৃথিবী ধ্বংস হলে অভয়া বিচার পাবে তো! আরও আশ্চর্যের, আবহাওয়া দপ্তর নানা আশঙ্কার কথা শোনাতেই এই শ্রেণির উৎসাহ এবং বডি ল্যাঙ্গুয়েজ আরও তেজি হয়েছে। এঁদের আমি ডাক্তার কিংবা মানবতাবাদী বলে মনে করি না। এঁরা চরম সুবিধাবাদী। নাহলে কেউ বলে, ‘জীবনের সব ক্ষোভ আজ বিদ্রোহে রূপান্তরিত হোক।’ সুবিধাবাদী বলেই এঁরা জন্মলগ্ন থেকে যে নার্সিংহোমের সঙ্গে যুক্ত তার বিরুদ্ধে আঙুল উঠলেই তৃপ্তির হাসি দিয়ে বলেন, ‘সে কী, এগারো সালের পর থেকে তো ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই।’ তাই বিচারও চাওয়া যাবে না। কিন্তু বাংলাকে যে কোনও মূল্যে অচল করতেই হবে। ভোটে যখন হচ্ছে না তখন নাগরিক আন্দোলনের নামে পুজো বানচালই এদের মূল এজেন্ডা।
মাত্র ৭২ ঘণ্টা দূরে মহালয়া। দেবীপক্ষের শুরু। মহালয়ার আগের এই রবিবারটায় মনটা আর খাঁচাবন্দি থাকতে চায় না। জন্মের পর থেকেই দেখে আসছি, এই সময়টাকে শুম্ভ-নিশুম্ভের লড়াইয়ের ক্ষণ হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়। এক কথায়, অশুভ শক্তির বিনাশ এবং শুভ শক্তির আত্মপ্রকাশের ক্ষণ এটা। এই সময়টা নিশ্চিতভাবে বিচার পাইয়ে দেওয়ার, কিন্তু দ্রোহকালের নয়।
ডাক্তারদের টানা কর্মবিরতিতে ধাক্কা খেয়েছেন কারা, তার বিস্তারিত লিখেছিলাম গত সপ্তাহে। ফের যদি উৎসবকে ভিলেন বানানোর কায়েমি স্বার্থ এবার সফল হয়, তাহলেও পেটে লাথি পড়বে গরিব রোল বিক্রেতা, রেস্তরাঁ মালিক, ট্যাক্সি চালক এবং পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সকলেরই। মাস মাইনের লোকজনের পকেটে নয়, টান পড়বে রাস্তার মোড়ে দাঁড়ানো গরিব ঘুগনি বিক্রেতাদের। বেলুনওয়ালাদের। সেইসব বিবেকবান যাঁরা অষ্টমীর সন্ধ্যা থেকে দরজায় খিল দেবেন বলে হুঙ্কার ছাড়ছেন তাঁদের সবিনয়ে বলি, পুজো আপনারা পণ্ড করতে পারবেন না। মহামারী চার বছর আগে হেরেছে। এবারও বাঙালি নিজের মতো করেই উৎসবে মাতবে। কিন্তু একটা বিষয় দেখছি। এই বিচার পাওয়ার চক্করে এরাজ্যের বামপন্থীরা ক্রমেই গরিব প্রান্তিক কৃষক, শ্রমিক, সংখ্যালঘু মানুষদের থেকে আরও সরে এলিট ধনীদের পার্টিতে পরিণত হচ্ছে। এই পথে শূন্যের কলঙ্ক বাম শরীর থেকে ঘুচবে তো? নাকি এই আরোপিত ‘দ্রোহকাল’ তাদের আরও জনবিচ্ছিন্ন করবে?
29th  September, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন ও মমতার চ্যালেঞ্জ
হিমাংশু সিংহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছাব্বিশে, না তারও আড়াই বছর বাদে উনত্রিশের সম্মিলিত নির্বাচনে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁকে প্রধান মুখ করে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পাটনা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে দিল্লির প্রধান বিরোধী দলগুলির মধ্যে। বিশদ

15th  December, 2024
মৌলবাদ: চক্রান্ত রুখছেন রাজ্যের মুসলিমরাই
তন্ময় মল্লিক

‘কোটা’র বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে ঘটেছিল তথাকথিত ‘গণঅভ্যুত্থান’। কোটাপ্রথার বিলোপই যদি লক্ষ্য হতো, তাহলে ৫আগস্ট  আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটত। শেখ হাসিনা দেশত্যাগী হয়েছেন। কিন্তু দেশে শান্তি ফেরেনি। বিশদ

14th  December, 2024
বিজেপি-সখ্যে আঞ্চলিক দলের ক্ষতি হচ্ছে
সমৃদ্ধ দত্ত

বিগত ১০ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে যে আঞ্চলিক দলই সখ্য স্থাপন করেছে, তাদেরই চরম রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। হয় তারা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে অথবা সরকার থেকে পদচ্যুত হয়েছে। কিংবা নিজেদের রাজ্যে গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে। বিশদ

13th  December, 2024
দেশে এবার ‘কৃষ্ণ বিপ্লব’ আসন্ন!
মৃণালকান্তি দাস

দেশের এক আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) অধিকর্তা দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি মন্ত্রবলে ‘ভূত ছাড়াতে’ পারেন। বেশ কয়েক বছর আগে একটি পরিবারকে তিনি ‘অশুভ আত্মার কবল থেকে মুক্ত’ করেছিলেন বলে দাবি করেন প্রযুক্তিবিদ্যার ওই বিশেষজ্ঞ। বিশদ

12th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

11th  December, 2024
হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
একনজরে
শনিবার তেলেঙ্গানায় সন্তোষ ট্রফির মূল পর্বের গ্রুপ লিগে বাংলার প্রতিপক্ষ মণিপুর। সম্প্রতি ভারতীয় ফুটবলের সাপ্লাই লাইন এই রাজ্য। একাধিক ফুটবলার আইএসএলে বিভিন্ন দলের হয়ে মাঠ কাঁপাচ্ছেন। ...

শুক্রবার সকালে স্কুটারের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম মুজাফফর বিশ্বাস (৪২)। ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গার কামদেবকাটিতে। পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুটার চালককে উদ্ধার করে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলেও শেষরক্ষা হয়নি। ...

শুক্রবার ভোরে কালীগঞ্জের বড়চাঁদঘর পঞ্চায়েতের তেজনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি মোবাইল দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। দোকানের শাটার ভেঙে দুষ্কৃতীরা লক্ষাধিক টাকার মোবাইল চুরি করে ...

সম্প্রতি শহরে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের এই সাফল্যকে সামনে এনে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র দাবি করলেন, বাংলায় পড়াশোনোর বহর বাড়ছে। সেই কারণেই মেধার বিস্তৃতি সম্ভব হচ্ছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০১: শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক প্রসন্নকুমার ঠাকুরের জন্ম
১৯১১: প্রতিষ্ঠিত হল সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
১৯৫৯: ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের জন্ম
১৯৬৩: অভিনেতা গোবিন্দার জন্ম
১৯৯৮: নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে ‘দেশিকোত্তম’ দিল বিশ্বভারতী
২০১২: পরিচালক যীশু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.১৩ টাকা ৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৭ টাকা ১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ১৫/১৫, দিবা ১২/২২। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৫৯/৫৫ শেষ রাত্রি ৬/১৪। সূর্যোদয় ৬/১৬/১৭, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/১১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪২ গতে ৯/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/১৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
৫ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী দিবা ১/৫৮। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৯, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৮ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৪ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৩ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২০ মধ্যে।
১৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইএসএল: মুম্বই সিটি ১-চেন্নাই ০ (১০ মিনিট)

05:13:00 PM

গুজরাতের রণ উৎসব সবাইকে যোগদানের আহ্বান মোদির

05:11:00 PM

অসমে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রতিবাদ মিছিল

04:53:00 PM

মিথ্যে দুর্নাম দেওয়ার অভিযোগে ধর্নায় বসলেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক

04:33:00 PM

অমিত শাহের পদত্যাগের দাবিতে কেরলে মহিলা কংগ্রেসের প্রতিবাদ মিছিল

04:30:00 PM

অমিত শাহের মন্তব্যের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভে কংগ্রেস

04:18:00 PM